ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • g৯৯ ১/৮ পৃষ্ঠা ১৬-২৫
  • কেন বাবামা ছাড়াই আমাকে বেঁচে থাকতে হবে?

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • কেন বাবামা ছাড়াই আমাকে বেঁচে থাকতে হবে?
  • ১৯৯৯ সচেতন থাক!
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • তোমার কোন দোষ নেই
  • খুবই দুঃখজনক অভিজ্ঞতা
  • সাহায্য নেওয়া
  • আপনার পিতামাতার হৃদয়কে আনন্দিত করা
    আপনার পারিবারিক জীবন সুখী করা
  • বাবামারা—আপনাদের সন্তানদের প্রেমের সঙ্গে প্রশিক্ষণ দিন
    ২০০৭ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • তরুণ-তরুণীরা তোমরা তোমাদের বাবামার হৃদয় স্পর্শ করে থাকো
    ২০০৭ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • বাবা-মায়েরা, আপনাদের সন্তানদের যিহোবাকে ভালোবাসতে শেখান
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য সম্বন্ধে ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০২২
আরও দেখুন
১৯৯৯ সচেতন থাক!
g৯৯ ১/৮ পৃষ্ঠা ১৬-২৫

যুবক-যুবতীদের জিজ্ঞাস্য . . .

কেন বাবামা ছাড়াই আমাকে বেঁচে থাকতে হবে?

“তুমি জানতে চাও বাবামা ছাড়া আমার জীবন কেমন ছিল? খুবই কষ্টের। এর অনেক কারণ ছিল। বাবামার আদর ও ভালবাসা ছাড়া বড় হওয়া সত্যই খুব কঠিন।”—যোয়াকিন।

“আমার সবচেয়ে বেশি কষ্ট হতো যেদিন সবার বাবামায়েরা এসে স্কুলের রিপোর্ট কার্ডে সই করতেন। আমার জন্য কেউ ছিল না। আমি ভীষণ একা। এখনও মাঝে মাঝে আমার এইরকম লাগে।”—১৬ বছর বয়সী অ্যাবেলিনা।

এটা আমাদের সময়ের এক নির্মম সত্য—লক্ষ লক্ষ ছোট বাচ্চা ও কিশোর-কিশোরীরা বাবামা ছাড়া বড় হচ্ছে। পূর্ব ইউরোপে যুদ্ধের কারণে হাজার হাজার ছেলেমেয়েরা অনাথ হয়ে গিয়েছে। আফ্রিকায় এইডস মহামারীও একইরকম ক্ষতি করে চলেছে। কিছু কিছু ছেলেমেয়েকে তাদের বাবামা এমনিই ছেড়ে চলে গেছেন। অনেক পরিবার যুদ্ধ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।

এইরকম অবস্থা এমনকি বাইবেলের সময়েও খুব সহজেই নজরে পড়ত। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় যে বাইবেলে অনাথদের দুরাবস্থা সম্বন্ধে বার বার বলা হয়েছে। (গীতসংহিতা ৯৪:৬; মালাখি ৩:৫) তখনও যুদ্ধ ও অন্যান্য বিপদগুলোর জন্য পরিবারগুলো বিভক্ত হয়ে যেত। এইজন্য বাইবেল একটা ছোট মেয়ের কথা বলে যে তার বাবামার থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছিল কারণ অরামীয় লোকেরা তাকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল।—২ রাজাবলি ৫:২.

যারা বাবামাকে হারিয়েছে এমন লক্ষ লক্ষ ছেলেমেয়েদের মধ্যে হয়তো তুমিও একজন। যদি তাই হয়, তাহলে তুমি জানো যে তা কত দুঃখের। তুমি হয়তো ভেবেছো, কেন আমার এমন হলো?

তোমার কোন দোষ নেই

তোমার কি কখনও মনে হয়েছে যে ঈশ্বরই তোমাকে কোন না কোনভাবে শাস্তি দিচ্ছেন? অথবা তোমার বাবামার ওপর তোমার হয়তো খুব রাগ হতে পারে যে কেন তারা মরে গিয়েছেন—যেন তারা ইচ্ছা করে মরে গেছেন। সবার আগে জানো যে তোমার ওপর ঈশ্বরের কোন রাগ নেই। কিংবা তোমার বাবামা ইচ্ছে করে তোমাকে ছেড়ে চলে যাননি। মৃত্যু আমাদের অসিদ্ধ মানুষের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর কখনও কখনও তা এমন বাবামার প্রতিও ঘটে যাদের ছোট ছোট বাচ্চা আছে। (রোমীয় ৫:১২; ৬:২৩) আর যীশু খ্রীষ্টকেও এই কষ্ট সইতে হয়েছিল যখন তাঁর প্রিয় পালক পিতা যোষেফ মারা যান।a অবশ্যই সেটা যীশুর কোন পাপের কারণে হয়নি।

এছাড়াও, বুঝতে চেষ্টা করো যে আমরা ‘বিষম সময়ে’ বাস করছি। (২ তীমথিয় ৩:১-৫) এই শতাব্দীতে হিংসা, যুদ্ধ এবং অপরাধ লক্ষ লক্ষ মানুষকে বাছবিচারহীনভাবে হত্যা করেছে। অন্যেরা ‘কাল ও দৈবের’ শিকার হয়েছেন, যা যে কোন সময় যে কারও প্রতি ঘটতে পারে। (উপদেশক ৯:১১) তোমার বাবামা মারা যাওয়ায় তোমার হয়তো খুবই কষ্ট হচ্ছে কিন্তু এতে তোমার কোন দোষ নেই। নিজেকে দোষী মনে করে কষ্ট পাওয়ার চেয়ে বরঞ্চ তুমি ঈশ্বর মৃতদের আবার বাঁচিয়ে তোলার অর্থাৎ পুনরুত্থান সম্বন্ধে যে প্রতিজ্ঞা করেছেন তা ভেবে সান্ত্বনা পেতে পার।b যীশু অনেক আগেই বলেছিলেন: “ইহাতে আশ্চর্য্য মনে করিও না; কেননা এমন সময় আসিতেছে, যখন কবরস্থ সকলে তাঁহার রব শুনিবে, এবং . . . বাহির হইয়া আসিবে।” (যোহন ৫:২৮, ২৯) অ্যাবেলিনা যার কথা শুরুতে বলা হয়েছে সে বলে: “যিহোবার প্রতি প্রেম ও পুনরুত্থানের আশা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে।”

কিন্তু তোমার বাবামা হয়তো এখনও বেঁচে আছেন অথচ তোমাকে ফেলে চলে গেছেন, সেই সম্বন্ধে কী বলা যায়? ঈশ্বর বাবামাদের কাছ থেকে চান যে তারা যেন তাদের সন্তানদের লালন-পালন করেন ও তাদের প্রয়োজনীয় জিনিস দেন। (ইফিষীয় ৬:৪; ১ তীমথিয় ৫:৮) কিন্তু, দুঃখের বিষয়, কিছু বাবামার মন এতই কঠিন যে তারা তাদের সন্তানদের প্রতিও “স্নেহরহিত” হয়ে পড়েছেন। (২ তীমথিয় ৩:৩) অন্যেরা খুবই গরিব, মাদকাসক্ত, কারাবন্দি অথবা মদে আসক্ত হওয়ায় তাদের সন্তানদের ফেলে চলে যান। আর এটাও মেনে নিতে হবে যে কিছু বাবামা আছেন যারা নিছক স্বার্থপরতার কারণে তাদের সন্তানদের ফেলে চলে যান। কারণ যাই হোক না কেন, বাবামার কাছ থেকে আলাদা হয়ে বেঁচে থাকা ছেলেমেয়েদের জন্য সত্যিই খুব কষ্টের। কিন্তু এর মানে নয় যে এতে তোমার কোন ভুল রয়েছে অথবা নিজেকে দোষী ভেবে তুমি নিজেকে কষ্ট দেবে। প্রকৃতপক্ষে, তোমার প্রতি যেমন ব্যবহার করা হয়েছে তার জন্য তোমাকে নয় কিন্তু তোমার বাবামাকে ঈশ্বরের কাছে উত্তর দিতে হবে। (রোমীয় ১৪:১২) অবশ্য, তোমার বাবামা যদি নিরুপায় হয়ে তোমার কাছ থেকে আলাদা হতে বাধ্য হন, যেমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ অথবা অসুস্থতা বা এইরকম কোন পরিস্থিতি যার ওপর আমাদের কারোরই কোন হাত নেই, তখন কাউকেই দোষ দেওয়া যায় না! আশা নিয়েই আমরা বেঁচে থাকি তাই আশা রাখো যে কোন না কোনদিন তুমি আবার তোমার বাবামাকে ফিরে পাবে, যদিও কখনও কখনও সেই আশা খুবই অল্প বলে মনে হয়।—আদিপুস্তক ৪৬:২৯-৩১ পদের সঙ্গে তুলনা করো।

খুবই দুঃখজনক অভিজ্ঞতা

বাবামা ছাড়া বড় হতে তোমাকে হয়তো অনেক বড় বড় সমস্যার সামনে পড়তে হতে পারে। রাষ্ট্রসংঘের শিশু তহবিল এই বিষয়ে এক গবেষণা করেছিল আর যার শিরোনাম ছিল যুদ্ধে ছেলেমেয়েরা (ইংরাজি) আর এতে বলা হয়েছিল: “যে সব ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের অভিভাবক নেই তাদের জন্য বড় বড় বিপদ হল—তাদের . . . বাঁচার জন্য কঠিন বাধাগুলোর মোকাবিলা করতে হয়, যাদের সাধারণভাবে বেড়ে ওঠার জন্য সহায়তা করার কেউ নেই ও যাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়। বাবামার কাছ থেকে আলাদা হওয়াই একজন বাচ্চার জন্য সবচেয়ে দুঃখজনক অভিজ্ঞতা হতে পারে।” সম্ভবত তুমি হতাশায় ভেঙে পড়েছো কিন্তু তবুও তা কাটিয়ে ওঠার জন্য যুদ্ধ করে চলেছো।

যোয়াকিনের কথা আবার মনে করো যার বিষয়ে আগে বলা হয়েছে। তার বাবামা একজন আরেকজনের কাছ থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছিলেন বলে তারা তাকে ও তার বড় আরও কয়েকটা ভাইবোনকে রেখে চলে গিয়েছিলেন। যোয়াকিন তখন এক বছরের ছিল আর তার দিদি তাকে বড় করে। সে জানায়: “আমি প্রায়ই জিজ্ঞাসা করতাম যে আমার বন্ধুদের বাবামা আছে কিন্তু আমার কেন নেই। আর যখনই আমি কোন বাবাকে তার ছেলের সঙ্গে খেলতে দেখতাম আমি ভাবতাম এটা যদি আমার বাবা হতো।”

সাহায্য নেওয়া

বাবামা ছাড়া বড় হওয়া যত কঠিনই হোক না কেন তার মানে এই নয় যে তুমি একেবারে উচ্ছন্নে যাবে। সাহায্য ও সহযোগিতা পেয়ে তুমি কেবল বেঁচেই থাকবে না, তুমি জীবনে দাঁড়াবেও। এটা হয়তো তোমার জন্য বিশ্বাস করা কঠিন বলে মনে হতে পারে, বিশেষভাবে তুমি যখন দুঃখ ও কষ্ট ভোগ করছো। কিন্তু এটা বোঝো যে এই অনুভূতি স্বাভাবিক এবং এগুলো চিরকাল তোমাকে যন্ত্রণা দেবে না। আমরা উপদেশক ৭:২, ৩ পদে পড়ি: “ভোজের গৃহে যাওয়া অপেক্ষা বিলাপ-গৃহে যাওয়া ভাল, . . . হাস্য হইতে মনস্তাপ ভাল, কারণ মুখের বিষণ্ণতায় হৃদয় প্রসন্ন হয়।” হ্যাঁ, যখন খুবই দুঃখজনক কিছু ঘটে তখন খুব করে কেঁদে নেওয়া ভাল আর এতে মনের বোঝা অনেক হাল্কা হয়ে যায়। এছাড়াও তোমাকে বোঝে এমন একজন বন্ধু অথবা মণ্ডলীর পরিপক্ব ভাইবোনের কাছে তোমার কষ্টের কথা জানিয়েও হয়তো তুমি সাহায্য পেতে পারো।

এটা সত্যি যে এইসময় তোমার হয়তো খুব ইচ্ছা করবে যে তুমি একা থাক। কিন্তু হিতোপদেশ ১৮:১ পদ সতর্ক করে: “যে পৃথক্‌ হয় সে নিজ অভীষ্ট চেষ্টা করে, এবং সমস্ত বুদ্ধিকৌশলের বিরুদ্ধে উচ্চণ্ড হয়।” ভাল হবে যদি আমরা ভাল ও বন্ধুত্বপরায়ণ কারও সাহায্য নিই। হিতোপদেশ ১২:২৫ পদ বলে: “মনুষ্যের মনোব্যথা মনকে নত করে; কিন্তু উত্তম বাক্য তাহা হর্ষযুক্ত করে।” তুমি কেবল তখনই “উত্তম বাক্য” লাভ করতে পারো যদি তুমি তোমার “মনোব্যথা” কাউকে জানাও।

তুমি কার কাছে তোমার মনের কথা বলতে পার? খ্রীষ্টীয় মণ্ডলীর মধ্যে সাহায্য খোঁজো। যীশু প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে তুমি সেখানে “ভ্রাতা, ভগিনী, মাতা” পাবে, যারা তোমাকে ভালবাসবেন ও তোমার সম্বন্ধে চিন্তা করবেন। (মার্ক ১০:৩০) যোয়াকিন আবার মনে করে: “খ্রীষ্টান ভাইদের সঙ্গে মেলামেশা করায় আমি জীবনকে অন্যরকমভাবে দেখতে লেগেছি। রোজ রোজ সভায় আসায় আমি যিহোবাকে আরও ভালবাসতে লাগি ও তাঁকে সেবা করার ইচ্ছা আরও বেড়ে যায়। পরিপক্ব ভাইরা আমার পরিবারকে আধ্যাত্মিক সাহায্য ও পরামর্শ দিয়েছেন। আজকে, আমার কয়েকজন ভাইবোন পূর্ণ-সময়ের পরিচারক।”

এছাড়াও মনে রেখো যে যিহোবা হলেন “পিতৃহীনদের পিতা।” (গীতসংহিতা ৬৮:৫, ৬) বাইবেলের সময়ে ঈশ্বর তাঁর লোকেদের পিতৃমাতৃহীনদেরকে দয়া দেখাতে বলেছিলেন। (দ্বিতীয় বিবরণ ২৪:১৯; হিতোপদেশ ২৩:১০, ১১) আর আজকেও তিনি তাদের জন্য ততখানিই চিন্তা করেন যাদের মাথার ওপর তাদের বাবামার ছায়া নেই। সুতরাং ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করো আর জেনো যে তিনি তোমার জন্য চিন্তা করেন আর তিনি তোমাকে উত্তর দেবেন। রাজা দায়ূদ লিখেছিলেন: “আমার পিতামাতা আমাকে ত্যাগ করিয়াছেন, কিন্তু সদাপ্রভু আমাকে তুলিয়া লইবেন। সদাপ্রভুর অপেক্ষায় থাক; সাহস কর, তোমার অন্তঃকরণ সবল হউক।”—গীতসংহিতা ২৭:১০, ১৪.

তবুও, বাবামা হারা ছেলেমেয়েরা রোজই অনেক বড় বড় সমস্যার সামনে পড়ে। তুমি কোথায় থাকবে? কী খাবে? কোথায় পয়সা পাবে? এইরকম কিছু কঠিন সমস্যাগুলো কী করে সফলভাবে মোকাবিলা করা যায় এর পরের একটা পত্রিকা এই বিষয়ে আলোচনা করবে।

[পাদটীকাগুলো]

a মৃত্যুর আগে যীশু তাঁর মায়ের দেখাশোনার ভার তাঁর শিষ্য যোহনের ওপর দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর পালক পিতা যোষেফ তখন বেঁচে থাকলে তাঁকে হয়তো এটা করতে হতো না।—যোহন ১৯:২৫-২৭.

b বাবামাকে হারানোর কষ্টের সঙ্গে কী করে মোকাবিলা করা যায় সে সম্বন্ধে আরও বিষয় ১৯৯৪ সালের ২২শে আগস্ট ও ৮ই সেপ্টেম্বর, সচেতন থাক! (ইংরাজি) পত্রিকায় “যুবক-যুবতীদের জিজ্ঞাস্য . . .” প্রবন্ধগুলোতে দেখুন।

[২৪ পৃষ্ঠার ব্লার্ব]

কখনও কখনও তুমি হয়তো নিজেকে ভীষণ একা মনে করতে পার

[২৪ পৃষ্ঠার চিত্র]

“যিহোবার প্রতি প্রেম ও পুনরুত্থানের আশা আমাকে অনেক সাহায্য করেছে”

[২৫ পৃষ্ঠার চিত্র]

মণ্ডলীতে এমন বন্ধুরা আছেন যারা তোমাকে সাহায্য করতে ও উৎসাহ দিতে পারেন

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার