ঐশিক প্রজ্ঞার শ্রেষ্ঠ মূল্য
১ কিছু লোক মনে করে যে, যিহোবার সাক্ষিদের উচিত আজকে মানবজাতি যে-সমস্যাগুলোর মুখোমুখি হচ্ছে সেগুলো দূর করতে সাহায্য করায় তাদের প্রচেষ্টাকে আরও সরাসরি কেন্দ্রীভূত করা। এই ধরনের লোকেরা আমাদের বাইবেল শিক্ষা কার্যক্রমের শ্রেষ্ঠ মূল্য উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হয়। প্রেরিত পৌল ঠিক এই বিষয়টাই লিখেছিলেন: “সেই ক্রুশের কথা, যাহারা বিনাশ পাইতেছে, তাহাদের কাছে মূর্খতা, কিন্তু পরিত্রাণ পাইতেছি যে আমরা, আমাদের কাছে তাহা ঈশ্বরের পরাক্রমস্বরূপ।” (১ করি. ১:১৮) প্রকৃতপক্ষে আমরা জানি যে, খ্রিস্টীয় পরিচর্যা হচ্ছে আজকে পৃথিবীতে সম্পাদিত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
২ এখনই আরও উত্তম এক জীবন: মানবজাতির সমস্যাগুলো সমাধানে মানুষের প্রচেষ্টাগুলো খুব সীমিত ফল উৎপন্ন করেছে। অপরাধদমন আইনগুলো অপরাধের বৃদ্ধিকে ঠেকাতে পারেনি। বিভিন্ন শান্তি চুক্তি এবং শান্তিরক্ষী বাহিনী যুদ্ধের শেষ আনতে পারেনি। সামাজিক কার্যক্রমগুলো দরিদ্রতা নির্মূল করতে ব্যর্থ হয়েছে। (গীত. ১৪৬:৩, ৪; যির. ৮:৯) এর বৈসাদৃশ্যে, রাজ্যের বার্তা লক্ষ লক্ষ লোককে ঈশ্বরের কাছে গ্রহণযোগ্য নতুন ব্যক্তিত্ব পরিধান করতে সাহায্য করে তাদের জীবনকে রূপান্তরিত করেছে। (রোমীয় ১২:২; কল. ৩:৯, ১০) ফলে, তারা এখনই এক উন্নত মানের জীবন উপভোগ করে।—১ তীম. ৪:৮.
৩ এক উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ: জীবনের প্রতিদ্বন্দ্বিতাগুলো মোকাবিলা করতে সাহায্য করা ছাড়াও, ঐশিক প্রজ্ঞা ভবিষ্যতের জন্য কার্যকর পরিকল্পনা করতে আমাদের সাহায্য করে। (গীত. ১১৯:১০৫) এটা আমাদেরকে বর্তমান বিধিব্যবস্থার সংস্কারসাধনের জন্য অসার বা ব্যর্থ প্রচেষ্টা করা থেকে বিরত রাখে। (উপ. ১:১৫; রোমীয় ৮:২০) আমরা কতই না কৃতজ্ঞ যে, আমরা সেই লক্ষ্যগুলোর পিছনে ছুটে আমাদের জীবন নষ্ট করছি না, যেগুলো কেবল এক মোহ! এর পরিবর্তে, আমরা “নূতন আকাশমণ্ডলের ও নূতন পৃথিবীর” বিষয়ে যিহোবার নিশ্চিত প্রতিজ্ঞার ওপর আমাদের প্রচেষ্টাকে কেন্দ্রীভূত করি, যেখানে ধার্মিকতা বসতি করবে। যিহোবার বিচার দিন যখন উপস্থিত হবে, তখন এটা নির্ভুলভাবে স্পষ্ট হবে যে, যারা ঐশিক প্রজ্ঞার ওপর নির্ভর করেছিল তাদের মনোনয়ন সঠিক ছিল।—২ পিতর ৩:১০-১৩; গীত. ৩৭:৩৪.
৪ ঐশিক প্রজ্ঞা যদিও ‘এই যুগের জ্ঞানের’ বা প্রজ্ঞার দ্বারা পরিচালিত ব্যক্তিদের কাছে বাস্তবসম্মত মনে না-ও হতে পারে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে অনুসরণের জন্য এটাই একমাত্র বাস্তবসম্মত পথ। (১ করি. ১:২১; ২:৬-৮) তাই, আমরা পৃথিবীব্যাপী ক্রমাগত সেই বার্তা ঘোষণা করে চলি, যেটার উৎস হলেন ঈশ্বর যিনি “একমাত্র প্রজ্ঞাবান্।”—রোমীয় ১৬:২৭.