ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w০১ ৭/১৫ পৃষ্ঠা ৩
  • মৃত্যুর পরে কি জীবন আছে?

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • মৃত্যুর পরে কি জীবন আছে?
  • ২০০১ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • মৃত্যুর পরে জীবন—লোকেরা কী বিশ্বাস করেন?
    ১৯৯৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • মারা যাওয়ার পর আমাদের কী হয়?
    চিরকাল জীবন উপভোগ করুন!—ঈশ্বরের কাছ থেকে শিখুন
  • পুনরুত্থানে আপনার বিশ্বাস কতটা দৃঢ়?
    ১৯৯৮ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • আমাদের মৃত প্রিয়জনদের কী অবস্থা হয়?
    জ্ঞান যা অনন্ত জীবনে পরিচালিত করে
২০০১ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w০১ ৭/১৫ পৃষ্ঠা ৩

মৃত্যুর পরে কি জীবন আছে?

কুলপতি ইয়োব প্রায় ৩,৫০০ বছর আগে জিজ্ঞেস করেছিলেন, “মনুষ্য মরিয়া কি পুনর্জীবিত হইবে?” (ইয়োব ১৪:১৪) এই প্রশ্নটা হাজার হাজার বছর ধরে মানবজাতিকে ভাবিয়ে তুলেছে। যুগ যুগ ধরে প্রতিটা সম্প্রদায়ের লোকেরা এই বিষয়টা নিয়ে চিন্তা করেছেন এবং এই সম্বন্ধে বিভিন্ন মতবাদ প্রকাশ করেছেন।

অনেক নামধারী খ্রীষ্টান বিশ্বাস করেন যে মৃত্যুর পর মানুষ হয় স্বর্গে, না হয় নরকে যায়। অন্যদিকে, হিন্দুরা পুনর্জন্মে বিশ্বাস করেন। মুসলমানদের দৃষ্টিভঙ্গি সম্বন্ধে বলতে গিয়ে একটা ইসলাম ধর্মীয় কেন্দ্রের একজন সহকারী, আমীর মোয়াউইয়া বলেন: “আমরা বিশ্বাস করি, মৃত্যুর পরে একটা বিচারের দিন রয়েছে যখন আপনাকে আল্লাহ্‌র কাছে আসতে হবে, ঠিক যেন বিচারের জন্য আদালতে যাচ্ছেন।” মুসলমানদের বিশ্বাস অনুসারে, আল্লাহ্‌ তখন প্রত্যেক ব্যক্তির কর্মজীবন পরীক্ষা করবেন এবং তাদের হয় জান্নাতে, না হয় দোজখে পাঠাবেন।

শ্রীলঙ্কায় বৌদ্ধ এবং ক্যাথলিক দুদলই তাদের ঘরে কেউ মারা গেলে সব দরজা জানালা খুলে দেন। তারা তেলের বাতি জ্বালিয়ে রাখেন এবং মৃতের বাক্সটা এমনভাবে রাখেন, যাতে মৃতদেহের পায়ের দিকটা দরজার দিকে মুখ করা থাকে। তারা মনে করেন যে, এইরকম করলে মৃত ব্যক্তির আত্মা সহজে বেরিয়ে যেতে পারবে।

ইউনিভার্সিটি অফ ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার রানাল্ড এম. বার্ন্টের মতে, অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীরা বিশ্বাস করেন যে, “মানুষের আত্মা কখনও মারা যায় না।” আফ্রিকার কিছু সম্প্রদায় বিশ্বাস করেন, সাধারণ লোকেরা মারা যাওয়ার পর ভূত হয়ে যায় এবং নামিদামি ব্যক্তিরা পূর্বপুরুষের আত্মা হয়ে যায়, যাদেরকে সম্মান করা হয় এবং সমাজের অদৃশ্য নেতা হিসেবে তাদের কাছে প্রার্থনা করা হয়।

আবার কিছু দেশে, মৃতদের অবস্থা সম্বন্ধে বিশ্বাসের মধ্যে সেখানকার পরম্পরাগত রীতি ও নামধারী খ্রীষ্টধর্মের এক অদ্ভুত মিশ্রণ রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, পশ্চিম আফ্রিকার অনেক ক্যাথলিক এবং প্রটেস্টান্টদের মধ্যে রীতি রয়েছে যে কেউ মারা গেলে তারা সব আয়না ঢেকে দেন, যাতে কেউ আয়নায় ওই মৃত ব্যক্তির আত্মা দেখতে না পান।

‘আমরা যখন মারা যাই, তখন আমাদের কী হয়?’ এই প্রশ্নের উত্তর লোকেরা বিভিন্নভাবে দিয়ে থাকেন। কিন্তু, একটা বিষয়ে সবাই একমত আর তা হল: ব্যক্তির ভিতর অমর কিছু একটা রয়েছে, যা দেহের মৃত্যুর পরও বেঁচে থাকে। কেউ কেউ বিশ্বাস করেন, এই “কিছু একটা” হল আত্মা। উদাহরণ হিসেবে, আফ্রিকা ও এশিয়ার কোন কোন দেশে এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পলিনেশিয়া, মেলানেশিয়া ও মাইক্রোনেশিয়ার অনেকে বিশ্বাস করেন যে, আত্মা হল অমর।

একজন জীবিত ব্যক্তির মধ্যে কি কোন আত্মা আছে? মারা যাওয়ার পরে কি সেই আত্মা বেঁচে থাকে? যদি তা-ই হয়, তাহলে এর কী হয়? আর মৃতদের জন্য কোন্‌ আশা রয়েছে? এই প্রশ্নগুলো ফেলে দেওয়ার মতো নয়। আপনার সংস্কৃতি বা ধর্মীয় পটভূমি যাই হোক না কেন, প্রত্যেককেই মৃত্যুর মুখোমুখি হতে হয়। তাই, বিষয়টার সঙ্গে আপনি নিজেও জড়িত। আর এই বিষয়টা দেখার জন্য আমরা আপনাকে উৎসাহিত করছি।

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার