ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • g৯৯ ১/৮ পৃষ্ঠা ১৮-২৪
  • ভিক্টোরিয়া হ্রদ—আফ্রিকার এক বিরাট সাগর

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • ভিক্টোরিয়া হ্রদ—আফ্রিকার এক বিরাট সাগর
  • ১৯৯৯ সচেতন থাক!
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • নীল নদের এক উৎস
  • হ্রদের জীবন
  • জলজ প্রাণি
  • জলাশয়ে সমস্যা
  • এক গোলাপি হ্রদ?
    ২০০৬ সচেতন থাক!
১৯৯৯ সচেতন থাক!
g৯৯ ১/৮ পৃষ্ঠা ১৮-২৪

ভিক্টোরিয়া হ্রদ—আফ্রিকার এক বিরাট সাগর

কেনিয়ার সচেতন থাক! সংবাদদাতা কর্তৃক

একজন ইংরেজ আবিষ্কারক ১৮৫৮ সালে সুদূর আফ্রিকার এক দুর্গম এলাকা দিয়ে হেঁটে চলেছিলেন যেখানে এর আগে কোন মানুষ পা রাখেনি। তিনি কেবল আফ্রিকার কয়েকজন মজুরকে সঙ্গে নিয়েছিলেন। তিনি অসুস্থ ও ক্লান্ত হয়ে পড়েন আর তিনি জানতেনও না যে সামনে কী আছে কিন্তু তবুও তিনি তার লোকেদের এগিয়ে যেতে বলেন। এই ব্যক্তি ছিলেন জন হ্যানিং স্পেক। তিনি এমন জিনিসের সন্ধান করছিলেন যা তিনি জীবনে চোখেও দেখেননি—নীল নদের উৎস।

দাস কেনাবেচাকারী আরবীয় বণিকেরা এই বিশাল জলপ্রবাহের নাম দিয়েছিল ইউকেরিও। আর এই কাহিনীগুলোর দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে স্পেক ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলেছিলেন। অবশেষে, ২৫ দিন ধরে চলার পর, এক মনোরম দৃশ্য এই ক্ষুদ্র দলটার চোখে পড়ে। যতদূর পর্যন্ত চোখ যায় তারা তাদের সামনে স্বচ্ছ জলের এক বিরাট সাগর দেখতে পান। পরে স্পেক লিখেছিলেন: “আমার মনে আর কোন সন্দেহ নেই যে আমি যে হ্রদের উপর দাঁড়িয়ে আছি সেটাই নীল নদের জন্ম দিয়েছে আর এই নদীকে নিয়েই কত লোকেরা কত গবেষণা করেছেন ও কত লোকেরা তা আবিষ্কারের জন্য চেষ্টা করেছেন।” ইংল্যান্ডের তখনকার রানির সম্মানে তিনি তার এই আবিষ্কারের নাম দিয়েছিলেন—ভিক্টোরিয়া।

নীল নদের এক উৎস

এখনও সেই হ্রদের নাম ভিক্টোরিয়া এবং এটা বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম মিঠে জলের হ্রদ বলে বিখ্যাত—কেবল উত্তর আমেরিকার সুপিরিয়র হ্রদ এর চেয়ে বড়। নিরক্ষরেখায় অবস্থিত সূর্যের কিরণে জ্বলজ্বল করা এক প্রকাণ্ড আয়নার মতো, স্বচ্ছ জলের এই ভিক্টোরিয়া হ্রদ ৬৯,৪৮৪ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে। এর উত্তর সীমান্ত বরাবর নিরক্ষরেখা চলে গিয়েছে এবং এটা গ্রেট রীফ উপত্যকার পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে অবস্থিত। এছাড়া এই হ্রদ তাঞ্জানিয়া ও উগান্ডার প্রায় পাশ দিয়ে এবং কেনিয়া সীমান্তের উপর দিয়ে বয়ে চলেছে।

হ্রদের প্রধান খাঁড়ি হল তাঞ্জানিয়ার কাগেরা নদী, যেখানে রোয়ান্ডার পাহাড়গুলো থেকে এসে জল জমা হয়। কিন্তু, ভিক্টোরিয়া নদীর বেশিরভাগ জলই বৃষ্টির জল যা আশেপাশের ২,০০০০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা থেকে আসে। এই হ্রদ থেকে জল বেরোবার একমাত্র পথ উগান্ডার জিঞ্জায় অবস্থিত। এখানে এসেই জল উত্তরাঞ্চলে বয়ে যায় আর এখান থেকেই স্বচ্ছ নীল নদের জন্ম হয়। যদিও নীল নদের উৎস কেবল ভিক্টোরিয়া হ্রদই নয় কিন্তু এটি অবিরাম ধারায় প্রবাহিত মিঠে জলের আধার হিসাবে কাজ করে এবং মিশর পর্যন্ত জীবকূলকে বাঁচিয়ে রাখে।

হ্রদের জীবন

হ্রদের ওপর দিয়ে যখন সাদা পালতোলা নৌকাগুলো ভেসে যায় তখন সেগুলোকে প্রজাপতির পাখার মতো দেখায়। আশেপাশের জায়গাগুলো থেকে বাতাসের ঝাপটায় ছোট্ট নৌকাগুলো সাগরের একেবারে মাঝখানে চলে যায়। দুপুরের দিকে বায়ুর পরিবর্তন হয় এবং নৌকাগুলো আবার আগের জায়গায় ফিরে আসে। হাজার হাজার বছর ধরে জেলেদের জন্য এই একই বিষয় ঘটে চলেছে।

ভিক্টোরিয়া হ্রদের চারদিকে বড় ও ছোট অনেক গাঁ রয়েছে আর সেই গাঁয়ে বেশিরভাগ কুঁড়ে ঘর দেখা যায়। নীলনদের তীরের লোকেদের প্রধান খাদ্য হল মাছ আর তারা তাদের প্রতিদিনের জীবিকা নির্বাহের জন্য এই হ্রদের উপরই নির্ভর করেন। সূর্য ওঠার আগেই একজন জেলের কাজ শুরু হয়। জেলেরা তাদের নৌকার থেকে জল সেচে ফেলে দেন ও কুয়াশায় ভরা সাগরেই যাত্রা শুরু করেন। গভীর জলে দাঁড় বাইতে বাইতে তারা একসঙ্গে গান ধরে তারা হ্রদের অনেকখানি গভীরে চলে যান এবং তাদের ছেঁড়া পাল উড়িয়ে দেন। তাদের স্ত্রীরা তীরে দাঁড়িয়ে ছোট্ট নৌকাগুলোকে দেখতে থাকেন যতক্ষণ না সেগুলো তাদের নজরের বাইরে চলে যায়। তারপর অনেক কাজ পড়ে আছে বলে তারা তাড়াতাড়ি ঘরে চলে আসেন।

হ্রদের ধারে বাচ্চারা জল ছিটানোর খেলায় মেতে ওঠে আর স্ত্রীলোকেরা কাপড় কাচেন এবং হ্রদ থেকে জল নিয়ে যান। একসময় নদীর ঘাটে তাদের কাজ শেষ হয়। মাটির কলসিতে জল ভরে সেগুলোকে ঠিকমতো মাথার ওপর নিয়ে, ছোট বাচ্চাদেরকে তাদের পিঠে বেঁধে এবং ধোয়া কাপড়চোপড় ভরা দুই বালতি দুই হাতে নিয়ে স্ত্রীলোকেরা ধীরে ধীরে তাদের ঘরের দিকে রওনা হন। এরপর তারা ভুট্টা ও সীমগাছগুলোর দেখাশোনা করেন, জ্বালানি কুড়িয়ে আনেন এবং তাদের মাটির ঘরগুলো গোবর ও ছাই দিয়ে লেপে দেন। এছাড়া তীরে বসেই সাইসাল গাছের আঁশকে অত্যন্ত নিপুণভাবে বুনে শক্ত দড়ি এবং সুন্দর সুন্দর ঝুড়ি তৈরি করেন। নৌকা বানানোর জন্য পুরুষেরা প্রকাণ্ড গাছের গুঁড়ি কাটার সময় কুড়ালের আওয়াজ সেখানকার আকাশে-বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে।

বিকেলের দিকে স্ত্রীলোকেরা আবার সেই বিরাট মিঠে জলের সাগরের পানে চেয়ে থাকেন। সাদা পালের সরু প্রান্ত পুরুষদের ঘরে ফেরার বার্তা দেয়। আর তখন তারা তাদের স্বামী ও তারা যে মাছ নিয়ে আসবেন তা দেখার জন্য অধীর হয়ে অপেক্ষা করেন।

হ্রদের তীর ও দ্বীপগুলোর সব জায়গায় এই ছোট ছোট গাঁয়ের লোকেরা শান্তির বার্তা নিয়ে আসা লোকেদের স্বাগত জানান। ছোট-বড় সব গাঁয়েই পায়ে হেঁটে ও নৌকায় চড়ে যাওয়া যায়। লোকেরা বেশ নম্র এবং বার্তা শোনার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। বিশেষভাবে তারা নিজেদের নিলোটিক ও বান্টু ভাষায় বাইবেলের প্রকাশনাগুলো পড়তে খুবই উৎসুক।

জলজ প্রাণি

ভিক্টোরিয়া হ্রদে ৪০০-রও বেশি প্রজাতির মাছ রয়েছে যেগুলোর কয়েকটা পৃথিবীর আর কোথাও পাওয়া যায় না। সাইক্লিড প্রজাতির মাছ সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। রংবেরঙের এই ছোট ছোট মাছগুলোর নানা রকম নাম রয়েছে যেমন, ফ্লেমব্যাক, পিংক ফ্লাশ এবং কিসুমু ফ্রগমাওথ। কিছু সাইক্লিড মাছ অদ্ভুতভাবে তাদের বাচ্চাদের রক্ষা করে। যখন তারা বুঝতে পারে যে বিপদ আসছে, তখন বাবা কিংবা মা মাছ হা করে আর বাচ্চা মাছগুলো তাদের মুখে ঢুকে যায়। বিপদ চলে গেলে তারা মুখ খোলে আর সব বাচ্চাগুলো মুখ থেকে বেরিয়ে আসে আর তাদের হৈ-হুল্লোড় শুরু হয়ে যায়।

ভিক্টোরিয়া হ্রদ হল সুন্দর সুন্দর ও বিভিন্নরকমের জলজ পাখিদের নীড়। ডুবুরি পাখি, লিপ্তপদ সামুদ্রিক পাখি এবং লম্বা সাড়স জাতীয় পাখিরা তাদের তীক্ষ্ণ ঠোঁট দিয়ে খুব দক্ষভাবে মাছ ধরে। সারস প্রজাতির অনেক পাখি অল্প জলের ওপর দিয়ে হেঁটে যায়, হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎই তারা থামে আর একেবারে না নড়ে অপেক্ষা করতে থাকে যে কখন একটা মাছ তাদের সামনে দিয়ে সাঁতার কেটে যাবে। মাথার ওপরে বিশাল পেটওয়ালা বিমানের মতো ঝাঁকে ঝাঁকে বকের দল উড়তে থাকে। দল বেঁধে ওড়ার সময় তারা মাছের ঝাঁককে ঘিরে ফেলে আর ঝুড়ির মতো তাদের বড় বড় মুখে মাছগুলোকে ভরে নেয়। কিন্তু আকাশের বাদশাহ তো বড় ডানাযুক্ত মাছখেকো ঈগল। উঁচু গাছের ওপর থেকে সে হঠাৎ ঝাপটা দিয়ে নিচে আসে আর হ্রদের উপরে ভেসে বেড়ানো মাছকে ছোঁ মেরে তুলে নেয়। উজ্জ্বল বর্ণের বাবুই পাখি হ্রদের চারদিকে প্যাপিরাস গাছের ঝাঁড়ে নীড় বাঁধে আর নদীর উজানে বাবলা বন থেকে হর্নবিল পাখির করুণ সুর ভেসে আসে।

সকাল ও সন্ধ্যার সময় জলহস্তীদের চাপা স্বর শান্ত হ্রদের নিরবতা ভেঙে অনেক দূর পর্যন্ত শোনা যায়। দুপুরবেলা তারা যখন সাগরের তীরে ঘুমিয়ে থাকে তখন তাদেরকে অর্ধেক ডুবে থাকা ধূসর বর্ণের মসৃণ শিলাখণ্ডের মতো মনে হয়। হ্রদের তীরের লোকেরা এখনও নীল নদের কুমিরকে ভয় পায়। যদিও মানুষ এই ভয়ংকর সরীসৃপগুলোর বেশিরভাগই মেরে ফেলেছে তবুও কয়েকটা এখনও ভিক্টোরিয়া হ্রদের দূরবর্তী তীরে রয়েছে।

জলাশয়ে সমস্যা

জন স্পেক যখন প্রথমবার ভিক্টোরিয়া হ্রদকে দেখেছিলেন তখন থেকে আজ পর্যন্ত আফ্রিকার জনসংখ্যার অনেক বেড়ে গেছে। হ্রদের তীরে প্রায় তিন কোটি লোক বাস করে যারা বেঁচে থাকার জন্য হ্রদের মিঠে জলের ওপর নির্ভর করে। আগেকার দিনে এখানকার জেলেরা মাছ ধরার পুরনো পদ্ধতির ওপরই নির্ভর করতো। তারা বোনা জাল, প্যাপিরাস জাল, বড়শি এবং কোচের সাহায্যে তাদের যতটুকু মাছ দরকার তাই ধরতো। কিন্তু আজকে, ট্রলার ও নাইলনের সূক্ষ্ণ জাল নিয়ে তারা কাজ করতে শুরু করেছে আর সেগুলো অনেক দূর পর্যন্ত বিছিয়ে রাখা যায় এবং গভীর জল থেকে অনেক মাছও ধরা যায়। বেশি বেশি মাছ ধরে নেওয়া হ্রদের প্রাকৃতিক ভারসাম্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এখানে এখন বিদেশি প্রজাতির মাছও ছাড়া হচ্ছে আর তা প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট করে দিচ্ছে আর তা এখানকার জেলেদেরও অসুবিধা করে। হ্রদের বিপর্যয়ের আরেকটা কারণ হল জলে ভাসতে থাকা কচুরিপানা, যেগুলোতে সুন্দর সুন্দর বেগুনি রংয়ের ফুল হয়। এই আগাছার জন্ম দক্ষিণ আমেরিকা থেকে আর এগুলো খুব তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পায় বলে অনেক জায়গায় এত বেশি ছেয়ে গেছে যে তা হ্রদের মধ্যে অক্সিজেনের প্রবাহে এবং মালবোঝাই নৌকা ও জেলেদের খেয়া নৌকার চলাচলে বাধার সৃষ্টি করে। যেখানে বৃষ্টির জল জমে সেই অঞ্চলের বনভূমি কেটে ফেলা, ময়লা-আবর্জনা ফেলা এবং শিল্প কারখানা তৈরি করা হ্রদের ভবিষ্যতের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এই হ্রদ কি টিকে থাকবে? এই প্রশ্ন নিয়ে অনেক তর্কবিতর্ক চলছে কিন্তু সমস্যাগুলোকে কিভাবে সমাধান করা যায় সেই সম্বন্ধে কেউই ঠিক করে জানেন না। কিন্তু, ভিক্টোরিয়া হ্রদ হল এক প্রাকৃতিক সৃষ্টি যা সম্ভবত ঈশ্বরের রাজ্যের “পৃথিবীনাশকদিগকে” নাশ করার পরেও টিকে থাকবে।—প্রকাশিত বাক্য ১১:১৮.

[১৮ পৃষ্ঠার বাক্স//চিত্র]

যে মাছ হ্রদের সবকিছু খেয়ে ফেলছে

এটা বেশ তেলতেলে, অনেক খেতে পারে, দ্রুতগতিতে বংশ বৃদ্ধি করতে পারে এবং ছয় ফুটের বেশি দীর্ঘ হয়। এটা আসলে কী? এটা হল লেটস্‌ নিলোটিকাস। সাধারণত নাইল নামে পরিচিত এই বিশাল শিকারী মাছ ১৯৫০ দশকে ভিক্টোরিয়া হ্রদে এসেছে আর তখন থেকেই হ্রদের প্রাকৃতিক ভারসাম্যের জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ৪০ বছরের মধ্যে এই মাছ হ্রদের প্রায় ৪০০ প্রজাতির মাছের অর্ধেককেই খেয়ে ফেলেছে। ব্যাপক হারে এই বিলুপ্তি স্থানীয় লক্ষ লক্ষ লোকেদের খাদ্যের উৎসের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে যারা তাদের পরিবারকে খাওয়ানোর জন্য ছোট ছোট তেলাপিয়া, সাইক্লিড ও অন্যান্য আরও মাছের উপর নির্ভর করতো। এছাড়া হ্রদের পরিবেশকে স্বাস্থ্যসম্মত রাখার ক্ষেত্রে এই ছোট মাছগুলো এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিছু ছোট মাছ শামুক খায় যা ভয়ানক বিলহারজিয়া রোগের কারণ, ফলে বিলহারজিয়া রোগের প্রকোপ কমে যায়। অন্যেরা শৈবাল ও অন্যান্য জলজ উদ্ভিদকে খায় যা এখন প্রচুর পরিমাণে বেড়ে যাচ্ছে। এই অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি এমন এক অবস্থার সৃষ্টি করেছে যেটিকে ইউট্রোফিকেশন বলা হয়, যেখানে উদ্ভিদের পচন জলে অক্সিজেনের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। এই বিশৃঙ্খল অবস্থা দূর করার মতো মাছের সংখ্যা খুবই কম, ফলে “বিপদজনক এলাকা” অর্থাৎ অক্সিজেন শূন্য এলাকা বেড়ে যাচ্ছে আর তাই অনেক অনেক মাছ মরে যাচ্ছে। খাওয়ার জন্য কম মাছ থাকায় সবসময় ক্ষুধার্ত নাইল মাছ খাদ্যের এক নতুন উৎসের সন্ধান পেয়েছে—এর নিজের পোনা! যে মাছ হ্রদের সবকিছু প্রায় খেয়ে ফেলছিল সে এখন তার নিজের অস্তিত্বের জন্যই হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে!

[২১ পৃষ্ঠার মানচিত্র]

(পুরোপুরি ফরম্যাট করা টেক্সটের জন্য এই প্রকাশনা দেখুন)

উগান্ডা

কেনিয়া

তাঞ্জানিয়া

ভিক্টোরিয়া হ্রদ

[২১ পৃষ্ঠার চিত্র]

ভিক্টোরিয়া হ্রদের তীরে সাক্ষ্যদান

[২২ পৃষ্ঠার চিত্র]

বাবুইপাখি

[২২, ২৩ পৃষ্ঠার চিত্র]

বকের ঝাঁক

[২৩ পৃষ্ঠার চিত্র]

ইগরেট

[২২, ২৩ পৃষ্ঠার চিত্র]

নীল নদের কুমির

[২২, ২৩ পৃষ্ঠার চিত্র]

জলহস্তীর পিঠে সারস পাখি

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার