ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • lv পৃষ্ঠা ২৩৯-পৃষ্ঠা ২৪২ অনু. ২
  • মস্তক আচ্ছাদন—কখন এবং কেন?

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • মস্তক আচ্ছাদন—কখন এবং কেন?
  • “ঈশ্বরের প্রেমে আপনাদিগকে রক্ষা কর”
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • পাঠকদের থেকে প্রশ্নসকল
    ২০০২ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • প্রশ্ন বাক্স
    ২০১৩ আমাদের রাজ্যের পরিচর্যা
  • পাঠক-পাঠিকাদের থেকে প্রশ্নসকল
    ২০০৯ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • মণ্ডলীতে মস্তকপদের ভূমিকা কী?
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য সম্বন্ধে ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০২১
“ঈশ্বরের প্রেমে আপনাদিগকে রক্ষা কর”
lv পৃষ্ঠা ২৩৯-পৃষ্ঠা ২৪২ অনু. ২

পরিশিষ্ট

মস্তক আচ্ছাদন—কখন এবং কেন?

একজন খ্রিস্টান নারীর তার উপাসনার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বিষয়ে কখন এবং কেন মস্তক আচ্ছাদন করা উচিত? আসুন আমরা এই বিষয়ের উপর প্রেরিত পৌলের অনুপ্রাণিত আলোচনা বিবেচনা করি। তিনি আমাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন, যাতে আমরা ঈশ্বরকে সম্মান করে এমন সঠিক সিদ্ধান্তগুলো নিতে পারি। (১ করিন্থীয় ১১:৩-১৬) পৌল বিবেচনা করার মতো তিনটে বিষয় প্রকাশ করেছেন: (১) এমন বিষয়গুলো, যেগুলোতে একজন একজন নারীর এই ধরনের আচ্ছাদনের প্রয়োজন রয়েছে, (২) এমন পরিস্থিতিগুলো, যেগুলোতে তার সেটা করা উচিত এবং (৩) এমন মনোভাব, যেটার জন্য তার এই মান কাজে লাগাতে হবে।

একজন খস্টান মহিলা নিজের স্বামীর উপথতিতে বাইবেল অধ্যয়ন পরিচালনা করার সময় মতক আচ্ছাদন করেছন

বিষয়গুলো। পৌল দুটো বিষয় উল্লেখ করেন: প্রার্থনা ও ভবিষ্যদ্‌বাণী করা। (৪, ৫ পদ) অবশ্যই, প্রার্থনা হচ্ছে যিহোবার সঙ্গে শ্রদ্ধাপূর্ণ কথা বলা। বর্তমানে, ভবিষ্যদ্‌বাণী করা যেকোনো বাইবেলভিত্তিক শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য, যে-শিক্ষা একজন খ্রিস্টান পরিচারক দিয়ে থাকেন। কিন্তু, পৌল কি ইঙ্গিত দিচ্ছেন যে, একজন নারী যখনই প্রার্থনা করেন বা বাইবেলের সত্য শিক্ষা দেন, তখনই তার মস্তক আচ্ছাদন করা উচিত? না। যে-পরিস্থিতিতে একজন নারী প্রার্থনা করেন বা শিক্ষা দেন, সেটাই পার্থক্যটা নির্ধারণ করে।

পরিস্থিতিগুলো। পৌলের কথাগুলো দুটো পরিস্থিতি বা ক্ষেত্র সম্বন্ধে বলে—পরিবার ও মণ্ডলী। তিনি বলেন: “স্ত্রীর মস্তকস্বরূপ পুরুষ, . . . যে কোন স্ত্রী অনাবৃত মস্তকে প্রার্থনা করে, কিম্বা ভাববাণী বলে, সে আপন মস্তকের অপমান করে।” (৩,  ৫ পদ) পারিবারিক ব্যবস্থায় একজন নারীর স্বামীই হলেন সেই ব্যক্তি, যাকে যিহোবা তার মস্তক হিসেবে নিযুক্ত করেছেন। স্ত্রী স্বামীর কর্তৃত্বকে প্রাপ্য স্বীকৃতি না দিয়ে যদি সেই দায়িত্বগুলো পালন করেন, যেগুলো যিহোবা স্বামীকে দিয়েছেন, তাহলে স্ত্রী স্বামীকে লজ্জায় ফেলবেন। উদাহরণ স্বরূপ, স্ত্রীকে যদি স্বামীর উপস্থিতিতে বাইবেল অধ্যয়ন পরিচালনা করতে হয়, তাহলে তিনি মস্তক আচ্ছাদন করার দ্বারা স্বামীর কর্তৃত্বকে স্বীকার করবেন। স্বামী বাপ্তাইজিত হোন বা না হোন, স্ত্রীকে তা করতে হবে, যেহেতু স্বামী পরিবারের মস্তক।a তাকে যদি তার অপ্রাপ্তবয়স্ক বাপ্তাইজিত ছেলের উপস্থিতিতে প্রার্থনা করতে অথবা শিক্ষা দিতে হয়, তাহলে তখনও তাকে মস্তক আচ্ছাদন করতে হবে, তবে এই কারণে নয় যে, ছেলে পরিবারের মস্তক বরং খ্রিস্টীয় মণ্ডলীর বাপ্তাইজিত পুরুষ সদস্য হিসেবে তার প্রতি সম্মান দেখানোর জন্য।

পৌল এই কথাগুলো বলে মণ্ডলীর বিষয়ে উল্লেখ করেছেন: “কেহ যদি বিবাদী হওয়া বিহিত বোধ করে, তবে এই প্রকার ব্যবহার আমাদের নাই, এবং ঈশ্বরের মণ্ডলীগণেরও নাই।” (১৬ পদ) খ্রিস্টীয় মণ্ডলীতে মস্তকপদ বাপ্তাইজিত পুরুষদের দেওয়া হয়েছে। (১ তীমথিয় ২:১১-১৪; ইব্রীয় ১৩:১৭) ঈশ্বরের পালের যত্ন নেওয়ার জন্য কেবলমাত্র পুরুষদেরকে ঈশ্বরদত্ত দায়িত্ব দিয়ে প্রাচীন ও পরিচারক দাস হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। (প্রেরিত ২০:২৮) তবে, মাঝে মাঝে পরিস্থিতির কারণে একজন খ্রিস্টান নারীকে হয়তো সেই দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়, যা কিনা সাধারণত একজন যোগ্য বাপ্তাইজিত পুরুষ সম্পাদন করে থাকেন। উদাহরণ স্বরূপ, একজন যোগ্য বাপ্তাইজিত পুরুষ না থাকলে অথবা উপস্থিত নেই বলে তাকে হয়তো ক্ষেত্রের পরিচর্যার জন্য সভা পরিচালনা করতে হতে পারে। অথবা তাকে হয়তো একজন বাপ্তাইজিত পুরুষের উপস্থিতিতে আগে থেকে ব্যবস্থা করা গৃহ বাইবেল অধ্যয়ন পরিচালনা করতে হতে পারে।b যেহেতু এই কাজগুলো আসলে খ্রিস্টীয় মণ্ডলীর কাজের অংশ, তাই তাকে এই বিষয়টা স্বীকার করার জন্য মস্তক আচ্ছাদন করতে হবে যে, তিনি সেই দায়িত্ব পালন করছেন, যা কিনা সাধারণত একজন পুরুষকে দেওয়া হয়।

অন্যদিকে, উপাসনার অনেক ক্ষেত্রে একজন বোনের মস্তক আচ্ছাদন করার প্রয়োজন নেই। উদাহরণ স্বরূপ, খ্রিস্টীয় সভাগুলোতে মন্তব্য করার, স্বামী বা অন্য কোনো বাপ্তাইজিত পুরুষের সঙ্গে ঘরে ঘরে পরিচর্যায় রত থাকার অথবা তার অবাপ্তাইজিত সন্তানের সঙ্গে অধ্যয়ন কিংবা প্রার্থনা করার সময় তার সেটা করার দরকার নেই। অবশ্য, অন্যান্য প্রশ্নও উত্থাপিত হতে পারে আর একজন বোন যদি কোনো বিষয়ে অনিশ্চিত থাকেন, তাহলে তিনি হয়তো অতিরিক্ত গবেষণা করতে পারেন।c তারপরও সেই বোন যদি অনিশ্চিত থাকেন এবং তার বিবেক যদি তাকে তা করার জন্য পরিচালিত করে, তাহলে মস্তক আচ্ছাদন করা ভুল হবে না, যেমন আগের পৃষ্ঠায় দেওয়া ছবিতে দেখানো হয়েছে।

মনোভাব। ১০ পদে আমরা দুটো কারণ পাই যে কেন একজন খ্রিস্টান নারী এই চাহিদা পূরণ করতে চাইবেন: “স্ত্রীর মস্তকে কর্ত্তৃত্বের চিহ্ন রাখা কর্ত্তব্য—দূতগণের জন্য।” প্রথম কারণটা, “কর্ত্তৃত্বের চিহ্ন” অভিব্যক্তি থেকে লক্ষ করুন। মস্তক আচ্ছাদন করা একজন নারীর জন্য এটা দেখানোর একটা উপায় যে, তিনি সেই কর্তৃত্বকে স্বীকার করেন, যা যিহোবা মণ্ডলীতে বাপ্তাইজিত পুরুষদের উপর অর্পণ করেছেন। তাই, তিনি যিহোবা ঈশ্বরের প্রতি প্রেম ও আনুগত্য প্রকাশ করেন। দ্বিতীয় কারণটা “দূতগণের জন্য” এই কথাগুলোর মধ্যে পাওয়া যায়। কীভাবে একজন নারী মস্তক আচ্ছাদন করার মাধ্যমে পরাক্রমী আত্মিক প্রাণীদেরকে প্রভাবিত করতে পারেন?

স্বর্গদূতেরা এটা দেখতে আগ্রহী যে, যিহোবার সংগঠনে অর্থাৎ স্বর্গে ও পৃথিবীতে ঐশিক কর্তৃত্বকে স্বীকার করা হয়। এই ক্ষেত্রে তারা অসিদ্ধ মানুষদের উদাহরণ থেকে উপকারও লাভ করে থাকেন। সর্বোপরি, তাদেরও যিহোবার ব্যবস্থার প্রতি বশ্যতা দেখাতে হয়—যে-পরীক্ষায় বেশ কিছুসংখ্যক স্বর্গদূত অতীতে ব্যর্থ হয়েছেন। (যিহূদা ৬) এখন, স্বর্গদূতেরা হয়তো এমন উদাহরণগুলো দেখতে পারেন, যখন একজন খ্রিস্টান নারী মণ্ডলীতে একজন বাপ্তাইজিত পুরুষের চেয়ে আরও অভিজ্ঞ, আরও জ্ঞানী এবং আরও বুদ্ধিমতি হয়ে থাকেন; তা সত্ত্বেও, তিনি সানন্দে সেই পুরুষের কর্তৃত্বের প্রতি বশ্যতা স্বীকার করেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে, সেই নারী হলেন একজন অভিষিক্ত খ্রিস্টান, যিনি পরে খ্রিস্টের একজন সহদায়াদ হবেন। এই ধরনের একজন নারী পরিশেষে স্বর্গদূতদের চেয়েও উচ্চ অবস্থানে সেবা করবেন এবং স্বর্গে খ্রিস্টের সঙ্গে শাসন করবেন। এখনই তা দেখা স্বর্গদূতদের জন্য কতই-না চমৎকার এক উদাহরণ! সত্যিই, লক্ষ লক্ষ বিশ্বস্ত স্বর্গদূতের সামনে তাদের আনুগত্য ও বশীভূত আচরণের মাধ্যমে নম্রভাবে বাধ্যতা দেখানোর কতই-না বিশেষ সুযোগ সমস্ত বোনের রয়েছে!

a অস্বাভাবিক পরিস্থিতি যেমন, স্বামী যদি কোনো অসুস্থতার কারণে তার বাক্‌শক্তি হারিয়ে ফেলেন এমন পরিস্থিতি ছাড়া, একজন খ্রিস্টান স্ত্রী তার বিশ্বাসী স্বামীর উপস্থিতিতে সাধারণত জোরে জোরে প্রার্থনা করবেন না।

b একজন বোন যদি কোনো অবাপ্তাইজিত পুরুষ প্রকাশকের উপস্থিতিতে আগে থেকে ব্যবস্থা করা বাইবেল অধ্যয়ন পরিচালনা করেন আর সেই প্রকাশক যদি তার স্বামী না হন, তাহলে তার মাথায় কাপড় দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।

c আরও তথ্যের জন্য দয়া করে ২০০২ সালের ১৫ জুলাই প্রহরীদুর্গ পত্রিকার ২৬-২৭ পৃষ্ঠা ও ১৯৭৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রহরীদুর্গ (ইংরেজি) পত্রিকার ১২৫-১২৮ পৃষ্ঠা দেখুন।

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার