পাঠ ২৬
বারো জন গুপ্তচর
ইজরায়েলীয়েরা সীনয় পর্বত ছেড়ে এগিয়ে যায় এবং পারণ প্রান্তরের কাদেশ নামে একটা এলাকায় গিয়ে পৌঁছায়। সেখানে যিহোবা মোশিকে বলেন: ‘আমি ইজরায়েলীয়দের যে-দেশ দেব, গোপনে গিয়ে সেই কনান দেশ দেখে আসার জন্য তুমি প্রত্যেক বংশ থেকে একজন করে মোট ১২ জন পুরুষকে সেখানে পাঠাও।’ তাই, মোশি ১২ জন পুরুষকে বাছাই করেন আর তাদের বলেন: ‘তোমরা কনান দেশে যাও আর দেখো, সেখানকার জমি চাষ করার জন্য ভালো কি না। সেখানকার লোকেরা দুর্বল, না কি শক্তিশালী এবং তারা কি তাঁবুতে থাকে, না কি নগরে থাকে, তা ভালোভাবে দেখে আসো।’ তখন সেই ১২ জন গুপ্তচর কনান দেশে যায়, যাদের মধ্যে যিহোশূয় ও কালেবও ছিলেন।
৪০ দিন পর সেই গুপ্তচরেরা ফিরে আসে আর তারা সঙ্গে করে ডুমুর, বেদানা এবং আঙুর নিয়ে আসে। তারা এই খবর দেয়: ‘সেই দেশটা ভালো, তবে সেখানকার লোকেরা অনেক শক্তিশালী এবং নগরগুলো উঁচু উঁচু প্রাচীর দিয়ে ঘেরা।’ পরে কালেব বলেন: ‘আমরা তাদের পরাজিত করতে পারব। এসো, আমরা তাড়াতাড়ি গিয়ে দেশটা দখল করি!’ তুমি কি জান, কেন কালেব এমনটা বলেছিলেন? কারণ তিনি এবং যিহোশূয় যিহোবার উপর নির্ভর করতেন। কিন্তু, বাকি দশ জন গুপ্তচর বলে: ‘না! সেখানকার লোকেরা খুব লম্বা-চওড়া, ঠিক দৈত্যের মতো! আমরা তাদের সামনে ফড়িঙের মতো।’
এই কথাগুলো শুনে ইজরায়েলীয়েরা নিরুৎসাহিত হয়ে পড়ে। তারা অভিযোগ করতে শুরু করে আর একে অন্যকে বলে: ‘চলো, আমরা অন্য কাউকে নেতা হিসেবে বাছাই করি এবং মিশরে ফিরে যাই। যেখানে গেলে আমাদের মেরে ফেলা হবে, সেখানে আমরা কেন যাব?’ যিহোশূয় ও কালেব বলেন: ‘যিহোবার অবাধ্য হোয়ো না এবং ভয় পেয়ো না। যিহোবা আমাদের সুরক্ষা জোগাবেন।’ কিন্তু, ইজরায়েলীয়েরা তাদের কথা শোনে না। তারা এমনকী যিহোশূয় ও কালেবকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল!
তখন যিহোবা কী করেন? তিনি মোশিকে বলেন: ‘আমি ইজরায়েলীয়দের জন্য সব কিছু করেছি, তবুও তারা আমার প্রতি বাধ্যতা দেখাচ্ছে না। তাই, তারা ৪০ বছর ধরে প্রান্তরে থাকবে আর এখানেই তারা মারা যাবে। শুধুমাত্র তাদের সন্তানেরা এবং যিহোশূয় ও কালেব সেই দেশে যাবে, যে-দেশ আমি তাদের দেব বলে প্রতিজ্ঞা করেছি।’
“হে অল্পবিশ্বাসীরা, তোমরা এত ভয় পাচ্ছ কেন?”—মথি ৮:২৬