ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w24 জুলাই পৃষ্ঠা ২০-২৫
  • ইজরায়েলের রাজাদের কাছ থেকে শিখুন

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • ইজরায়েলের রাজাদের কাছ থেকে শিখুন
  • প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য সম্বন্ধে ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০২৪
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • তারা সম্পূর্ণ হৃদয় দিয়ে যিহোবাকে ভালোবেসেছিলেন
  • তারা সম্পূর্ণ হৃদয় থেকে অনুতপ্ত হয়েছিলেন
  • তারা সত্য উপাসনাকে সমর্থন করেছিলেন
  • জীবনের শেষ সময়ে বলা বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের কথা থেকে শিখুন
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য সম্বন্ধে ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০২৪
  • যিহোবা হলেন “জীবন্ত ঈশ্বর”—এটা মনে রাখুন
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য সম্বন্ধে ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০২৪
  • যে-সিদ্ধান্তগুলো দেখায়, আমরা যিহোবার উপর নির্ভর করি
    আমাদের খ্রিস্টীয় জীবন ও পরিচর্যা—সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা ২০২৩
  • এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজুন
    ২০২৫-২০২৬ সালের সীমা সম্মেলনের বিষয়সূচি—সীমা অধ্যক্ষের সঙ্গে
আরও দেখুন
প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য সম্বন্ধে ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০২৪
w24 জুলাই পৃষ্ঠা ২০-২৫

অধ্যয়ন প্রবন্ধ ৩০

গান ৩৬ আমরা আমাদের হৃদয়কে রক্ষা করি

ইজরায়েলের রাজাদের কাছ থেকে শিখুন

“তখন তোমরা ফিরিয়া আসিবে, এবং ধার্ম্মিক ও দুষ্টের মধ্যে, যে ঈশ্বরের সেবা করে, ও যে তাঁহার সেবা না করে, উভয়ের মধ্যে প্রভেদ দেখিবে।”—মালাখি ৩:১৮.

আমরা কী শিখব?

আমরা শিখব যে, কেন যিহোবা ইজরায়েলের কিছু রাজাকে ভালো এবং কিছু রাজাকে মন্দ বলেছিলেন। এর ফলে আমরা বুঝতে পারব, বর্তমানে যিহোবা তাঁর উপাসকদের কাছ থেকে কী চান।

১-২. বাইবেলে ইজরায়েলের কিছু রাজার বিষয়ে কী বলা হয়েছে?

বাইবেলে বলা হয়েছে, ইজরায়েলে প্রায় ৪০ জন রাজা রাজত্ব করেছিলেন।a তাদের মধ্যে কিছু জনের বিষয়ে বাইবেলে বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে। যেমন এটিতে বলা হয়েছে, কিছু ভালো রাজাও কখনো কখনো মন্দ কাজ করেছিলেন। দায়ূদের কথা চিন্তা করুন, যিনি একজন ভালো রাজা ছিলেন। যিহোবা তার বিষয়ে বলেছিলেন, ‘আমার দাস দায়ূদ . . . আমার আজ্ঞাগুলো পালন করে গিয়েছিল এবং সম্পূর্ণ হৃদয় দিয়ে আমার দেখানো পথে চলেছিল। সে আমার দৃষ্টিতে যা সঠিক, কেবল তা-ই করত।’ (১ রাজা. ১৪:৮, NW) কিন্তু, দায়ূদ কিছু মন্দ কাজও করেছিলেন। তিনি এক বিবাহিত মহিলার সঙ্গে ব্যভিচার করেছিলেন এবং ষড়যন্ত্র করে তার স্বামীকে যুদ্ধে হত্যা করিয়েছিলেন।—২ শমূ. ১১:৪, ১৪, ১৫.

২ আবার ইজরায়েলে এমন কিছু রাজাও ছিলেন, যারা যিহোবার প্রতি বিশ্বস্ত ছিলেন না, কিন্তু কিছু ভালো কাজ করেছিলেন। যেমন, রাজা রহবিয়ামের উদাহরণের উপর মনোযোগ দিন। যিহোবার দৃষ্টিতে “রহবিয়াম মন্দ কাজ” করেছিলেন। (২ বংশা. ১২:১৪, NW) কিন্তু, তিনি যিহোবার আজ্ঞাও পালন করেছিলেন। যেমন, যিহোবার কথা অনুযায়ী তিনি ইজরায়েলের ১০ বংশের রাজ্যের সঙ্গে যুদ্ধ করেননি এবং তাদের নিজেদের জন্য একজন রাজাকে বেছে নিতে দিয়েছিলেন। এ ছাড়া, তিনি বিভিন্ন নগরে প্রাচীর নির্মাণ করেছিলেন এবং সেগুলো দৃঢ় করেছিলেন।—১ রাজা. ১২:২১-২৪; ২ বংশা. ১১:৫-১২.

৩. ইজরায়েলের রাজাদের বিষয়ে কোন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ওঠে আর এই প্রবন্ধে আমরা কী জানতে পারব?

৩ আমরা দেখেছি যে, ইজরায়েলের রাজারা ভালো কাজ করার পাশাপাশি কিছু মন্দ কাজও করেছে। কিন্তু একটা প্রশ্ন আসে, কেন যিহোবা ইজরায়েলের কিছু রাজাকে ভালো বা বিশ্বস্ত বলেছিলেন এবং কিছু রাজাকে মন্দ বলেছিলেন? এই প্রশ্নের উত্তর জানলে আমরা বুঝতে পারব যে, যিহোবাকে খুশি করার জন্য আমাদের কেমন ব্যক্তি হতে হবে। আমরা তিনটে বিষয়ের উপর মনোযোগ দেব, যেগুলোর উপর ভিত্তি করে যিহোবা নির্ধারণ করেছিলেন যে, একজন রাজা ভালো না মন্দ। (১) তিনি যিহোবাকে সম্পূর্ণ হৃদয় দিয়ে ভালোবাসতেন কি না? (২) তিনি তার মন্দ কাজের জন্য অনুতপ্ত হয়েছিলেন কি না? (৩) তিনি সত্য উপাসনাকে সমর্থন করেছিলেন কি না?

তারা সম্পূর্ণ হৃদয় দিয়ে যিহোবাকে ভালোবেসেছিলেন

৪. যে-রাজারা বিশ্বস্ত ছিলেন এবং যে-রাজারা বিশ্বস্ত ছিলেন না, তাদের মধ্যে কোন পার্থক্য ছিল?

৪ যিহোবা সেই রাজাদের উপর খুবই সন্তুষ্ট ছিলেন, যারা সম্পূর্ণ হৃদয়b দিয়ে তাঁকে সেবা করত। যেমন যিহোশাফট একজন ভালো রাজা ছিলেন, তিনি “সম্পূর্ণ হৃদয় দিয়ে যিহোবার অনুসন্ধান করতেন।” (২ বংশা. ২২:৯, NW) যোশিয়ের বিষয়ে বাইবেলে এভাবে লেখা রয়েছে, ‘যোশিয়ের আগে এমন কোনো রাজা ছিলেন না, যিনি সমস্ত হৃদয়ের . . . সঙ্গে যিহোবার কাছে ফিরে এসেছিলেন।’ (২ রাজা. ২৩:২৫, NW) শলোমনের বিষয়ে কী বলা যায়, যিনি তার বৃদ্ধ বয়সে খারাপ কাজ করেছিলেন? বাইবেলে লেখা আছে, শলোমন “সম্পূর্ণ হৃদয় দিয়ে” “তার ঈশ্বর যিহোবার সেবা করলেন না।” (১ রাজা ১১:৪, NW) এ ছাড়া, রাজা অবিয়ামও যিহোবার প্রতি বিশ্বস্ত ছিলেন না। বাইবেলে লেখা আছে, অবিয়াম “সম্পূর্ণ হৃদয় দিয়ে ঈশ্বরের সেবা . . . করলেন না।”—১ রাজা. ১৫:৩, NW.

৫. সম্পূর্ণ হৃদয় দিয়ে যিহোবাকে ভালোবাসার মানে কী?

৫ একজন ব্যক্তি যখন সম্পূর্ণ হৃদয় দিয়ে যিহোবাকে ভালোবাসে, তখন তিনি কেবলমাত্র কর্তব্যের খাতিরে তাঁকে সেবা করেন না বরং মনপ্রাণ দিয়ে তাঁর প্রতি ভক্তি দেখান। আর তিনি সারাজীবন ধরে উদ্যোগের সঙ্গে এবং তাঁকে ভালোবেসে তাঁর সেবা করেন।

৬. সম্পূর্ণ হৃদয় দিয়ে যিহোবাকে ভালোবাসার জন্য আমাদের কী করতে হবে? (হিতোপদেশ ৪:২৩; মথি ৫:২৯, ৩০)

৬ কীভাবে আমরা সেই বিশ্বস্ত রাজাদের মতো হতে পারি, যারা সম্পূর্ণ হৃদয় দিয়ে যিহোবাকে ভালোবাসতেন? আমাদের সেই বিষয়গুলো থেকে দূরে থাকতে হবে, যেগুলোর কারণে যিহোবার প্রতি আমাদের ভালোবাসা কমে যেতে পারে। যেমন, আমরা খেয়াল রাখতে পারি, আমরা কাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করছি? আমরা কি সবসময় ধনী হওয়ার বিষয়ে চিন্তা করছি? টিভি অথবা ইন্টারনেটে আমরা কোন বিষয়গুলো দেখছি? আমরা যদি বুঝতে পারি, এই কারণগুলো অথবা অন্য কোনো কারণে যিহোবার প্রতি আমাদের ভালোবাসা ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে, তা হলে আমাদের দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে এবং এই বিষয়গুলো থেকে দূরে থাকতে হবে।—পড়ুন, হিতোপদেশ ৪:২৩; মথি ৫:২৯, ৩০.

৭. কেন আমাদের মন্দ বিষয়গুলো থেকে দূরে থাকতে হবে?

৭ আমাদের খেয়াল রাখতে হবে যেন আমাদের হৃদয় বিভক্ত হয়ে না পড়ে এবং আমরা সম্পূর্ণ হৃদয় দিয়ে যিহোবাকে ভালোবাসতে পারি। আমরা যদি সতর্ক না থাকি, তা হলে আমরা এ-রকম চিন্তা করতে পারি, আমরা যিহোবার সেবায় ব্যস্ত রয়েছি বলে খারাপ বিষয়গুলো আমাদের উপর প্রভাব ফেলতে পারবে না। এটা চিন্তা করা আমাদের জন্য অনেক বড়ো ভুল হবে। এটা বোঝার জন্য একটা উদাহরণ লক্ষ করুন। চিন্তা করুন, আপনি অনেক পরিশ্রম করে নিজের ঘর পরিষ্কার করেছেন। কিন্তু, ঘরের জানালা যদি আপনি খোলা রেখে দেন, তা হলে কী হবে? বাতাস বইবে এবং আপনার ঘরে ধুলো জমে যাবে। ঈশ্বরের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রেও এমনটা হতে পারে। ঈশ্বরের সঙ্গে আমাদের এক দৃঢ় সম্পর্ক রাখার পাশাপাশি মনের জানালাও বন্ধ রাখতে হবে, যাতে শয়তানের জগতের ধুলো আমাদের মনের ভিতরে প্রবেশ করতে না পারে। যদি এমনটা না করি, তা হলে আমাদের হৃদয় বিভক্ত হতে পারে এবং যিহোবার প্রতি আমাদের যে-ভালোবাসা রয়েছে, সেটা ধীরে ধীরে কমে যেতে পারে।—ইফি. ২:২.

তারা সম্পূর্ণ হৃদয় থেকে অনুতপ্ত হয়েছিলেন

৮-৯. রাজা দায়ূদ এবং রাজা হিষ্কিয়কে যখন সংশোধন করা হয়েছিল, তখন তারা কী করেছিলেন? ( ছবিটা দেখুন।)

৮ যেমন আমরা দেখেছি, রাজা দায়ূদ গুরুতর পাপ করেছিলেন। কিন্তু, যখন নাথন এসে তার ভুল ধরিয়ে দিয়েছিলেন এবং তাকে সংশোধন করেছিলেন, তখন তিনি নম্র হয়ে অনুতপ্ত হয়েছিলেন। (২ শমূ. ১২:১৩) দায়ূদের এই অনুতাপ লোক-দেখানো ছিল না, যাতে নাথন দায়ূদের উপর বিশ্বাস করেন এবং দায়ূদ শাস্তি থেকে রেহাই পেয়ে যান। ৫১ গীতে দায়ূদ যে-কথাগুলো লিখেছিলেন, তা থেকে আমার বুঝতে পারি যে, দায়ূদ নিজের কাজের জন্য আপশোস করেছিলেন এবং হৃদয় থেকে অনুতপ্ত হয়েছিলেন।—গীত. ৫১:৩, ৪, ১৭, শীর্ষলিখন।

৯ রাজা হিষ্কিয় পাপ করেছিলেন এবং যিহোবাকে দুঃখ দিয়েছিলেন। বাইবেলে লেখা আছে, “তার মন অহংকারে ভরে গেল। তাই, তার বিরুদ্ধে এবং যিহূদা ও জেরুসালেমের বিরুদ্ধে ঈশ্বরের ক্রোধের আগুন জ্বলে উঠল।” (২ বংশা. ৩২:২৫, NW) কেন হিষ্কিয়ের মন অহংকারে ভরে গিয়েছিল? হয়তো তিনি তার ধনসম্পদ নিয়ে গর্ব করতে শুরু করেছিলেন। আবার এটাও হতে পারে, তিনি অশূরীয়দের উপর বিজয় লাভ করার কারণে গর্বিত হয়ে পড়েছিলেন। যা-ই হোক না কেন, তিনি গর্বিত মনোভাবের কারণেই ব্যাবিলনের লোকদের তার সমস্ত ধনসম্পদ দেখিয়েছিলেন। সেই জন্য যিহোবা ভাববাদী যিশাইয়ের মাধ্যমে তার চিন্তাভাবনা সংশোধন করেছিলেন। (২ রাজা. ২০:১২-১৮) তখন হিষ্কিয় দায়ূদের মতো নম্র হয়ে নিজের ভুল স্বীকার করেছিলেন এবং অনুতপ্ত হয়েছিলেন। (২ বংশা. ৩২:২৬) তা হলে, যিহোবার চোখে হিষ্কিয় কেমন ব্যক্তি ছিলেন? বাইবেল বলে, তিনি একজন ভালো রাজা ছিলেন এবং “যিহোবার দৃষ্টিতে যা সঠিক, তা করে” চলেছিলেন।—২ রাজা. ১৮:৩, NW.

কোলাজ: ১. ভাববাদী নাথন রাজা দায়ূদের সঙ্গে কথা বলছেন। দায়ূদ যা করেছেন, সেটার জন্য তিনি অনুতপ্ত এবং তিনি উপরের দিকে তাকিয়ে আছেন। ২. ভাববাদী যিশাইয় রাজা হিষ্কিয়ের সঙ্গে কথা বলছেন। হিষ্কিয় মাথায় হাত দিয়ে রয়েছেন এবং তিনি অনেক দুঃখিত।

রাজা দায়ূদ এবং রাজা হিষ্কিয়কে যখন সংশোধন করা হয়েছিল, তখন তারা নম্র হয়ে নিজেদের ভুল স্বীকার করেছিলেন এবং অনুতপ্ত হয়েছিলেন (৮-৯ অনুচ্ছেদ দেখুন)


১০. যখন অমৎসিয়কে তার ভুল ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তখন তিনি কী করেছিলেন?

১০ যিহূদার রাজা অমৎসিয়, দায়ূদ ও হিষ্কিয়ের চেয়ে একেবারেই আলাদা ছিলেন। যদিও তিনি যিহোবার চোখে সঠিক কাজ করেছিলেন, “কিন্তু সম্পূর্ণ হৃদয় দিয়ে নয়।” (২ বংশা. ২৫:২, NW) তিনি কোন ভুল করেছিলেন? যিহোবা অমৎসিয়কে ইদোমীয়দের উপর বিজয় লাভ করতে সাহায্য করেছিলেন। কিন্তু, এরপর তিনি তাদের দেবতাদের উপাসনা করতে শুরু করেছিলেন।c পরে যখন যিহোবার ভাববাদী এসে তার ভুল ধরিয়ে দিয়েছিলেন তখন তিনি তার উপরে রেগে গিয়েছিলেন এবং তার কোনো কথা শোনেননি।—২ বংশা. ২৫:১৪-১৬.

১১. দ্বিতীয় করিন্থীয় ৭:৯, ১১ পদ অনুযায়ী যিহোবার ক্ষমা পাওয়ার জন্য আমাদের কী করতে হবে? (ছবিগুলোও দেখুন।)

১১ ইজরায়েলের রাজাদের কাছ থেকে আমরা কী শিখতে পারি? যখন আমরা কোনো ভুল করে ফেলি, তখন আমরা সম্পূর্ণ হৃদয় থেকে অনুতপ্ত হতে পারি এবং প্রচেষ্টা করতে পারি, যাতে সেই একই ভুল আবারও না করি। কিন্তু, যদি প্রাচীনেরা আমাদের এমন কোনো বিষয়ে পরামর্শ দেয়, যেটা আমাদের মনে হয় খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, তখন আমাদের কী করা উচিত? এইরকম পরিস্থিতিতে আমরা এমনটা চিন্তা করব না যে, প্রাচীনেরা আমাদের পছন্দ করেন না অথবা যিহোবা আমাদের ভালোবাসেন না। মনে করে দেখুন, ভালো রাজাদেরও পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল এবং তাদের চিন্তাভাবনা সংশোধন করা হয়েছিল। (ইব্রীয় ১২:৬) তাই যখন আমাদের সংশোধন করা হয়, তখন আমাদের (১) নম্র হয়ে ভুল স্বীকার করতে হবে, (২) প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করতে হবে এবং (৩) সম্পূর্ণ হৃদয় দিয়ে যিহোবার সেবা করে যেতে হবে। যদি আমরা হৃদয় থেকে অনুতপ্ত হই, তা হলে যিহোবা অবশ্যই আমাদের ক্ষমা করে দেবেন।—পড়ুন, ২ করিন্থীয় ৭:৯, ১১.

কোলাজ: ১. একজন যুবকবয়সি প্রাচীন এক ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলছেন। সেই ভাই একটা বোতল এবং তার পাশে রাখা একটা গ্লাস দেখছেন, যেটাতে অল্প মদ রয়েছে। ২. তিনি বাইবেল এবং “চিরকাল জীবন উপভোগ করুন!” বইয়ের ৪৩ পাঠ থেকে গবেষণা করছেন। ৩. সেই ভাই ওই যুবকবয়সি প্রাচীনের সঙ্গে ঘরে ঘরে প্রচার করছেন।

যখন আমাদের সংশোধন করা হয়, তখন আমাদের (১) নম্র হয়ে ভুল স্বীকার করতে হবে, (২) প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করতে হবে এবং (৩) সম্পূর্ণ হৃদয় দিয়ে যিহোবার সেবা করে যেতে হবে। (১১ অনুচ্ছেদ দেখুন)f


তারা সত্য উপাসনাকে সমর্থন করেছিলেন

১২. কিছু রাজা কী করেছিলেন, যে-কারণে যিহোবা তাদের বিশ্বস্ত হিসেবে দেখেছিলেন?

১২ যে-রাজারা সঠিক উপায়ে যিহোবার উপাসনা করতেন, তাদের তিনি বিশ্বস্ত বলে মনে করেছিলেন। এই রাজারা কেবলমাত্র নিজেরাই যিহোবার উপাসনা করেননি, কিন্তু সেইসঙ্গে তাদের প্রজাদেরও তা করতে উৎসাহিত করেছিলেন। তারা কিছু ভুল করেছিলেন ঠিকই, কিন্তু তারা শুধুমাত্র যিহোবার উপাসনা করেছিলেন এবং তারা ইজরায়েল থেকে প্রতিমাপূজা দূর করার জন্য তাদের যথাসাধ্য করেছিলেন।d

১৩. যিহোবা কেন রাজা আহাবকে বিশ্বস্ত হিসেবে দেখেননি?

১৩ কিন্তু, কিছু রাজাকে যিহোবা বিশ্বস্ত হিসেবে দেখেননি। কেন? তারা যে সবসময় মন্দ কাজ করেছিলেন, এমন নয়। উদাহরণ হিসেবে, দুষ্ট রাজা আহাবের কথা চিন্তা করুন। তিনি কিছুটা হলেও নম্র ছিলেন। যেমন, যখন তিনি জানতে পেরেছিলেন যে, তার কারণে নাবোতকে হত্যা করা হয়েছিল, তখন তিনি খুবই আপশোস করেছিলেন। (১ রাজা. ২১:২৭-২৯) তিনি কিছু ভালো কাজও করেছিলেন, যেমন তিনি নগর তৈরি করেছিলেন এবং অনেক যুদ্ধে ইজরায়েলীয়দের বিজয় লাভ করতে সাহায্য করেছিলেন। (১ রাজা. ২০:২১, ২৯; ২২:৩৯) কিন্তু, তিনি নিজের স্ত্রীর কথা শুনে মিথ্যা উপাসনা করতে শুরু করেছিলেন এবং অন্যদেরও তা করতে উৎসাহিত করেছিলেন। তার এই ভুলের জন্য তিনি কখনো অনুতপ্ত হননি।—১ রাজা. ২১:২৫, ২৬.

১৪. (ক) কেন যিহোবা রাজা রহবিয়ামকে বিশ্বস্ত হিসেবে দেখেননি? (খ) যে-রাজারা যিহোবার প্রতি বিশ্বস্ত থাকেননি, তাদের মধ্যে বেশিরভাগ রাজা কী করেছিলেন?

১৪ আসুন আমরা আরেকজন রাজার ওপর মনোযোগ দিই, যিনি যিহোবার প্রতি বিশ্বস্ত ছিলেন না। তিনি ছিলেন রহবিয়াম। তিনি অনেক ভালো কাজ করেছিলেন, কিন্তু যখন তার রাজত্ব দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, তখন তিনি যিহোবার ব্যবস্থা পালন করা ছেড়ে দিয়েছিলেন। (২ বংশা. ১২:১) এর পর থেকে কখনো কখনো তিনি যিহোবার উপাসনা করতেন আবার কখনো কখনো তিনি মিথ্যা দেবতাদের উপাসনা করতেন। (১ রাজা. ১৪:২১-২৪) রহবিয়াম ও আহাব ছাড়াও এমন অনেক রাজা ছিলেন, যারা সত্য উপাসনা থেকে সরে গিয়েছিলেন। আসলে যে-রাজারা যিহোবার প্রতি বিশ্বস্ত থাকেননি, তাদের মধ্যে বেশিরভাগ রাজা মিথ্যা উপাসনাকে সমর্থন করেছিলেন এবং অন্যদেরও তা করতে উৎসাহিত করেছিলেন। তা হলে যিহোবা এটা কীভাবে নির্ধারণ করেছিলেন যে, একজন রাজা বিশ্বস্ত কি না? যিহোবা এই বিষয়টার উপর বিশেষ মনোযোগ দিয়েছিলেন যে, একজন রাজা সত্য উপাসনাকে সমর্থন করেন কি না।

১৫. যিহোবার কাছে কেন এটা গুরুত্বপূর্ণ যেন একজন ব্যক্তি সত্য উপাসনাকে সমর্থন করেন?

১৫ যিহোবার কাছে কেন এই বিষয়টা এতটা গুরুত্বপূর্ণ যে, শুধুমাত্র তাঁরই উপাসনা করা হোক? রাজাদের কথাই চিন্তা করুন, আসলে তাদেরই দায়িত্ব ছিল, লোকদের সত্য উপাসনা করার জন্য উৎসাহিত করা। কিন্তু, যদি রাজারা এটা করতে ব্যর্থ হত, তা হলে লোকেরা মিথ্যা উপাসনা করতে শুরু করত আর এর ফলে লোকেরা গুরুতর পাপ করতে এবং একে অন্যের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করতে শুরু করত। (হোশেয় ৪:১, ২) এই বিষয়েও চিন্তা করুন, রাজা ও প্রজারা উভয়ই যিহোবার কাছে উৎসর্গীকৃত ছিল। তাই তারা যদি যিহোবাকে ছেড়ে মিথ্যা দেবতাদের উপাসনা করতে শুরু করত, তা হলে তারা যিহোবার প্রতি অবিশ্বস্ত হয়ে পড়ত। (যির. ৩:৮, ৯) যেমন, একজন ব্যক্তি যদি তার বিবাহসাথির প্রতি অবিশ্বস্ত হয়ে পড়ে, তা হলে তার সাথি অনেক কষ্ট পায়। একইভাবে, যিহোবার একজন উৎসর্গীকৃত দাস তাঁকে ছেড়ে দিয়ে যখন অন্য দেবতাদের উপাসনা করতে শুরু করে, তখন যিহোবা অনেক কষ্ট পান।e—দ্বিতীয়. ৪:২৩, ২৪.

১৬. একজন ব্যক্তি ধার্মিক না দুষ্ট, এটা যিহোবা কীভাবে নির্ধারণ করেন?

১৬ আমরা কী শিখি? আমাদের দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ হতে হবে, যাতে আমরা কখনো মিথ্যা উপাসনাকে সমর্থন না করি। কিন্তু, আমাদের সত্য উপাসনাকেও সমর্থন করতে হবে এবং আরও বেশি করে যিহোবার সেবা করে চলতে হবে। ভাববাদী মালাখি বলেছিলেন যে, কীভাবে যিহোবা ভালো ও মন্দের মধ্যে পার্থক্য করেন। তিনি বলেছিলেন, “যে ঈশ্বরের সেবা করে,” সে তাঁর দৃষ্টিতে “ধার্মিক” এবং “যে তাঁহার সেবা না করে,” সে তাঁর দৃষ্টিতে ‘দুষ্ট।’ (মালাখি ৩:১৮) আমরা চাই যেন যিহোবা আমাদের ধার্মিক হিসেবে দেখেন, তাই কোনো কিছুকেই যেন আমরা তাঁর সেবার চেয়ে প্রথমে না রাখি। আমাদের নিজেদের ভুলগুলো এবং দুর্বলতাগুলোর জন্য এতটাও নিরুৎসাহিত হওয়া উচিত নয় যে, আমরা যিহোবার উপাসনা করাই ছেড়ে দেব। এমনটা করা যিহোবার চোখে গুরুতর পাপ হবে।

১৭. কেন আমাদের অনেক ভেবেচিন্তে বিবাহসাথি বাছাই করতে হবে?

১৭ আপনি কি অবিবাহিত এবং বিয়ে করার কথা চিন্তা করছেন? যদি তা-ই হয়, তা হলে মালাখির বলা কথাগুলো মাথায় রেখে কীভাবে আপনি একজন ভালো বিবাহসাথি খুঁজে পেতে পারেন? হয়তো একজন ব্যক্তির মধ্যে ভালো গুণগুলো রয়েছে, কিন্তু সেই ব্যক্তি যদি যিহোবার সেবা না করে, তা হলে কি সে ঈশ্বরের দৃষ্টিতে ধার্মিক হবে? (২ করি. ৬:১৪) আর আপনি যদি তাকে বিয়ে করেন, তা হলে সে কি যিহোবার প্রতি বিশ্বস্ত থাকতে আপনাকে সাহায্য করতে পারবে? একটু চিন্তা করে দেখুন, রাজা শলোমন যে-বিদেশী মহিলাদের বিয়ে করেছিলেন, তাদের মধ্যেও হয়তো কিছু ভালো গুণ ছিল। কিন্তু, তারা যিহোবার উপাসনা করত না আর তারা ধীরে ধীরে শলোমনের হৃদয়কে বিপথে নিয়ে গিয়েছিল এবং শলোমনও মিথ্যা উপাসনা করতে শুরু করেছিলেন।—১ রাজা. ১১:১, ৪.

১৮. বাবা-মায়েদের তাদের সন্তানদের কী শেখাতে হবে?

১৮ বাবা-মায়েরা, আপনারা আপনাদের সন্তানদের সঙ্গে বাইবেলে বলা ইজরায়েলের রাজাদের বিষয়ে আলোচনা করুন এবং তাদের উদ্যোগের সঙ্গে যিহোবার সেবা করতে উৎসাহিত করুন। তাদের বুঝতে সাহায্য করুন, যে-রাজারা সত্য উপাসনাকে সমর্থন করেছিলেন, তাদের যিহোবা খুব পছন্দ করতেন, কিন্তু যারা সত্য উপাসনাকে সমর্থন করেননি, তাদের তিনি পছন্দ করতেন না। নিজেদের কথা ও কাজের মাধ্যমে দেখান যে, যিহোবার সেবার সঙ্গে জড়িত কাজগুলো আপনাদের জীবনে সবচেয়ে প্রথমে রয়েছে। তাই নিয়মিত বাইবেল অধ্যয়ন করুন, সভায় যোগ দিন এবং প্রচার করুন। তা হলে, আপনার সন্তানেরাও এগুলো করতে শিখবে। (মথি ৬:৩৩) কিন্তু, আপনি যদি এগুলো না করেন, তা হলে আপনার সন্তানেরা হয়তো শুধুমাত্র আপনাকে দেখেই যিহোবার সেবা করবে। আর পরবর্তী সময়ে তারা হয়তো যিহোবাকে প্রথম স্থান দেওয়া বন্ধ করে দেবে এবং একসময় গিয়ে তারা হয়তো যিহোবার সেবা পুরোপুরিভাবে বন্ধ করে দেবে।

১৯. একজন ব্যক্তি যদি যিহোবার সেবা করা বন্ধ করে দেন, তা হলে তিনি কি আবারও তাঁর বন্ধু হয়ে উঠতে পারেন? (আপনি যিহোবার কাছে ফিরে আসতে পারেন! শিরোনামের বাক্সটা দেখুন।)

১৯ যে-লোকেরা যিহোবার সেবা করা বন্ধ করে দিয়েছে, তারা আবারও যিহোবার বন্ধু হয়ে উঠতে পারে। এর জন্য তাদের কী করতে হবে? তাদের হৃদয় থেকে অনুতপ্ত হতে হবে এবং আবারও যিহোবার উপাসনা শুরু করতে হবে। কিন্তু, এটা করার জন্য তাদের নম্র হতে হবে এবং প্রাচীনদের কাছ থেকে সাহায্য নিতে হবে। (যাকোব ৫:১৪) এটা করা তাদের জন্য সহজ না-ও হতে পারে। কিন্তু, এভাবেই তারা যিহোবার বন্ধু হয়ে উঠতে পারবে। এর চেয়ে আনন্দের বিষয় আর কি কিছু হতে পারে!

আপনি যিহোবার কাছে ফিরে আসতে পারেন!

রাজা মনঃশি “যিহোবার দৃষ্টিতে যা মন্দ, তা অনেক বড়ো আকারে করলেন আর এভাবে তাঁকে রাগিয়ে” তুলেছিলেন। তিনি “অসংখ্য নির্দোষ লোকের রক্তপাত করেছিলেন।” তিনি সমস্ত ধরনের জাদুবিদ্যা চর্চা করেছিলেন এবং নিজের ছেলেদের মিথ্যা দেব-দেবতার সামনে আগুনে পুড়িয়ে উৎসর্গ করেছিলেন। (২ রাজা. ২১:৬, ১৬, NW) তিনি যিহূদার লোকদের দিয়ে অনেক খারাপ খারাপ কাজ করিয়েছিলেন, যেগুলো আশেপাশের “জাতিগুলোর চেয়ে আরও মন্দ” ছিল। (২ রাজা. ২১:৯; ২ বংশা. ৩৩:১-৬) কিন্তু, যখন মনঃশিকে বন্দি করে ব্যাবিলনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তখন তিনি সেখানে অনুতপ্ত হয়েছিলেন। তিনি একবার নয় বরং বার বার যিহোবার কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন। আর এটা করা উপযুক্ত ছিল কারণ তিনি অনেক বছর ধরে গুরুতর পাপ করেছিলেন। তার এই ‘দুর্দশার সময়ে তিনি তার ঈশ্বর যিহোবার কাছে অনুগ্রহ চেয়ে কাকুতিমিনতি করেছিলেন আর তার পূর্বপুরুষদের ঈশ্বরের সামনে নিজেকে অনেক নত’ করেছিলেন। এর ফলাফল কী হয়েছিল? তার কাকুতি-মিনতি শুনে তার ওপর ঈশ্বরের মায়া হয়েছিল আর তিনি তাকে ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। শুধু তা-ই নয়, যিহোবা তাকে জেরুসালেমে ফিরিয়ে এনে তার রাজত্ব তাকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।—২ বংশা. ৩৩:১২, ১৩

যিহোবা সেই লোকদের সঙ্গে কীভাবে আচরণ করেন, যারা একসময় তাঁকে সেবা করা বন্ধ করে দিয়েছিল, কিন্তু পরে হৃদয় থেকে অনুতপ্ত হয়েছে? যিহোবা তাদের ক্ষমা করে দেন। যিশাইয় ৫৫:৭ পদে লেখা রয়েছে, “দুষ্ট আপন পথ, অধার্ম্মিক আপন সঙ্কল্প ত্যাগ করুক; এবং সে সদাপ্রভুর প্রতি ফিরিয়া আইসুক, তাহাতে তিনি তাহার প্রতি করুণা করিবেন; আমাদের ঈশ্বরের প্রতি ফিরিয়া আইসুক, কেননা তিনি প্রচুররূপে ক্ষমা করিবেন।” আপনি যদি যিহোবার কাছ থেকে দূরে চলে গিয়ে থাকেন, তা হলে দেরি না করে তাঁর কাছে ফিরে আসুন।

২০. আমরা যদি বিশ্বস্ত থাকি, তা হলে যিহোবা আমাদের সম্বন্ধে কী বলবেন?

২০ এই প্রবন্ধে আমরা শিখেছি যে, ইজরায়েলের ভালো রাজাদের মতো আমাদেরও সম্পূর্ণ হৃদয় দিয়ে যিহোবার উপাসনা করতে হবে। আর আমরা যদি কোনো ভুল করি, তা হলে আমাদের অনুতপ্ত হতে হবে এবং নিজেদের সংশোধন করতে হবে। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, আমাদের একমাত্র যিহোবারই উপাসনা করতে হবে। আর আপনি যদি যিহোবার প্রতি বিশ্বস্ত থাকেন, তা হলে যিহোবা আপনাকেও বলবেন, আপনি যিহোবার চোখে যা সঠিক, তা-ই করেন।

আপনি কীভাবে উত্তর দেবেন?

  • সম্পূর্ণ হৃদয় দিয়ে যিহোবাকে ভালোবাসার জন্য আমাদের কী করতে হবে?

  • কীভাবে আমরা বুঝতে পারব যে, আমরা হৃদয় থেকে অনুতপ্ত?

  • কীভাবে আমরা সত্য উপাসনাকে সমর্থন করতে পারি?

গান ৪৫ আমার হৃদয়ের চিন্তা

a এই প্রবন্ধে “ইজরায়েলের রাজাদের” বিষয়ে বলা হয়েছে। এখানে ইজরায়েলের সমস্ত রাজা অন্তর্ভুক্ত, তা তারা যিহূদার দুটো বংশে রাজত্ব করুক, ইজরায়েলের ১০ বংশে রাজত্ব করুক অথবা পুরো ১২ বংশে রাজত্ব করুক।

b এটার মানে কী? বাইবেলে যেখানেই “হৃদয়” শব্দটা এসেছে, প্রায়ই সেটার মানে হল, একজন ব্যক্তি ভিতর থেকে কেমন। এতে তার চিন্তাভাবনা, আকাঙ্ক্ষা, দৃষ্টিভঙ্গি, ক্ষমতা, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য এই সমস্ত কিছু অন্তর্ভুক্ত।

c এমনটা মনে করা হয়, যখনই কোনো ন-যিহুদি রাজা কোনো দেশের উপর বিজয় লাভ করত, তখন প্রায়ই সে সেই দেশের দেব-দেবীদের উপাসনা করতে শুরু করত।

d রাজা আসা গুরুতর পাপ করেছিলেন। (২ বংশা. ১৬:৭, ১০) কিন্তু, বাইবেলে তার বিষয়ে লেখা রয়েছে, তিনি যা সঠিক, তা-ই করেছিলেন। যিহোবার ভাববাদী যখন তাকে সংশোধন করেছিলেন, তখন প্রথমে তিনি তার কথা শোনেননি, কিন্তু পরে হয়তো তিনি অনুতপ্ত হয়েছিলেন। যিহোবা তার খারাপ বিষয়গুলোর উপর নয় বরং ভালো বিষয়গুলোর উপর বেশি মনোযোগ দিয়েছিলেন। লক্ষ করার মতো বিষয় হল, রাজা আসা কখনো যিহোবাকে ছাড়া অন্য কারো উপাসনা করেননি এবং তিনি তার রাজ্য থেকে মূর্তিপূজা দূর করার জন্য তার যথাসাধ্য করেছিলেন।—১ রাজা. ১৫:১১-১৩; ২ বংশা. ১৪:২-৫.

e লক্ষ করার মতো বিষয় হল, মোশির ব্যবস্থায় প্রথম দুটো আজ্ঞা এই বিষয়ে ছিল যে, কোনো ব্যক্তি নয়, কোনো বস্তু নয় বরং একমাত্র যিহোবারই উপাসনা করতে হবে।—যাত্রা. ২০:১-৬.

f ছবি সম্বন্ধে বর্ণনা,: একজন যুবকবয়সি প্রাচীন মদের বিষয়ে এক ভাইকে পরামর্শ দিচ্ছেন। সেই ভাই নম্র হয়ে পরামর্শ শোনেন, নিজের মধ্যে পরিবর্তন করেন এবং বিশ্বস্তভাবে যিহোবার সেবা করে চলেন।

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার