অল্পবয়সিরা—তোমাদের আধ্যাত্মিক লক্ষ্য কী?
১ যিহোবা জানেন, সুখ বয়ে নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অর্থপূর্ণ কাজ এবং অর্জনসাধ্য লক্ষ্যগুলো কতটা গুরুত্বপূর্ণ। (দেখুন, আদিপুস্তক ১:২৮; ২:১৫, ১৯.) বর্তমানে, যিহোবা তাঁর লোকেদের প্রচার করার ও শিক্ষা দেওয়ার কার্যভার দিয়েছেন। এ ছাড়া, আমাদের পরমদেশে অনন্তজীবন লাভ করার চূড়ান্ত লক্ষ্যও রয়েছে। সেই সময়ের মধ্যে, আমরা যদি ভুল পথে আমাদের শক্তি ও সম্পদ ব্যয় করতে না চাই, তাহলে আমাদের অগ্রগতিশীল বিভিন্ন আধ্যাত্মিক লক্ষ্য স্থাপন করতে হবে।—১ করি. ৯:২৬.
২ অল্পবয়সিদের জন্য বাস্তবসম্মত লক্ষ্যগুলো: অল্পবয়সিদের এমন ঈশতান্ত্রিক লক্ষ্যগুলো স্থাপন করা উচিত, যেগুলোতে তাদের নিজ নিজ ক্ষমতা অনুযায়ী পৌঁছানো সম্ভব। (১ তীম. ৪:১৫) কিছু ছোট্ট ছেলে-মেয়ে এমনকী পড়তে শেখার আগেই বাইবেলের বইয়ের নামগুলো মুখস্থ বলার লক্ষ্য অর্জন করেছে। পারিবারিক অধ্যয়নের মাধ্যমে সন্তানরা বিভিন্ন সভার জন্য প্রস্তুতি নিতে শেখে, যেন তারা অর্থপূর্ণ মন্তব্য করার এবং ঐশিক পরিচর্যা বিদ্যালয়-এ নাম লেখানোর লক্ষ্য পূরণ করতে পারে। সন্তানরা যখন তাদের বাবা-মায়ের সঙ্গে ক্ষেত্রের পরিচর্যায় যায়, তখন তারা অবাপ্তাইজিত প্রকাশক হওয়ার লক্ষ্যে উন্নতি করার সময় তারা সাক্ষ্য দেওয়ার কাজে অংশ নিতে শেখে। বাবা-মায়েরা তাদের অল্পবয়সি সন্তানদেরকে উৎসর্গীকরণ ও বাপ্তিস্ম গ্রহণের লক্ষ্য স্থাপন করার জন্য বলতে পারে।
৩ অল্পবয়সেই যিশুর উদাহরণ অনুকরণ করার জন্য প্রচেষ্টা করো। এমনকী ১২ বছর বয়সেই যিশু আধ্যাত্মিক বিষয়ে নির্দ্বিধায় কথা বলেছিলেন। (লূক ২:৪২-৪৯, ৫২) ব্যক্তিগত অধ্যয়নের, প্রতিদিন বাইবেল পড়ার এবং সভায় ও পরিচর্যায় পরিপক্ব খ্রিস্টানদের সঙ্গে নিয়মিতভাবে মেলামেশা করার উপকারী লক্ষ্য স্থাপন করা, তোমাকে যিশুর মতো অন্যদেরকে ঈশ্বরের রাজ্য সম্বন্ধে শিক্ষা দেওয়ার দক্ষতা অর্জন করতে সাহায্য করবে।