আমাদের পাঠক-পাঠিকাদের থেকে
কষ্টভোগ “যুবক-যুবতীদের জিজ্ঞাস্য . . . ঈশ্বর কেন আমাদের কষ্টভোগ করতে দেন?” (জুলাই - সেপ্টেম্বর, ২০০৪) প্রবন্ধটির জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমার বয়স ১৪ বছর আর আমার খুব ঘনিষ্ঠ দুজন লোক—আমার দাদু ও আমার পিসি—সম্প্রতি মারা গিয়েছে। আমি জানি যে, তাদের মৃত্যুর জন্য ঈশ্বরকে দোষারোপ করা যায় না। এর জন্য শয়তানই দায়ী আর তার জন্য অল্প কিছু সময় বাকি রয়েছে। এই প্রবন্ধটি আমাকে সত্যিই খুব সান্ত্বনা দিয়েছে। দয়া করে এই ধরনের প্রবন্ধগুলো লেখা চালিয়ে যাবেন। অন্তর থেকে আবারও আপনাদের ধন্যবাদ জানাই।
বি. বি., যুক্তরাষ্ট্র
আমি যাকে বিয়ে করব বলে ঠিক করেছিলাম, সেই মেয়ে সম্প্রতি এক গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছে। এটা আমার জন্য, মণ্ডলীর জন্য ও বিশেষ করে তার বাবামার জন্য এক মর্মান্তিক ঘটনা ছিল। গভীর শোক কাটিয়ে উঠতে আমাকে সাহায্য করার জন্য আমি যিহোবাকে ধন্যবাদ জানাই। আর “ঈশ্বর কেন আমাদের কষ্টভোগ করতে দেন?” প্রবন্ধটির জন্য আমি আপনাদের ধন্যবাদ জানাই। এটা আমার কাছে একেবারে উপযুক্ত সময়ে এসে পৌঁছেছিল।
আই. ডি., জার্মানি
প্রথমে আমি এই প্রবন্ধটি পড়তে চাইনি। আমি ভেবেছিলাম যে, এর বিষয়বস্তু হতাশাজনক হবে। দুই বছর আগে অসুস্থতায় ভুগে আমার দাদা মারা গিয়েছেন আর আমার এখনও মানসিক ক্ষত রয়ে গেছে। কিন্তু, এই প্রবন্ধ আমাকে মনে করিয়ে দিয়েছে যে, যিহোবা হলেন উত্তম উত্তম বরদাতা। আমি অনুভব করেছি যে, আমার ক্ষতগুলো খুব দ্রুত সেরে উঠেছে আর আমি এই অস্থিতিশীল জগতে বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় সাহস অর্জন করেছি।
এস. এইচ., জাপান
বিকৃত চেহারার বাচ্চা মাইলিনের অভিজ্ঞতা আমাকে গভীরভাবে স্পর্শ করেছে। (“মাইলিনের জন্য এক নতুন মুখমণ্ডল,” জুলাই - সেপ্টেম্বর, ২০০৪) এই ১১ বছর বয়সী বাচ্চাটি কীভাবে এক ভয়াবহ যন্ত্রণা সহ্য করে আসছে অথচ অন্যদের সঙ্গে তার বাইবেলভিত্তিক আশা সম্বন্ধে কথা বলে, সেই বিষয় পড়ে আমি অনেক উৎসাহ পেয়েছি।
এম. বি., ইতালি
মাইলিন ও তার পরিবারের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি আমার জন্য খুবই উৎসাহজনক ছিল। আজকের জগতে প্রচারমাধ্যমগুলো মুখমণ্ডলের ওপর অযথা জোর দিয়ে থাকে। এটা কষ্টদায়ক হতে পারে। আমি মাইলিনকে বলতে চাই যে, তার প্রকৃত সৌন্দর্য আমার কাছে একেবারে স্পষ্ট। আমি আশা করি যে, যিহোবা যখন তাঁর নতুন জগতে তাকে এক নতুন মুখমণ্ডল দেবেন, তখন তার সঙ্গে আনন্দ করার সুযোগ আমার হবে। তার বিশ্বাস আমাকে আরও বেশি শক্তিশালী করেছে।
এম. এস., যুক্তরাষ্ট্র
শীঘ্রই অপারেশনের মাধ্যমে আমার একটা স্তন কেটে ফেলা হবে। কোনো অসুস্থতার কারণে যখন আপনার চেহারা নষ্ট হয়ে যায়, তখন হতাশ না হয়ে পড়ার জন্য শক্তি ও সাহসের প্রয়োজন হয়। মাইলিনের সাহসী ও আশাবাদী হওয়া আমাকে শক্তিশালী করেছে। মাইলিনকে আমি বলতে চাই: তোমার জন্য শুভেচ্ছা রইল। আমি বিশ্বাস করি যে, তুমি খুবই সুন্দর!
জি. আর., ফ্রান্স
আমি হেয়ারলিপ (ওষ্ঠ বিদারণ) নামে এক শারীরিক খুঁত নিয়ে জন্মেছি। স্কুলে অনেক বাচ্চা আমার দিকে অদ্ভুতভাবে তাকাত। কেউ কেউ এমনকি আমার গায়ে থুথুও ফেলেছিল। আমি বিশ্বাস করি যে, আমার মা বাইবেল থেকে আমাকে যা শিক্ষা দিয়েছিলেন সেই বিষয়ই আমাকে সাহস ও আত্মবিশ্বাস সঞ্চয় করতে সাহায্য করেছিল। এমনকি এখনও, ৩১ বছর বয়সে আমি আমার চেহারার জন্য হতাশবোধ করি। তাই মাইলিনের অভিজ্ঞতা আমাকে গভীরভাবে স্পর্শ করেছে। আমি জানি যে আর যেকোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখিই হই না কেন, যিহোবার সাহায্যে আমরা তা সহ্য করতে পারব।
টি. এস., জাপান
মাইলিন আমাকে প্রমাণ করেছে যে, বাহ্যিক চেহারা সুখ ও পরিতৃপ্তি নিয়ে আসে না। এটা একমাত্র তখনই আসে, যখন আমরা আমাদের ঈশ্বরের সেবা করি ও তাঁকে ভালবাসি। মাইলিনের উদাহরণ হচ্ছে আমার জন্য এক অনুপ্রেরণা।
এ. টি., ফিলিপিনস