সারা পৃথিবীতে তাদের সংগঠন ও কাজ

দ্বীপ ও দেশ মিলিয়ে ২৩৫টা জায়গায় যে-সাক্ষ্যদানের কাজ হচ্ছে তা পরিচালনা করার জন্য বেশ কয়েকটা মাধ্যম ব্যবহার করা হয়।। তবে মূল পরিচালনা নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিনে অবস্থিত বিশ্বের প্রধান কার্যালয়ের পরিচালক গোষ্ঠীর কাছ থেকে আসে। বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের শাখা প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য পরিচালক গোষ্ঠী প্রতি বছর বিভিন্ন প্রতিনিধিদের পাঠায়। শাখা অফিসগুলোতে তিন থেকে সাত সদস্যের শাখা কমিটি রয়েছে, যারা তাদের অধীনস্থ জায়গাগুলোর কাজ দেখাশোনা করে। কয়েকটা শাখায় ছাপার সুযোগসুবিধা রয়েছে, কয়েকটাতে উচ্চগতিসম্পন্ন রোটারি প্রেস রয়েছে। প্রতিটা শাখার অধীনে যে-দেশ বা এলাকা রয়েছে সেগুলো বিভিন্ন জেলায় বিভক্ত আর জেলাগুলো আবার সীমাগুলোতে বিভক্ত। প্রতিটা সীমায় প্রায় ২০টা মণ্ডলী রয়েছে। একজন জেলা অধ্যক্ষ তার জেলার সীমাগুলোতে পর্যায়ক্রমে পরিদর্শন করেন। প্রতিটা সীমায় বছরে দুটো অধিবেশন হয়। এ ছাড়াও, সেখানে একজন সীমা অধ্যক্ষ থাকেন আর তিনি সাধারণত বছরে দুবার তার সীমার প্রতিটা মণ্ডলীতে যান, সেই মণ্ডলীর জন্য নির্ধারিত এলাকায় প্রচার কাজ করতে ও তা সংগঠিত করতে সাক্ষিদের সাহায্য করেন।

কিংডম হল সহ স্থানীয় মণ্ডলী হল আপনার এলাকায় সুসমাচার জানানোর কেন্দ্রস্থল। প্রতিটা মণ্ডলীর জন্য নির্ধারিত এলাকাগুলো ছোট ছোট এলাকায় ভাগ করা হয়। সাক্ষিদের ব্যক্তিগতভাবে এখানে কার্যভার দেওয়া হয়, যারা সেখানকার প্রতিটা ঘরের লোকেদের কাছে যাওয়ার ও কথা বলার জন্য চেষ্টা করে। প্রতিটা মণ্ডলীতে অল্প কয়েকজন থেকে প্রায় ২০০ জন সাক্ষি থাকে আর সেখানে বিভিন্ন কাজগুলো দেখাশোনা করার জন্য প্রাচীনদের নিয়োগ করা হয়। যিহোবার সাক্ষিদের সংগঠনে প্রত্যেক রাজ্য ঘোষণাকারীই অত্যন্ত মূল্যবান। প্রত্যেক সাক্ষি তা তিনি প্রধান কার্যালয়, শাখা বা মণ্ডলী যেখানেই সেবা করুন না কেন, ব্যক্তিগতভাবে ঈশ্বরের রাজ্য সম্বন্ধে অন্যদের বলার জন্য এই ক্ষেত্রের কাজে অংশ নেন।

এই কাজের রিপোর্টগুলো বিশ্বের প্রধান কার্যালয়ে এসে জমা হয় আর একটা বার্ষিক বর্ষপুস্তক (ইংরেজি) রচনা ও প্রকাশ করা হয়। এ ছাড়াও, প্রতি বছর ১লা জানুয়ারির প্রহরীদুর্গ-এ একটা তালিকা প্রকাশ করা হয়। যিহোবা ও খ্রীষ্ট যীশুর অধীনে তাঁর রাজ্য সম্বন্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার যে-কাজগুলো প্রতি বছর হয়ে থাকে, এই দুটো প্রকাশনা সেই বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট জানায়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, সাক্ষি ও আগ্রহী ব্যক্তি মিলিয়ে বছরে প্রায় ১,৫০,০০,০০০ জন যীশুর মৃত্যুর স্মরণার্থক সভায় উপস্থিত হয়েছে। যিহোবার সাক্ষিরা বছরে ১১০,০০,০০,০০০রও বেশি ঘন্টা সুসমাচার ঘোষণা করে আর ২,৫০,০০০রও বেশি নতুন ব্যক্তি বাপ্তাইজিত হয়। সব মিলিয়ে কোটি কোটি সংখ্যায় সাহিত্যাদি অর্পণ করা হয়।