প্রচ্ছদ বিষয় | কেন ভালো লোকেদের প্রতি মন্দ বিষয়গুলো ঘটে?
চারিদিকে মন্দতা ছেয়ে আছে!
স্মিতাa নামে ৩৫ বছর বয়সি একজন মহিলা বাংলাদেশের ঢাকায় থাকতেন। তিনি তার প্রেমময় ও যত্নশীল আচরণের জন্য সুপরিচিত ছিলেন। লোকেরা তাকে একজন পরিশ্রমী এবং হাসিখুশি স্ত্রী হিসেবে জানত, যিনি নিজে ঈশ্বর সম্বন্ধে যা শিখেছিলেন, তা অন্যদেরকে জানাতে চাইতেন। তার পরিবার এবং বন্ধুবান্ধব সেই সময় কতই-না আঘাত পান, যখন স্মিতা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে এক সপ্তাহের মধ্যে মারা যান!
জেমস ও তার স্ত্রী, যাদের বয়স ৩০-এর কোঠায়, তাদেরও স্মিতার মতো সুনাম ছিল। কোনো এক বসন্তকালে তারা তাদের বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে দেখা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলে গিয়েছিলেন। কিন্তু, তারা আর কখনোই নিউ ইয়র্কে তাদের বাড়িতে ফিরে আসতে পারেননি। পথে তারা এক গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন আর এতে তাদের প্রিয়জন ও সেইসঙ্গে সহকর্মীরা প্রচণ্ড কষ্ট পেয়েছিলেন।
আজকে চারিদিকে যে মন্দতা ও দুঃখকষ্ট ছেয়ে রয়েছে, তা বোঝার জন্য বেশি দূরে যেতে হয় না। যুদ্ধে সাধারণ লোকেদের পাশাপাশি সৈন্যরাও মারা যাচ্ছে। নির্দোষ লোকেরা অপরাধ ও দৌরাত্ম্যের শিকার হচ্ছে। যেকোনো বয়সের এবং স্তরের লোকেরা মারাত্মক দুর্ঘটনা ও এমন অসুস্থতার শিকার হয়, যা তাদের অক্ষম করে দেয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সমস্ত ধরনের লোকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ছাড়া, চারিদিকে ব্যাপকভাবে ভেদাভেদ ও অবিচার দেখা যায়। আপনি নিজেও হয়তো এগুলোর মধ্যে কোনো একটার শিকার হয়েছেন।
তাই, এই ধরনের প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা খুবই স্বাভাবিক:
কেন ভালো লোকেদের প্রতি মন্দ বিষয়গুলো ঘটে?
এগুলোর জন্য কি ঈশ্বর দায়ী?
দুর্যোগগুলো কি এমনি এমনি ঘটে, না কি সেগুলো মানুষের কারণে ঘটে?
ব্যক্তিগতভাবে আমরা যে-দুঃখকষ্ট ভোগ করি, সেটার কারণ কি পূর্বজন্মের কর্মফল?
যদি একজন সর্বশক্তিমান ঈশ্বর থেকে থাকেন, তাহলে কেন তিনি ভালো লোকেদের দুর্যোগ থেকে রক্ষা করেন না?
আমাদের জীবন থেকে মন্দতা ও দুঃখকষ্ট কি কখনো শেষ হবে?
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর জানার জন্য প্রথমে আমাদের দুটো মৌলিক প্রশ্নের উত্তর জানতে হবে: কেন মন্দ বিষয়গুলো ঘটে আর ঈশ্বর কী করবেন? (w১৪-E ০৭/০১)
a নামগুলো পরিবর্তন করা হয়েছে।