ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • g৯৮ ১/৮ পৃষ্ঠা ২৭-২৮
  • আপনি কিভাবে একজন প্রেমের ঈশ্বরকে ভয় করতে পারেন?

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • আপনি কিভাবে একজন প্রেমের ঈশ্বরকে ভয় করতে পারেন?
  • ১৯৯৮ সচেতন থাক!
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • আকাশমণ্ডল ও ঈশ্বরের মহত্ব
  • একজন ক্ষমাশীল ঈশ্বর
  • ঈশ্বরের বিচারে ভয় করা
  • আপনার হৃদয়ে যিহোবার প্রতি ভয় গড়ে তুলুন
    ২০০১ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • বাইবেল—কেন অধ্যয়ন করবেন?
    ২০০১ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • যিহোবার ভয়েতে আনন্দ খুঁজে পাওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষালাভ করা
    ১৯৯৫ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • বিজ্ঞ হোন—ঈশ্বরকে ভয় করুন!
    ২০০৬ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
আরও দেখুন
১৯৯৮ সচেতন থাক!
g৯৮ ১/৮ পৃষ্ঠা ২৭-২৮

বাইবেলের দৃষ্টিভঙ্গি

আপনি কিভাবে একজন প্রেমের ঈশ্বরকে ভয় করতে পারেন?

“ধন্য সেই জন, যে সদাপ্রভুকে ভয় করে।”—গীতসংহিতা ১১২:১.

যদি “ঈশ্বর প্রেম” হন বাইবেল যেমন তাঁকে বর্ণনা করে, তাহলে কেন তাঁকে ভয় করার প্রয়োজন রয়েছে? (১ যোহন ৪:১৬) সাধারণত প্রেম ও ভয় সংগতিহীনরূপে বিবেচিত হয়। সুতরাং ঈশ্বরের সাথে আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভয় কোন্‌ ভূমিকা পালন করবে? একজন প্রেমের ঈশ্বরকে ভয় করব কেন? বাইবেলে “ভয়” শব্দটি কিভাবে ব্যবহৃত হয়েছে সেটির প্রতি আমাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ করলে বিষয়টি আরও ভালভাবে বুঝতে সহায়তা করতে পারে।

অধিকাংশ ভাষায় প্রসঙ্গের উপর ভিত্তি করে একটি একক শব্দের বিচিত্ররূপের অর্থ থাকতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কিছু ভাষায় একজন হয়ত বলতে পারেন: “আমি আইসক্রীম ভালবাসি” এবং হয়ত এও বলতে পারেন, “আমি আমার সন্তানকে ভালবাসি।” এখানে যে ভালবাসা প্রকাশ করা হয়েছে তার প্রগাঢ়তা ও ধরনের মধ্যে বিরাট পার্থক্য রয়েছে। অনুরূপভাবে, বাইবেল বিভিন্ন ধরনের ভয় সম্বন্ধে বলে। ঈশ্বরের উপাসনার সাথে সংযুক্ত করে যখন এই শব্দটি ব্যবহার করা হয়, এটি আশঙ্কা, আতঙ্ক কিংবা ভয়ঙ্কর শাস্তি সম্বন্ধে উল্লেখ করে না। বরঞ্চ, ঈশ্বরে ভয় স্বাস্থ্যকর অনুভূতি প্রদান করে—সশ্রদ্ধ ভয়, শ্রদ্ধা ও গভীর সম্মান। এইধরনের অনুভূতিগুলি প্রেমের জন্য ও ঈশ্বরের প্রতি আমাদের আকর্ষণের সাথে সম্পৃক্ত, তাঁর কাছ থেকে লুকানো কিংবা পলায়নের কোনও প্রবৃত্তি নয়।

ঈশ্বরে ভয়, অস্বাস্থ্যকর জড়সড় করে ফেলে এমন ভয়কে দূর করে। যিনি ঈশ্বরকে ভয় করেন সেই ব্যক্তি সম্বন্ধে, গীতরচক লিখেছিলেন: “অশুভ সংবাদেও সে ভয় করিবে না; তাহার চিত্ত স্থির, তাহা সদাপ্রভুতে নির্ভর করে।” (গীতসংহিতা ১১২:৭) মন্দ ব্যক্তিদের কিংবা স্বয়ং শয়তানের কাছ থেকে কোনও ভয়ই যিহোবার প্রতি আমাদের গভীর সম্মান ও শ্রদ্ধাকে পরাভূত করতে পারে না। (লূক ১২:৪, ৫) এমনকি প্রার্থনায় ঈশ্বরের কাছে আসতে আমরা কখনোই ভীত হব না। বরং এই ক্ষেত্রে, “প্রেম ভয়কে বাহির করিয়া দেয়।”—১ যোহন ৪:১৮.

আকাশমণ্ডল ও ঈশ্বরের মহত্ব

প্রাচীনকালের রাজা দায়ূদ একজন ঈশ্বর ভয়শীল ব্যক্তি ছিলেন। তিনি সৃষ্টির সৌন্দর্য ও জটিলতায় মনোনিবেশ করার সময় বিস্মিত হয়েছিলেন। তিনি বিস্ময়ে বলেছিলেন: “আমি তোমার স্তব করিব, কেননা আমি ভয়াবহরূপে ও আশ্চর্য্যরূপে নির্ম্মিত; তোমার কর্ম্ম সকল আশ্চর্য্য, তাহা আমার প্রাণ বিলক্ষণ জানে।” (গীতসংহিতা ১৩৯:১৪) রাতের আকাশের দিকে তাকিয়ে তিনি বিস্ময়ে বলেছিলেন: “আকাশমণ্ডল ঈশ্বরের গৌরব বর্ণনা করে।” (গীতসংহিতা ১৯:১) এই অভিজ্ঞতাটির দ্বারা আপনি কি মনে করেন যে দায়ূদ ভীত হয়েছিলেন? পরিবর্তে, এটি তাকে যিহোবার প্রশংসা গান করতে প্রণোদিত করেছিল।

আকাশমণ্ডল সম্বন্ধে বর্তমান দিনের বর্ধিত জ্ঞান আমাদের সশ্রদ্ধ ভয় অনুভব করতে আরও দৃঢ় কারণ প্রদান করে। সম্প্রতিকালে, জ্যোতির্বেত্তারা আকাশমণ্ডলের অন্তর্গত বিশদভাবে নিরীক্ষণের জন্য হাব্বল স্পেইস টেলিস্কোপটি ব্যবহার করছেন যা কোনও মানুষ তাদের আগে কখনও করতে পারেননি। তারা আকাশের একটি অংশ বেছে নিয়েছেন যা ভূগর্ভে স্থাপিত দূরবীক্ষণে শূন্য দেখা যায় আর সেখানে এমন একটি স্থানে হাব্বলটি কেন্দ্রীভূত করেছিলেন যেটি কেবল পূর্ণদৈর্ঘ্যের হাতে রাখা একটি ক্ষুদ্র বালুকণার মত লাগে। পর্যবসিত হওয়া দৃশ্যটি জমজমাট হয়েছিল, স্বতন্ত্র নক্ষত্রের দ্বারা নয়, বরং অসংখ্য ছায়াপথ—কোটি কোটি নক্ষত্রের দ্বারা গঠিত হয়েছে নক্ষত্রমণ্ডলী—কোনও মানুষ তা আগে কখনও দেখেনি!

নিখিল বিশ্বের বিশালতা, রহস্য আর বিস্ময়কর ঘটনা একজন সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষকের দৃষ্টিতে বিস্ময় ঘটায়। কিন্তু, এইধরনের বিস্ময়কর ঘটনা সৃষ্টিকর্তার গৌরব ও ক্ষমতার এক প্রকাশ মাত্র। বাইবেল যিহোবা ঈশ্বরকে বলে “জ্যোতির্গণের সেই পিতা” আর আমাদের জানায় যে তিনি “তারাগণের সংখ্যা গণনা করেন, সকলের নাম ধরিয়া তাহাদিগকে ডাকেন।”—যাকোব ১:১৭; গীতসংহিতা ১৪৭:৪.

এছাড়াও নিখিল বিশ্বের বিশালতা, গগনস্থ ঘটনাবলীর অতিবাহিত সময় থেকে প্রত্যক্ষ হয়। হাব্বল স্পেইস টেলিস্কোপের ধারণকৃত ছায়াপথগুলির আলো কোটি কোটি বছর ধরে মহাকাশের মধ্য দিয়ে পরিভ্রমণ করে চলছে! আকাশমণ্ডলের স্থায়িত্বের তুলনায় আমাদের ক্ষণস্থায়ী অস্তিত্ব ও নগণ্যতা কি এই নক্ষত্রমণ্ডলীর নির্মাণকর্তার প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধানিবেদন ও সশ্রদ্ধ ভয় উপলব্ধি করা উচিত নয়? (যিশাইয় ৪০:২২, ২৬) ঈশ্বর যিনি এই সমস্ত কিছু সৃষ্টি করেছেন, এছাড়াও ‘মনুষ্য-সন্তানদের স্মরণ করেন ও তাহার তত্ত্বাবধান করেন’ তা উপলব্ধি করা আমাদের সৃষ্টিকর্তা সম্বন্ধে আমাদের বিবেচনাকে গভীরতর করে এবং তাঁর সম্বন্ধে জানার ও তাঁকে সন্তুষ্ট করার আমাদের আকাঙ্ক্ষা গড়ে তোলে। (গীতসংহিতা ৮:৩, ৪) এইধরনের মহিমান্বিত সম্মান ও প্রশংসাবোধই বাইবেল ঈশ্বরে ভয় বলে অভিহিত করে।

একজন ক্ষমাশীল ঈশ্বর

আমরা সবাই অসিদ্ধ। এমনকি আমরা সঠিক কিছু করার চেষ্টা করতে চাইলেও, অনিচ্ছাকৃতভাবে পাপ করে ফেলি। এমন হলে, ঈশ্বরের অনুগ্রহ হারাচ্ছি বলে আমাদের কি ভয় পাওয়া উচিত? গীতরচক লিখেছিলেন: “হে সদাপ্রভু, তুমি যদি অপরাধ সকল ধর, তবে, হে প্রভু, কে দাঁড়াইতে পারিবে? কিন্তু তোমার কাছে ক্ষমা আছে, যেন লোকে তোমাকে ভয় করে।” (গীতসংহিতা ১৩০:৩, ৪) “নির্ম্মাতা” এতই দয়ালু ও ক্ষমাশীল যে তা তাঁর উপাসকদের মধ্যে গভীর উপলব্ধি ও শ্রদ্ধা জাগিয়ে তোলে।—যিশাইয় ৫৪:৫-৮.

ঈশ্বরে ভয় আমাদের উত্তম কাজ করার জন্য এবং ঈশ্বরের কাছে যা কিছু মন্দ বলে বিবেচিত তা করা থেকে বিরত হতে পরিচালিত করে। আমাদের স্বর্গীয় পিতার সাথে আমাদের সম্পর্ক হয়ত এভাবে তুলনীয় যে একজন উত্তম মানব পিতার সাথে যেমন তার সন্তানের সম্পর্ক। কখনও কখনও, সন্তানেরা হয়ত মনে রাখে না যে কেন তাদের পিতা তাদের রাস্তায় খেলা করতে নিষেধ করেন। তবুও, তারা যখন যানবাহন চলাচলকারী রাস্তায় একটি বলের পিছনে ছোটার বিষয়টি অনুভব করে তখন তাদের পিতার নিষেধাজ্ঞা সম্বন্ধে বিবেচনাটি তাদেরকে বিরত রাখে—সম্ভবত তাদের মৃত্যু থেকে রক্ষা করে। অনুরূপভাবে, একজন যুবকের যিহোবার প্রতি ভয় তাকে—তার নিজের এবং অপরের জীবন নষ্ট করে দিতে পারে এমন কোন কাজ করা থেকে হয়ত বিরত রাখতে পারে।—হিতোপদেশ ১৪:২৭.

ঈশ্বরের বিচারে ভয় করা

বিপরীতে, একজন ব্যক্তি যার সংবেদ ঈশ্বরকে অসন্তুষ্ট করা থেকে বিরত করে না সেই ক্ষেত্রে একেবারে ভিন্ন উপায়ে ভয় পাওয়ার কারণ রয়েছে। ঠিক যেমন মানব সরকার অপরাধী ব্যক্তিদের শাস্তি দেন তেমনি ঈশ্বরেরও সেই স্বেচ্ছাচারীকে ও অনুতাপহীন অন্যায়কারীকে শাস্তি দেওয়ার অধিকার আছে। দুষ্টতা থাকার জন্য ঈশ্বরের সাময়িক অনুমোদন কিছুজনকে অপরাধমূলক কাজে অত্যধিক চরম পর্যায় নিয়ে গিয়েছে। কিন্তু বাইবেল স্পষ্টভাবে দেখায় যে একদিন তিনি শীঘ্রই পৃথিবী হতে সমস্ত দুষ্ট ব্যক্তিদের উচ্ছিন্ন করবেন। (গীতসংহিতা ৩৭:৯, ১০; উপদেশক ৮:১১; ১ তীমথিয় ৫:২৪) অনুতাপহীন দুরাচারীর ঈশ্বর থেকে শাস্তির ভয়ের কারণ রয়েছে। এটি কিন্তু সেইধরনের ভয় নয় যে সম্বন্ধে বাইবেল সুপারিশ করে।

বরঞ্চ, বাইবেলই জীবনের সুন্দর বিষয়গুলির সাথে যিহোবার ভয়কে সংযুক্ত করে—গান, আনন্দ, নির্ভরতা, প্রজ্ঞা, দীর্ঘায়ু, আস্থা, সমৃদ্ধি, আশা এবং শান্তি, যা এখানে শুধু কয়েকটি নামের কথা উল্লেখ করা হল।a আমরা যদি ক্রমাগত যিহোবার ভয়ের সাথে চলতে থাকি, তাহলে আমরা চিরকাল এইধরনের আশীর্বাদগুলি উপভোগ করতে পারব।—দ্বিতীয় বিবরণ ১০:১২-১৪.

[পাদটীকাগুলো]

a যাত্রাপুস্তক ১৫:১১; গীতসংহিতা ৩৪:১১, ১২; ৪০:৩; ১১১:১০; হিতোপদেশ ১০:২৭; ১৪:২৬; ২২:৪; ২৩:১৭, ১৮; প্রেরিত ৯:৩১ পদগুলি দেখুন।

[২৭ পৃষ্ঠার চিত্র সৌজন্যে]

Courtesy of Anglo-Australian observatory, photograph by David Malin

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার