যিশাইয়
২৩ সোরের বিষয়ে এক বার্তা:
তর্শীশের জাহাজগুলো, তোমরা জোরে জোরে কাঁদো!
কারণ বন্দর ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে, সেখানে ঢোকা যাবে না।
এটা কিত্তীমের দেশ থেকে তাদের কাছে প্রকাশ করা হয়েছে।
২ সমুদ্র উপকূলের বাসিন্দারা, চুপ করে থাকো।
সীদোনের বণিকেরা, যারা সমুদ্র পার হয়, তারা তোমাকে ধনী করে তুলেছে।
৩ শীহোরের* শস্য এবং নীল নদের ফসল সমুদ্রপথে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল,
সোর এগুলো থেকে নিজের লাভ অর্জন করেছিল
আর এটা জাতিগুলোর জন্য লাভজনক হয়েছিল।
৪ হে সীদোন, হে সমুদ্রের দৃঢ় দুর্গ, লজ্জিত হও
কারণ সমুদ্র বলেছে:
“আমার কখনো প্রসববেদনা হয়নি আর আমি কখনো জন্ম দিইনি।
আমি কখনো ছেলেদের কিংবা মেয়েদের* বড়ো করে তুলিনি।”
৫ লোকেরা সোরের খবর শুনে খুব কষ্ট পাবে,
যেমনটা তারা মিশরের খবর শুনে পেয়েছিল।
৬ সমুদ্র উপকূলের বাসিন্দারা,
তোমরা পার হয়ে তর্শীশে যাও আর জোরে জোরে কাঁদো!
৭ এটাই কি সেই নগরী, যেটা অনেক দিন ধরে, প্রাচীন সময় থেকে আনন্দ করছিল,
যেটার পা সেটাকে দূরদূরান্তের দেশে বাস করার জন্য নিয়ে যেত?
৮ সোর নগরী, যেটা অন্যদের মুকুট পরাত,
যেটার বণিকেরা অধ্যক্ষ ছিল
এবং যেটার ব্যবসায়ীদের সারা পৃথিবীতে সম্মান করা হত,
কে সেই নগরীর বিরুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে?
৯ স্বর্গীয় বাহিনীর শাসক যিহোবা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন,
যেন তার গর্ব এবং তার সৌন্দর্য বিনষ্ট করে দেওয়া হয়
আর যাদের পুরো পৃথিবীতে সম্মান করা হত, তাদের অপমান করা হয়।
১০ হে তর্শীশের মেয়ে, নীল নদের মতো তোমার দেশে ছড়িয়ে পড়ো
কারণ জাহাজ রাখার আর কোনো জায়গা নেই।*
১১ ঈশ্বর সমুদ্রের উপর নিজের হাত বাড়িয়েছেন,
তিনি রাজ্যগুলোকে কাঁপিয়ে তুলেছেন।
যিহোবা ফৈনীকিয়ার দৃঢ় দুর্গগুলোকে ধ্বংস করার আদেশ দিয়েছেন।
১২ আর তিনি বললেন: “হে সীদোনের অত্যাচারিত কুমারী মেয়ে,
তুমি আর আনন্দ করবে না।
ওঠো, পার হয়ে কিত্তীমে যাও,
কিন্তু সেখানেও তুমি বিশ্রাম পাবে না।”
১৩ কল্দীয়দের দেশের দিকে তাকাও!
অশূরীয়েরা নয় বরং কল্দীয়েরাই তাকে মরুভূমির পশুর জায়গা করে তুলেছে।
তারা তাকে আক্রমণ করার জন্য দুর্গ নির্মাণ করেছে,
তারা তার দৃঢ় দুর্গগুলোকে পুরোপুরিভাবে লুট করে নিয়েছে,
তারা তাকে ধ্বংস করে মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছে।
১৪ তর্শীশের জাহাজগুলো, তোমরা জোরে জোরে কাঁদো
কারণ তোমাদের দৃঢ় দুর্গ ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।
১৫ সেই দিন সোরকে ৭০ বছরের জন্য ভুলে যাওয়া হবে, হ্যাঁ, তত বছরের জন্য, যত বছর এক জন রাজা রাজত্ব করেন। ৭০ বছরের শেষে, সোর সেই বেশ্যার মতো হয়ে যাবে, যার বিষয়ে এই গান গাওয়া হয়:
১৬ “হে ভুলে যাওয়া বেশ্যা, একটা বীণা নিয়ে পুরো নগরে ঘুরে বেড়াও।
দক্ষতার সঙ্গে বীণা বাজাও,
অনেক গান গাও,
যাতে লোকেরা তোমাকে আবারও স্মরণ করে।”
১৭ ৭০ বছরের শেষে, যিহোবা সোরের প্রতি মনোযোগ দেবেন, সে আবারও ব্যাবসা করবে আর পৃথিবীতে সে জগতের সমস্ত রাজ্যের সঙ্গে বেশ্যার মতো আচরণ করবে। ১৮ কিন্তু, তার আয় ও লাভ যিহোবার উদ্দেশ্যে পবিত্র হবে। সেটা জমিয়ে রাখা কিংবা সঞ্চয় করা হবে না কারণ তার আয় সেই লোকদের জন্য হবে, যারা যিহোবার সামনে বাস করে, যাতে সেই লোকেরা পেট ভরে খেতে এবং ভালো ভালো পোশাক পরতে পারে।