পরিবারের সদস্যদের প্রতি সম্মান দেখান
পরিবারের সদস্যদের প্রতি সম্মান দেখানো কেন গুরুত্বপূর্ণ?
পরিবারের সদস্যরা যখন একে অন্যের প্রতি সম্মান দেখায়, তখন সবাই শান্তিতে থাকতে পারে।
বিয়েকে সফল করার জন্য সাতটা নীতি (ইংরেজি) নামক একটা বই অনুযায়ী, যখন স্বামী-স্ত্রী একে অন্যের প্রতি সম্মান দেখায়, তখন তারা “শুধুমাত্র বড়ো বড়ো বিষয়েই নয়, কিন্তু ছোটোখাটো বিষয়েও প্রতিদিন একে অন্যের প্রতি ভালোবাসা দেখায়।”
গবেষণা করে দেখা গিয়েছে, সন্তানেরা যখন অন্যদের সম্মান করতে শেখে, তখন তাদের আত্মসম্মান বৃদ্ধি পায়, বাবা-মায়ের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আরও ভালো হয় এবং তারা খুব কমই মানসিক সমস্যায় ভোগে।
আপনি কী করতে পারেন?
পরিবারের সঙ্গে বসে আলোচনা করুন। প্রথমত, আপনারা স্বামী-স্ত্রী মিলে এই বিষয়টা নিশ্চিত করুন, পরিবারের প্রত্যেক সদস্য যেন বোঝে যে, “সম্মান দেখানো” বলতে আসলে কী বোঝায়। দ্বিতীয়ত, লিখে রাখুন, প্রত্যেকের কীরকম আচরণ করা উচিত আর কীরকম আচরণ করা উচিত নয়। তৃতীয়ত, যা লেখা হল, সেটা নিয়ে পুরো পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করুন, যাতে সবার জানা থাকে, একে অন্যের প্রতি সম্মান দেখানোর জন্য প্রত্যেকের কী করা উচিত।
এক উত্তম উদাহরণ স্থাপন করুন। আপনার পরিবারের কোনো সদস্য যদি কোনো ভুল করে, তা হলে আপনি কি তার সমালোচনা করেন? তারা যদি কোনো বিষয়ে তাদের মতামত প্রকাশ করে, তা হলে আপনি কি সেটা নিয়ে হাসিঠাট্টা করেন? কিংবা কেউ যখন আপনার সঙ্গে কথা বলে, তখন কি আপনি তাকে বাধা দেন কিংবা তার কথাটা উড়িয়ে দেন? মনে রাখবেন, আপনাকেই প্রথমে অন্যদের সম্মান দেখাতে হবে।
পরামর্শ: আপনার বিবাহসাথি এবং সন্তানদের প্রতি তখনও সম্মান দেখানোর চেষ্টা করুন, যখন আপনার মনে হয়, তারা সম্মান পাওয়ার যোগ্য নয়।
একমত না হলেও ঝগড়া করবেন না। পরিবারের কোনো সদস্যের সঙ্গে কথা বলার সময় এমনটা বলবেন না, “তুমি সবসময় এ-রকম কর,” কিংবা “তুমি কখনো আমার কথা শোনো না,” অথবা “তোমার সঙ্গে কথা বলে কোনো লাভ নেই।” এ-রকম খোঁচা দেওয়া কথা সেই ব্যক্তিকে আঘাত দিতে পারে এবং একটা ছোটো ঝগড়াও বড়ো ঝগড়ায় পরিণত হতে পারে।
আমাদের প্রচেষ্টা
যিহোবার সাক্ষিরা পরিবারের সদস্যদের উৎসাহিত করে, যাতে তারা একে অন্যের প্রতি সম্মান দেখায়। এই বিষয়ে আমাদের বিভিন্ন প্রবন্ধ, বই, পত্রিকা ও ভিডিও রয়েছে, যেগুলো আপনি বিনা মূল্যে পেতে পারেন।
বিবাহিত দম্পতিদের জন্য: jw.org ওয়েবসাইটে পরিবারের জন্য সাহায্য ধারাবাহিক প্রবন্ধ রয়েছে, যেখান থেকে বিবাহিত দম্পতিরা সাহায্য পেতে পারে, যেমন . . .
যেভাবে একজন উত্তম শ্রোতা হওয়া যায়
একসঙ্গে প্রচেষ্টা করলে যে-উপকার পাওয়া যায়
যেভাবে তর্কবিতর্ক থামানো যেতে পারে
(jw.org ওয়েবসাইটে গিয়ে বাইবেলের শিক্ষা>বিয়ে এবং পরিবার>বিয়ে-এর অধীনে দেখুন)
বাবা-মায়েদের জন্য: jw.org ওয়েবসাইটে পরিবারের জন্য সাহায্য ধারাবাহিক প্রবন্ধ রয়েছে, যেখান থেকে বাবা-মায়েরা তাদের সন্তানদের অনেক কিছু শেখাতে পারে, যেমন . . .
কেন বাধ্য হওয়া উচিত
ঘরের কাজে কীভাবে সাহায্য করা যায়
কেন সবসময় “প্লিজ” ও “থ্যাঙ্ক ইউ” বলতে হয়
(jw.org ওয়েবসাইটে গিয়ে ‘অনুসন্ধান করুন’ বাক্সে “সন্তান মানুষ করে তোলা” এবং “কিশোর-কিশোরীদের মানুষ করে তোলা” টাইপ করে খুঁজুন)
এ ছাড়া, এই প্রবন্ধগুলোও দেখুন: ২০১৯ সালের সজাগ হোন! নং ২-এ “ছয়টা শিক্ষা সন্তানদের শেখা প্রয়োজন” এবং ২০১৮ সালের সজাগ হোন! নং ২-এ “সফল পরিবার গড়ে তোলার ১২ রহস্য।” (jw.org ওয়েবসাইটে ‘অনুসন্ধান করুন’ বাক্সে প্রবন্ধগুলোর শিরোনাম টাইপ করে খুঁজুন)
অল্পবয়সিদের জন্য: jw.org ওয়েবসাইটে কিশোর-কিশোরী ও তরুণ-তরুণী বিভাগে অনেক প্রবন্ধ ও ভিডিও রয়েছে, যেগুলো অল্পবয়সিদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে, যেমন . . .
কীভাবে বাবা-মায়ের সঙ্গে সম্মান দিয়ে কথা বলতে হয়
কীভাবে রাগ নিয়ন্ত্রণ করা যায়
কীভাবে বাবা-মায়ের আস্থা অর্জন করা যায়
(jw.org ওয়েবসাইটে ‘অনুসন্ধান করুন’ বাক্সে “তরুণ-তরুণী” টাইপ করে খুঁজুন)
jw.org ওয়েবসাইট বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যায়। এর জন্য কোনো টাকাপয়সা লাগে না, গ্রাহক হতে হয় না অথবা আমাদের সদস্য হতে হয় না। এ ছাড়া, আপনাদের কাছ থেকে কোনো ব্যক্তিগত তথ্য চাওয়া হয় না।