যিশাইয়
৩ কারণ দেখো! সত্য প্রভু স্বর্গীয় বাহিনীর শাসক যিহোবা
জেরুসালেম ও যিহূদার কাছ থেকে তাদের সমস্ত ধরনের সমর্থন ও সাহায্য কেড়ে নেবেন।
তিনি তাদের রুটি ও জল,
২ শক্তিশালী পুরুষ এবং যোদ্ধাদের,
বিচারক ও ভাববাদীদের, জ্যোতিষী ও প্রাচীনদের,
৩ ৫০ জনের অধ্যক্ষদের, সম্মাননীয় ব্যক্তিদের, পরামর্শদাতাদের
এবং দক্ষ জাদুকর ও সাপুড়েদের কেড়ে নেবেন।
৪ আমি অল্পবয়সি ছেলেদের তাদের অধ্যক্ষ করে তুলব
আর যাদের মন অস্থির,* তারা তাদের উপর শাসন করবে।
৫ লোকেরা একে অন্যের উপর অত্যাচার করবে,
প্রত্যেকে অন্য ব্যক্তির উপর অত্যাচার করবে।
অল্পবয়সি ছেলেরা বয়স্ক লোকদের আক্রমণ করবে
আর সাধারণ লোকেরা সম্মাননীয় ব্যক্তিদের অপমান করবে।
৬ প্রত্যেকে নিজের বাবার বাড়িতে নিজের ভাইকে ধরে বলবে:
“তোমার কাছে পোশাক রয়েছে, তুমি আমাদের শাসক হও,
এই ধ্বংসস্তূপের উপর শাসন করো।”
৭ কিন্তু, সে প্রত্যাখ্যান করে বলবে:
“আমি তোমার ক্ষত বেঁধে দেওয়ার* লোক হব না,
আমার বাড়িতে খাবার কিংবা পোশাক, কিছুই নেই।
আমাকে লোকদের উপর শাসক কোরো না।”
৮ জেরুসালেম হোঁচট খেয়েছে
আর যিহূদা পড়ে গিয়েছে
কারণ তারা নিজেদের কথা ও কাজের দ্বারা যিহোবার বিরুদ্ধে গিয়েছে,
তারা মহিমাময় ঈশ্বরের সামনে বিদ্রোহ করেছে।
৯ তাদের চেহারাই তাদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়,
তারা সদোমের লোকদের মতো নিজেদের পাপ প্রকাশ করে বেড়ায়,
তারা সেগুলো লুকোনোর চেষ্টা করে না।
ধিক তাদের! কারণ তারা নিজেদের উপরেই বিপর্যয় নিয়ে আসছে।
১০ যারা সঠিক কাজ করে, তাদের বলো যে, তাদের মঙ্গল হবে,
তারা নিজেদের কাজের পুরস্কার পাবে।
১১ ধিক মন্দ ব্যক্তিকে!
তার উপর বিপর্যয় নেমে আসবে
কারণ সে নিজের হাত দিয়ে যা করেছে, তার প্রতিও তা-ই করা হবে।
১২ যারা আমার লোকদের দিয়ে কাজ করায়, তারা নিষ্ঠুর
আর মহিলারা আমার লোকদের উপর শাসন করে।
হে আমার লোকেরা, তোমাদের নেতারা তোমাদের বিপথে যেতে পরিচালিত করছে,
তারা তোমাদের জন্য সঠিক পথ বেছে নেওয়া কঠিন করে তুলেছে।
১৩ যিহোবা বিভিন্ন জাতির লোকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার
এবং নিজের রায় শোনানোর জন্য উঠে দাঁড়িয়েছেন।
১৪ যিহোবা তাঁর লোকদের প্রাচীন ও অধ্যক্ষদের বিচার করবেন।
তিনি তাদের বলবেন: “তোমরা আঙুর খেত পুড়িয়ে দিয়েছ
আর গরিব লোকদের কাছ থেকে জিনিস চুরি করে তোমাদের বাড়িতে রেখেছ।”
১৫ নিখিলবিশ্বের প্রভু স্বর্গীয় বাহিনীর শাসক যিহোবা আরও বলেন:
“তোমাদের এত স্পর্ধা যে, তোমরা আমার লোকদের পিষে দিয়েছ,
গরিব লোকদের মুখ ধুলোতে ঘষে দিয়েছ?”
১৬ যিহোবা বলেন: “সিয়োনের মেয়েরা খুবই অহংকারী,
তারা মাথা উঁচু করে হাঁটে,
চোখ দিয়ে প্রেমের ভান করে,
কোমর দুলিয়ে হাঁটার সময় পায়ের নূপুর দিয়ে শব্দ করে।
১৭ তাই, যিহোবা সিয়োনের মেয়েদের মাথা ফোঁড়ায় ভরিয়ে দেবেন,
যিহোবা তাদের টাকলা করে দেবেন।
১৮ সেই দিন যিহোবা তাদের সাজসজ্জার এই জিনিসগুলো কেড়ে নেবেন:
নূপুর, মাথার গয়না, চন্দ্রহার,
১৯ দুল, চুড়ি, ঘোমটা,
২০ ওড়না, পায়ের মল, বুকের বন্ধনী,
সুগন্ধীর কৌটো, তাবিজ,*
২১ আংটি, নথ,
২২ দামি পোশাক, কটি, শাল, টাকার থলি,
২৩ হাতে ধরার আয়না, মিহি সুতোর পোশাক,*
পাগড়ি ও ঘোমটা।
২৪ বালসাম* তেলের সুগন্ধের পরিবর্তে দুর্গন্ধ থাকবে,
কোমরবন্ধনীর* পরিবর্তে দড়ি থাকবে,
সুন্দরভাবে বাঁধা চুলের পরিবর্তে টাক মাথা থাকবে,
দামি পোশাকের পরিবর্তে চটের পোশাক থাকবে
আর সৌন্দর্যের পরিবর্তে দাসত্বের চিহ্ন থাকবে।
২৫ তোমার পুরুষেরা তলোয়ারের আঘাতে
এবং তোমার বীরযোদ্ধারা যুদ্ধে মারা পড়বে।
২৬ তার দরজাগুলো শোক করবে এবং কাঁদবে,
সে সব কিছু হারিয়ে মাটিতে বসে থাকবে।”