পরমগীত
৬ “হে সবচেয়ে সুন্দরী মহিলা,
তোমার প্রিয়তম কোথায় গিয়েছে?
তোমার প্রিয়তম কোন পথে গিয়েছে?
চলো, আমরা তোমার সঙ্গে মিলে তাকে খুঁজি।”
২ “আমার প্রিয়তম নিজের বাগানের দিকে নেমে গিয়েছে,
সুগন্ধি গাছের বাগানের দিকে গিয়েছে।
সেখানে ও মেষ চরাচ্ছে
আর লিলি ফুল তুলছে।
৩ আমার প্রিয়তম আমার
আর আমি আমার প্রিয়তমেরই।
ও লিলি ফুলগুলোর মাঝে মেষ চরাচ্ছে।”
৪ “ও আমার প্রিয়তমা, তুমি তির্সার* মতোই সুন্দরী,
তুমি জেরুসালেমের মতোই রূপবতী,
তুমি পতাকার চারিদিকে একত্রিত হওয়া সেনাবাহিনীর মতোই অপূর্ব।
৫ আমার দিক থেকে তোমার চোখ সরিয়ে নাও
কারণ তোমার চোখ আমাকে অস্থির করে তোলে।
তোমার চুল গিলিয়দের পর্বত থেকে নেমে আসা ছাগলের পালের মতো।
৬ তোমার দাঁতগুলো মেষের পালের মতো,
যেগুলো স্নান করে উঠে এসেছে।
সবগুলো জোড়ায় জোড়ায় রয়েছে
আর একটাও হারিয়ে যায়নি।
৭ ঘোমটার পিছনে তোমার গাল দুটো* আধখানা বেদানার মতো।
৮ যদিও ৬০ জন রানি,
৮০ জন উপপত্নী
এবং অসংখ্য যুবতী রয়েছে,
৯ তবুও একমাত্র ও-ই আমার ঘুঘু,
যার মধ্যে কোনো খুঁত নেই।
ও ওর মায়ের প্রিয় মেয়ে, ওর জন্মদাত্রী মায়ের আদরের* সন্তান।
মেয়েরা ওকে দেখে এবং বলে যে, ও সুখী।
রানিরা ও উপপত্নীরা ওর প্রশংসা করে।
১০ ‘ও কে, যে ভোরের মতোই উজ্জ্বল,
পূর্ণিমার চাঁদের মতোই সুন্দরী,
সূর্যের আলোর মতোই বিশুদ্ধ
এবং পতাকার চারিদিকে একত্রিত হওয়া সেনাবাহিনীর মতোই অপূর্ব?’”
১১ “আমি উপত্যকার গাছগুলোতে কুঁড়ি ধরেছে কি না, তা দেখতে,
আঙুর গাছে নতুন পাতা গজিয়েছে* কি না, তা দেখতে
এবং বেদানা গাছে ফুল ফুটেছে কি না, তা দেখতে
বাদাম গাছের বাগানে নেমে গিয়েছিলাম।
১২ এগুলো দেখার ইচ্ছা ছিল বলে
কিছু বুঝে ওঠার আগেই
আমি গণ্যমান্য লোকদের রথের সামনে এসে পড়েছিলাম।”
১৩ “হে শূলম্মীয়া, ফিরে এসো!
ফিরে এসো, যাতে আমরা তোমাকে ভালো করে দেখতে পারি!”
“কেন তোমরা এই শূলম্মীয়ার দিকে তাকিয়ে থাক?”
“ও মহনয়িমের নাচের* মতো!”