ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • g ৪/১৪ পৃষ্ঠা ১২-১৩
  • আপনার রহস্যময় অশ্রু

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • আপনার রহস্যময় অশ্রু
  • ২০১৪ সচেতন থাক!
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • যিশু যে কেঁদেছিলেন, তা থেকেও কি আমরা কিছু শিখতে পারি?
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য সম্বন্ধে ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০২২
  • আপনার চোখের জল যিহোবার কাছে মূল্যবান
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য সম্বন্ধে ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০২৪
  • “দেখ, আমি সকলই নূতন করিতেছি”
    ২০১৪ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • পাঠক-পাঠিকাদের থেকে প্রশ্নসকল
    ২০১৩ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
আরও দেখুন
২০১৪ সচেতন থাক!
g ৪/১৪ পৃষ্ঠা ১২-১৩
একজন ব্যক্তি চাখের জল ফেলছন

আপনার রহস্যময় অশ্রু

জন্মের দিন থেকে কান্না আমাদের সঙ্গী হয়ে আছে। একজন বিশেষজ্ঞের মতে, শিশু অবস্থায় আমরা আমাদের কান্নার মাধ্যমে আমাদের কী দরকার, তা বোঝাতে চাই কারণ আমরা আমাদের আবেগগত ও শারীরিক প্রয়োজনীয়তা পূরণ করার জন্য কাঁদি। কিন্তু প্রশ্ন হল, বড়ো হওয়ার পরও যখন আমরা অন্য উপায়ে মনের ভাব প্রকাশ করতে পারি, তখনও কেন আমরা অশ্রু বা চোখের জল ফেলি?

বিভিন্ন আবেগগত কারণে আমাদের চোখ জলে ভরে যায়। আমাদের প্রচণ্ড শোক, হতাশা কিংবা শারীরিক অথবা মানসিক কষ্ট হলে, আমরা হয়তো কেঁদে ফেলি। কিন্তু আবার আনন্দের কোনো মুহূর্ত, স্বস্তি আর কোনো সাফল্যও চোখে জল এনে দিতে পারে, যাকে বলে আনন্দাশ্রু। অন্যের চোখে জল দেখেও আমরা কেঁদে ফেলতে পারি। মারিয়া নামে একজন মহিলা বলেন, “আমি যখন অন্যকে কাঁদতে দেখি, তা যেকোনো কারণেই হোক না কেন, তখন আমি নিজেকে সামলাতে পারি না, আমিও কেঁদে ফেলি।’ কোনো সিনেমা অথবা কোনো বইয়ের ঘটনাও আপনার চোখে জল এনে দিতে পারে।

একজন মেয়ে চাখের জল ফেলছ, একটা শিশু কঁদছ এবং একজন মহিলা চাখের জল ফেলছন

কারণ যা-ই হোক না কেন, কান্না হল অতীব কার্যকরী এক অনুচ্চারিত ভাষা। প্রাপ্তবয়স্কদের কান্না (ইংরেজি) নামে একটা বই ব্যাখ্যা করে, “এত অল্প সময়ে এত বেশি কথা বলার এইরকম উপায় খুব কমই আছে।” চোখের জল আমাদের অনুভূতি জাগিয়ে তোলে। উদাহরণ স্বরূপ, আমাদের মধ্যে বেশিরভাগ লোকই দুঃখের কান্না দেখে প্রভাবিত না হয়ে থাকতে পারে না কারণ সেটা আমাদের বলে দেয় যে, কেউ কষ্ট পাচ্ছে। আর সেই কারণেই আমরা হয়তো যিনি কাঁদছেন, তাকে সান্ত্বনা দিই কিংবা সাহায্য করি।

কিছু কিছু বিশেষজ্ঞ মনে করে যে, কান্না আমাদের আবেগের বহিঃপ্রকাশের এক কার্যকরী উপায় আর সেই কান্নাকে বার বার চেপে রাখলে, তা হয়তো আমাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। আবার অন্যেরা যুক্তি দেখায়, কান্না যে শারীরিক অথবা মানসিকভাবে উপকার করে, তা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত নয়। তবুও সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, ৮৫ শতাংশ মহিলা ও ৭৩ শতাংশ পুরুষ কাঁদার পর নিজেকে হালকা মনে করে থাকে। নোয়িমি নামে একজন মহিলা বলেন, “কখনো কখনো আমি বুঝতে পারি যে, আমার কাঁদা উচিত। আর কাঁদার পর আমার নিজেকে হালকা লাগে আর আমি বিষয়গুলোকে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখতে পাই।”

সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, ৮৫ শতাংশ মহিলা ও ৭৩ শতাংশ পুরুষ কাঁদার পর নিজেকে হালকা মনে করে থাকে

কিন্তু, এই ধরণের স্বস্তির অনুভূতি হয়তো শুধুমাত্র কাঁদার ওপর নির্ভর করে না। আমাদের কান্নার প্রতি অন্যেরা যেমন প্রতিক্রিয়া দেখায়, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেমন, যখন আমাদের কান্না দেখে অন্যেরা আমাদের সান্ত্বনা দেয় অথবা আমাদের সাহায্য করে, তখন আমরা স্বস্তি পাই। কিন্তু, যদি কেউ সেদিকে নজর না দেয়, তবে আমরা হয়তো লজ্জিত বোধ করি কিংবা অবহেলিত মনে করি।

তবে এটা ঠিক যে, চোখের জল সম্পর্কে রহস্য অধরাই থেকে গিয়েছে। তবে আমরা যা জানি তা হল, চোখের জল আমাদের আবেগকে প্রকাশ করার এক অন্যতম উপায়, যা ঈশ্বর আমাদেরকে দিয়েছেন। ◼ (g১৪-E ০৩)

আপনি কি জানতেন?

নবজাত শিশুরা সাধারণত চোখের জল ফেলে না। তাদের চোখে পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল পদার্থ থাকে, যা তাদের চোখকে রক্ষা করে, কিন্তু জন্মের কিছু সপ্তাহ পরই তাদের অশ্রুনালী সম্পূর্ণরূপে গঠিত হলে তাদের চোখে জল দেখা যায়।

তিন প্রকারের চোখের জল

  • স্বাভাবিক চোখের জল। অশ্রু গ্রন্থি ক্রমাগত এই ধরনের স্বচ্ছ তরল পদার্থ উৎপন্ন করে, যা চোখকে রক্ষা করে এবং চোখের ভেতরের অংশকে পিচ্ছিল রাখে। এ ছাড়া, এটা আমাদের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। যখন আমরা চোখের পাতা ফেলি, তখন এই তরল পদার্থ পুরো চোখে ছড়িয়ে পড়ে।

  • প্রতিবর্তী চোখের জল। এই ধরনের চোখের জল তখনই আসে, যখন আমাদের চোখে কোনো কিছু পড়ে। আবার অন্যান্য কারণেও যেমন, হাই তুললে ও হাসলে চোখে যে-জল আসে, সেটাও প্রতিবর্তী চোখের জল।

  • আবেগগত চোখের জল। এই ধরনের চোখের জল তখনই দেখা যায়, যখন আমরা প্রচণ্ড আবেগ অনুভব করার সময় কেঁদে ফেলি আর এটা একমাত্র মানুষের ক্ষেত্রেই দেখা যায়। প্রতিবর্তী চোখের জলের চেয়ে এতে ২৪ শতাংশ বেশি প্রোটিন থাকে।

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার