কার্যসাধনের এক বৃহৎ দ্বার খোলা রয়েছে
সুসমাচারের এক উদ্যোগী প্রচারক হিসেবে, পৌল আগ্রহ সহকারে সেই সমস্ত এলাকা খুঁজে বের করেছিলেন, যেখানে রাজ্যের প্রকাশকদের বেশি প্রয়োজন ছিল আর এইরকম একটা শহর ছিল ইফিষ। সেখানে প্রচার করে তিনি এতটা সফল হয়েছিলেন যে, তিনি সহখ্রিস্টানদের লিখেছিলেন: “আমার সম্মুখে এক দ্বার খোলা রহিয়াছে, তাহা বৃহৎ ও কার্য্যসাধক।” (১ করি. ১৬:৯) পৌল সেই এলাকায় ক্রমাগতভাবে পরিচর্যা করে চলেছিলেন এবং অনেক ইফিষীয় ব্যক্তিকে বিশ্বাসী হতে সাহায্য করেছিলেন। (প্রেরিত ১৯:১-২০, ২৬) আজকেও আমাদের সামনে এক বৃহৎ দ্বার খোলা হয়েছে, যা কার্যসাধনের দিকে পরিচালিত করে। কোনো মণ্ডলীর এলাকার অন্তর্ভুক্ত নয় এমন জায়গাগুলোতে সাক্ষ্যদানের বিশেষ অভিযানের মাধ্যমে অনেক আগ্রহী ব্যক্তিদের খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। তাই, কদাচিৎ কাজ করা হয়েছে এমন এলাকায় সুসমাচার ছড়িয়ে দেওয়ার এবং আগ্রহী ব্যক্তিদের কাছে ফিরে যাওয়ার কাজে সাহায্য করার সুযোগ আমাদের রয়েছে।—তুলনা করুন, ২ করিন্থীয় ৮:১৩-১৫.
আপনি কি যেখানে বেশি প্রয়োজন, সেখানে গিয়ে সেবা করতে পারেন? আপনি কি অন্য কোথাও সেবা করার বিষয়টা প্রার্থনাপূর্বক বিবেচনা করেছেন? সাম্প্রতিক দশকগুলোতে, পৃথিবীব্যাপী হাজার হাজার খ্রিস্টীয় পরিবার শস্যচ্ছেদনের কাজে পূর্ণরূপে অংশ নেওয়ার জন্য এমন জায়গাগুলোতে গিয়েছে, যেখানে বেশি প্রয়োজন রয়েছে। এই কাজ করেছিলেন এমন এক দম্পতি বলেন: “আমরা এমন জায়গায় যিহোবার সেবা করতে চেয়েছিলাম, যেখানে আমরা তা সর্বোত্তমভাবে করতে পারি।” আপনার যদি এইরকম আকাঙ্ক্ষা থাকে এবং অন্য কোনো জায়গায় চলে যাওয়া যদি আপনার পক্ষে সম্ভব হয়, তাহলে আপনার মণ্ডলীর প্রাচীনদের সঙ্গে এই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করুন। এরপর, সীমা অধ্যক্ষের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলে দেখুন যে, তিনি কী পরামর্শ দেন।
আপনি যদি শাখা অফিসের কাছ থেকে জানতে চান যে, কোথায় রাজ্যের প্রকাশকদের বেশি প্রয়োজন রয়েছে, তাহলে আপনার ইচ্ছার বিষয়ে জানিয়ে একটা চিঠি লিখে মণ্ডলীর পরিচর্যা কমিটিকে দিন। তারা সেটার সঙ্গে তাদের মন্তব্য অন্তর্ভুক্ত করে শাখা অফিসে পাঠিয়ে দেবেন। আমাদের পরিস্থিতি যা-ই হোক না কেন, যতক্ষণ পর্যন্ত কার্যসাধনের বৃহৎ দ্বার খোলা রয়েছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা সকলে যেন যিহোবার সেবায় ব্যস্ত থাকি।—১ করি. ১৫:৫৮.