ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • lfb পাঠ ৪১ পৃষ্ঠা ১০০-পৃষ্ঠা ১০১ অনু. ২
  • দায়ূদ ও শৌল

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • দায়ূদ ও শৌল
  • বাইবেল থেকে তুমি যা শিখতে পার
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • দায়ূদকে পালাতেই হয়
    আমার বাইবেলের গল্পের বই
  • দায়ূদকে রাজা করা হয়
    আমার বাইবেলের গল্পের বই
  • “বলিদান অপেক্ষা আজ্ঞাপালন উত্তম”
    ২০১১ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • পাঠক-পাঠিকাদের থেকে প্রশ্নসকল
    ২০০৭ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
আরও দেখুন
বাইবেল থেকে তুমি যা শিখতে পার
lfb পাঠ ৪১ পৃষ্ঠা ১০০-পৃষ্ঠা ১০১ অনু. ২
দায়ূদ শৌলের শিবিরের দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে কথা বলছেন

পাঠ ৪১

দায়ূদ ও শৌল

দায়ূদ গলিয়াৎকে মেরে ফেলার পর, রাজা শৌল দায়ূদকে তার সেনাবাহিনীর অধ্যক্ষ করেন। দায়ূদ অনেক যুদ্ধে জয়ী হন আর তিনি সবার কাছে বেশ পরিচিত হয়ে ওঠেন। যখনই দায়ূদ যুদ্ধ থেকে বাড়ি ফিরে আসতেন, মহিলারা বাইরে বের হয়ে নাচতে নাচতে এই গান গাইত: ‘শৌল মারলেন হাজার হাজার আর দায়ূদ মারলেন লক্ষ লক্ষ!’ তাই, শৌল দায়ূদকে হিংসা করতে শুরু করেন এবং তাকে মেরে ফেলতে চান।

দায়ূদ খুব ভালো বীণা বাজাতে পারতেন। একদিন দায়ূদ যখন রাজা শৌলের জন্য বীণা বাজাচ্ছিলেন, তখন রাজা তার দিকে বর্শা ছুড়ে মারেন। দায়ূদ একেবারে সঠিক সময়ে সরে যান আর বর্শাটা দেওয়ালে গিয়ে লাগে। এরপর, শৌল আরও অনেক বার দায়ূদকে মেরে ফেলার চেষ্টা করেন। একসময় দায়ূদ শৌলের কাছ থেকে পালিয়ে যান এবং প্রান্তরে গিয়ে লুকিয়ে থাকেন।

শৌল ঘুমিয়ে আছেন আর দায়ূদ তার বর্শা নিয়ে যাচ্ছেন

শৌল ৩,০০০ জন সৈন্য নিয়ে দায়ূদকে ধরতে যান। তিনি ঠিক সেই গুহার মধ্যেই ঢোকেন, যেখানে দায়ূদ এবং তার লোকেরা লুকিয়ে বসে ছিলেন। দায়ূদের লোকেরা ফিসফিস করে বলে: ‘এখনই শৌলকে মেরে ফেলার দারুণ সুযোগ।’ দায়ূদ চুপি চুপি শৌলের কাছে যান আর তার হাতকাটা জামার একটু অংশ কেটে নেন। কিন্তু, শৌল একটুও টের পাননি। এরপর, দায়ূদের এই ভেবে খুব খারাপ লাগতে থাকে যে, তিনি যিহোবার অভিষিক্ত রাজার প্রতি সম্মান দেখাননি। দায়ূদ তার লোকদের শৌলের উপর আক্রমণ করতে দেননি। শৌল যখন গুহা থেকে বের হয়ে যান, তখন দায়ূদ চিৎকার করে শৌলকে ডেকে বলেন যে, তিনি চাইলে শৌলকে মেরে ফেলতে পারতেন। শৌল কি দায়ূদকে মেরে ফেলার চিন্তা মাথা থেকে দূর করে দিয়েছিলেন?

না। এরপরও, তিনি দায়ূদকে ধরার চেষ্টা করতে থাকেন। একদিন দায়ূদ এবং তার ভাগনে অবীশয় রাতের বেলায় লুকিয়ে লুকিয়ে শৌলের শিবিরে যান। এমনকী শৌলের দেহরক্ষী অব্‌নেরও শুয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। অবীশয় বলেন: ‘এখনই সুযোগ! আমাকে অনুমতি দিন, আমি তাকে মেরে ফেলব।’ এতে দায়ূদ বলেন: ‘শৌলের বিষয়টা যিহোবাই দেখবেন। এখন চলো, আমরা তার বর্শা এবং জলের পাত্রটা নিয়ে চলে যাই।’

এরপর দায়ূদ কাছের একটা পর্বতে ওঠেন, যেখান থেকে শৌলের শিবির দেখা যায়। তিনি চিৎকার করে বলেন: ‘অব্‌নের, কেন তুমি তোমার রাজাকে সুরক্ষিত রাখনি? শৌলের জলের পাত্র ও বর্শা কোথায়?’ শৌল দায়ূদের গলার স্বর চিনতে পারেন আর বলেন: ‘তুমি চাইলে আমাকে মেরে ফেলতে পারতে, কিন্তু তুমি তা করনি। আমি জানি, তুমিই ইজরায়েলের পরবর্তী রাজা!’ পরে, শৌল তার রাজপ্রাসাদে ফিরে যান। তবে, শৌলের পরিবারের সবাই যে দায়ূদকে ঘৃণা করত, এমন নয়।

“যতটা সম্ভব, সমস্ত মানুষের সঙ্গে শান্তিতে বাস করার জন্য তোমাদের সর্বোত্তমটা করো। হে প্রিয়েরা, তোমরা নিজেরা প্রতিশোধ নিয়ো না, কিন্তু মন্দ বিষয়গুলোর জন্য ঈশ্বরকেই ক্রোধ প্রকাশ করতে দাও।”—রোমীয় ১২:১৮, ১৯

প্রশ্ন: কেন শৌল দায়ূদকে মেরে ফেলতে চেয়েছিলেন? কেন দায়ূদ শৌলকে মেরে ফেলার জন্য রাজি হননি?

১ শমূয়েল ১৬:১৪-২৩; ১৮:৫-১৬; ১৯:৯-১২; ২৩:১৯-২৯; ২৪:১-১৫; ২৬:১-২৫

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার