ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • g৯৯ ৭/৮ পৃষ্ঠা ২৮-২৯
  • বিশ্বনিরীক্ষা

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • বিশ্বনিরীক্ষা
  • ১৯৯৯ সচেতন থাক!
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • ভাষা লোপ পেতে চলেছে
  • গাড়ি চালানোর সময় অন্য চালকের রাগ থেকে বাঁচুন
  • হাসি কমে গেছে
  • বিশ্বে নিরক্ষরতার হার বেড়ে চলেছে
  • হাজার বছরের পাগলামি
  • দুর্বার ইয়াংজি নদীকে বশে আনা
  • হাঁপানি রোগ বেড়ে চলেছে
  • খারাপ আবহাওয়া প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি করে
  • পরিবারগুলো চাপের মুখে
  • রোজ আ্যসপিরিন খাওয়া—কি ঠিক নাকি ঠিক না?
    ২০০০ সচেতন থাক!
১৯৯৯ সচেতন থাক!
g৯৯ ৭/৮ পৃষ্ঠা ২৮-২৯

বিশ্বনিরীক্ষা

ভাষা লোপ পেতে চলেছে

“মাঝে মাঝে আমি নিজেকে ধিক্কার দিই যে কেন আমি আমার বাচ্চাদের আমার ভাষা শেখাইনি,” একটা সংস্থার প্রধান ম্যারি স্মিথ জোনস্‌ বলেন। তার সংস্কৃতিতে একমাত্র তিনিই আছেন যিনি আলাস্কার ইয়াক ভাষা জানেন। সাধারণ ঝোঁক দেখায় যে সারা পৃথিবীতে যে ৬,০০০ ভাষা আছে তার মধ্যে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ ভাষাই হয়তো আগামী একশ বছরের মধ্যে লুপ্ত হয়ে যেতে পারে। অস্ট্রেলিয়ায় একসময় প্রায় ২৫০টা ভাষা ছিল আর এখন সেখানে মাত্র ২০টা ভাষা রয়েছে। কেন এরকম হচ্ছে? নিউজউইক পত্রিকা বলে যে “ইংরেজি ও অন্যান্য ‘বহুল প্রচলিত’ ভাষার দাপটে একসময় অন্যান্য ভাষাগুলোকে মানুষ ভুলে যাবে।” যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষাগত, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের দ্বারা প্রকাশিত বিশ্বের লুপ্তপ্রায় ভাষার এটলাস (ইংরেজি) নামক বইয়ের সম্পাদক অধ্যাপক স্টিফেন ওয়ার্ম আরও বলেন: “প্রায়ই অনেকে বলে থাকে যে আপনার ‘কম প্রচলিত’ ভাষাগুলো অর্থাৎ যে ভাষায় খুব কম লোকেরা কথা বলে তা ভুলে যাওয়া উচিত কারণ সেগুলোর কোন মূল্যই নেই।”

গাড়ি চালানোর সময় অন্য চালকের রাগ থেকে বাঁচুন

“অদম্য চালকদেরকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়,” গাড়ি প্রতিযোগিতার একজন অভিজ্ঞ চালক ফ্লিট মেনটেইনেন্স অ্যান্ড সেফটি রিপোর্ট পত্রিকায় এই কথাগুলো বলেছিলেন। মাথা ঠাণ্ডা রেখে যদি আপনি খারাপ পরিস্থিতির মধ্যে পড়াকে এড়িয়ে চলতে পারেন, তাহলে আপনি অন্য চালকের রাগ থেকে বাঁচতে পারেন। সুরক্ষা বিশেষজ্ঞরা নিচের পরামর্শগুলো দেন:

◼ সবসময় শান্তভাবে গাড়ি চালান।

◼ জোরে গাড়ি চালাচ্ছে এমন কোন চালককে যদি আপনি নিরাপদে এড়িয়ে চলে আসতে পারেন তাহলে চলে আসুন।

◼ কখনও অন্য গাড়ির খুব কাছে গিয়ে কিংবা গাড়ির গতি বাড়িয়ে অন্য চালকের সঙ্গে পাল্লা দিতে যাবেন না।

◼ কেউ যদি ভয় দেখিয়ে ইশারা করে তাতে সাড়া দেবেন না এবং এমন কোন অঙ্গভঙ্গি করবেন না যা ভুল বোঝাতে পারে।

◼ রাগী কোন চালকের দিকে তাকাবেন না।

◼ অন্য চালকের সঙ্গে কথা কাটাকাটি করার জন্য গাড়ি থামাবেন না।

হাসি কমে গেছে

কিছুদিন হল সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হাস্যরস সম্বন্ধীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে আলোচিত হিসাব অনুসারে, ১৯৫০ এর দশকে যখন অর্থনৈতিক সংকট ছিল তখন সাধারণ লোকেরা দিনে গড়ে ১৮ মিনিট হাসতেন কিন্তু ১৯৯০ এর দশকে যখন ধনের প্রাচুর্য চলে আসে তখন লোকেরা দিনে গড়ে মাত্র ৬ মিনিট করে হাসেন। কেন হাসি কমে গেছে? লন্ডনের সানডে টাইমস বলে, “বিশেষজ্ঞরা বলেন যে সবসময় ধনদৌলতের পিছনে ছোটা, চাকরিতে উন্নতি করা ও ব্যক্তিগত সাফল্য পাওয়ার চেষ্টা করা এর জন্য দায়ী যা সেই পুরনো প্রবাদকে সত্যি করে তোলে যে টাকাপয়সা সুখ কিনতে পারে না।” তাই লেখক মাইকেল আরগিল বলেন: “যারা টাকাপয়সাকে খুব বেশি মূল্য দেন তারা কোন কিছুতেই তৃপ্তি পান না আর তাদের মানসিক স্বাস্থ্যও ভেঙে যায়। এর কারণ হতে পারে যে টাকাপয়সা হয়তো শুধু বাইরের চাকচিক্যই নিয়ে আসে।”

বিশ্বে নিরক্ষরতার হার বেড়ে চলেছে

“বিশ্বের ৫৯০ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে ছয় ভাগের একভাগ লোক লিখতে পড়তে জানে না,” দ্যা নিউ ইয়র্ক টাইমস জানায়। রাষ্ট্র সংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) বলে যে নিরক্ষতার হার কেবল বেড়েই চলেছে। কেন? কারণ এখনও দরিদ্র দেশগুলোতে ৪ জন শিশুর মধ্যে ৩ জন শিশুই স্কুলে যায় না। সারা পৃথিবীতে অর্থনৈতিক সমস্যা ছাড়াও জাতিগত দ্বন্দ্ব, লাখ লাখ শিশুদেরকে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করেছে। যুদ্ধ শুধু স্কুলগুলোকেই ধ্বংস করে না কিন্তু অনেক ছেলেমেয়েদের ছাত্র করার বদলে সৈনিক বানায়। অশিক্ষা থেকে সামাজিক সমস্যারও সৃষ্টি হয়। বিশ্বের শিশুদের অবস্থা ১৯৯৯ (ইংরেজি) শিরোনামে ইউনিসেফের একটা রিপোর্ট জানায় যে অশিক্ষার সঙ্গে জন্মহারের একটা সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, দক্ষিণ আমেরিকার একটা দেশে, “নিরক্ষর মহিলাদের গড়ে ৬.৫ জন করে সন্তান আছে এবং মাধ্যমিক স্কুল পাশ করা মায়েদের গড়ে ২.৫ জন করে সন্তান আছে,” টাইমস পত্রিকা বলে।

হাজার বছরের পাগলামি

নান্দো টাইমস রিপোর্ট করে যে হাজার বছরে হিংসার সম্ভাবনা দেখে “[ইস্রায়েলি] সরকার টেম্পল মাউন্টের সুরক্ষার জন্য ১ কোটি ২০ লক্ষ মার্কিন ডলার অনুমোদন করেছেন।” পুলিশরা আশঙ্কা করছেন যে কিছু গোঁড়া যিহূদী “খ্রীষ্টানেরা” হয়তো যিহূদী মন্দিরকে আবার বানানোর জন্য টেম্পল মাউন্টের মসজিদগুলোকে ধ্বংস করতে পারেন। কিছু “খ্রীষ্টান” সম্প্রদায় বিশ্বাস করে যে তা করলে এই জগতের শেষ ও খ্রীষ্টের দ্বিতীয় আগমন তাড়াতাড়ি হবে। সেই রিপোর্ট অনুসারে, টেম্পল মাউন্ট যা মুসলমানদের কাছে আল-হারাম আল-শরীফ নামে পরিচিত সেটাকে “মধ্যপ্রাচ্যে সংঘর্ষের জন্য সবচেয়ে স্পর্শকাতর জায়গা বলে মনে করা হয়।” এটা “প্রাচীর ঘেরা প্রাচীন যিরূশালেম শহরে” অবস্থিত “যেটাকে ১৯৬৭ সালে ইস্রায়েল মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধে জর্ডনের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়েছিল।” লক্ষ্য করা গেছে যে বিরাট সংখ্যক “খ্রীষ্টানেরা” খ্রীষ্টের আগমনের আশায় এখন থেকেই জৈতুন পর্বতে জায়গা কিনে রেখেছেন।

দুর্বার ইয়াংজি নদীকে বশে আনা

নির্মাণ কাজ শেষ হলে ইয়াংজি নদীর থ্রী গর্জেস বাঁধই হবে বিশ্বের মধ্যে জলবিদ্যুতের সবচেয়ে বড় উৎস। ওই বাঁধ ১৮৫ মিটার উঁচু ও ২.৩ কিলোমিটার লম্বা হবে এবং ১ কোটি ৮০ লক্ষ ২০ হাজার কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্ন করবে। বাঁধ নির্মাণের আসল কারণ কিন্তু শুধু জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করাই নয়। ইয়াংজি নদীর কারণে যে বন্যা হয় তা রোধ করার লক্ষ্যেই এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। নির্মাণ কাজ ১৯৯৪ সালে শুরু হয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে যে ২০০৯ সালের মধ্যে তা শেষ হবে। এই বিরাট প্রকল্পটার জন্য ১৪ কোটি ৭০ লক্ষ ঘন মিটার ভূমি ও শিলা খনন করতে হবে, ২৫ কোটি ঘন মিটার কংক্রীট ঢালতে হবে এবং প্রায় কুড়ি লাখ টন ইস্পাত লাগবে। “কিন্তু সবচেয়ে কঠিন কাজ হল এই প্রকল্পের জন্য যে ১১ লাখ লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের থাকার ব্যবস্থা করা,” চায়না টুডে বলে।

হাঁপানি রোগ বেড়ে চলেছে

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট দেখায় যে গত দশ বছরে সারা বিশ্বে হাঁপানি রোগ ও এর কারণে হাসপাতালে ভর্তির হার শতকরা ৪০ ভাগ বেড়ে গিয়েছে। কেন এই বৃদ্ধি? আমেরিকান কলেজ অফ চেস্ট ফিজিসিয়ানসের সদস্যরা এর কারণ হিসেবে বলেন যে লোকেরা বেশি করে পশুপাখি পুষতে শুরু করেছেন আর আজকাল লোকেরা ছোট ছোট ঘরে থাকেন যেখানে হাওয়া বাতাস ঢোকে না। দ্যা টরেন্টো স্টার জানায়, “পশুপাখির (চামড়া, লোম ও পালক), ধুলোর পরজীবী কীট, ছত্রাক, সিগারেটের ধোঁয়া, ফুলের পরাগ, পরিবেশ দূষণ ও কোন তীব্র গন্ধ” হাঁপানি রোগের সংক্রমণকে বাড়িয়ে দেয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি এলার্জি হয় বিড়ালের লোমে। খবরের কাগজটা বলেছিল যে হাঁপানি রোগের দিকে বিশেষভাবে নজর দেওয়া হয় কারণ এই রোগে আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগীকে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো যায়। এখন কানাডাতে প্রায় ১৫ লাখ লোক হাঁপানিতে ভোগে এবং প্রায় ৫০০ জন লোক প্রতি বছর এই রোগে মারা যায়।

খারাপ আবহাওয়া প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি করে

১৯৯৮ সালের প্রথম এগার মাসে, সারা পৃথিবীতে খারাপ আবহাওয়ার কারণে ৮৯০ কোটি মার্কিন ডলারের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল। “পুরো ১৯৮০-র দশকে যেখানে ক্ষতির পরিমাণ ছিল ৫৫০ কোটি মার্কিন ডলার, সেই তুলনায় এই ক্ষয়ক্ষতি ছিল অনেক বেশি,” একটা সহকারী খবরের কাগজ বলে। রিপোর্টটা জানায়: “মুদ্রাস্ফীতির কারণে যে ক্ষতি হয়েছিল তা যোগ করেও ৮০-র দশকের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হয় ৮২.৭ কোটি মার্কিন ডলার যা তবুও গত বছরের ১১ মাসে হওয়া ক্ষয়ক্ষতির চেয়ে অনেক কম।” শুধুমাত্র বস্তুগত ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াও ঝড়, বন্যা, অগ্নিকাণ্ড ও খরার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে প্রায় ৩২,০০০ জন লোক প্রাণ হারিয়েছে। বিশ্ব নিরীক্ষা সংস্থার সেথ্‌ ডন বলেন, “এই প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোর পিছনে প্রায়ই মানুষদের হাত থাকে।” কিন্তু কীভাবে? ডনের কথা অনুযায়ী, বননিধন এর জন্য দায়ী কারণ গাছপালা কেটে ফেলায় মাটি আলগা হয়ে গেছে ও আর্দ্রভূমির ক্ষতি হয়েছে যা ‘প্রকৃতির শোষক’ হিসেবে কাজ করত।

পরিবারগুলো চাপের মুখে

সম্প্রতি, কানাডাবাসীদের ওপর করা একটা সমীক্ষা বলে যে পঞ্চাশ বছর আগে যুদ্ধের পরে পরিবারগুলো যতটা না চাপের মধ্যে ছিল তার চেয়ে এখন তারা অনেক বেশি অর্থনৈতিক ও আবেগগত চাপের মধ্যে আছে। ন্যাশনাল পোস্ট সংবাদপত্র বলে যে বিবাহবিচ্ছেদ ও পরিবারের ভাঙনই এই চাপের প্রধান কারণ। পরিবারের চাপের অন্যান্য কারণগুলো হল “বাবামায়েদের অনেক বেশি আর অনেক ঘন্টা কাজ করা, চাকরি চলে যাওয়ার ভয়, অতিরিক্ত কর দেওয়ার চাপ এবং ছেলেমেয়েদের মানুষ করতে গিয়ে যে পরিশ্রম তারা করেন তার জন্য উপলব্ধির অভাব।” সমীক্ষায় যারা অংশ নিয়েছিলেন তারা বলেন যে একক অভিভাবক পরিবারগুলোতেই এই চাপ সবচেয়ে বেশি।

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার