ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • g ১/০৬ পৃষ্ঠা ১০-১১
  • সমস্ত দুর্যোগ—শীঘ্রই শেষ

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • সমস্ত দুর্যোগ—শীঘ্রই শেষ
  • ২০০৬ সচেতন থাক!
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • আমাদের সময়ের জন্য সতর্কবাণীমূলক এক চিহ্ন
  • এক ঘুমন্ত দৈত্যের ছায়ায় বসবাস করা
    ২০০৭ সচেতন থাক!
  • আমরা কি “শেষ কালে” বাস করছি?
    বাইবেল প্রকৃতপক্ষে কী শিক্ষা দেয়?
  • পম্পেই যেখানে সময় থমকে গেছে
    ১৯৯৭ সচেতন থাক!
  • আপনি কি যিশুর উপস্থিতির চিহ্নটা বুঝতে পারছেন?
    ২০০৫ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
আরও দেখুন
২০০৬ সচেতন থাক!
g ১/০৬ পৃষ্ঠা ১০-১১

সমস্ত দুর্যোগ—শীঘ্রই শেষ

একটি ঘোষণা: “যেকোনো সময় এই পর্বত বিস্ফোরিত হবে। কিন্তু, তার আগে গুড়গুড় আওয়াজ ও ভূমিকম্প হবে। ধোঁয়া এবং অগ্নিশিখা দেখা যাবে, হু হু শব্দ করে প্রচণ্ড গতিতে বাতাস বইবে। যতদূরে সম্ভব পালিয়ে যান . . . যদি উপেক্ষা করেন, যদি স্থাবর অস্থাবর সম্পদ আপনার কাছে জীবনের চেয়ে অধিক মূল্যবান বলে মনে হয়, তা হলে অসতর্কতা ও লোভের জন্য আপনাকে শাস্তি পেতে হবে। গৃহের সুখস্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে মাথা ঘামাবেন না, কোনোদিক না ভেবে শুধু পালান।”

এই সতর্কবাণীটা এন্ড্রু রবিনসনের দ্বারা রচিত পৃথিবীর আকস্মিক আঘাত (ইংরেজি) বই থেকে নেওয়া হয়েছে, যা পোরতিচিতে—ইতালির ভিসুভিয়াস পর্বতের পাদদেশে অবস্থিত একটা শহরে—১৬৩১ সালে অগ্নুৎপাতের পর এক স্মারণিক ফলকে লেখা হয়েছিল। সেই অগ্নুৎপাতে ৪,০০০রেরও বেশি লোক মারা গিয়েছিল। “দুর্ভাগ্যবশত,” রবিনসন বলেন, “১৬৩১ সালের এই অগ্নুৎপাতই . . . ভিসুভিয়াসকে এতটা সুপরিচিত করে তুলেছিল।” কীভাবে? পোরতিচিকে পুনর্নিমাণ করার কারণেই হারকুলেনিয়াম ও পম্পেই শহর আবিষ্কৃত হয়েছিল। দুটো শহরই সা.কা. ৭৯ সালে ভিসুভিয়াস পর্বতের অগ্নুৎপাতের কারণে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।

সেই দুর্যোগ থেকে রক্ষাপ্রাপ্ত একজন রোমীয় ব্যক্তি প্লিনি দ্যা ইয়ংগার, যিনি পরে দেশাধ্যক্ষ হয়েছিলেন, তিনি সেই অস্বাভাবিক সতর্কবাণীমূলক ভূকম্পন সম্বন্ধে লিখেছিলেন। তিনি, তার মা এবং অন্যান্যরা সতর্কবাণী অনুযায়ী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন ও রক্ষা পেয়েছিলেন।

আমাদের সময়ের জন্য সতর্কবাণীমূলক এক চিহ্ন

আজকে আমরা দ্রুতগতিতে এই জগতের অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যবস্থার শেষের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। কীভাবে আমরা তা জানি? কারণ যিশু খ্রিস্ট জগতের কিছু ধারাবাহিক ঘটনার বিষয় সম্বন্ধে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, যেগুলো এই চিহ্ন জোগাবে যে, ঈশ্বরের নিকাশের দিন সন্নিকট। একটা আগ্নেয়গিরি যেমন গুড়গুড় আওয়াজ করে, ধোঁয়া এবং কয়লা নির্গত করে, তেমনই সেই যৌগিক চিহ্নের অন্তর্ভুক্ত বড় বড় যুদ্ধ, ভূমিকম্প, দুর্ভিক্ষ এবং মহামারী—এই সমস্তকিছুই জগতে ১৯১৪ সাল থেকে নজিরবিহীন মাত্রায় বৃদ্ধি পেয়েছে।—মথি ২৪:৩-৮; লূক ২১:১০, ১১; প্রকাশিত বাক্য ৬:১-৮.

কিন্তু, যিশুর সতর্কবাণীমূলক চিহ্নে আশার এক বার্তাও রয়েছে। “রাজ্যের এই সুসমাচার,” তিনি বলেছিলেন, “সর্ব্বজাতির কাছে সাক্ষ্য দিবার নিমিত্ত . . . সমুদয় জগতে প্রচার করা যাইবে; আর তখন শেষ উপস্থিত হইবে।” (মথি ২৪:১৪) লক্ষ করুন যে, যিশু রাজ্যের বার্তাকে “সুসমাচার” বলেছিলেন। এটা বাস্তবিকই এক সুসমাচার কারণ ঈশ্বরের রাজ্য অর্থাৎ খ্রিস্টের অধীনে এক স্বর্গীয় সরকার, মানুষের কারণে যে-ক্ষতিগুলো হয়েছে, সেগুলো দূর করে দেবে। অধিকন্তু, এটা প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলোকে বিলুপ্ত করবে।—লূক ৪:৪৩; প্রকাশিত বাক্য ২১:৩, ৪.

বস্তুতপক্ষে, পৃথিবীতে একজন মানুষ হিসেবে যিশু এক প্রচণ্ড ঝড়কে শান্ত করার মাধ্যমে এর ওপর তাঁর শক্তি প্রদর্শন করেছিলেন। বিস্মিত হয়ে আতঙ্কিত শিষ্যরা বলেছিল: “ইনি তবে কে যে বায়ুকে ও জলকেও আজ্ঞা দেন, আর তাহারা ইহাঁর আজ্ঞা মানে?” (লূক ৮:২২-২৫) আজকে, যিশু এক সামান্য মানুষ নন কিন্তু এক শক্তিশালী আত্মিক ব্যক্তি। তাই, প্রাকৃতিক আবহাওয়া যাতে তাঁর প্রজাদের কোনোরকম ক্ষতি না করে, সেইজন্য সেগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখা তাঁর কাছে কোনো ব্যাপারই না!—গীতসংহিতা ২:৬-৯; প্রকাশিত বাক্য ১১:১৫.

কেউ কেউ হয়তো এই বিষয়গুলোকে স্বপ্নচারিতা বলে মনে করতে পারে। কিন্তু মনে রাখবেন যে, বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণী—মানব প্রতিজ্ঞা ও ভবিষ্যৎকথনের বৈসাদৃশ্যে—১৯১৪ সাল থেকে আমরা যে-ভবিষ্যদ্বাণীগুলো দেখেছি, সেগুলোসহ সমস্তই পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরিপূর্ণ হয়েছে। (যিশাইয় ৪৬:১০; ৫৫:১০, ১১) হ্যাঁ, পৃথিবীর শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের বিষয়ে নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। আমাদের ভবিষ্যৎও নিশ্চিত করা হবে, যদি আমরা ঈশ্বরের বাক্যে মনোযোগ দিই এবং জগৎ কাঁপানো যে-ঘটনাগুলো শীঘ্রই ঘটবে, সেই বিষয়ে দেওয়া প্রেমময় সতর্কবাণীতে কান দিই।—মথি ২৪:৪২, ৪৪; যোহন ১৭:৩. (g০৫ ৭/২২)

[১১ পৃষ্ঠার বাক্স/চিত্র]

আমাদের মৃত প্রিয়জনদের জন্য কোন আশা রয়েছে?

যখন আমরা মৃত্যুতে কোনো প্রিয়জনকে হারাই, তখন আমরা শোকাচ্ছন্ন হয়ে পড়তে পারি। বাইবেল আমাদের বলে যে, যিশু তাঁর প্রিয় বন্ধু লাসারের মৃত্যুতে কেঁদেছিলেন। তা সত্ত্বেও, অল্প কিছু সময় পর যিশু এক বিস্ময়কর অলৌকিক কাজ করেছিলেন—তিনি লাসারকে জীবিত করেছিলেন! (যোহন ১১:৩২-৪৪) তা করার মাধ্যমে তিনি সমস্ত মানবজাতিকে আগে তাঁর পরিচর্যায় তিনি যে-বিস্ময়কর প্রতিজ্ঞা করেছিলেন, সেটাতে বিশ্বাস করার দৃঢ় ভিত্তি জুগিয়েছিলেন, যেখানে তিনি বলেছিলেন: “এমন সময় আসিতেছে, যখন কবরস্থ সকলে [যিশুর] রব শুনিবে, এবং . . . বাহির হইয়া আসিবে।” (যোহন ৫:২৮, ২৯) এক পরমদেশ পৃথিবীতে জীবনে পুনরুত্থানের এক মূল্যবান আশা যেন সেইসমস্ত ব্যক্তিকে সান্ত্বনা এনে দেয়, যারা মৃত্যুতে তাদের প্রিয়জনকে হারিয়েছে।—প্রেরিত ২৪:১৫.

[১০ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]

আপনি কি এই সতর্কবাণীতে মনোযোগ দিচ্ছেন যে, বর্তমান জগৎ এখন এর শেষকালে রয়েছে?

[১০ পৃষ্ঠার চিত্র সৌজন্যে]

USGS, David A. Johnston, Cascades Volcano Observatory

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার