ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w14 ৬/১৫ পৃষ্ঠা ৮-১১
  • বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে এমন সহবিশ্বাসীদের সহযোগিতা করুন কীভাবে?

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে এমন সহবিশ্বাসীদের সহযোগিতা করুন কীভাবে?
  • ২০১৪ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • হঠাৎ প্রচণ্ড আবেগঅনুভূতি প্রকাশ পায়
  • ভারসাম্য ফিরে পাওয়ার লড়াই
  • যখন একাকী ও প্রত্যাখ্যাত হওয়ার অনুভূতি জেগে উঠতে থাকে
২০১৪ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w14 ৬/১৫ পৃষ্ঠা ৮-১১

বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে এমন সহবিশ্বাসীদের সহযোগিতা করুন কীভাবে?

একজন মহিলা একজন বিবাহবিচ্ছদপাত খস্টান বোনকে সান্ত্বনা দিচ্ছন

আপনি হয়তো এমন কাউকে চেনেন, যার বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে—হয়তো শুধু একজন নয়, বেশ কয়েক জনকেই চেনেন। এর কারণ হল বিবাহবিচ্ছেদ অনেক সাধারণ বিষয় হয়ে গিয়েছে। উদাহরণ স্বরূপ, পোল্যান্ডের একটা গবেষণা প্রকাশ করেছে যে, তিন থেকে ছয় বছর ধরে বিবাহিত এমন ৩০ বছর বয়সি ব্যক্তিদের মধ্যে বিবাহবিচ্ছেদের হার সবচেয়ে বেশি; আর বিবাহবিচ্ছেদ শুধুমাত্র সেই বয়সের ব্যক্তিদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়।

আসলে, “পরিসংখ্যান দেখায়, [ইউরোপে] যে-ব্যক্তিরা বিয়ে করে, তাদের মধ্যে অর্ধেকই বিবাহবিচ্ছেদ করবে,” স্পেনের পারিবারিক নীতি বিষয়ক একটা প্রতিষ্ঠান এই রিপোর্ট করে। অন্যান্য উন্নত দেশের চিত্রও প্রায় একইরকম।

হঠাৎ প্রচণ্ড আবেগঅনুভূতি প্রকাশ পায়

অহরহ ঘটে চলা এই পরিণতির পিছনে কারণটা কী? পূর্ব ইউরোপের একজন অভিজ্ঞ বিবাহ বিষয়ক উপদেষ্টা এভাবে মন্তব্য করেছেন: “বিবাহবিচ্ছেদ কাগজে-কলমে সেই বিষয়গুলোরই স্বীকৃতি দেয়, যা ইতিমধ্যে ঘটেছে অর্থাৎ সম্পর্কের মধ্যে ভাঙন ও এর ফল স্বরূপ পৃথক থাকা। এগুলো মানসিকভাবে অনেক কষ্ট দেয়।” তিনি আরও বলেন: এর সঙ্গে সঙ্গে আসে “প্রচণ্ড আবেগের স্রোত অর্থাৎ রাগ, অনুশোচনা, হতাশা, বিষণ্ণতা ও লজ্জা।” এর ফলে, মাঝে মাঝে আত্মহত্যা করার চিন্তাভাবনা জেগে ওঠে। “আদালতের মাধ্যমে বিবাহবিচ্ছেদ চূড়ান্ত হয়ে যাওয়ার পর, শুরু হয় পরের পর্ব। নিঃসঙ্গতা এবং বিচ্ছেদের অনুভূতির দ্বারা জর্জরিত হয়ে, বিবাহবিচ্ছেদপ্রাপ্ত একজন ব্যক্তি হয়তো ভাবতে পারেন: ‘এখন যেহেতু আমার বিবাহবিচ্ছেদ হয়েই গেছে, তাহলে আমার পরিচয়টা আসলে কী? জীবনে আমার উদ্দেশ্যই-বা কী?’”

এভা কয়েক বছর আগে নিজের অনুভূতি কেমন ছিল, তা স্মরণ করে বলেন: “যখন আমার বিবাহবিচ্ছেদ চূড়ান্ত হয়ে যায় আর আমার প্রতিবেশী ও সহকর্মীরা আমাকে ‘একজন ডিভোর্সি’ বলে খেতাব দেয়, তখন আমি অনেক লজ্জা পেয়েছিলাম। আমার প্রচণ্ড রাগ হতো। আমার ছোটো ছোটো দুটো ছেলে-মেয়ে ছিল। আমাকে তাদের মা আর সেইসঙ্গে বাবা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে।”a অ্যাডাম, যিনি ১২ বছর ধরে একজন সম্মাননীয় প্রাচীন হিসেবে সেবা করছিলেন, তিনি বলেন: “আমি এতটাই আত্মসম্মান হারিয়ে ফেলেছিলাম যে, মাঝে মাঝে প্রচণ্ড রাগ হয়ে যেতাম এবং নিজেকে অন্যদের কাছ থেকে আলাদা করে ফেলতে চাইতাম।”

ভারসাম্য ফিরে পাওয়ার লড়াই

ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে উদ্‌বিগ্ন হওয়ার কারণে, কারো কারো জন্য এমনকী বিবাহবিচ্ছেদের কয়েক বছর পরেও ভারসাম্য ফিরে পাওয়া কঠিন হয়ে গিয়েছিল। তারা হয়তো এই উপসংহারে এসেছে, অন্যেরা তাদের ব্যাপারে আগ্রহী নয়। এ ছাড়া, এই বিষয়ে সংবাদপত্রের একজন লেখিকা বলেন, তাদের এখন “বিভিন্ন অভ্যাস পরিবর্তন করতে হবে এবং নিজে নিজেই বিভিন্ন সমস্যার সঙ্গে সফলভাবে মোকাবিলা করার বিষয়টা শিখতে হবে।”

স্তানিসোয়াফ স্মরণ করে বলেন: “বিবাহবিচ্ছেদের পর আমার প্রাক্তন স্ত্রী আমাদের দুই মেয়ের সঙ্গে আমাকে দেখা করতে দেয়নি। ফলে আমার মনে হয়েছিল, কেউই আমার জন্য আর চিন্তা করে না আর এমনকী যিহোবাও নিশ্চয়ই আমাকে পরিত্যাগ করেছেন। আমি বেঁচে থাকার ইচ্ছা হারিয়ে ফেলেছিলাম। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমি বুঝতে পারি, আমার সেই চিন্তা কত ভুল ছিল।” এ ছাড়া, ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে অনিশ্চয়তার এক অনুভূতি ওয়ান্ডা নামে বিবাহবিচ্ছেদপ্রাপ্ত একজন বোনকেও কষ্ট দিয়েছিল। তিনি বলেন: “আমার মনে হয়েছিল কিছু দিন পর লোকেরা ও সেইসঙ্গে সহবিশ্বাসীরাও আমার আর আমার সন্তানদের প্রতি কোনো আগ্রহ দেখাবে না। কিন্তু ভাই-বোনেরা সেই কঠিন সময়ে আমাকে যে কত সমর্থন করেছে এবং আমার সন্তানদের যিহোবার উপাসক হিসেবে বড়ো করে তোলার চেষ্টা করার সময় আমাকে কত সাহায্য করেছে, তা আমি এখন বুঝতে পারি।”

এই ধরনের মন্তব্য থেকে আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, বিবাহবিচ্ছেদ হওয়ার পর কেউ কেউ নেতিবাচক অনুভূতির দ্বারা জর্জরিত হয়ে পড়ে। তারা নিজেদের নগণ্য বলে মনে করে, এমন চিন্তা করে যে, তাদের কোনো মূল্য নেই এবং তারা কারো মনোযোগ পাওয়ার যোগ্য নয়। তা ছাড়া, তারা হয়তো তাদের আশেপাশের লোকেদের সমালোচনা করে। এর ফলে, তারা হয়তো মণ্ডলীর ভাই-বোনদের উদাসীন এবং সহানুভূতিহীন বলে মনে করতে শুরু করে। তা সত্ত্বেও, স্তানিসোয়াফ এবং ওয়ান্ডার মতো বিভিন্ন অভিজ্ঞতা দেখায়, বিবাহবিচ্ছেদপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা এটা বুঝতে পারে যে, ভাই-বোনেরা সত্যিই তাদের জন্য চিন্তা করে। আসলে, এইরকম সময়ে সহখ্রিস্টানরা অসাধারণ যত্ন প্রদান করেছে, এমনকী প্রাথমিকভাবে যদিও তাদের সেই সাহায্য অলক্ষিত ছিল।

যখন একাকী ও প্রত্যাখ্যাত হওয়ার অনুভূতি জেগে উঠতে থাকে

এই বিষয়টা মনে রাখুন, আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বিবাহবিচ্ছেদপ্রাপ্ত সহবিশ্বাসীরা হয়তো মাঝে মাঝে একাকিত্ব অনুভব করে। বিশেষভাবে বিবাহবিচ্ছেদপ্রাপ্ত বোনেরা এই ধরনের মনোভাব দেখাতে পারে যে, খুব কম লোকই তাদের ব্যাপারে চিন্তা করে। আলিৎসা স্বীকার করেন: “আমার বিবাহবিচ্ছেদের পর আট বছর পার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, এখনও মাঝে মাঝে নিজেকে নগণ্য বলে মনে হয়। তখন আমি নিজেকে অন্যদের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলি আর কান্নাকাটি করি ও দুঃখের কারণে ভারাক্রান্ত হয়ে পড়ি।”

বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে এমন ব্যক্তিদের জন্য এখানে উল্লেখিত অনুভূতি প্রকাশ করা যদিও অস্বাভাবিক নয়, কিন্তু বাইবেল নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলার বিরুদ্ধে সাবধান করে। এই সাবধানবাণীর বিপরীতে কাজ করা, ‘সমস্ত বুদ্ধিকৌশল’ বা ব্যাবহারিক প্রজ্ঞা প্রত্যাখ্যান করার জন্য পরিচালিত করতে পারে। (হিতো. ১৮:১) তবে, তিনি যদি বিপরীত লিঙ্গের কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে বার বার পরামর্শ ও সান্ত্বনা লাভ করার বিষয়টা এড়িয়ে চলেন, তাহলে সেটা ব্যাবহারিক প্রজ্ঞা কাজে লাগানোর এক প্রমাণ। আর এর ফলে, রোমান্টিক আগ্রহ গড়ে ওঠার কোনো সুযোগ থাকবে না।

আমাদের বিবাহবিচ্ছেদপ্রাপ্ত সহবিশ্বাসীরা বার বার কঠিন অনুভূতির দ্বারা তাড়িত হতে পারে, যেগুলোর অন্তর্ভুক্ত ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্‌বিগ্নতা এবং একাকিত্বের অথবা প্রত্যাখ্যাত হওয়ার অনুভূতি। এইরকম অনুভূতি আসা স্বাভাবিক ও তা কাটিয়ে ওঠা কঠিন, এই বিষয়টা যখন আমরা উপলব্ধি করি, তখন আমাদের ভাই ও বোনদের অনুগতভাবে সমর্থন করে আমাদের যিহোবাকে অনুকরণ করা উচিত। (গীত. ৫৫:২২; ১ পিতর ৫:৬, ৭) আমরা এই বিষয়ে নিশ্চিত থাকতে পারি, আমরা তাদের যে সাহায্য-ই প্রদান করি না কেন, তারা তা অনেক উপলব্ধি করবে। আসলে তারা মণ্ডলীর মধ্যেই প্রকৃত বন্ধুদের কাছ থেকে সাহায্য লাভ করবে!—হিতো. ১৭:১৭; ১৮:২৪.

a কিছু নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।

বিবাহবিচ্ছেদ সম্বন্ধে এক ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি

যিহোবার দাসেরা বিয়েকে অনেক গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে থাকে। আর এর কারণ হল, আমাদের চিন্তাভাবনা শাস্ত্র যা বলে সেটার ওপর ভিত্তি করে। উদাহরণ স্বরূপ, মালাখি ২:১৬ পদে আমরা ঈশ্বরের এই স্পষ্ট উক্তি পড়ি: “আমি স্ত্রীত্যাগ [“বিবাহ বিচ্ছেদ,” ইজি-টু-রিড ভারশন] ঘৃণা করি।” শাস্ত্র অনুযায়ী একমাত্র তখনই বিবাহবিচ্ছেদ করা যেতে পারে, যদি একজন সাথি যৌন অনৈতিকতায় রত হয়। তাই, একজন ব্যক্তি যদি অশাস্ত্রীয়ভাবে—হতে পারে আরেকজনকে বিয়ে করার চিন্তা মাথায় রেখে—বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করার চিন্তাভাবনা পুষে রাখেন, তাহলে সেটা এক মারাত্মক ভুল হবে।—আদি. ২:২২-২৪; দ্বিতীয়. ৫:২১; মথি ১৯:৪-৬, ৯.

কিন্তু যখন কোনো বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে, যেমন একজন খ্রিস্টানের সাথি অবিশ্বস্ত প্রমাণিত হওয়ার পর যদি বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে, তখন মণ্ডলীর ভাই-বোনেরা সেই খ্রিস্টানকে সাহায্য করে। যে-ধার্মিক ব্যক্তিরা কিছু সময়ের জন্য ‘চূর্ণমনা’ হয়ে আছে, তাদের সহযোগিতা করার ব্যাপারে ভাই-বোনেরা তাদের যথাসাধ্য করার মাধ্যমে যিহোবাকে অনুকরণ করে।—গীত. ৩৪:১৫, ১৮; যিশা. ৪১:১০.

আপনি কীভাবে সহযোগিতা করতে পারেন?

আপনি কি প্রয়োজনের সময় সাহায্য করতে পারেন? এই প্রবন্ধে উল্লেখিত ব্যক্তিদের মতো একই অনুভূতি রয়েছে, এমন কোনো ব্যক্তিকে সাহায্য করার জন্য আপনি কী করতে পারেন? বাইবেল কী বলে, তা বিবেচনা করুন এবং অনুগত খ্রিস্টানরা কীভাবে ব্যাবহারিক সাহায্য প্রদান করেছে, তা লক্ষ করুন।

উপলব্ধিপরায়ণ শ্রোতা হোন। (হিতো. ১৬:২০, ২৩)

আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারেন, বিবাহবিচ্ছেদের পর একজন ব্যক্তি হয়তো বিচ্ছেদের কারণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করতে চান না। সত্যি বলতে কী, অতিরিক্ত হতাশা দেখানো হয়তো উলটো ফল নিয়ে আসে আর তা আসলে উদ্‌বিগ্নতাকে দূর করে দিতে পারে না। (হিতো. ১২:২৫; রোমীয় ১২:১৫) মিকাউ, যিনি আগে উল্লেখিত অ্যাডামের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন, তিনি এই বিষয়টা স্বীকার করেন যে, আপনি খুঁটিনাটি বিষয় না ঘাটিয়েও একজন সমবেদনাময় ও উপলব্ধিপরায়ণ শ্রোতা হতে পারেন। তিনি বলেন: “আমি অ্যাডামকে এটা বুঝতে সাহায্য করেছিলাম, নেতিবাচক অনুভূতির কারণে কোনো দুর্বল মুহূর্তে তিনি হয়তো আমাকে অজান্তে এমন কিছু বলে ফেলতে পারেন, যেটার জন্য পরে হয়তো তিনি চিন্তা করবেন সেটা না বললেই ভালো হতো।” তাই, মিকাউ এই বিষয়টা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন, তিনি খুঁটিনাটি সমস্ত বিষয় জানার চেষ্টা করছেন না। তা সত্ত্বেও, তিনি একজন প্রকৃত বন্ধুর মতো কথা শুনেছিলেন। কোনো খ্রিস্টীয় সভার আগে অথবা পরে সাধারণ কিছু কথাবার্তা বলা, অনেক ভালো ফল নিয়ে আসতে পারে। যেমন আমরা বলতে পারি: “আপনি কীভাবে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করছেন? আমি বুঝতে পারছি, আপনি অনেক কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। আমি আপনার পাশেই আছি।”

আগ্রহ দেখান। (ফিলি. ২:৪)

মিরোসোয়াফ স্মরণ করে বলেন: “আমার স্ত্রী এবং আমি বিবাহবিচ্ছেদপ্রাপ্ত একজন বোনকে সাহায্য করার জন্য সময় করে নিয়েছিলাম। যেমন, আমরা তার দরজার তালা মেরামত করে দিয়েছিলাম। এ ছাড়া, আমরা তাকে আমাদের গাড়িতে করে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছিলাম।” এই কাজগুলো খুব সাধারণ বলে মনে হতে পারে; কিন্তু এগুলো অনেক ব্যাবহারিক এবং উপকারজনক বলে প্রমাণিত হয়েছে। এই দম্পতি যে-বোনকে সাহায্য করেছে, সেই বোন ধীরে ধীরে তার ভারসাম্য ফিরে পেয়েছিলেন। আর পরবর্তী সময়ে তিনি একজন অগ্রগামী হিসেবে সেবা করতে শুরু করেছিলেন এবং তার ১১ বছরের মেয়ে বাপ্তিস্ম নিয়েছিল।

এক দপতি একজন বিবাহবিচ্ছদপাত খস্টান বোনের পতি ব্যক্তিগত আগহ দেখাচ্ছ

বিবাহবিচ্ছেদপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে এই আশ্বাস দিন যে, যিহোবা তার পরিস্থিতি বুঝতে পারেন।

কেউ যদি আত্মসম্মানের অভাব বোধ করতে শুরু করেন, তাহলে আপনি তাকে এই আশ্বাস দিতে পারেন, ঈশ্বর তাঁর প্রত্যেক দাসকে মূল্যবান বলে গণ্য করেন। আমরা নিশ্চিতভাবেই “অনেক চড়াই পাখী হইতে শ্রেষ্ঠ”; আমরা তাঁর চোখে স্বতন্ত্র এবং মূল্যবান। (মথি ১০:২৯-৩১) ‘সদাপ্রভু চিত্তের পরীক্ষা করেন’ আর এই কারণেই যাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে, তাদের পরিস্থিতি তিনি বুঝতে সমর্থ। তিনি তাঁর বিশ্বস্ত দাসদের মধ্যে কাউকে পরিত্যাগ করবেন না। (হিতো. ১৭:৩; গীত. ১৪৫:১৮; ইব্রীয় ১৩:৫) তাই, আপনি যখন চিন্তা প্রকাশ করেন, তখন সেই ব্যক্তিকে এই আশ্বাস দিন, সত্যের প্রতি তার ভালোবাসাকে এবং সত্য উপাসনাকে সমর্থন করার জন্য তার প্রচেষ্টাকে ঈশ্বর উপলব্ধি করেন।—ফিলি. ২:২৯.

বিবাহবিচ্ছেদপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে মণ্ডলীর সান্নিধ্যে থাকার জন্য উৎসাহিত করুন।

কেউ কেউ যখন আবেগঅনুভূতির দ্বারা জর্জরিত হয়ে পড়ে, তখন সভাগুলোতে আসা তাদের জন্য অনেক কঠিন হয়ে পড়তে পারে। কিন্তু, এই সমাবেশগুলো আমাদের শক্তিশালী এবং উৎসাহিত হতে সাহায্য করতে পারে—এগুলো আমাদের ‘গাঁথিয়া তুলে।’ (১ করি. ১৪:২৬; গীত. ১২২:১) এই ক্ষেত্রে, প্রাচীনরা যে-পদক্ষেপ নেয়, তা অত্যন্ত মূল্যবান। আগে উল্লেখিত ওয়ান্ডা স্মরণ করে বলেন, “আমাদের এখনও তাদের প্রেমময় যত্নের কথা মনে আছে।”

বিবাহবিচ্ছেদপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে প্রার্থনা, ব্যক্তিগত অধ্যয়ন এবং ধ্যান করার মাধ্যমে ঈশ্বরের সঙ্গে তার সম্পর্ককে শক্তিশালী করার জন্য উৎসাহিত করুন। (যাকোব ৪:৮)

যদিও যিহোবা সর্বশক্তিমান এবং স্বর্গে বাস করেন, কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি ‘দুঃখী, ভগ্নাত্মা ও [তাঁহার] বাক্যে কম্পমান ব্যক্তির প্রতি’ মনোযোগ দেন। এই বিষয়ে বিবাহবিচ্ছেদপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে আশ্বাস দিন এবং প্রার্থনা ও ব্যক্তিগত অধ্যয়নের মাধ্যমে আমরা কীভাবে ঈশ্বরের আরও নিকটবর্তী হতে পারি, তার ওপর জোর দিন।—যিশা. ৬৬:২.

ক্ষেত্রের পরিচর্যায় একত্রে কাজ করার অথবা একসঙ্গে সভার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান।

দু-জন খস্টান ভাই ক্ষেত্রর পরিচর্যায় একসগ কাজ করছ

এই বিষয়টা বিবাহবিচ্ছেদপ্রাপ্ত খ্রিস্টানকে তার জীবনে এগিয়ে চলার ক্ষেত্রে আরও আত্মবিশ্বাসী হতে সাহায্য করবে। মার্তা এমন একজন উদ্যোগী বোনকে সাহায্য করেন, যিনি বিবাহবিচ্ছেদের পর একেবারে ভেঙে পড়েছিলেন। মার্তা বলেন: “আমরা একত্রে নিয়মিতভাবে ক্ষেত্রের পরিচর্যায় অংশ নিই। আমরা যে-লক্ষ্যস্থাপন করি, সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারলে, আমরা অনেক আনন্দ পাই। মাঝে মাঝে, আমরা সভার প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য একত্রে অধ্যয়ন করি আর এরপর আমরা হয়তো সুস্বাদু কোনো খাবার প্রস্তুত করি।”

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার