ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • ২ শমূয়েল ১৩
  • পবিত্র বাইবেল—নতুন জগৎ অনুবাদ

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

২ শমূয়েল ১৩:১৮

পাদটীকা

  • *

    বা “জরির কাজ করা।”

২ শমূয়েল ১৩:২১

ইনডেক্স

  • গবেষণা নির্দেশিকা

    প্রহরীদুর্গ,

    ১২/১৫/২০১৫, পৃষ্ঠা ১৭

২ শমূয়েল ১৩:২৭

ইনডেক্স

  • গবেষণা নির্দেশিকা

    জীবন ও পরিচর্যা সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা-র রেফারেন্স, ৫/২০২২, পৃষ্ঠা ১০

২ শমূয়েল ১৩:২৮

পাদটীকা

  • *

    বা “ওয়াইন।”

বাইবেলের অন্যান্য অনুবাদ

এই শাস্ত্রপদটা অন্যান্য বাইবেলে কীভাবে এসেছে, তা দেখার জন্য শাস্ত্রপদের নম্বরের উপর ক্লিক করুন।
  • পবিত্র বাইবেল—নতুন জগৎ অনুবাদ
  • ১
  • ২
  • ৩
  • ৪
  • ৫
  • ৬
  • ৭
  • ৮
  • ৯
  • ১০
  • ১১
  • ১২
  • ১৩
  • ১৪
  • ১৫
  • ১৬
  • ১৭
  • ১৮
  • ১৯
  • ২০
  • ২১
  • ২২
  • ২৩
  • ২৪
  • ২৫
  • ২৬
  • ২৭
  • ২৮
  • ২৯
  • ৩০
  • ৩১
  • ৩২
  • ৩৩
  • ৩৪
  • ৩৫
  • ৩৬
  • ৩৭
  • ৩৮
  • ৩৯
পবিত্র বাইবেল—নতুন জগৎ অনুবাদ
২ শমূয়েল ১৩:১-৩৯

শমূয়েলের দ্বিতীয় পুস্তক

১৩ দায়ূদের ছেলে অবশালোমের একটি বোন ছিল, যার নাম তামর। সে খুবই সুন্দরী ছিল। দায়ূদের ছেলে অম্নোন তার প্রেমে পড়ল। ২ কিন্তু, তামর কুমারী ছিল আর অম্নোনের পক্ষে তার প্রতি কিছু করা অসম্ভব ছিল। এইজন্য অম্নোন খুবই অস্থির ও মনমরা হয়ে থাকল। ৩ অম্নোনের একটি বন্ধু ছিল, যার নাম যিহোনাদব। সে দায়ূদের দাদা শিমিয়ের ছেলে ছিল। যিহোনাদব খুব চালাক ছিল। ৪ সে অম্নোনকে জিজ্ঞেস করল: “কী হয়েছে? রাজার ছেলে আজকাল এত উদাস হয়ে থাকে কেন? আমাকে বলবে না?” অম্নোন তাকে বলল: “আমি আমার ভাই অবশালোমের বোন তামরকে ভালোবাসি।” ৫ যিহোনাদব তাকে বলল: “এক কাজ করো, অসুস্থ হওয়ার ভান করে বিছানায় শুয়ে থাকো। পরে, তোমার বাবা যখন তোমাকে দেখতে আসবেন, তখন তাকে বলো, ‘দয়া করে আমার বোন তামরকে বলুন, যেন সে আমার কাছে আসে আর আমাকে খেতে দেয়। তামর যেন আমার চোখের সামনে সেই খাবার তৈরি করে, যেটা অসুস্থদের দেওয়া হয়। তারপর, আমি তার হাত থেকে খাব।’”

৬ অম্নোন এমনটাই করল। সে বিছানায় শুয়ে পড়ল আর অসুস্থ হওয়ার ভান করল। যখন রাজা তাকে দেখতে এলেন, তখন অম্নোন তাকে বলল: “দয়া করে আমার বোন তামরকে বলুন, যেন সে আমার কাছে আসে আর আমার চোখের সামনে হৃদয়ের আকারের দুটো পিঠে তৈরি করে, যাতে আমি তার হাত থেকে সেগুলো খেতে পারি।” ৭ তখন দায়ূদ তামরের কাছে এই বার্তা পাঠালেন: “দয়া করে তোমার দাদা অম্নোনের বাড়িতে যাও আর তার জন্য খাবার প্রস্তুত করো।” ৮ তাই, তামর তার দাদা অম্নোনের বাড়িতে গেল। অম্নোন বিছানায় শুয়ে ছিল। তামর মাখা ময়দা নিল আর অম্নোনের চোখের সামনে সেগুলো দিয়ে পিঠে তৈরি করল আর তারপর পিঠেগুলো ভাজল। ৯ পরে, সে তাওয়া থেকে পিঠে নিয়ে অম্নোনের সামনে পরিবেশন করল। কিন্তু, অম্নোন খেতে চাইল না। সে বলল: “প্রথমে সবাইকে এখান থেকে বেরিয়ে যেতে বলো!” তখন সবাই বেরিয়ে গেল।

১০ তারপর, অম্নোন তামরকে বলল: “তুমি খাবার নিয়ে আমার শোয়ার ঘরে এসো, আমি তোমার হাত থেকে খেতে চাই।” তখন তামর হৃদয়ের আকারের পিঠেগুলো নিয়ে তার দাদা অম্নোনের কাছে তার শোয়ার ঘরে গেল। ১১ সে যখন পিঠেগুলো অম্নোনকে দিল, তখন অম্নোন তাকে জাপটে ধরে বলল: “বোন, আমার সঙ্গে শোও।” ১২ কিন্তু, তামর বলল: “না দাদা! আমার সঙ্গে এইরকম জঘন্য কাজ কোরো না। ইজরায়েলে এটা খুব বড়ো এক পাপ। তুমি এই লজ্জাজনক কাজ কোরো না। ১৩ আমি কীভাবে এই কলঙ্ক নিয়ে বেঁচে থাকব? আর ইজরায়েলে তোমারও কোনো সম্মান থাকবে না। দয়া করে আমার কথা শোনো। আমার সঙ্গে এমনটা কোরো না। তুমি গিয়ে রাজাকে বলো, তুমি আমাকে বিয়ে করতে চাও। তিনি তোমাকে না বলবেন না।” ১৪ কিন্তু, সে তামরের কোনো কথাই শুনতে চাইল না। সে তামরের চেয়ে বেশি শক্তিশালী হওয়ায় তাকে ধর্ষণ করে কলঙ্কিত করল। ১৫ এরপর, অম্নোন তাকে প্রচণ্ড ঘৃণা করতে লাগল। সে প্রথমে তামরকে যতটা ভালোবাসত, সেটার চেয়ে তাকে আরও বেশি ঘৃণা করতে লাগল। অম্নোন তাকে বলল: “ওঠো আর এখান থেকে দূর হও!” ১৬ কিন্তু, তামর বলল: “না দাদা, এমনটা কোরো না। তুমি যদি এভাবে আমাকে পাঠিয়ে দাও, তা হলে সেটা তুমি আমার প্রতি যা করেছ, সেটার চেয়েও মন্দ কাজ হবে!” কিন্তু, অম্নোন তার কোনো কথাই শুনতে চাইল না।

১৭ সে সঙ্গেসঙ্গে তার একটি যুবক সেবককে ডাকল আর বলল: “একে বাইরে নিয়ে যাও আর দরজা বন্ধ করে দাও।” ১৮ তার সেবক তামরকে বাইরে নিয়ে গেল আর দরজা বন্ধ করে দিল। (তামর একটা বিশেষ* জামা পরে ছিল, যেমনটা রাজার কুমারী মেয়েরা পরত।) ১৯ তামর তার মাথায় ছাই দিল, নিজের জামাটা ছিঁড়ে ফেলল আর মাথায় হাত দিয়ে কাঁদতে কাঁদতে সেখান থেকে চলে গেল।

২০ তামরকে দেখে তার দাদা অবশালোম জিজ্ঞেস করল: “তোমার দাদা অম্নোন কি তোমার প্রতি এমনটা করেছে? বোন আমার, তুমি এই বিষয়ে কাউকে কিছু বোলো না। ও তো তোমার দাদা, তুমি এই বিষয়ে বেশি চিন্তা কোরো না।” তারপর, তামর তার দাদা অবশালোমের বাড়িতে থাকতে লাগল আর সে কারো সঙ্গে মেলামেশা করল না। ২১ রাজা দায়ূদ যখন এই সমস্ত বিষয় জানতে পারলেন, তখন তিনি খুবই রেগে গেলেন। কিন্তু, তিনি তার ছেলে অম্নোনের মনে আঘাত দিতে চাইলেন না কারণ অম্নোন যেহেতু তার প্রথমজাত ছেলে ছিল, তাই তিনি তাকে খুব ভালোবাসতেন। ২২ অবশালোম অম্নোনকে ভালো-মন্দ কিছুই বলল না। সে অম্নোনকে ঘৃণা করল কারণ অম্নোন তার বোন তামরকে কলঙ্কিত করেছিল।

২৩ এই ঘটনার পুরো দু-বছর পর অবশালোম তার মেষের লোম কাটার উপলক্ষ্যে রাজার সমস্ত ছেলেকে নিমন্ত্রণ জানাল। তার সেবকেরা ইফ্রয়িমের কাছে অবস্থিত বাল্‌-হাৎসোরে তার মেষগুলোর লোম কাটছিল। ২৪ অবশালোম রাজার কাছে এসে তাকে বলল: “আপনার সেবক তার মেষের লোম কাটাচ্ছে। হে রাজা, দয়া করে আপনি আপনার সেবকদের নিয়ে আমার সঙ্গে চলুন।” ২৫ কিন্তু, রাজা অবশালোমকে বললেন: “না আমার ছেলে, আমরা সবাই যদি যাই, তা হলে আমরা তোমার উপর বোঝা হয়ে যাব।” অবশালোম রাজাকে রাজি করানোর জন্য অনেক চেষ্টা করা সত্ত্বেও রাজা রাজি হলেন না। তবে, তিনি অবশালোমকে আশীর্বাদ করলেন। ২৬ তখন অবশালোম বলল: “আপনি যদি আসতে না পারেন, তা হলে দয়া করে আমার দাদা অম্নোনকে আমাদের সঙ্গে যেতে দিন।” রাজা তাকে জিজ্ঞেস করলেন: “কিন্তু, ও কেন তোমার সঙ্গে যাবে?” ২৭ অবশালোম রাজাকে অনেক অনুরোধ করল। তাই, রাজা অম্নোন এবং তার সমস্ত ছেলেকে তার সঙ্গে যেতে দিলেন।

২৮ তারপর, অবশালোম তার সেবকদের আদেশ দিলেন: “তোমরা সতর্ক থেকো। অম্নোন যখন দ্রাক্ষারস* পান করে অনেক আনন্দে থাকবে, তখন আমি তোমাদের বলব, ‘অম্নোনকে মেরে ফেলো!’ তোমরা সঙ্গেসঙ্গে ওকে মেরে ফেলবে। একটুও ভয় পাবে না। এটা আমার আদেশ। তোমরা দৃঢ় ও সাহসী হও।” ২৯ অবশালোম তার সেবকদের যা করার আদেশ দিয়েছিল, তারা ঠিক তা-ই করল। তারা অম্নোনকে মেরে ফেলল। তখন রাজার বাকি সমস্ত ছেলে উঠে নিজের নিজের খচ্চরে চড়ে পালিয়ে গেল। ৩০ তারা রাস্তায় থাকতে থাকতেই দায়ূদকে এই খবর দেওয়া হল: “অবশালোম রাজার সমস্ত ছেলেকে মেরে ফেলেছে। এক জনও বাঁচেনি।” ৩১ এই কথা শুনে রাজা উঠলেন আর নিজের পোশাক ছিঁড়ে মাটিতে শুয়ে পড়লেন। তার সমস্ত সেবকও নিজের নিজের পোশাক ছিঁড়ল আর তার পাশে দাঁড়িয়ে রইল।

৩২ কিন্তু, দায়ূদের দাদা শিমিয়ের ছেলে যিহোনাদব দায়ূদকে বলল: “হে আমার প্রভু, রাজার সমস্ত ছেলেকে মেরে ফেলা হয়নি। কেবল অম্নোনকে মেরে ফেলা হয়েছে। এই কাজ অবশালোমের আদেশ অনুসারে করা হয়েছে। সে সেই দিন থেকে এমনটা করার ষড়যন্ত্র করছিল, যে-দিন অম্নোন তার বোন তামরকে কলঙ্কিত করেছিল। ৩৩ হে আমার প্রভু মহারাজ, আপনি এই খবরে কান দেবেন না যে, ‘রাজার সমস্ত ছেলে মারা গিয়েছে।’ কেবল অম্নোনই মারা গিয়েছে।”

৩৪ ইতিমধ্যে অবশালোম সেখান থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। পরে, নগরের পাহারাদার দেখল, তার পিছন দিকে পর্বতের পাশের রাস্তা দিয়ে অনেক লোক আসছে। ৩৫ তখন যিহোনাদব বলল: “দেখুন! রাজার ছেলেরা ফিরে এসেছে। আপনার দাস যা বলেছিল, ঠিক তা-ই হয়েছে।” ৩৬ তার কথা শেষ হওয়ামাত্রই রাজার ছেলেরা সেখানে এসে পৌঁছোল। তারা সবাই জোরে জোরে কাঁদছিল। রাজা এবং তার সমস্ত সেবকও জোরে জোরে কাঁদতে লাগলেন। ৩৭ কিন্তু, অবশালোম পালিয়ে গশূরের রাজা তল্‌ময়ের কাছে চলে গেল, যিনি অম্মীহূদের ছেলে। দায়ূদ তার ছেলে অম্নোনের জন্য অনেক দিন ধরে শোক করলেন। ৩৮ অবশালোম পালিয়ে গশূরে চলে যাওয়ার পর তিন বছর সেখানেই থাকল।

৩৯ এত দীর্ঘ সময় পার হয়ে যাওয়ার পর, রাজা দায়ূদের অবশালোমের সঙ্গে দেখা করার খুব ইচ্ছা হল কারণ ততদিনে তিনি অম্নোনের মৃত্যুর শোক কাটিয়ে উঠেছিলেন।

বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
লগ আউট
লগ ইন
  • বাংলা
  • শেয়ার
  • পছন্দসমূহ
  • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
  • ব্যবহারের শর্ত
  • গোপনীয়তার নীতি
  • গোপনীয়তার সেটিং
  • JW.ORG
  • লগ ইন
শেয়ার