ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৬ ৭/১ পৃষ্ঠা ৩-৪
  • ঈশ্বর কি সবরকমের উপাসনা গ্রহণ করেন?

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • ঈশ্বর কি সবরকমের উপাসনা গ্রহণ করেন?
  • ১৯৯৬ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • প্রাচীন কালের সন্দেহসূচক উপাসনা
  • শুদ্ধ উপাসনা কলুষিত হয়ে পড়ে
  • বাল উপাসনা—ইস্রায়েলীয়দের মন জেতার জন্য লড়াই
    ১৯৯৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • তিনি বিশুদ্ধ উপাসনার পক্ষসমর্থন করেছিলেন
    ২০০৮ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • এখনই চূড়ান্ত পদক্ষেপ নেওয়ার সময়
    ২০০৫ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • তিনি বিশুদ্ধ উপাসনার পক্ষসমর্থন করেছিলেন
    তাদের বিশ্বাস অনুকরণ করুন
আরও দেখুন
১৯৯৬ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৬ ৭/১ পৃষ্ঠা ৩-৪

ঈশ্বর কি সবরকমের উপাসনা গ্রহণ করেন?

ঈশ্বর মানুষকে আধ্যাত্মিক চাহিদা দিয়ে সৃষ্টি করেছিলেন—উপাসনা করার চাহিদা। এটি এমন বিষয় নয় যা বিকশিত হয়েছে। প্রারম্ভ থেকেই এটি মানুষের এক অঙ্গস্বরূপ ছিল।

কিন্তু দুঃখের বিষয়, মানবজাতি উপাসনা করার অসংখ্য বিবিধ পদ্ধতিগুলি গড়ে তুলেছে আর অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেগুলি সুখী, একতাবদ্ধ মানব পরিবার গড়ে তোলেনি। পরিবর্তে, রক্তাক্ত যুদ্ধগুলি এখনও ধর্মের নামেই হয়ে থাকে। এটি এই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নটি উত্থাপন করে: একজন ব্যক্তি কিভাবে ঈশ্বরের উপাসনা করে সেটি কি কোন অর্থ রাখে?

প্রাচীন কালের সন্দেহসূচক উপাসনা

মধ্যপ্রাচ্যে বসবাসকারী প্রাচীন জাতিগুলি এক ঐতিহাসিক উদাহরণ প্রদান করে যা আমাদের সেই প্রশ্নটির উত্তর পেতে সাহায্য করে। অনেকেই বাল্‌ নামক এক দেবতার উপাসনা করত। এছাড়া তারা বালের স্ত্রী সঙ্গীদেরও উপাসনা করত, যেমন আশেরা। আশেরাকে উপাসনা করার অন্তর্ভুক্ত ছিল একটি পবিত্র স্তম্ভের ব্যবহার যেটিকে এক যৌন প্রতীকরূপে বিশ্বাস করা হত। প্রত্নতত্ত্ববিদ্‌গণ সেই অঞ্চলে কাজ করার সময়ে মাটি খুঁড়ে অসংখ্য নগ্ন নারী মূর্তি আবিষ্কার করেন। দি এনসাইক্লোপিডিয়া অফ রিলিজ্‌ন্‌ বলে এই মূর্তিগুলি “দৃষ্টি-আকর্ষক জননেন্দ্রিয় সহ এক দেবীকে দেখায় যে তার স্তন উর্দ্ধে তুলে ধরে রয়েছে” এবং “সম্ভবত এটি চিত্রিত করে . . . আশেরাকে।” একটি বিষয় নিশ্চিত যে বাল্‌ উপাসনা ছিল ভীষণ অনৈতিক।

তাই, এটি কোন আশ্চর্যের বিষয় নয় যে, সেই বাল্‌ উপাসনার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিল যৌন ধর্মানুষ্ঠান। (গণনাপুস্তক ২৫:১-৩) একজন কনানীয়, শিখিম কুমারী দীণাকে ধর্ষণ করেছিল। তা করা সত্ত্বেও, তাকে তার পরিবারে সবচেয়ে সম্মানীয় ব্যক্তি হিসাবে দেখা হত। (আদিপুস্তক ৩৪:১, ২, ১৯) অজাচার, সমকামিতা এবং পশুগমন সাধারণ বিষয় ছিল। (লেবীয় পুস্তক ১৮:৬, ২২-২৪, ২৭) সমকামী অভ্যাস সংক্রান্ত “সদোমী” শব্দটি এসেছে সেই শহরের নাম থেকে যা এক সময়ে পৃথিবীর এই অংশে অবস্থিত ছিল। (আদিপুস্তক ১৯:৪, ৫, ২৮) বাল্‌ উপাসনার সাথে রক্তপাতও জড়িত ছিল। কারণ, বালের উপাসকেরা তাদের শিশুদের জীবন্ত অবস্থায় জলন্ত অগ্নিতে তাদের দেবতাদের উদ্দেশ্যে বলিরূপে ছুড়ে ফেলত। (যিরমিয় ১৯:৫) এই সমস্ত অভ্যাস ধর্মীয় শিক্ষার সাথে সম্বন্ধযুক্ত ছিল। কিভাবে?

ডা: মেরিল আনার তার প্রত্নতত্ত্ব এবং পুরাতন নিয়ম (ইংরাজি) নামক বইয়ে ব্যাখ্যা করেন “পাশবিকতা, কামনা এবং অবাধ কনানীয় পুরাকাহিনী, সেই সময়ে নিকট প্রাচ্যের অন্য যে কোন স্থানের চেয়ে অনেক বেশি মন্দ ছিল।” আর কনানীয় দেবতাদের আশ্চর্যকর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য যা হল তাদের কোন নৈতিক চরিত্র ছিল না, তা, নিশ্চয় তাদের ভক্তদের মধ্যে মন্দ বৈশিষ্ট্যগুলি গড়ে তুলেছিল এবং বেশির ভাগই সেই সময়ে নীতিভ্রষ্ট অভ্যাসগুলির অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়েছিল, যেমন পবিত্র বেশ্যাবৃত্তি, [এবং] শিশু বলিদান।”

ঈশ্বর কি কনানীয়দের এই উপাসনাকে গ্রহণ করেছিলেন? অবশ্যই না। কিভাবে শুদ্ধ উপায়ে তাঁর উপাসনা করতে হয় তা তিনি ইস্রায়েলীয়দের শিখিয়েছিলেন। উপরে উল্লেখিত অভ্যাসগুলির পরিপ্রেক্ষিতে তিনি সতর্ক করে দিয়েছিলেন: “তোমরা এ সমস্ত দ্বারা আপনাদিগকে অশুচি করিও না; কেননা যে যে জাতিকে আমি তোমাদের সম্মুখ হইতে দূর করিব, তাহারা এই সমস্ত দ্বারা অশুচি হইয়াছে; এবং দেশও অশুচি হইয়াছে; অতএব আমি উহার অপরাধ উহাকে ভোগ করাইব, এবং দেশ আপন নিবাসীদিগকে উদ্গীরণ করিবে।”—লেবীয় পুস্তক ১৮:২৪, ২৫.

শুদ্ধ উপাসনা কলুষিত হয়ে পড়ে

শুদ্ধ উপাসনা সম্বন্ধে ঈশ্বরের দৃষ্টিভঙ্গিকে বহু ইস্রায়েলীয় গ্রহণ করেনি। পরিবর্তে, তারা তাদের দেশে বাল্‌ উপাসনাকে চলতে অনুমতি দেয়। তাই শীঘ্রই, বালের সাথে যিহোবার উপাসনাকে মিশানোর চেষ্টায় ইস্রায়েলীয়রা প্রলুব্ধ হয়ে পড়ে। এইধরনের মিশ্র উপাসনা কি ঈশ্বর গ্রহণ করেছিলেন? রাজা মনঃশির রাজত্বের সময়ে কী ঘটেছিল তা বিবেচনা করে দেখুন। বালের উদ্দেশ্যে তিনি বেদী স্থাপন করেন, বলি রূপে তার নিজের পুত্রকে অগ্নিতে দাহ করেন এবং যাদুবিদ্যা অভ্যাস করেন। “আর তিনি আশেরার [আশেরা ইব্রীয়তে] যে ক্ষোদিত প্রতিমা নির্মাণ করিয়াছিলেন, তাহা সেই গৃহে স্থাপন করিলেন, যাহার বিষয়ে সদাপ্রভু . . . : বলিয়াছিলেন, আমি এই গৃহে . . . আপন নাম চিরকালের নিমিত্ত স্থাপন করিব।”—২ রাজাবলি ২১:৩-৭.

মনঃশির প্রজারা তাদের রাজার উদাহরণ অনুসরণ করেছিল। বস্তুতপক্ষে, তিনি “সদাপ্রভু ইস্রায়েল-সন্তানদের সম্মুখ হইতে যে জাতিদিগকে বিনষ্ট করিয়াছিলেন, তাহাদের অপেক্ষা অধিক কদাচরণ করিতে . . . তাহাদিগকে কুপ্রবৃত্তি দিতেন।” (২ রাজাবলি ২১:৯) ঈশ্বরের ভাববাদীদের কৃত পুনরাবৃত্ত সতর্কবাণী শোনার পরিবর্তে, মনঃশি এত ব্যাপকতর হত্যা করেন যে যিরূশালেম নিরপরাধীদের রক্তে পরিপূর্ণ হয়। যদিও পরিশেষে মনঃশি সংশোধিত হয়েছিলেন, কিন্তু তার পুত্র এবং উত্তরসূরী, রাজা আমোন বাল্‌ উপাসনাকে পুনর্জীবিত করেন।—২ রাজাবলি ২১:১৬, ১৯, ২০.

কালক্রমে, পুরুষ বেশ্যারা মন্দিরে কাজ করতে শুরু করে। বাল্‌ উপাসনার এই অভিব্যক্তিকে যিহোবা কোন্‌ দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখেছিলেন? মোশির মাধ্যমে তিনি সাবধান করে দিয়েছিলেন: “কোন মানতের জন্য বেশ্যার বেতন কিম্বা কুকুরের মূল্য [সম্ভবত পায়ুগামী] তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর গৃহে আনিবে না, কেননা সে উভয়ই তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভুর কাছে ঘৃণার্হ।”—দ্বিতীয় বিবরণ ২৩:১৭, ১৮, NW, পাদটীকা।

মনঃশির পৌত্র, রাজা যোশিয়, অনৈতিক বাল্‌ উপাসনা থেকে মন্দিরকে পরিষ্কৃত করেন। (২ রাজাবলি ২৩:৬, ৭) কিন্তু বিষয়টি বহুদূর পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছিল। তাই রাজা যোশিয়ের মৃত্যুর অল্পদিন পরেই পুনরায় যিহোবার মন্দিরে মূর্তিপূজা আরম্ভ হতে থাকে। (যিহিষ্কেল ৮:৩, ৫-১৭) তাই যিরূশালেম এবং তার মন্দিরকে ধ্বংস করতে যিহোবা বাবিলনের রাজাকে ব্যবহার করেন। ইতিহাসের এই দুঃখজনক ঘটনাটি প্রমাণ করে যে কিছু ধরনের উপাসনা ঈশ্বরের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। আমাদের দিন সম্বন্ধে কী বলা যায়?

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার