ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৪ ২/১ পৃষ্ঠা ৩
  • কারা দুষ্ট আত্মাতে বিশ্বাস করে?

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • কারা দুষ্ট আত্মাতে বিশ্বাস করে?
  • ১৯৯৪ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • আত্মিক প্রাণীরা—তারা যেভাবে আমাদের প্রভাবিত করে
    বাইবেল প্রকৃতপক্ষে কী শিক্ষা দেয়?
  • মন্দ আত্মাগণদের প্রতিরোধ করুন
    জ্ঞান যা অনন্ত জীবনে পরিচালিত করে
  • যিহোবার সাহায্যে মন্দদূতদের প্রতিরোধ করুন
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০১৯
  • স্বর্গদূত কারা এবং তারা কী করে থাকে?
    চিরকাল জীবন উপভোগ করুন!—ঈশ্বরের কাছ থেকে শিখুন
আরও দেখুন
১৯৯৪ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৪ ২/১ পৃষ্ঠা ৩

কারা দুষ্ট আত্মাতে বিশ্বাস করে?

আপনি কি বিশ্বাস করেন যে অদৃশ্য আত্মারা আপনার জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে? অনেকে সজোরে না বলে এর উত্তর দেবে। ঈশ্বরের অস্তিত্বে বিশ্বাস করলেও তারা অতিমানবিক মন্দ কার্যকারীদের ধারণাকে উপহাস করে।

পশ্চিমী জগতে আত্মাদের প্রতি ব্যাপক অবিশ্বাসের অংশত কারণ হল খ্রীষ্টজগতের প্রভাব, যেটি বহু শতাব্দী ধরে শিক্ষা দিয়ে এসেছে যে পৃথিবী হল মহা বিশ্বের কেন্দ্র, যেটি স্বর্গ ও ভূগর্ভের নরকের মধ্যবর্তী অংশে অবস্থিত। এই শিক্ষা অনুসারে দূতেরা স্বর্গের পরমসুখ উপভোগ করে আর মন্দ দূতেরা নরক সম্বন্ধীয় বিষয়গুলি দেখাশোনা করে।

বিজ্ঞানের আবিষ্কারগুলি যখন মানুষকে বিশ্বের গঠন সম্পর্কে ভুল ধারণাগুলি পরিত্যাগ করতে পরিচালিত করে তখন আত্মিক প্রাণীদের প্রতি বিশ্বাস ও সেকেলে হয়ে যায়। দ্যা নিউ এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা বলে: “ষোড়শ শতাব্দীর কোপারনিকাসের বিপ্লবের পর (পোলিশ জ্যোতির্বিজ্ঞানী কোপারনিকাসের তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে), যাতে . . . পৃথিবীকে আর মহাবিশ্বের কেন্দ্র রূপে দেখা হয় না কিন্তু পরিবর্তে সৌরজগতের শুধুমাত্র একটি গ্রহরূপে দেখা হয়, যা হল আপাতদৃষ্টিতে অসীম মহাবিশ্বের নক্ষত্রজগতের অতি ক্ষুদ্রতম অংশ​—⁠দূত ও দুষ্ট দূতেদের ধারণা আর উপযুক্ত থাকে না।”

বহু লোকে মন্দ আত্মারা আছে বলে বিশ্বাস না করলেও, এমন লক্ষ্য লক্ষ্য লোক আছে যারা বিশ্বাস করে যে তারা আছে। বর্তমান ও অতীত উভয় কালেরই বহু ধর্মে পতিত দূতদের কথা বলা হয়ে থাকে। আধ্যাত্মিকতাকে কলূষিত করা ছাড়াও এই মন্দ দূতেদের দুর্দশার কারণ হিসাবে দেখা যায়, যেমন যুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ ও ভূমিকম্প, তার সাথে রোগব্যাধি, মানসিক অসুস্থতা, মৃত্যুরও কারণ তারা হয়ে থাকে।

শয়তান দিয়াবল, খ্রীষ্টতত্ত্ব ও যিহূদাতত্ত্বের প্রধান মন্দ আত্মাকে মুসলমানেরা ইবলিস্‌ বলে। জরাথুষ্ট্রবাদের প্রাচীন পারস্য ধর্মে, সে আঙ্গরা মাইন্‌য়ু রূপে দেখা দেয়। আধ্যাত্মিক রহস্যবাদী ধর্মে, যা সা.শ. দ্বিতীয় ও তৃতীয় শতাব্দীতে বৃদ্ধি লাভ করে, যাতে তাকে উপদেবতা হিসাবে দেখা যায়, এই পরিভাষাটি একজন ঈর্ষাবান ও নিকৃষ্টমানের দেবতাকে দেওয়া হয় যাকে মানবজাতির বেশির ভাগই অজ্ঞাতভাবে পূজা করে।

প্রধান মন্দ আত্মার থেকে হীনতর মন্দ আত্মাদের বিশিষ্টরূপে পূর্বাঞ্চলের ধর্মে তুলে ধরা হয়। হিন্দুরা বিশ্বাস করে যে অসূরেরা দেবতাদের বিরোধিতা করে। অসূরদের মধ্যে বিশেষকরে হিংস্র প্রকৃতির হল রাক্ষসেরা, যারা হল ভয়ঙ্কর প্রকৃতির জীব, কবরস্থানে ঘুরে বেড়ায়।

বৌদ্ধদের মতানুসারে দুষ্ট দূতদের ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন শক্তি হিসাবে দেখানো হয়েছে যারা মানুষকে নির্বাণ লাভ করতে বাধা দেয়, যা হল সমস্ত ইচ্ছা-আকাঙ্ক্ষার লোপ। প্রলোভনকারীদের মধ্যে প্রধান হল মারা ও তার তিন কন্যা, রতি (ইচ্ছা), রাগা (আনন্দ) এবং তান্‌হা (অস্থিরতা)।

চীনা উপাসকেরা বহ্যুৎসব করে, মশাল জ্বালায় ও আতস-বাজি ফাটায় গওয়া বা প্রাকৃতিক মন্দ দূতের থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য। জাপানের ধর্মেতেও বিশ্বাস করা হয় যে, বহু মন্দ দূতেরা আছে যার অন্তর্ভুক্ত ভয়ঙ্কর টেঙ্গুরা, যে আত্মারা মানুষের উপর ভর করে আর একমাত্র পুরোহিতে তাদের তাড়াতে পারে।

এশিয়া, আফ্রিকা, প্রশান্তমহাসাগরীয় দ্বীপসমূহ এবং আমেরিকার নিরক্ষর লোকেদের ধর্মে বিশ্বাস করা হয় যে আত্মিক প্রাণীরা পরিস্থিতি ও তাদের মেজাজ অনুসারে হিতকর অথবা হানিকর হয়ে থাকে। দুর্দশা এড়াতে ও আশীর্বাদ পেতে লোকেরা এই সকল আত্মাদের উপাসনা করে।

এছাড়াও যাদুবিদ্যা ও প্রেতচর্চার প্রতি আগ্রহ ব্যাপকভাবে দেখা যায় এবং এই বিষয়টি স্পষ্ট যে মন্দ আত্মাদের প্রতি বিশ্বাসের এক দীর্ঘ ও বিকৃত প্রকারের ইতিহাস আছে। কিন্তু, সেই ধরনের কিছুর অস্তিত্ব আছে বলে বিশ্বাস করা কি যুক্তিযুক্ত? বাইবেল বলে তাদের অস্তিত্ব আছে। যাইহোক, যদি তারা থাকেই, তাহলে কেন মানুষের ক্ষতি করতে ঈশ্বর তাদের অনুমতি দেন?

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার