ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • ১ রাজাবলি ২০
  • পবিত্র বাইবেল—নতুন জগৎ অনুবাদ

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

১ রাজাবলি ২০:১১

ইনডেক্স

  • গবেষণা নির্দেশিকা

    প্রহরীদুর্গ,

    ৭/১/২০০৫, পৃষ্ঠা ৩১

১ রাজাবলি ২০:১২

পাদটীকা

  • *

    বা “ছাউনিতে।”

১ রাজাবলি ২০:১৬

পাদটীকা

  • *

    বা “ছাউনিতে।”

১ রাজাবলি ২০:২২

পাদটীকা

  • *

    অর্থাৎ পরের বছরের বসন্ত কাল।

১ রাজাবলি ২০:২৬

পাদটীকা

  • *

    অর্থাৎ বসন্ত কাল।

১ রাজাবলি ২০:৩১

পাদটীকা

  • *

    বা “রাজারা অটল প্রেমে পরিপূর্ণ।”

১ রাজাবলি ২০:৩৪

পাদটীকা

  • *

    বা “শমরিয়াতে রাস্তা নির্ধারণ করেছেন।”

ইনডেক্স

  • গবেষণা নির্দেশিকা

    প্রহরীদুর্গ,

    ৭/১/২০০৫, পৃষ্ঠা ৩১

১ রাজাবলি ২০:৩৫

পাদটীকা

  • *

    “ভাববাদীদের ছেলেরা” শব্দটা হয়তো ভাববাদীদের দল কিংবা ভাববাদীদের সংঘকে বোঝায়, যেখানে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হত।

১ রাজাবলি ২০:৩৯

পাদটীকা

  • *

    এক তালন্ত সমান ৩৪.২ কিলোগ্রাম। পরিশিষ্টের খ১৪ দেখুন।

বাইবেলের অন্যান্য অনুবাদ

এই শাস্ত্রপদটা অন্যান্য বাইবেলে কীভাবে এসেছে, তা দেখার জন্য শাস্ত্রপদের নম্বরের উপর ক্লিক করুন।
  • পবিত্র বাইবেল—নতুন জগৎ অনুবাদ
  • ১
  • ২
  • ৩
  • ৪
  • ৫
  • ৬
  • ৭
  • ৮
  • ৯
  • ১০
  • ১১
  • ১২
  • ১৩
  • ১৪
  • ১৫
  • ১৬
  • ১৭
  • ১৮
  • ১৯
  • ২০
  • ২১
  • ২২
  • ২৩
  • ২৪
  • ২৫
  • ২৬
  • ২৭
  • ২৮
  • ২৯
  • ৩০
  • ৩১
  • ৩২
  • ৩৩
  • ৩৪
  • ৩৫
  • ৩৬
  • ৩৭
  • ৩৮
  • ৩৯
  • ৪০
  • ৪১
  • ৪২
  • ৪৩
পবিত্র বাইবেল—নতুন জগৎ অনুবাদ
১ রাজাবলি ২০:১-৪৩

রাজাবলির প্রথম খণ্ড

২০ সিরিয়ার রাজা বিন্‌হদদ তার পুরো সেনাবাহিনী একত্রিত করলেন আর সেইসঙ্গে আরও ৩২ জন রাজা এবং তাদের ঘোড়া ও রথ নিয়ে শমরিয়ার উপর আক্রমণ করার জন্য সেটাকে অবরোধ করলেন। ২ তারপর, তিনি তার বার্তাবাহকদের শমরিয়ায় ইজরায়েলের রাজা আহাবের কাছে পাঠালেন। তারা গিয়ে আহাবকে বলল: “বিন্‌হদদ এই বার্তা পাঠিয়েছেন, ৩ ‘তোমার সমস্ত সোনা, রুপো ও সেইসঙ্গে তোমার স্ত্রীদের ও ছেলেদের মধ্যে যারা দেখতে সবচেয়ে সুন্দর, তারা আমার।’” ৪ উত্তরে ইজরায়েলের রাজা বললেন: “হে আমার প্রভু মহারাজ, আপনি যা চান, তা-ই হোক। আমি এবং আমার যা-কিছু রয়েছে, সেই সবই আপনার।”

৫ পরে, সেই বার্তাবাহকেরা আবারও ইজরায়েলের রাজার কাছে এসে বলল: “বিন্‌হদদ বলেছেন, ‘আমি আগে তোমার কাছে এই বার্তা পাঠিয়েছিলাম: “তুমি তোমার সোনা, রুপো এবং তোমার স্ত্রী ও সন্তানদের আমাকে দিয়ে দাও।” ৬ কিন্তু, এখন আমি বলছি, কাল এই সময়ে আমি আমার দাসদের তোমার কাছে পাঠাব। তারা তোমার রাজপ্রাসাদ এবং তোমার সেবকদের ঘরবাড়ি তল্লাশি করবে আর তোমার সমস্ত মূল্যবান জিনিস বাজেয়াপ্ত করে নিয়ে নেবে।’”

৭ তখন ইজরায়েলের রাজা দেশের সমস্ত প্রাচীনকে ডাকলেন আর তাদের বললেন: “এই বিষয়টার উপর একটু মনোযোগ দাও। সেই ব্যক্তি ইজরায়েলকে ধ্বংস করার জন্য উঠে-পড়ে লেগেছে। সে দাবি করেছে যে, আমি যেন আমার স্ত্রীদের, ছেলেদের ও সেইসঙ্গে সোনা-রুপো তাকে দিয়ে দিই আর আমি তাকে না বলিনি।” ৮ তখন সমস্ত প্রাচীন এবং সমস্ত লোক তাকে বলল: “আপনি তার কথায় রাজি হবেন না, তার দাবি পূরণ করবেন না।” ৯ রাজা বিন্‌হদদের বার্তাবাহকদের বললেন: “তোমরা আমার প্রভু মহারাজকে বলবে, ‘আপনার এই দাস আপনার প্রথম দাবি পূরণ করবে, কিন্তু এই বার আপনি যা দাবি করেছেন, সেটা আমি পূরণ করতে পারব না।’” বার্তাবাহকেরা ফিরে গিয়ে বিন্‌হদদকে এই বার্তা জানাল।

১০ তখন বিন্‌হদদ ইজরায়েলের রাজার কাছে এই বার্তা পাঠালেন: “আমি আমার বিশাল সেনাবাহিনীর মাধ্যমে শমরিয়াকে বিনষ্ট করে দেব। সেখানে আমার প্রত্যেক সৈন্যের একমুঠো করে ধুলো তোলার মতোও ধুলো থাকবে না। আমি যদি এমনটা না করি, তা হলে দেবতারা যেন আমার উপর বিপর্যয় নিয়ে আসেন!” ১১ ইজরায়েলের রাজা উত্তরে বললেন: “তাকে গিয়ে বলো, ‘যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগেই তুমি এমন বড়াই কোরো না, যেন তুমি যুদ্ধ জিতে গিয়েছ।’” ১২ এই সংবাদ যখন বিন্‌হদদের কাছে এসে পৌঁছোল, তখন তিনি এবং তার সঙ্গে থাকা রাজারা নিজেদের তাঁবুতে* মদ খাচ্ছিলেন। এই সংবাদ পাওয়ামাত্র বিন্‌হদদ তার দাসদের আদেশ দিলেন: “আক্রমণের জন্য প্রস্তুত হও!” তখন তারা নগরটার উপর আক্রমণ করার জন্য প্রস্তুত হল।

১৩ কিন্তু, একজন ভাববাদী ইজরায়েলের রাজা আহাবের কাছে এসে তাকে বললেন: “যিহোবা এই কথা বলেন, ‘এই যে-বিশাল সেনাবাহিনীকে তুমি দেখছ, এদের আজ আমি তোমার হাতে তুলে দেব আর এতে তুমি জানবে যে, আমিই যিহোবা।’” ১৪ আহাব জিজ্ঞেস করলেন: “এই সমস্ত কিছু কার মাধ্যমে হবে?” ভাববাদী বললেন: “যিহোবা এই কথা বলেন, ‘সমস্ত প্রদেশের অধ্যক্ষদের পরিচারকদের মাধ্যমে।’” তাই, আহাব জিজ্ঞেস করলেন: “কে যুদ্ধ শুরু করবে?” ভাববাদী বললেন: “আপনি!”

১৫ তখন আহাব সমস্ত প্রদেশের অধ্যক্ষদের পরিচারকদের গুনে দেখলেন, তাদের মোট সংখ্যা ২৩২। এরপর, তিনি সমস্ত ইজরায়েলীয় সৈন্যকে গুনে দেখলেন, তাদের মোট সংখ্যা ৭,০০০। ১৬ তারা শত্রুদের উপর আক্রমণ করার জন্য দুপুর বেলায় নগর থেকে বের হল। সেই সময় বিন্‌হদদ সেই ৩২ জন রাজার সঙ্গে তাঁবুতে* বসে প্রচুর মদ খাচ্ছিলেন, যারা তাকে সাহায্য করতে এসেছিলেন। ১৭ ইজরায়েলের অধ্যক্ষদের পরিচারকেরা যখন নগর থেকে বের হয়েছিল, তখনই বিন্‌হদদও তার বার্তাবাহকদের পাঠিয়েছিলেন। বার্তাবাহকেরা ফিরে এসে বিন্‌হদদকে বলল: “শমরিয়ার লোকেরা নগর থেকে বের হয়ে এসেছে।” ১৮ বিন্‌হদদ বললেন: “তারা যদি আমাদের সঙ্গে শান্তি স্থাপন করার জন্য এসে থাকে, তা হলে তাদের জীবিত অবস্থায় ধরে আনো। আর তারা যদি যুদ্ধ করার জন্য এসে থাকে, তা হলেও তাদের জীবিত অবস্থায় ধরে আনো।” ১৯ যারা নগর থেকে বের হয়ে এসেছিল অর্থাৎ ইজরায়েলের প্রদেশের অধ্যক্ষদের পরিচারকেরা এবং তাদের পিছনে আসা সৈন্যেরা ২০ শত্রুদের মেরে ফেলল। তখন সিরিয়ার লোকেরা পালাতে লাগল আর ইজরায়েলীয়েরা তাদের পিছু ধাওয়া করল। কিন্তু, সিরিয়ার রাজা বিন্‌হদদ ঘোড়ায় চড়ে তার কয়েক জন অশ্বারোহীকে সঙ্গে নিয়ে পালিয়ে গেলেন। ২১ ইজরায়েলের রাজাও বের হয়ে এলেন আর তিনি ঘোড়া ও রথের উপর থাকা লোকদের মারতে থাকলেন। তিনি সিরিয়াকে শোচনীয়ভাবে পরাজিত করলেন।

২২ পরে, সেই ভাববাদী ইজরায়েলের রাজার কাছে এসে তাকে বললেন: “পরের বছরের শুরুতে* সিরিয়ার রাজা আবারও আপনাকে আক্রমণ করবেন। তাই, আপনি গিয়ে আপনার সেনাবাহিনীকে শক্তিশালী করুন আর ভবিষ্যতে আপনি কী করবেন, তা ভালোভাবে বিবেচনা করুন।”

২৩ সিরিয়ার রাজার সেবকেরা তাকে বলল: “তাদের ঈশ্বর পর্বতের ঈশ্বর। এইজন্য তারা আমাদের পরাজিত করতে পেরেছে। কিন্তু, আমরা যদি সমভূমিতে তাদের সঙ্গে লড়াই করি, তা হলে আমরা তাদের পরাজিত করতে পারব। ২৪ আপনি আরও একটা কাজ করুন: সৈন্যদের নেতৃত্ব দেওয়ার কাজ থেকে সমস্ত রাজাকে সরিয়ে দিয়ে তাদের জায়গায় রাজ্যপালদের নিযুক্ত করুন। ২৫ তারপর, আপনি আগে যে-সেনাবাহিনী নিয়ে গিয়েছিলেন, সেটার মতোই এক বড়ো সেনাবাহিনী প্রস্তুত করুন। আপনি যতগুলো ঘোড়া ও রথ হারিয়েছেন, ততগুলো ঘোড়া ও রথ সংগ্রহ করে আবারও আগের মতোই সেনাবাহিনী প্রস্তুত করুন। আমরা সমভূমিতে তাদের সঙ্গে লড়াই করব। তখন দেখবেন, আমরাই জিতব।” বিন্‌হদদ তাদের পরামর্শ গ্রহণ করলেন আর তাদের কথা মতোই কাজ করলেন।

২৬ বছরের শুরুতে* বিন্‌হদদ সিরিয়ার সৈন্যদের একত্রিত করলেন আর তারা ইজরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য অফেক নগরে গেলেন। ২৭ এদিকে ইজরায়েলের সৈন্যদেরও একত্রিত করা হল আর তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র জোগানো হল। তারা সিরিয়ার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য বেরিয়ে পড়ল। ইজরায়েলের সেনাবাহিনী যখন তাদের সামনে শিবির স্থাপন করল, তখন তাদের দেখে মনে হল তারা ছাগলের ছোটো ছোটো দুটো পাল। অন্যদিকে, সিরিয়ার সৈন্যদের সংখ্যা এত বেশি ছিল যে, তারা পুরো এলাকায় ছেয়ে ছিল। ২৮ তারপর, সত্য ঈশ্বরের দাস ইজরায়েলের রাজার কাছে এসে তাকে বললেন: “যিহোবা এই কথা বলেন, ‘সিরিয়ার লোকেরা বলেছে: “যিহোবা পর্বতের ঈশ্বর, সমভূমির ঈশ্বর নন।” এইজন্য আমি এই বিশাল সেনাবাহিনীকে তোমার হাতে তুলে দেব আর তোমরা নিশ্চিতভাবেই জানবে যে, আমিই যিহোবা।’”

২৯ ইজরায়েল ও সিরিয়ার সৈন্যেরা সাত দিন পর্যন্ত একে অন্যের সামনে শিবির স্থাপন করে রইল। সপ্তম দিনে যুদ্ধ শুরু হল। ইজরায়েলীয় সৈন্যেরা এক দিনে সিরিয়ার ১,০০,০০০ পদাতিক সৈন্যকে মেরে ফেলল। ৩০ সিরিয়ার বাকি সৈন্যেরা পালিয়ে অফেক নগরের ভিতরে ঢুকে পড়ল। কিন্তু, তাদের মধ্যে ২৭,০০০ জন সৈন্যের উপর প্রাচীর ভেঙে পড়ল। বিন্‌হদদও পালিয়ে নগরের ভিতরে ঢুকে গেলেন আর একটা বাড়ির ভিতরের ঘরে গিয়ে লুকিয়ে পড়লেন।

৩১ বিন্‌হদদের দাসেরা তাকে বলল: “দেখুন, আমরা শুনেছি ইজরায়েলের রাজারা খুবই করুণাময়।* আপনি অনুমতি দিলে আমরা কোমরে চট পরে এবং মাথায় দড়ি বেঁধে ইজরায়েলের রাজার কাছে যাব। হতে পারে তিনি আপনাকে বাঁচতে দেবেন।” ৩২ পরে, তারা কোমরে চট পরে এবং মাথায় দড়ি বেঁধে ইজরায়েলের রাজার কাছে এল এবং তাকে বলল: “আপনার দাস বিন্‌হদদ বলছেন, ‘দয়া করে আমাকে মেরে ফেলবেন না।’” ইজরায়েলের রাজা বললেন: “তিনি কি এখনও বেঁচে আছেন? তিনি তো আমার ভাই।” ৩৩ সেই লোকেরা এটাকে শুভলক্ষণ হিসেবে ধরল আর তারা সঙ্গেসঙ্গে বুঝল যে, রাজা মন থেকে এই কথা বলেছেন। তাই, তারা বলল: “ঠিক বলেছেন। বিন্‌হদদ তো আপনার ভাই।” আহাব বললেন: “যাও, তাকে এখানে নিয়ে এসো।” তখন বিন্‌হদদ বের হয়ে তার কাছে এলেন আর আহাব তাকে নিজের রথে ওঠালেন।

৩৪ বিন্‌হদদ তাকে বললেন: “আমার বাবা আপনার বাবার কাছ থেকে যে-নগরগুলো নিয়ে নিয়েছিলেন, আমি সেগুলো আপনাকে ফিরিয়ে দেব। শুধু তা-ই নয়, আমার বাবা যেমন শমরিয়াতে বাজার বসিয়েছেন,* তেমনই আপনি দামেস্কে বাজার বসাতে পারেন।”

উত্তরে আহাব বললেন: “ঠিক আছে। এই চুক্তির ভিত্তিতেই আমি আপনাকে ছেড়ে দেব।”

এভাবে আহাব বিন্‌হদদের সঙ্গে চুক্তি করলেন এবং তাকে ছেড়ে দিলেন।

৩৫ পরে, ভাববাদীদের ছেলেদের* মধ্যে একজন যিহোবার কাছ থেকে বার্তা পেল আর সেই বার্তা অনুযায়ী সে তার একজন সঙ্গীকে বলল: “আমাকে আঘাত করো।” কিন্তু, সেই সঙ্গী তাকে আঘাত করতে চাইল না। ৩৬ তখন সেই ভাববাদী তাকে বলল: “যেহেতু তুমি যিহোবার কথা শোননি, তাই যেই-না তুমি আমাকে ছেড়ে এখান থেকে যাবে, অমনি একটা সিংহ তোমাকে মেরে ফেলবে।” সে যখন সেই ভাববাদীকে ছেড়ে গেল, তখন একটা সিংহ এসে তাকে আক্রমণ করল এবং মেরে ফেলল।

৩৭ পরে, সেই ভাববাদী আরেকজন ব্যক্তিকে পেল আর তাকে বলল: “আমাকে আঘাত করো।” সেই ব্যক্তি তাকে আঘাত করে আহত করল।

৩৮ পরে, সেই ভাববাদী নিজের পরিচয় গোপন করার জন্য চোখের উপর পট্টি বাঁধল আর একটা রাস্তায় দাঁড়িয়ে রাজার জন্য অপেক্ষা করতে লাগল। ৩৯ রাজা যখন সেই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন সে রাজাকে ডেকে বলল: “প্রভু, আপনার এই দাস যুদ্ধে গিয়েছিল। সেইসময় তুমুল যুদ্ধ চলছিল আর একজন ব্যক্তি আরেকজন ব্যক্তিকে আমার কাছে এনে আমাকে বলল, ‘এর উপর নজর রাখো। একে যদি পাওয়া না যায়, তা হলে এর পরিবর্তে হয় তোমার প্রাণ কেড়ে নেওয়া হবে নতুবা তোমাকে এক তালন্ত* রুপো দিতে হবে।’ ৪০ আপনার দাস যখন কাজে ব্যস্ত ছিল, তখন হঠাৎই দেখা গেল, সেই ব্যক্তি আর নেই।” তখন ইজরায়েলের রাজা তাকে বললেন: “এটাই তোমার শাস্তি হবে, তুমি নিজেই নিজের বিচার করেছ।” ৪১ সঙ্গেসঙ্গে সেই ব্যক্তি নিজের চোখের উপর থেকে পট্টি খুলে ফেলল আর ইজরায়েলের রাজা বুঝতে পারলেন যে, সে ভাববাদীর মধ্যে একজন। ৪২ সেই ভাববাদী রাজাকে বলল: “যিহোবা এই কথা বলেন, ‘আমি যাকে বিনষ্ট করার কথা বলেছিলাম, তাকে তুমি ছেড়ে দিয়েছ। এইজন্য তার প্রাণের পরিবর্তে তোমার প্রাণ কেড়ে নেওয়া হবে আর তার লোকদের পরিবর্তে তোমার লোকদের বিনষ্ট করা হবে।’” ৪৩ এই কথা শুনে ইজরায়েলের রাজা বিষণ্ণ হয়ে পড়লেন এবং অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে শমরিয়াতে নিজের রাজপ্রাসাদে ফিরে গেলেন।

বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
লগ আউট
লগ ইন
  • বাংলা
  • শেয়ার
  • পছন্দসমূহ
  • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
  • ব্যবহারের শর্ত
  • গোপনীয়তার নীতি
  • গোপনীয়তার সেটিং
  • JW.ORG
  • লগ ইন
শেয়ার