ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৬ ৬/১৫ পৃষ্ঠা ৩১
  • পাঠকদের থেকে প্রশ্নসকল

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • পাঠকদের থেকে প্রশ্নসকল
  • ১৯৯৬ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • প্রথম শতাব্দীতে এবং বর্তমানে ঈশ্বরের আত্মার দ্বারা পরিচালিত
    ২০১১ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • ‘আত্মা আপনিও সাক্ষ্য দিতেছেন’
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য সম্বন্ধে ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০২০
  • আত্মার বশে ও আপনার উৎসর্গীকরণের যোগ্যরূপে চলুন
    ২০১০ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • আপনি কি “সত্যের আত্মা” পেয়েছেন?
    ২০০২ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
আরও দেখুন
১৯৯৬ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৬ ৬/১৫ পৃষ্ঠা ৩১

পাঠকদের থেকে প্রশ্নসকল

আমরা কি বলতে পারি যে আজকের পার্থিব আশা সম্পন্ন ঈশ্বরের সেবকদের, আত্মায় অভিষিক্ত খ্রীষ্টানদের মত সমমাত্রায় ঈশ্বরের আত্মা আছে?

এই প্রশ্নটি নতুন নয়। এই একই বিষয় ১৯৫২ সালের ১৫ই এপ্রিল প্রহরীদুর্গ (ইংরাজি) এর “পাঠকদের থেকে প্রশ্নসকল” এই প্রবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছিল। তখন থেকে আরও অনেকে সাক্ষী হয়েছে, সুতরাং আমরা এই প্রশ্নটি বিবেচনা করতে ও তা করতে গিয়ে পূর্ববর্তী বিষয়টি যা জানিয়েছিল তা পুনরালোচনা করতে পারি।

প্রাথমিকভাবে, উত্তর হল হ্যাঁ, অপর মেষ শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত বিশ্বস্ত ভাই ও বোনেরা ঈশ্বরের পবিত্র আত্মা গ্রহণে অভিষিক্তদের সাথে সমভাবে অংশ নিতে পারে।—যোহন ১০:১৬.

অবশ্যই, এটি বোঝায় না যে, প্রত্যেকের ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে আত্মা সমভাবে কার্য সম্পাদন করে। প্রাক-খ্রীষ্টীয় সময়ের বিশ্বস্ত সেবকদের বিষয় স্মরণ করুন যারা নিশ্চিতভাবে ঈশ্বরের আত্মা পেয়েছিলেন। আত্মা থেকে পাওয়া সেই শক্তিতে তাদের কেউ কেউ হিংস্র পশুদের বধ করেছিলেন, অসুস্থকে সুস্থ করেছিলেন, এমনকি মৃতদের উঠিয়েছিলেন। আর বাইবেলের অনুপ্রাণিত পুস্তকগুলি লেখার জন্যও তাদের আত্মার প্রয়োজন হয়েছিল। (বিচারকর্ত্তৃগণ ১৩:২৪, ২৫; ১৪:৫, ৬; ১ রাজাবলি ১৭:১৭-২৪; ২ রাজাবলি ৪:১৭-৩৭; ৫:১-১৪) প্রহরীদুর্গ বলেছিল “অভিষিক্ত শ্রেণী না হলেও তারা পবিত্র আত্মা দ্বারা পূর্ণ ছিল।”

অপর দৃষ্টিকোণ থেকে, বিবেচনা করুন প্রথম শতাব্দীর পুরুষ ও নারীদের কথা যারা পবিত্র আত্মায় অভিষিক্ত ছিলেন, তারা স্বর্গীয় আশা সম্পন্ন ঈশ্বরের আধ্যাত্মিক সন্তান হয়েছিলেন। তাদের সকলেই অভিষিক্ত ছিলেন, কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে অতঃপর আত্মা তাদের সকলের উপর সমভাবে কার্য সম্পাদন করেছিল। এটি স্পষ্ট হয় ১ করিন্থীয় ১২ অধ্যায় থেকে। সেখানে প্রেরিত পৌল আত্মার দান সম্পর্কে আলোচনা করেছিলেন। ৮, ৯ ও ১১ পদে আমরা পড়ি: “এক জনকে সেই আত্মা দ্বারা প্রজ্ঞার বাক্য দত্ত হয়, আর এক জনকে সেই আত্মানুসারে জ্ঞানের বাক্য, আর এক জনকে সেই আত্মাতে বিশ্বাস, আর এক জনকে সেই একই আত্মাতে আরোগ্য সাধনের নানা অনুগ্রহ-দান, . . . . কিন্তু এই সকল কর্ম্ম সেই একমাত্র আত্মা সাধন করেন; তিনি সবিশেষ বিভাগ করিয়া যাহাকে যাহা দিতে বাসনা করেন, তাহাকে তাহা দেন।”

তাৎপর্যপূর্ণভাবে, সেই সময়ে সকল অভিষিক্ত জনেরই আত্মার এই অলৌকিক দান ছিল না। ১ করিন্থীয় ১৪ অধ্যায়ে পৌল এক মণ্ডলীর সভার বিষয় উল্লেখ করেছিলেন যেখানে একজনের বিশেষ ভাষায় কথা বলার দান ছিল, কিন্তু উপস্থিত কোন ব্যক্তির মধ্যে তা ভাষান্তরিত করার দান ছিল না। কিন্তু তৎসত্ত্বেও, প্রাচীন কিছু উপলক্ষে তাদের প্রত্যেকে আত্মা দ্বারা অভিষিক্ত হওয়া অভিজ্ঞতা করেছিল। তাই এটি বলা কি যুক্তিযুক্ত হবে যে, যে ভাইয়ের বিশেষ ভাষা বলার দান ছিল অন্যান্য উপস্থিত জনদের চেয়ে তার বেশি আত্মা ছিল? না। অন্যান্য অভিষিক্ত জনেরাও সুযোগবিহীন ছিলেন না, যেমন বাইবেল বুঝতে অসমর্থতা বা পরীক্ষার মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে অসমর্থতা। যে বিশেষ ভাষায় কথা বলতে পেরেছিল সেই ভাইয়ের ক্ষেত্রে আত্মা বিশেষভাবে কার্য সম্পাদন করেছিল। তবুও, তার ও তাদের যিহোবার নিকটে থাকার এবং পৌল যেমন লিখেছিলেন “আত্মাতে পরিপূর্ণ হও” তার প্রয়োজনীয়তা ছিল।—ইফিষীয় ৫:১৮.

আজকেও যারা অবশিষ্টাংশ তারা নিশ্চিতভাবে ঈশ্বরের আত্মা পেয়ে থাকে। এক অর্থে এটি তাদের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে কার্য সম্পাদন করেছিল—যে সময় তারা অভিষিক্ত ও আধ্যাত্মিক পুত্ররূপে গৃহীত হয়েছিল। এরপর তারা ‘আত্মাতে পরিপূর্ণ হয়,’ ও এর সাহায্য গ্রহণ করে যখন তারা আরও স্পষ্টভাবে বাইবেল বোঝার জন্য অন্বেষণ করে, প্রচার কাজে নেতৃত্ব দেয় অথবা পরীক্ষার সম্মুখীন হয়—ব্যক্তিগত অথবা সাংগঠনিকভাবে।

“অপর মেষ” এর সদস্যদের যদিও অভিষিক্ত হওয়ার অভিজ্ঞতা নেই, অন্য উপায়ে তারা পবিত্র আত্মা পেয়ে থাকে। প্রহরীদুর্গ, এপ্রিল ১৫, ১৯৫২ মন্তব্য করেছিল:

“আজকে ‘অপর মেষ’ অভিষিক্তদের মত একই পরীক্ষামূলক পরিস্থিতিতে প্রচার কাজ সম্পন্ন করে এবং একই বিশ্বস্ততা ও সততা প্রদর্শন করে। তারা একই আধ্যাত্মিক মেজ থেকে একই খাদ্য গ্রহণ করে, একই সত্য আত্মস্থ করে। পার্থিব আশা সম্পন্ন পার্থিব শ্রেণী হওয়ায় এবং পার্থিব বিষয়ে একান্ত আগ্রহী হওয়ায় তারা হয়ত নতুন পৃথিবীতে পার্থিব পরিস্থিতির সঙ্গে সম্পর্কিত শাস্ত্রগুলির প্রতি বেশি আগ্রহী; যেখানে স্বর্গীয় আশা সম্পন্ন অভিষিক্ত অবশিষ্টাংশেরা আত্মার বিষয়গুলির প্রতি দৃঢ় ব্যক্তিগত আগ্রহ থাকায় হয়ত ঈশ্বরের বাক্যের ওই বিষয়গুলি আরও অধ্যবসায়ের সাথে অধ্যয়ন করে। . . . কিন্তু যে বিষয়টি বাকি থাকে তা হল যে, একই সত্য ও একই বোধগম্যতা দুই শ্রেণীর জন্যই প্রাপ্তিসাধ্য এবং এটি হল কেবলমাত্র ব্যক্তিরা অধ্যয়নে কিভাবে তাদের প্রয়োগ করবে তা স্থির করে যে তারা স্বর্গীয় এবং পার্থিব বিষয়গুলির প্রতি উপলব্ধি অর্জন করবে। প্রভুর আত্মা দুই শ্রেণীর জন্যই সমান অংশে প্রাপ্তিসাধ্য এবং তা আত্মস্থ করার জন্য সমরূপ সুযোগসহ জ্ঞান ও বোধগম্যতা উভয়ের প্রতিই সমভাবে প্রদান করা হয়েছে।”

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার