পরমগীত
৮ “হায়! তুমি যদি আমার ভাইয়ের মতো হতে,
হায়! তুমি যদি আমারই মায়ের দুধ খেতে,
তা হলে বাইরে তোমার সঙ্গে দেখা হলে আমি তোমাকে চুম্বন করতাম
আর কেউ আমার নিন্দা করত না।
২ আমি তোমাকে আমার মায়ের বাড়িতে নিয়ে যেতাম,
তার বাড়িতে, যে আমাকে শিক্ষা দিয়েছে।
আমি তোমাকে সুস্বাদু দ্রাক্ষারস* খেতে দিতাম,
বেদানার টাটকা রস খেতে দিতাম।
৩ ওর বাঁ-হাত আমার মাথার নীচে থাকত
আর ও নিজের ডান হাত দিয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরত।
৪ হে জেরুসালেমের মেয়েরা, তোমরা শপথ করো:
যতক্ষণ না আমার ভিতর থেকে প্রেম জেগে উঠছে,
ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা আমার মধ্যে তা জাগানোর চেষ্টা করবে না।”
৫ “ও কে, যে ওর প্রিয়তমকে জড়িয়ে ধরে প্রান্তর থেকে উঠে আসছে?”
“আপেল গাছের নীচে আমি তোমাকে জাগালাম,
সেই জায়গায়, যেখানে তোমার মা প্রসববেদনা ভোগ করেছিল,
যেখানে তোমার মা প্রসববেদনার সঙ্গে তোমার জন্ম দিয়েছিল।
৬ আমাকে সিলমোহরের মতো তোমার হৃদয়ের উপর রাখো,
আমাকে সিলমোহরের মতো তোমার হাতের উপর রাখো।
কারণ প্রেম মৃত্যুর মতোই শক্তিশালী
আর গভীর প্রেম কবরের* মতোই কোনো কিছুর সামনে নত হয় না।
এর শিখা দাউদাউ করে জ্বলতে থাকা আগুনের শিখা,
যাঃয়ের* আগুনের শিখা।
৭ বড়ো বড়ো ঢেউ প্রেমের আগুনকে নিভিয়ে দিতে পারে না,
নদী প্রেমকে ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারে না।
কেউ যদি নিজের সমস্ত ধনসম্পদ দিয়ে সেটা কেনার চেষ্টাও করে,
তারপরও তার ধনসম্পদ* সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করা হবে।”
৮ “আমাদের এক ছোটো বোন রয়েছে,
তার স্তন এখনও বড়ো হয়নি।
যে-দিন কেউ তার বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসবে,
সে-দিন আমরা আমাদের বোনের জন্য কী করব?”
৯ “সে যদি প্রাচীর হয়,
তা হলে আমরা তার উপর রুপো দিয়ে নীচু প্রাচীর তৈরি করব।
কিন্তু, সে যদি দরজা হয়,
তা হলে আমরা দেবদারু কাঠের তক্তা দিয়ে তাকে বন্ধ করে দেব।”
১০ “আমি প্রাচীর,
আমার স্তন দুর্গের মতো।
তাই, আমার প্রিয়তম দেখতে পায় যে,
আমার মন শান্ত রয়েছে।
১১ বাল্-হামোনে শলোমনের আঙুরের খেত রয়েছে।
তিনি কৃষকদের সেটা দেখাশোনা করার দায়িত্ব দিয়েছেন
আর প্রত্যেক কৃষক ফলের জন্য এক হাজার শেকল* রুপো দেয়।
১২ হে শলোমন, তোমার এক হাজার শেকল রুপো তোমারই থাকুক
আর তোমার কৃষকদের দু-শো শেকল রুপো তাদেরই থাকুক।
কিন্তু, আমি নিজের আঙুর খেত নিয়ে সন্তুষ্ট।”
১৩ “তুমি, যে সবসময় বাগানে থাক,
আমার সঙ্গীরা তোমার গলার আওয়াজ শুনতে চায়
আর আমিও তোমার গলার আওয়াজ শুনতে চাই।”
১৪ “ও আমার প্রিয়তম, তাড়াতাড়ি এসো,
চিংকারার* মতো, যুবহরিণের মতো তাড়াতাড়ি এসো,
সুগন্ধি গাছের পর্বতগুলো পার করে চলে এসো।”