৪. ঈশ্বরের কি এটাই উদ্দেশ্য ছিল, যেন আমরা দুঃখকষ্ট ভোগ করি?
যে-কারণে এটা জানা গুরুত্বপূর্ণ
এই প্রশ্নের উত্তর জানা জীবনের প্রতি আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রভাবিত করে।
চিন্তা করার মতো বিষয়
ঈশ্বর যিনি সমস্তকিছু এত সুন্দরভাবে সৃষ্টি করেছেন, তিনি কেন আমাদের দুঃখকষ্ট ভোগ করতে দেবেন?
ধর্মের প্রতি কোনো আগ্রহ নেই এমন ব্যক্তিরা যখন তাদের চারিদিকে দুঃখকষ্ট ঘটতে দেখেন, তখন তারা ঈশ্বরের উদ্দেশ্য নিয়ে, এমনকী তাঁর অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন। তারা মনে করেন, হয় (১) দুঃখকষ্ট শেষ করার ক্ষমতা ঈশ্বরের নেই, (২) ঈশ্বর দুঃখকষ্ট শেষ করতে চান না কিংবা (৩) ঈশ্বরের কোনো অস্তিত্ব নেই।
মানুষের দুঃখকষ্টের পিছনে কি কেবলমাত্র এগুলোই সম্ভাব্য কারণ?
আরও জানুন
jw.org ওয়েবসাইটে কীভাবে আমরা নিশ্চিত হতে পারি যে, বাইবেল সত্য? শিরোনামের ভিডিওটা দেখুন।
বাইবেল যা বলে
ঈশ্বর আমাদের দুঃখকষ্ট ভোগ করার জন্য সৃষ্টি করেননি।
ঈশ্বর চান যেন আমরা জীবন উপভোগ করি।
“যাবজ্জীবন আনন্দ ও সৎকর্ম্ম করণ ব্যতীত আর মঙ্গল তাহাদের হয় না। আর প্রত্যেক মনুষ্য যে ভোজন পান ও সমস্ত পরিশ্রমের মধ্যে সুখভোগ করে, ইহাও ঈশ্বরের দান।”—উপদেশক ৩:১২, ১৩.
শুরুতে ঈশ্বর যখন মানুষ সৃষ্টি করেছিলেন, তখন তাদের প্রয়োজনীয় সমস্ত কিছু দিয়েছিলেন।
তিনি মানুষ ও তাদের বংশধরকে দুঃখকষ্ট ভোগ করার জন্য সৃষ্টি করেননি।
“ঈশ্বর কহিলেন, তোমরা প্রজাবন্ত ও বহুবংশ হও, এবং পৃথিবী পরিপূর্ণ ও বশীভূত কর।”—আদিপুস্তক ১:২৮.
প্রথম পুরুষ ও নারী ঈশ্বরের কাছ থেকে অবাধ্য হওয়া বেছে নেয়।
ফলস্বরূপ, তারা নিজেদের জন্য এবং তাদের সমস্ত বংশধরের জন্য অনেক দুঃখকষ্ট নিয়ে আসে।
“এক মনুষ্য দ্বারা পাপ, ও পাপ দ্বারা মৃত্যু জগতে প্রবেশ করিল; আর এই প্রকারে মৃত্যু সমুদয় মনুষ্যের কাছে উপস্থিত হইল, কেননা সকলেই পাপ করিল।—রোমীয় ৫:১২.a
ঈশ্বর আমাদের তাঁর নির্দেশনা উপেক্ষা করে স্বাধীনভাবে জীবনযাপন করার জন্য সৃষ্টি করেননি।
ঠিক যেমন মানুষের পক্ষে জলের নীচে বেঁচে থাকা অসম্ভব, তেমনই তাদের পক্ষে নিজেদের শাসন করাটাও অসম্ভব।
“মনুষ্য চলিতে চলিতে আপন পাদবিক্ষেপ স্থির করিতে পারে না।”—যিরমিয় ১০:২৩.
ঈশ্বর চান না আমরা দুঃখকষ্ট ভোগ করি।
তিনি চান যেন আমরা যতটা সম্ভব সমস্যাগুলো এড়িয়ে চলতে পারি।
“আহা! তুমি কেন আমার আজ্ঞাতে অবধান কর নাই? করিলে তোমার শান্তি নদীর ন্যায় . . . হইত।”—যিশাইয় ৪৮:১৮.
a বাইবেল “পাপ” বলতে শুধুমাত্র খারাপ কাজকে বোঝায় না বরং এটা উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া এক স্বভাবকেও বোঝায়, যা প্রত্যেক ব্যক্তির মধ্যেই জন্মের সময় থেকে রয়েছে।