ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • ২ রাজাবলি ১০
  • পবিত্র বাইবেল—নতুন জগৎ অনুবাদ

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

২ রাজাবলি ১০:৩

পাদটীকা

  • *

    বা “সৎ।”

২ রাজাবলি ১০:৫

পাদটীকা

  • *

    আক্ষ., “বাড়ির।”

২ রাজাবলি ১০:৯

পাদটীকা

  • *

    বা “ধার্মিক।”

২ রাজাবলি ১০:১৫

পাদটীকা

  • *

    বা “তাকে আশীর্বাদ করলেন।”

ইনডেক্স

  • গবেষণা নির্দেশিকা

    প্রহরীদুর্গ,

    ৮/১/২০০৫, পৃষ্ঠা ১১

    ১/১/১৯৯৮, পৃষ্ঠা ১২-১৩

২ রাজাবলি ১০:১৬

পাদটীকা

  • *

    বা “যিহোবার জন্য আমার কতটা উদ্যোগ রয়েছে।”

ইনডেক্স

  • গবেষণা নির্দেশিকা

    প্রহরীদুর্গ,

    ১/১/১৯৯৮, পৃষ্ঠা ১২-১৩

২ রাজাবলি ১০:১৯

ইনডেক্স

  • গবেষণা নির্দেশিকা

    প্রহরীদুর্গ,

    ১১/১৫/২০১১, পৃষ্ঠা ৫

২ রাজাবলি ১০:২২

পাদটীকা

  • *

    বা “কর্মকর্তাকে।”

২ রাজাবলি ১০:২৫

পাদটীকা

  • *

    আক্ষ., “বালের গৃহের নগরে,” সম্ভবত দুর্গের মতো এক কাঠামো।

২ রাজাবলি ১০:২৯

ইনডেক্স

  • গবেষণা নির্দেশিকা

    প্রহরীদুর্গ,

    ১১/১৫/২০১১, পৃষ্ঠা ৫

২ রাজাবলি ১০:৩৫

পাদটীকা

  • *

    আক্ষ., “যেহূ তার পূর্বপুরুষদের সঙ্গে শুয়ে পড়লেন।”

বাইবেলের অন্যান্য অনুবাদ

এই শাস্ত্রপদটা অন্যান্য বাইবেলে কীভাবে এসেছে, তা দেখার জন্য শাস্ত্রপদের নম্বরের উপর ক্লিক করুন।
  • পবিত্র বাইবেল—নতুন জগৎ অনুবাদ
  • ১
  • ২
  • ৩
  • ৪
  • ৫
  • ৬
  • ৭
  • ৮
  • ৯
  • ১০
  • ১১
  • ১২
  • ১৩
  • ১৪
  • ১৫
  • ১৬
  • ১৭
  • ১৮
  • ১৯
  • ২০
  • ২১
  • ২২
  • ২৩
  • ২৪
  • ২৫
  • ২৬
  • ২৭
  • ২৮
  • ২৯
  • ৩০
  • ৩১
  • ৩২
  • ৩৩
  • ৩৪
  • ৩৫
  • ৩৬
পবিত্র বাইবেল—নতুন জগৎ অনুবাদ
২ রাজাবলি ১০:১-৩৬

রাজাবলির দ্বিতীয় খণ্ড

১০ আহাবের ৭০ জন ছেলে শমরিয়ায় থাকত। তাই, যেহূ শমরিয়ায় যিষ্রিয়েলের অধ্যক্ষদের, প্রাচীনদের এবং আহাবের সন্তানদের অভিভাবকদের কাছে চিঠি পাঠালেন। চিঠিতে তিনি লিখলেন: ২ “তোমাদের কাছে যখন এই চিঠি পৌঁছোবে, তখন তোমাদের সঙ্গে তোমাদের প্রভুর ছেলেরা ও সেইসঙ্গে তোমাদের কাছে যুদ্ধরথ, ঘোড়া, প্রাচীর দিয়ে ঘেরা নগর ও অস্ত্রশস্ত্র থাকবে। ৩ তোমরা তোমাদের প্রভুর ছেলেদের মধ্য থেকে সবচেয়ে ভালো ও যোগ্য* ছেলেকে বেছে নাও আর তাকে তার বাবার সিংহাসনে বসাও। তারপর, তোমরা তোমাদের প্রভুর পরিবারকে রক্ষা করার জন্য যুদ্ধ করো।”

৪ কিন্তু, তারা ভীষণ ভয় পেয়ে গিয়ে বলল: “দু-দু জন রাজা যখন তার সামনে দাঁড়াতে পারেননি, তখন আমরা কীভাবে দাঁড়াব?” ৫ তাই, রাজপ্রাসাদের* অধ্যক্ষ, নগরের রাজ্যপাল, প্রাচীনেরা এবং আহাবের সন্তানদের অভিভাবকেরা যেহূর কাছে এই বার্তা পাঠাল: “আমরা আপনার দাস। আপনি আমাদের যা বলবেন, আমরা তা-ই করব। আমরা কাউকেই রাজা করব না। আপনি যা ভালো বলে মনে করেন, তা-ই করুন।”

৬ তখন যেহূ তাদের দ্বিতীয় চিঠি পাঠিয়ে বললেন: “তোমরা যদি আমার পক্ষে থাক আর আমার আদেশ পালন করার জন্য প্রস্তুত থাক, তা হলে তোমরা তোমাদের প্রভুর ছেলেদের মাথা কেটে কাল এই সময়ে যিষ্রিয়েলে আমার কাছে নিয়ে এসো।”

রাজা আহাবের ৭০ জন ছেলে নগরের সেই বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে ছিল, যারা তাদের দেখাশোনা করত। ৭ যেই-না তারা যেহূর চিঠি পেল, অমনি তারা রাজার ৭০ জন ছেলেকে মেরে ফেলল। তারা তাদের মাথা কেটে ঝুড়িতে রাখল আর সেগুলো যিষ্রিয়েলে যেহূর কাছে পাঠিয়ে দিল। ৮ বার্তাবাহক যেহূর কাছে এসে বলল: “তারা রাজার ছেলেদের মাথা নিয়ে এসেছে।” যেহূ বললেন: “সেগুলো দিয়ে নগরের দরজার কাছে দুটো ঢিবি তৈরি করো আর কাল সকাল পর্যন্ত সেগুলো সেখানেই থাকতে দাও।” ৯ সকালে তিনি যখন বাইরে গেলেন, তখন সমস্ত লোকের সামনে দাঁড়িয়ে তিনি বললেন: “তোমরা সবাই নির্দোষ।* এটা ঠিক, আমি আমার প্রভুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছি এবং তাকে মেরে ফেলেছি, কিন্তু এদের কে মারল? ১০ তাই, তোমরা সবাই জেনে নাও, যিহোবা আহাবের পরিবারের বিরুদ্ধে যে-সমস্ত কথা বলেছেন, যিহোবার সেইসমস্ত কথা পূর্ণ হবে। যিহোবা তাঁর দাস এলিয়ের মাধ্যমে যা-কিছু বলেছিলেন, তিনি ঠিক তা-ই করেছেন।” ১১ এ ছাড়া, যেহূ আহাবের পরিবারের অবশিষ্ট সেইসমস্ত লোককে মেরে ফেললেন, যারা যিষ্রিয়েলে থাকত। আর সেইসঙ্গে তিনি আহাবের সমস্ত বিশিষ্ট লোক, বন্ধুবান্ধব ও যাজককে মেরে ফেললেন, এক জনকেও জীবিত রাখলেন না।

১২ এরপর, তিনি শমরিয়ার উদ্দেশে রওনা হলেন। রাস্তায় এমন একটা জায়গা পড়ল, যেখানে মেষপালকেরা মেষের লোম কাটত। ১৩ সেখানে যিহূদার রাজা অহসিয়ের ভাইদের সঙ্গে যেহূর দেখা হল। তিনি তাদের জিজ্ঞেস করলেন: “তোমরা কারা?” তারা বলল: “আমরা অহসিয়ের ভাই। আমরা রাজার ছেলেদের এবং রাজমাতার ছেলেদের খোঁজখবর নিতে যাচ্ছি।” ১৪ যেহূ সঙ্গেসঙ্গে তার লোকদের বললেন: “ধরো এদের!” তারা তাদের ধরে ফেলল আর লোম কাটার জায়গার কাছে যে-কুয়ো ছিল, সেখানে তাদের সবাইকে মেরে ফেলল, এক জনকেও জীবিত রাখল না। তাদের মোট সংখ্যা ছিল ৪২।

১৫ সেখান থেকে চলে যাওয়ার সময় রেখবের ছেলে যিহোনাদবের সঙ্গে যেহূর দেখা হল, যিনি তার সঙ্গে দেখা করার জন্য আসছিলেন। যিহোনাদব যখন তাকে শুভেচ্ছা জানালেন,* তখন যেহূ তাকে জিজ্ঞেস করলেন: “তুমি কি মনে-প্রাণে আমার সঙ্গে রয়েছ, ঠিক যেভাবে আমি মনে-প্রাণে তোমার সঙ্গে রয়েছি?”

যিহোনাদব বললেন: “হ্যাঁ।”

যেহূ বললেন: “তাহলে তোমার হাত দাও।”

যিহোনাদব তার হাত দিলেন আর যেহূ তাকে টেনে নিজের রথে তুলে নিলেন। ১৬ তারপর, তিনি যিহোনাদবকে বললেন: “তুমি আমার সঙ্গে চলো আর দেখো যে, যিহোবার প্রতি কোনো ধরনের অবিশ্বস্ততাই আমি সহ্য করতে পারি না।”* এভাবে যিহোনাদবকে যেহূর যুদ্ধরথে তুলে নেওয়া হল। ১৭ তারপর, যেহূ শমরিয়ায় গেলেন আর সেখানে আহাবের পরিবারের যত লোক অবশিষ্ট ছিল, তাদের সবাইকে মেরে ফেললেন। তিনি তাদের পুরোপুরিভাবে নিশ্চিহ্ন করে দিলেন, ঠিক যেমনটা যিহোবা এলিয়ের মাধ্যমে বলেছিলেন।

১৮ এরপর, যেহূ সমস্ত লোককে একত্রিত করে বললেন: “বালের উপাসনার জন্য আহাব যা করেছেন, তা তো কিছুই নয়। এবার যেহূ আরও বড়ো আকারে বালের উপাসনা করবে। ১৯ তাই, বালের সমস্ত ভাববাদী, সমস্ত উপাসক এবং সমস্ত যাজককে আমার কাছে ডেকে আনো। খেয়াল রেখো, যেন এক জনও বাদ না যায় কারণ আমি বালের জন্য এক বিশাল বড়ো বলি উৎসর্গ করব। এই উপলক্ষ্যে যে-কেউ অনুপস্থিত থাকবে, তাকে মেরে ফেলা হবে।” আসলে, যেহূ বালের সমস্ত উপাসককে বিনষ্ট করার জন্য ষড়যন্ত্র করছিলেন।

২০ যেহূ আরও বললেন: “ঘোষণা করো যে, বালের জন্য এক বিশেষ সভার আয়োজন করা হবে।” তাই, তারা সেই ঘোষণা করল। ২১ এরপর, যেহূ ইজরায়েলের সমস্ত প্রান্তে এই খবর পাঠালেন আর বালের সমস্ত উপাসক সেই সভায় এল, এক জনও অনুপস্থিত থাকল না। তারা সবাই বালের মন্দিরের ভিতরে ঢুকল আর এর ফলে মন্দিরটা পুরোপুরিভাবে লোকে ভরে গেল। ২২ যেহূ পোশাকের ঘরের আধিকারিককে* বললেন: “বালের সমস্ত উপাসকের জন্য পোশাক নিয়ে এসো।” তখন সে তাদের সবার জন্য পোশাক নিয়ে এল। ২৩ তারপর, যেহূ এবং রেখবের ছেলে যিহোনাদব বালের মন্দিরে গেলেন। যেহূ বালের উপাসকদের বললেন: “ভালো করে দেখো, যেন এখানে যিহোবার কোনো উপাসক না থাকে। এখানে যেন কেবল বালের উপাসকেরাই থাকে।” ২৪ এরপর, তারা বলি ও হোমবলি উৎসর্গ করার জন্য ভিতরে গেল। যেহূ তার ৮০ জন লোককে বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন এবং তাদের বলেছিলেন: “তোমরা তাদের সবাইকে মেরে ফেলবে, এক জনকেও ছাড়বে না। তোমাদের মধ্যে কেউ যদি তাদের মধ্যে কাউকে পালাতে দেয়, তা হলে সেই পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তির জায়গায় তাকে মেরে ফেলা হবে।”

২৫ যেই-না হোমবলি উৎসর্গ করা শেষ হল, অমনি যেহূ পাহারাদারদের এবং সহ-সেনাপতিদের বললেন: “ভিতরে এসো, এদের সবাইকে মেরে ফেলো! কেউ যেন পালাতে না পারে!” পাহারাদারেরা এবং সহ-সেনাপতিরা সবাইকে তলোয়ার দিয়ে মারতে থাকল এবং তাদের মৃতদেহ বাইরে ফেলতে থাকল। তারা লোকদের আঘাত করতে করতে বালের মন্দিরের ভিতরের ঘরে* গিয়ে পৌঁছোল। ২৬ তারপর, তারা মন্দির থেকে সমস্ত উপাসনার স্তম্ভ বের করে আনল এবং সেগুলো পুড়িয়ে দিল। ২৭ তারা বালের উপাসনার স্তম্ভ ভেঙে দিল এবং বালের মন্দিরটা ভেঙে দিয়ে সেই জায়গাটা শৌচাগারে পরিণত করল। আজ পর্যন্ত সেটা এইরকমই রয়েছে।

২৮ এভাবে যেহূ ইজরায়েল থেকে বালের উপাসনা পুরোপুরিভাবে দূর করে দিলেন। ২৯ কিন্তু, যেহূ বৈথেল ও দানের সোনার বাছুরগুলোকে থাকতে দিলেন আর এভাবে নবাটের ছেলে যারবিয়াম, যিনি ইজরায়েলকে দিয়ে পাপ করিয়েছিলেন, তার মতোই যেহূও পাপ করলেন। ৩০ যিহোবা যেহূকে বললেন: “আহাবের পরিবারের বিরুদ্ধে যা-কিছু করার ইচ্ছা আমার মনে ছিল, সেই সমস্ত কিছুই তুমি করেছ আর এভাবে তুমি আমার দৃষ্টিতে যা সঠিক, তা করেছ। তুমি যে-সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছ, সেটার জন্য তোমার চতুর্থ প্রজন্ম পর্যন্ত তোমার ছেলেরা ইজরায়েলের সিংহাসনে বসবে।” ৩১ কিন্তু, যেহূ সম্পূর্ণ হৃদয় দিয়ে ইজরায়েলের ঈশ্বর যিহোবার ব্যবস্থা পালন করার বিষয়ে সতর্ক হলেন না। যারবিয়াম, যিনি ইজরায়েলকে দিয়ে পাপ করিয়েছিলেন, তার মতোই যেহূও পাপ করলেন।

৩২ সেই সময়ই যিহোবা ইজরায়েলের এলাকার সীমানা কমাতে লাগলেন। হসায়েল পুরো ইজরায়েলের বিভিন্ন এলাকায় আক্রমণ করতে থাকলেন। ৩৩ তিনি জর্ডনের পূর্ব দিকে গিলিয়দের পুরো এলাকা থেকে আক্রমণ করতে শুরু করলেন, যেখানে গাদ, রূবেণ ও মনঃশি বংশের লোকেরা থাকত। এর মধ্যে অর্ণোন উপত্যকার পাশে অবস্থিত অরোয়ের থেকে শুরু করে গিলিয়দ ও বাশন পর্যন্ত এলাকাও ছিল।

৩৪ যেহূর জীবনের বাকি কাহিনি, তিনি যে-সমস্ত কাজ করেছিলেন ও সেইসঙ্গে তিনি যে-সমস্ত বড়ো বড়ো কাজ করেছিলেন, সেই সমস্ত কিছুর বিবরণ ইজরায়েলের রাজাদের ইতিহাস বইয়ে লেখা আছে। ৩৫ তারপর, যেহূ মারা গেলেন* আর তাকে শমরিয়ায় কবর দেওয়া হল। তার জায়গায় তার ছেলে যিহোয়াহস রাজা হলেন। ৩৬ যেহূ ২৮ বছর ধরে শমরিয়া থেকে ইজরায়েলের উপর রাজত্ব করেছিলেন।

বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
লগ আউট
লগ ইন
  • বাংলা
  • শেয়ার
  • পছন্দসমূহ
  • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
  • ব্যবহারের শর্ত
  • গোপনীয়তার নীতি
  • গোপনীয়তার সেটিং
  • JW.ORG
  • লগ ইন
শেয়ার