ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w০৭ ৬/১ পৃষ্ঠা ৩
  • মন্দতা—এটা কি নিয়ন্ত্রণের বাইরে?

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • মন্দতা—এটা কি নিয়ন্ত্রণের বাইরে?
  • ২০০৭ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • উত্তম যেভাবে মন্দকে পরাজিত করবে
    ২০০৬ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • এটা কি শয়তানের শতাব্দী ছিল?
    ২০০৩ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • মন্দতার উৎস উন্মোচিত হয়!
    ২০০৭ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • “মন্দের পরিশোধে কাহারও মন্দ করিও না”
    ২০০৭ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
আরও দেখুন
২০০৭ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w০৭ ৬/১ পৃষ্ঠা ৩

মন্দতা—এটা কি নিয়ন্ত্রণের বাইরে?

এক কৌতূহলী ছোট্ট ছেলে মাটি থেকে একটা বস্তু—একটা ল্যান্ড মাইন—কুড়িয়ে পায় আর সারাজীবনের জন্য অন্ধ এবং বিকলাঙ্গ হয়ে যায়। একজন মা তার সদ্যোজাত বাচ্চাকে রাস্তার ধারে জঞ্জালের গাদায় লুকিয়ে রেখে চলে যান। বরখাস্ত হওয়া এক কর্মী তার পূর্বের কর্মস্থলে ফিরে আসেন, সামনে যাকে পান তাকেই গুলি করেন এবং পরে নিজেকেও গুলি করেন। একজন সম্মানীয় নাগরিক অসহায় ছেলেমেয়েদের যৌন নিপীড়ন করেন।

দুঃখের বিষয় যে, এই ধরনের মন্দ কাজগুলোর বিবরণ আমাদের সময়ে অতি সাধারণ বিষয় হয়ে উঠেছে। তবে, এর চেয়েও দুঃখজনক হচ্ছে, এই বিবরণগুলো প্রায়ই সাম্প্রদায়িক বিলোপসাধন, গণহত্যা ও সন্ত্রাসী আক্রমণের খবরগুলোর ভিড়ে চাপা পড়ে যায়। “এই শতাব্দীর প্রচণ্ড ভয়াবহতা এটাকে শয়তানের এক শতাব্দী করে তুলেছে,” ১৯৯৫ সালে প্রকাশিত হওয়া একটা সম্পাদকীয় বিভাগ বলেছিল। “এর আগের যুগগুলোতে লোকেরা কখনো জাতিগত, ধর্মীয় অথবা শ্রেণীগত কারণে লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করার জন্য এতটা ব্যাপক প্রবণতা এবং তীব্র স্পৃহা প্রকাশ করেনি।”

একইসময়ে, মানুষ বায়ুকে দূষিত করছে, পৃথিবীকে কলুষিত করছে, এর সম্পদকে নষ্ট করছে এবং অগণিত প্রজাতির প্রাণীকে হত্যা করে সেগুলোকে বিলুপ্ত করে ফেলছে। মানবজাতি কি এই সমস্ত মন্দতাকে জয় করতে এবং পৃথিবীকে এক উত্তম, নিরাপদ জায়গায় পরিণত করতে পারবে? অথবা তা করার প্রচেষ্টা সমুদ্রের ঢেউকে ঝাড়ু দিয়ে ঝাঁটানোর প্রচেষ্টা করার সমতুল্য? একজন অধ্যাপক যিনি মন্দতা সম্বন্ধে বহু বিষয় লিখেছেন, তিনি বলেছিলেন: “আমি এই জগতে এক আমূল পরিবর্তন আনার, জগৎকে উন্নত করার এক জোরালো তাগিদ অনুভব করেছি। কিন্তু, এই জগতের উন্নতি চোখে পড়ে না।” সম্ভবত, আপনিও একইরকম অনুভব করেন।

জগৎ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, সেটাকে এমন এক সমুদ্রে যাত্রারত এক জাহাজের সঙ্গে তুলনা করা যায়, যে-সমুদ্র দিন দিন আরও বেশি উত্তাল ও বিপজ্জনক হয়ে উঠছে। যদিও কেউই সেই দিকে যেতে চায় না কিন্তু দিক পরিবর্তন করার সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। জাহাজটা সেই প্রবল ঝড়ের দিকে এগিয়ে যেতেই থাকে, যেটাকে রোধ করা যায় না।

কিছু কিছু ক্ষেত্রে, এই চরম অধঃপতিত পরিস্থিতির জন্য মানব অসিদ্ধতাকে দায়ী করা যেতে পারে। (রোমীয় ৩:২৩) তা সত্ত্বেও, মন্দতার মাত্রা, এর বিস্তার এবং নিষ্ঠুরতা এতই বেশি যে, এর জন্য শুধু মানুষকে দায়ী করা যায় না। এটা কি হতে পারে যে, অদৃশ্য কিন্তু এক শক্তিশালী ও মন্দ শক্তি মানবজাতিকে চালাচ্ছে? যদি তা-ই হয়, তা হলে সেটা কী এবং কীভাবে আমরা নিজেদের রক্ষা করতে পারি? পরের প্রবন্ধে এই প্রশ্নগুলো নিয়ে আলোচনা করা হবে।

[৩ পৃষ্ঠার চিত্র সৌজন্যে]

© Heldur Netocny/Panos Pictures

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার