ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • g৯৮ ১০/৮ পৃষ্ঠা ৪-৬
  • নিরাপদ জীবনের সন্ধানে

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • নিরাপদ জীবনের সন্ধানে
  • ১৯৯৮ সচেতন থাক!
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • উচ্চ শিক্ষা
  • প্রচুর ধনসম্পদই কি যথেষ্ট?
  • সতর্ক হোন!
  • উপসর্গ নয়—রোগের চিকিৎসা করুন
  • এক উত্তম ভবিষ্যৎ লাভ করার উপায়
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য সম্বন্ধে ঘোষণা করে (জনসাধারণের সংস্করণ)—২০২১
  • উচ্চশিক্ষা ও টাকাপয়সা কি এক উত্তম ভবিষ্যৎ লাভ করতে সাহায্য করে?
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য সম্বন্ধে ঘোষণা করে (জনসাধারণের সংস্করণ)—২০২১
  • স্থায়ী নিরাপত্তার এক জীবন
    ১৯৯৮ সচেতন থাক!
  • আজ সুরক্ষা বোধ করা ভবিষ্যতে সুরক্ষা পাওয়া
    ২০০২ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
আরও দেখুন
১৯৯৮ সচেতন থাক!
g৯৮ ১০/৮ পৃষ্ঠা ৪-৬

নিরাপদ জীবনের সন্ধানে

নিরাপত্তা শব্দটির অর্থ এক-এক জনের কাছে এক-এক রকম। একজন মনে করেন যে একটি ভাল চাকরি; আর একজন মনে করেন টাকা-পয়সা; আর তৃতীয় ব্যক্তির কাছে নিরাপত্তা হল এক অপরাধ-মুক্ত পরিবেশ যেখানে কোন ভয় আর চিন্তা থাকবে না। কিন্তু আপনি কি আরও অন্যরকম কিছু ভাবেন?

এই বিষয়ে আপনি যাই ভাবুন না কেন, নিঃসন্দেহে আপনি এমনভাবে চলতে চান যাতে আপনার জীবনে নিরাপত্তাহীনতার কালো মেঘ ছেয়ে না যায়। লক্ষ্য করুন যে ইউরোপের লোকেরা অন্তত কিছুটা ব্যক্তিগত নিরাপত্তা পাওয়ার জন্য কী কী করে চলেছেন।

উচ্চ শিক্ষা

ইউরোপীয়ান কমিশনের সভাপতি, জ্যাক স্যানটারের মতে, ইউরোপীয় দেশগুলিতে শতকরা ২০ ভাগ যুবক বেকার। ফলে ওই বয়সের অধিকাংশ ছেলেমেয়েদের মনে একটাই প্রশ্ন, আমি কী করে একটা ভাল চাকরি পেতে পারি যা আমার জীবনকে নিরাপদ করবে? অনেকে এই প্রবাদবাক্যটিকে সত্যি বলে মনে করেন যে ‘লেখাপড়া করে যে গাড়ি ঘোড়া চড়ে সে,’ তারা ভাবেন যে এই লক্ষ্যে পৌঁছানোর সর্বোত্তম উপায়টি হল উচ্চ শিক্ষা, যে সম্বন্ধে লন্ডনের দ্যা সানডে টাইমস মন্তব্য করে যে উচ্চশিক্ষা ছাত্রদের “চাকরির বাজারে এক বিশেষ সুবিধা” দিয়ে থাকে।

উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, জার্মানিতে “শিক্ষা এবং শিক্ষাগত মর্যাদা লাভ করার আকাঙ্ক্ষা আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি,” নাসোইশি নই প্রেসে বিবৃতি দেয়। আর এখানকার ছাত্ররা উচ্চ শিক্ষা নেওয়ার সময় এইকথা ভাবতে বসে না যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকাল শেষ করতে একজন ছাত্রের জন্য গড়ে প্রায় ৫৫,০০০ মার্কিন ডলার খরচ হয়।

সেইসব যুবক-যুবতীদের প্রশংসা করা উচিত যারা শিক্ষাকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে এবং একটি ভাল, নিরাপদ চাকরি পেতে চায়। আর চাকরি খুঁজছেন এমন ব্যক্তিরা যদি দক্ষ ও যোগ্যতাসম্পন্ন হন তাহলে তো সোনায় সোহাগা। কিন্তু উচ্চ শিক্ষা নিয়েও কি একজন যুবক সবসময় একটি ভাল চাকরি পায়? একজন ছাত্রী বলেছিলেন: “আমি প্রথম থেকেই জানতাম যে আমার এই পড়াশুনা আমাকে কোন ভাল পেশাগত চাকরি পেতে সাহায্য করবে না আর সবসময় এই চিন্তা আমাকে কুরে কুরে খাবে।” এই মেয়েটির মত আরও অনেক যুবক ব্যক্তিরা আছে যারা একইরকম মনে করে। সম্প্রতি এক বছরে, জার্মানিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ডিগ্রীধারী বেকার লোকেদের সংখ্যা এক নতুন শীর্ষে পৌঁছেছে।

একটি সংবাদপত্র অনুসারে, ফ্রান্সে যুবক-যুবতীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী নিতে চায় কারণ সেখানে বেকার যুবকদের সংখ্যা এত বেশি যে মাধ্যমিক শিক্ষাগত যোগ্যতার কোন মূল্যই নেই। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ছাত্রছাত্রী জানে যে পড়াশুনা শেষ করার পর “এই ডিগ্রী লাভ, তাদের অবস্থার কোন উন্নতিই করবে না।” দি ইনডিপেনডেন্ট বিবৃতি দেয় যে ব্রিটেনে “দীর্ঘ সময় ধরে পড়াশুনা করার মাশুল ছাত্রদের দিতে হচ্ছে।” ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ জীবনকে নিরাপদ করতে সাহায্য করা তো দূরের কথা, রিপোর্ট দেখায় যে পড়াশুনার অত্যধিক চাপের ফলে কখনও কখনও হতাশা, উদ্বেগ এবং আত্ম-সম্মান বোধের অভাবের মতো সমস্যার সৃষ্টি হয়।

সুতরাং পড়াশুনা করা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী অর্জন করা ভাল কথা কিন্তু এটি আপনার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা দেয় না, তাই আপনার আরও কিছুর দরকার আর তা হল কোন একটি বৃত্তি শেখা অথবা ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ নেওয়া।

প্রচুর ধনসম্পদই কি যথেষ্ট?

অনেকে মনে করেন যে নিরাপদ জীবনের রহস্য হল ধনসম্পদ। কারণ আপনার কাছে যদি অনেক টাকা পয়সা থাকে তাহলে জীবনভর আপনার আর কোন চিন্তাই নেই। কথাটি হয়তো ঠিক বলে মনে হতে পারে কারণ ব্যাংকে মোটা অঙ্কের টাকা থাকলে বিপদের দিনে তা আমাদের উদ্ধার করবে। আর বাইবেল বলে যে “ধনও আশ্রয় বটে।” (উপদেশক ৭:১২) কিন্তু, প্রচুর ধনসম্পদ থাকলেই কি আমাদের ভবিষ্যৎ নিরাপদ?

কখনই না। বিগত ৫০ বছরে ধনসম্পদ কিভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে তা বিবেচনা করুন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষে, এক বিরাট সংখ্যক জার্মানিদের বলতে গেলে প্রায় কিছুই ছিল না। আর আজ? একটি জার্মান সংবাদপত্র বলে, আজকে একজন জার্মান ব্যক্তির কাছে গড়ে ১০,০০০টি করে বস্তুসামগ্রী রয়েছে। অর্থনৈতিক পূর্বাভাসগুলি যদি সঠিক হয়ে থাকে তবে আগামী প্রজন্মের কাছে এর চেয়েও বেশি বস্তুসামগ্রী থাকবে। কিন্তু, এই প্রচুর টাকা-পয়সা, ধন-সম্পদ কি লোকেদের জীবনে নিরাপত্তা নিয়ে এসেছে? না। কারণ জার্মানির একটি সমীক্ষা জানায় যে তিন জনের মধ্যে দুই জন ব্যক্তি মনে করেন যে এখন জীবন ততখানি নিরাপদ নয় যতখানি নাকি ২০ বা ৩০ বছর আগে ছিল। তাই যদিও লোকেদের কাছে আজ প্রচুর পয়সা এসেছে, তা তাদের মধ্যে ছেয়ে থাকা নিরাপত্তার অভাবকে দূর করতে পারেনি।

আর এটি যুক্তিযুক্তও কারণ, আগের প্রবন্ধটিতে যেমন উল্লেখ করা হয়েছে যে নিরাপত্তার অভাব বোধ করা আমাদের মস্তিষ্ক ও মনের জন্য এক বোঝা। আর টাকা-পয়সা দিয়ে কখনও এই বোঝাকে দূর করা যায় না। এটি সত্য যে টাকা-পয়সা দারিদ্র ঘোচায় আর আমাদের দুঃখের দিনে কাজে আসে। কিন্তু এমনও পরিস্থিতি আসে যখন অনেক টাকা-পয়সা থাকাও একইরকম বোঝা হয়ে দাঁড়ায় যতখানি অল্প থাকার কারণে হয়ে থাকে।

তাই বস্তুগত জিনিসের প্রতি সঠিক মনোভাব আমাদের এই কথা মনে রাখতে সাহায্য করবে যে টাকা-পয়সা আশীর্বাদ হতে পারে কিন্তু তা আমাদের জীবন ও ভবিষ্যৎকে পুরোপুরি নিরাপদ করতে পারে না। যীশু খ্রীষ্ট যখন পৃথিবীতে ছিলেন, তিনি তাঁর অনুগামীদের এই বলে উৎসাহিত করেছিলেন: “উপচিয়া পড়িলেও মনুষ্যের সম্পত্তিতে তাহার জীবন হয় না।” (লূক ১২:১৫) জীবনে সম্পূর্ণরূপে নিরাপত্তা পেতে চাইলে, একজন ব্যক্তির বস্তুগত সম্পদের চেয়েও আরও বেশি কিছুর প্রয়োজন।

বয়স্ক ব্যক্তিদের কাছে সম্পদ মূল্যবান কিন্তু তা এর বস্তুগত দিকের জন্য নয় বরং তা এর সঙ্গে জুড়ে থাকা স্পর্শকাতর মূল্যবোধের কারণে। ধনসম্পদের চেয়ে বরং যে বিষয়টি বয়স্কদের বেশি চিন্তিত করে তা হল, অপরাধের শিকার হয়ে পড়ার ঝুঁকি।

সতর্ক হোন!

“অপরাধ . . . বিগত ৩০ বছর ধরে সারা বিশ্বে বেড়ে চলেছে” ব্রিটেনে প্রকাশিত অপরাধ রোধ করার ব্যবহারিক উপায়গুলি (ইংরাজি) নামক পুস্তিকা উল্লেখ করে। পুলিশ বাহিনী পুরোদমে সক্রিয়। তবুও অবস্থা কেন এইরকম?

সবচেয়ে বেশি নিরাপত্তা ঘরে পাওয়া যায়। সেইজন্য, সুইজারল্যান্ডের একজন স্থপতি নিরাপদ তালা, শক্তিশালী দরজা এবং খিল লাগানো জানালা লাগিয়ে এমন ঘর তৈরি করেন যাতে চোর ব্ধসদ কেটে চুরি করতে না পারে। এই ঘরগুলির মালিকেরা মনে করেন যে “আমার ঘরই আমার দুর্গ।” ফোকাস সংবাদ পত্রিকা অনুসারে, এই বাড়িগুলি খুবই ব্যয়বহুল হলেও এগুলির প্রচুর চাহিদা রয়েছে।

ঘরে-বাইরে ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকে বাড়ানোর জন্য কিছু এলাকায় প্রতিবেশীরা মিলে পাহারা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। শহরতলির কিছু কিছু জায়গায় লোকেরা আরও বেশি সতর্কতা নিয়ে থাকেন, তারা পয়সা দিয়ে নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের লোকেদের ভাড়া করেন যাতে করে তারা নির্দিষ্ট সময়ে তাদের এলাকার দেখাশোনা করেন। অনেক লোকেরা মনে করেন যে রাতের বেলা শহরের নিরালা রাস্তা দিয়ে একা চলা ঠিক নয়। আর ছেলেমেয়েদের জন্য উদ্বিগ্ন বাবামা স্বাভাবিকভাবেই তাদের ছেলেমেয়েদের ভালর, তাদের রক্ষা করার জন্য আরও কিছু বেশি সাবধানতা অবলম্বন করেন। এই পৃষ্ঠার বাক্সটিতে দেওয়া পরামর্শগুলি বিবেচনা করুন।

কিন্তু সব লোকেদেরই এইরকম বেশি দামের ঘরগুলি কেনার সামর্থ্য নেই। এছাড়াও পাহারা দেওয়া এবং নিরাপত্তা কর্মীগণ অপরাধকে কমিয়ে দিতে পারেন না; এতে হয়তো অপরাধীরা অন্য জায়গায় চলে যাবে যেখানে কোন সুরক্ষার ব্যবস্থা নেই। ফলে ব্যক্তিগত নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অপরাধ একটি বড় বিপদ হিসাবেই থেকে যায়। আমাদের জীবনকে নিরাপদ করার জন্য শিক্ষা, ধনসম্পদ ও অপরাধের শেষ আনার জন্য এক সর্বাত্মক প্রচেষ্টার চেয়েও আরও বেশি কিছুর প্রয়োজন।

উপসর্গ নয়—রোগের চিকিৎসা করুন

স্বাভাবিকভাবেই আমরা প্রত্যেকে এক নিরাপদ জীবনের আকাঙ্ক্ষা করি আর তা পাওয়ার জন্য আমাদের যুক্তিসংগত, ব্যবহারিক পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। কিন্তু অপরাধ, বেকারত্ব ও জীবনকে নিরাপত্তাহীন করে তোলে এমন অন্যান্য বিষয়গুলি তো কেবল এই রোগের উপসর্গমাত্র যা সমস্ত পৃথিবীর লোকেদের মধ্যে ছেয়ে রয়েছে। এই অবস্থাকে ঠিক করার জন্য, কেবল উপসর্গগুলিকে নয় কিন্তু এর মূল পর্যন্ত যাওয়া প্রয়োজন।

আমাদের জীবনে নিরাপত্তার অভাবের মূল কারণটি কী? আর কিভাবে আমরা এটিকে সমূলে শেষ করতে পারি যাতে আমাদের জীবন থেকে নিরাপত্তাহীনতার কালো মেঘ চিরকালের জন্য দূর হয়ে যায়? আমরা পরবর্তী প্রবন্ধে এই বিষয়টি আলোচনা করব।

[৬ পৃষ্ঠার বাক্স]

আপনার ছোট সন্তানকে রক্ষা করার বিভিন্ন উপায়

শিশুদের উপর অত্যাচার, তাদের অপহরণ করা এবং হত্যা খুব বেড়ে যাওয়ায় অনেক বাবামা লক্ষ্য করেন যে তাদের ছেলেমেয়েদের নিম্নোক্ত বিষয়গুলি শেখানো উপকারজনক:

১. কেউ যদি তোমার প্রতি এমন কিছু করার চেষ্টা করে যা তোমার কাছে খারাপ বলে মনে হয়, তবে—অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে—না বলবে।

২. বাবা অথবা মার উপস্থিতিতে কেবল চিকিৎসক অথবা ধাত্রী ছাড়া আর কাউকেই গোপন অঙ্গ স্পর্শ করতে দেবে না।

৩. বিপদে পড়লে দৌঁড় দেবে, চিৎকার করবে, জোরে শব্দ করবে অথবা আশেপাশের প্রাপ্তবয়স্ক কোন ব্যক্তির কাছে সাহায্য চাইবে।

৪. যে কোন ঘটনা অথবা কথাবার্তা যদি তোমার কাছে অস্বাভাবিক মনে হয় তবে বাবামাকে বলো।

৫. বাবামার কাছে কিছু গোপন করবে না।

সর্বশেষ বিষয়টি হল, সন্তানকে দেখাশোনা করার জন্য কাউকে নিযুক্ত করার সময় বাবামা সতর্ক হবেন।

[Pictures on page 5]

আমাদের জীবনকে নিরাপদ করার জন্য শিক্ষা, ধনসম্পদ অথবা অপরাধের শেষ আনার জন্য এক সর্বাত্মক প্রচেষ্টার চেয়েও আরও বেশি কিছুর প্রয়োজন

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার