ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯১ ১১/১ পৃষ্ঠা ২১-২৫
  • বাক্যের কার্য্যকারী হোন, কেবল শ্রোতামাত্র নহে

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • বাক্যের কার্য্যকারী হোন, কেবল শ্রোতামাত্র নহে
  • ১৯৯১ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • বিচার করার পূর্বে, বোঝার চেষ্টা করুন
  • কি করে ফরীশীরা “স্বর্গরাজ্য রুদ্ধ করিয়া থাকে”
  • তাহাদের অধ্যাপকদের মত নয়
  • সর্ব্বাপেক্ষা সুবিদিত উপদেশ যা দত্ত হয়েছিল
    সর্বমহান পুরুষ যিনি কখনও জীবিত ছিলেন
  • ভাল বিষয়গুলো করে চলুন
    ২০০৮ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • ধার্ম্মিকতা মৌখিক পরম্পরাগত প্রথার মাধ্যমে নয়
    ১৯৯১ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • রাজ্য ও ঈশ্বরের ধার্ম্মিকতার চেষ্টা করতে থাকুন
    ১৯৯১ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
আরও দেখুন
১৯৯১ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯১ ১১/১ পৃষ্ঠা ২১-২৫

বাক্যের কার্য্যকারী হোন, কেবল শ্রোতামাত্র নহে

“যাহারা আমাকে হে প্রভু, হে প্রভু বলে, তাহারা সকলেই যে স্বর্গ রাজ্যে প্রবেশ করিতে পাইবে, এমন নয়, কিন্ত যে ব্যক্তি আমার স্বর্গস্থ পিতার ইচ্ছা পালন করে, সেই পাইবে।”—মথি ৭:২১.

১. যীশুর শিষ্যদের কি করে যেতে হবে?

তোমরা যাঞ্চা কর। চেষ্টা করে যাও। কড়া নেড়ে যাও। প্রার্থনায়, অধ্যয়নে, এবং যীশু যে কথাগুলি পার্বত্য উপদেশে বলেছেন তাহা কর। যীশু তার শিষ্যদের বলেন তোমরা জগতের লবন, যে রক্ষাকারী বার্ত্তা আছে তাকে তারা লবন যুক্ত করবে তারা কখনই সেই বার্ত্তাকে নীরস হতে দেবে না, যাতে তাহা তার আস্বাদ বা রক্ষা করার ক্ষমতা হারায় তারা জগতের জ্যোতি, তারা যীশু খ্রীষ্ট ও যিহোবা ঈশ্বরের কাছ থেকে আলো প্রকাশ করছে কেবল তারা যা বলছে তাতে নয় কিন্তু তাদের উত্তম কার্য্যেও। তাদের দীপ্তিদায়ক কথার মত তাদের কাজও দীপ্তি দেয়—এবং বাক্যের থেকে অধিক জোরে শোনা যায় সেই জগতে যেখানে লোকে ফরীশীদের মত ভণ্ডামিকারী ধর্ম্মীয় ও রাজনৈতিক নেতাদের অভ্যস্থ, যারা বলে বেশী করে কম।”—মথি ৫:১৩-১৬

২. যাকোব কি উপদেশ দেন, কিন্তু কেহ কেহ কি আরামদায়ক দৃষ্টিকোন ভুলভাবে নিয়ে থাকেন?

২ যাকোব উপদেশ দেন: “আর বাক্যের কার্য্যকারী হও, আপনাদিগকে ভুলাইয়া শ্রোতামাত্র হইও না।” (যাকোব ১:২২) অনেকে নিজেদের সেই বাক্যে ভোলায় ‘একবার রক্ষিত মানে সর্বসময়ের জন্য রক্ষিত,’ যেন এখন তাদের অবসর নেওয়া উচিত ও স্বর্গীয় জীবনের প্রতিক্ষা করা উচিত। ইহা ভুল মতবাদ এবং এমন আশা যার ভিত্তি নেই। “যে কেহ শেষ পর্য্যন্ত স্থির থাকিবে,” যীশু বলেন, “সেই পরিত্রাণ পাইবে।” (মথি ২৪:১৩) অনন্ত জীবন পাওয়ার জন্য, আপনাকে “মরণ পর্য্যন্ত বিশ্বস্ত” থাকতে হবে।—প্রকাশিত বাক্য ২:১০; ইব্রীয় ৬:৪-৬; ১০:২৬, ২৭.

৩. বিচার করা সম্বন্ধে যীশু এরপর কি উপদেশ দেন?

৩ যীশু যখন তার পার্বত্য উপদেশ চালিয়ে যান, আরও বিষয় দৃষ্টিতে আনা হয় যেগুলি খ্রীষ্টানদের পালন করার জন্য চেষ্টা করা উচিত। এখানে একঢি আছে যা সহজ মনে হতে পারে, কিন্তু ইহা এক খুব কঠিন স্বভাবকে ভৎসনা করে বলে তা পরিত্যাগ করতে হবে: “তোমরা বিচার করিও না, যেন বিচারিত না হও। কেননা যেরূপ বিচারে তোমরা বিচার কর, সেইরূপ বিচারে তোমরাও বিচারিত হইবে; এবং যে পরিমাণে পরিমাণ কর, সেই পরিমাণে তোমাদের নিমিত্ত পরিমাণ করা যাইবে। আর তোমার ভ্রাতার চক্ষে যে কুটা আছে, তাহাই কেন দেখিতেছ, কিন্তু তোমার নিজের চক্ষে যে কড়িকাট আছে, তাহা কেন ভাবিয়া দেখিতেছ না? অথবা তুমি কেমন করিয়া আপন ভ্রাতাকে বলিবে, এস, আমি তোমার চক্ষু হইতে কুটা গাছটা বাহির করিয়া দিই? আর দেখ, তোমাদের নিজের চক্ষে কড়িকাট রহিয়াছে। হে কপটি, আগে আপনার চক্ষু হইতে কড়িকাট বাহির করিয়া ফেল, আর তখন তোমার ভ্রাতার চক্ষু হইতে কুটা গাছটি বাহির করিবার নিমিত্ত স্পষ্ট দেখিতে পাইবে।”—মথি ৭:১-৫.

৪. লূকের বিবরণ এই সম্বন্ধে আরও অতিরিক্ত কি উপদেশ দেয়, এবং এর প্রয়োগের ফল কি হয়?

৪ লূকের পার্বত্য উপদেশ সম্বন্ধে বিবরণে, যীশু বলেন তার শ্রোতাদের যেন তারা কেবল অন্যদের দোষ খুঁজে না বেড়ায়। এর পরিবর্তে, তাদের বলেন “তোমরা ছড়িয়া দিও,” এর অর্থ, তাদের সহমনুষ্যদের দোষগুলি ক্ষমা করা। তাহলে অন্যরাও সেইরূপে সাড়া দেবে, যেমন যীশু বলেন: “দেও, তাহাতে তোমাদিগকেও দেওয়া যাইবে, লোকে বিলক্ষণ পরিমাণে চাপিয়া ঝাকিয়া উপচিয়া তোমাদের কোলে দিবে; কারণ তোমরা যে পরিমাণে পরিমাণ কর, সেই পরিমাণে তোমাদের নিমিত্ত পরিমাণ করা যাইবে।”—লূক ৬:৩৭, ৩৮.

৫. কেন অন্যদের দোষ দেখা এত সহজ কিন্তু নিজের নয়?

৫ সাধারণ শতাব্দীর প্রথম শতাব্দীতে, পরম্পরাগত রীতির জন্য, ফরীশীরা অন্যদের খুব কঠরভাবে বিচার করত। যীশুকে যারা সেখানে শুনছিল তাদের এইরূপ করা বন্ধ করতে হবে। অন্যদের চক্ষে কুটা দেখা কত সহজ নিজের চক্ষের কড়িকাট অপেক্ষা—এবং আমাদের দম্ভের জন্যও সহজ! যেমন একজন ব্যক্তি বলেন, “আমি অন্যদের সমালোচনা করতে ভালবাসি কারণ তা আমার করতে খুব ভাল লাগে!” নিয়মিত ভাবে অন্যদের দোষ ধরা আমাদের সেই দিকে পরিচালিত করতে পারে যা আমাদের ভুলকে ঢাকতে আমরা ব্যবহার করতে পারি। কিন্তু যদি শুধরে নেবার প্রয়োজন থাকে, তাহা মৃদুতার আত্মায় করতে হবে। যে একজনকে শুদ্রে দিচ্ছে তাকে সব সময় সচেতন থাকতে হবে তার নিজের ত্রূটিগুলি সম্বন্ধে।—গালাতীয় ৬:১.

বিচার করার পূর্বে, বোঝার চেষ্টা করুন

৬. যদি বিচার প্রয়োজন হয়, তার ভিত্তি কি হবে, কি সাহায্য আমরা নিতে পারি যাতে অন্যদের বিষয় অত্তিরিক্ত ছিদ্রান্বেষী হয়ে না পড়ি?

৬ যীশু জগতকে বিচারিত করতে নয় তাকে রক্ষা করতে এসেছিলেন। যে বিচারগুলি তিনি করেন তা তার নিজের ছিল না কিন্তু ঈশ্বর যে বাক্য দিয়েছিলেন কথা বলার জন্য তার উপর ভীত্তি করে ছিল। (যোহন ১২: ৪৭-৫০) যে কোন বিচার আমরা করি তা ঈশ্বরের বাক্যের উপর ভিত্তি করে করা উচিত। মনুষ্যের এক প্রবণতা আছে অন্যের বিচার করার তাহা আমরা ত্যাগ করব। ইহা করার জন্য, আমাদের নিয়মিত ভাবে যিহোবার সাহায্যের জন্য প্রার্থনা করা উচিত: “যাঞ্চা কর, তোমাদিগকে দেওয়া যাইবে; অন্বেষণ কর, পাইবে; দ্বারে আঘাত কর, তোমাদের জন্য খুলিয়া দেওয়া যাইবে। কেননা যে কেহ যাঞ্চা করে, সে গ্রহণ করে; এবং যে অন্বেষণ করে সে পায়, আর যে আঘাত করে তাহার তাহার জন্য খুলিয়া দেওয়া যাইবে।” (মথি ৭:৭, ৮) যেমন যীশু বলেন: “আমি আপনা হইতে কিছুই করিতে পারি না; যেমন শুনি তেমনি বিচার করি, আর আমার বিচার ন্যায্য, কেননা আমি আপনার ইচ্ছা পূর্ণ করিতে চেষ্টা করি না, কিন্তু আমার প্রেরণকর্ত্তার ইচ্ছা পূর্ণ করিতে চেষ্টা করি।”—যোহন ৫:৩০.

৭. কি অভ্যাস আমাদের গড়ে তোলা উচিত যা আমাদের সুবর্ণ নিয়ম প্রয়োগ করতে সাহায্য করবে?

৭ আমাদের সেই অভ্যাস গড়ে তোলা দরকার, যা লোকেদের বিচার করার নয়, কিন্তু অন্যদের বোঝতে চেষ্টা করার নিজেদের তাদের স্থানে রেখে—খুব সহজ নয় কিন্তু প্রয়োজন যদি আমরা সুবর্ণ আইন মেনে চলতে চাই, যা যীশু এরপর ঘোষণা করেন: “অতএব সর্ববিষয়ে তোমরা যাহা যাহা ইচ্ছা কর যে, লোকে তোমাদের প্রতি করে, তোমরাও তাহাদের প্রতি সেইরূপ করিও; কেননা ইহাই ব্যবস্থা ও ভাববাদি গ্রন্থের সার।” (মথি ৭:১২) সেই কারণে যীশুর অনুগামীদের এই ব্যপারে বিচারদক্ষ হতে হবে ও অনুভূতি সম্পন্ন হতে, এবং অন্যদের মানসিক, ভাবাবেগ ও আত্মিক পরিস্থিতি বুঝতে হবে। তাদের বুঝতে হবে অন্যদের কোথায় প্রয়োজন আছে এবং ব্যক্তিগতভাবে তাদের সাহায্য করার ক্ষেত্রে আগ্রহ দেখাতে হবে। (ফিলিপীয় ২:২-৪) অনেক বৎসর পরে পৌল লেখেন: “যেহেতু সমস্ত ব্যবস্থা এই একটি বচনে পূর্ণ হইয়াছে, যথা: ‘তোমার প্রতিবাসীকে আপনার মত প্রেম করিবে।’”—গালাতীয় ৫:১৮.

৮. কি দুই পথ যীশু আলোচনা করেন, এবং কেন একটি পথ বেশীরভাগ লোক বেছে নেয়?

৮ “সঙ্কীর্ণ দ্বার দিয়া প্রবেশ কর,” এরপর যীশু বলেন, “কেননা সর্বনাশে যাইবার দ্বার প্রশস্ত ও পথ পরিসর, এবং অনেকে তাহা দিয়া প্রবেশ করে; কেননা জীবনে যাইবার দ্বার সঙ্কীর্ণ ও পথ দুর্গম, এবং অল্প লোকে তাহা পায়।” (মথি ৭:১৩, ১৪) অনেকে সেই সময় ধ্বংসের পথ বেছে নেয় অনেকে আজও তদ্রুপ করে। প্রশস্ত রাস্তা তাদের খুশি মত চিন্তা করতে এবং নিজেদের খুশি মতন জীবন যাপন করতে দেয়: কোন আইন নেই, কোন বাধ্যবাধকতা নেই, এক আরামদায়ী জীবন, সবেতেই অলস ভাব। তাদের কাহারও জন্য “সঙ্কীর্ণ দ্বার দিয়ে প্রবেশ করিতে প্রাণপণ কর” কোন অর্থ রাখে না!—লূক ১৩:২৪.

৯. সঙ্কীর্ণ দ্বার দিয়ে চলার জন্য কিসের প্রয়োজন, যারা সেই পথে চলছে যীশু তাদের কি সবধানবাণী দেন?

৯ কিন্তু এই সঙ্কীর্ণ দ্বারই সেই পথ যা অনন্ত জীবনে পরিচালিত করে। ইহা সেই ধরণের জীবন যার জন্য আত্মসংযম প্রয়োজন। ইহার জন্য দরকার শাসনের যা আপনার অভিপ্রায়কে খুঁজবে এবং আপনার আত্মস্বর্গকে পরীক্ষা করবে। যখন তাড়না আসে এবং পথ দুর্গম হয় তখন দরকার ধৈর্য্যের। যারা এই পথে চলে যীশু তাদের সাবধান করেন: “ভাক্ত ভাববাদীগন হইতে সাবধান; তাহারা মেষের বেশে তোমাদের নিকটে আইসে কিন্তু অন্তরে গ্রাসকারী কেন্দুয়া।” (মথি ৭:১৫) এই চিত্র ফরীশীদের জন্য উপযুক্ত ছিল। (মথি ২৩:২৭, ২৮) তারা নিজেদের “মোশির আসনে বসায়,” দাবি করে ঈশ্বরের কথা বলছে কিন্তু অনুধাবন করে মানুষ্যের পরম্পরাগত রীতি।—মথি ২৩:২.

কি করে ফরীশীরা “স্বর্গরাজ্য রুদ্ধ করিয়া থাকে”

১০. কি বিশেষ উপায়ে অধ্যাপক ও ফরীশীরা চেষ্টা করে ‘লোকেদের কাছে স্বর্গেরাজ্য বন্ধ করে দিতে?’

১০ যিহূদী ধর্ম্ম গুরুরা চেষ্টা করে, যারা সঙ্কীর্ণ দ্বার দিয়ে প্রবেশ করতে চায় তাদের বাধা দিতে। “অধ্যাপক ও ফরীশীগণ কপটীরা ধিক্‌ তোমাদিগকে! কারণ তোমরা মনুষ্যদের সম্মুখে স্বর্গ রাজ্য রুদ্ধ করিয়া থাক, আপনারও তাহাতে প্রবেশ কর না এবং যাহারা প্রবেশ করিতে আইসে, তাহাদিগকে প্রবেশ করিতে দেও না।” (মথি ২৩:১৩) ফরীশীদের ধরনা ছিল ঠিক সেইরূপ যেমন যীশু সাবধান করেন। তারা “যখন মনুষ্যপুত্রর নিমিত্ত তোমাদের নাম মন্দ বলিয়া [তার শিষ্যদের] দূর করিয়া দেয়।” (লূক ৬:২২) যেহেতু সেই ব্যক্তি যে জন্মান্ধ ছিল আরগ্য লাভ করে ও বিশ্বাস করে যে খ্রীষ্ট তাকে সুস্থ করেছে ও বিশ্বাস করে যীশুই সেই মশীহ, তারা তাকে সমাজ গৃহ থেকে বার করে দেয়। তার পিতামাতা কোন প্রশ্নের উত্তর দেয় না কারণ তারা ভয় করে যে তাদেরও সমাজ গৃহ থেকে বের করে দেওয়া হবে। একই কারণর জন্য, অন্যরা যারা বিশ্বাস করে যে যীশুই মশীহ জনসাধারণে তা স্বীকার করতে ভয় পায়।—যোহন ৯:২২, ৩৪; ১২:৪২; ১৬:২.

১১. খ্রীষ্টীয় জগতের পাদ্রীরা তাদের চিহ্নিত করার কোন ফল উৎপন্ন করে?

১১ “তাহাদের ফল দ্বারাই তাহাদিগকে চিনিতে পারিবে,” যীশু বলেন। “সেই প্রকারে প্রত্যেক ভাল গাছে ভাল ফল ধরে, কিন্তু মন্দ গাছে মন্দ ফল ধরে।” (মথি ৭:১৬-২০) একই আইন আজও প্রযোজ্য খ্রীষ্টীয় জগতের যে পাদ্রী শ্রেণী তারা এক কথা বলে এবং করে আর এক। যদিও তারা দাবি করে যে বাইবেল শিক্ষা দেয়, তারা সেই সব ঈশ্বর নিন্দায় বিশ্বাস করে, যেমন ত্রিত্ব এবং নরকে। অন্যরা মুক্তির মূল্যকে অস্বীকার করে, ক্রমবিকাশের শিক্ষা দেয় সৃষ্টির পরির্বতে, আর লোকের কানে সাড়া জাগানোর জন্য পপ সাইকোলজি প্রচার করে। ফরীশীদের মত, আজকের অনেক পাদ্রীরা টাকা পয়সা খুব ভালবাসে, এবং তাদের পালের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ ডলার তারা আদায় করে। (লূক ১৬:১৪) তারা সকলে চিৎকার করে, “হে প্রভু, হে প্রভু,” কিন্তু যীশু তাদের উত্তর দেন: “আমি কখনও তোমাদিগকে জানি নাই! হে অধর্ম্মচারীরা, আমার নিকট হইতে দূর হও।”—মথি ৭:২১-২৩.

১২. অনেকে যারা এক সময় সঙ্কীর্ণ পথ দিয়ে চলত কেন তারা সেই পথে চলা বন্ধ করেছে, তার ফল কি হয়েছে?

১২ আজ, অনেকে যারা এক সময় এই সঙ্কীর্ণ পথ দিয়ে চলেছে তারা তাতে চলা থেকে নিজেদের বিরত করেছে। তারা বলে থাকে যে যিহোবাকে ভালবাসে, কিন্তু প্রচার করার তিনি যে আজ্ঞা দিয়েছেন তারা তা করে না। তারা দাবি করে যীশুকে ভালবাসে, কিন্তু তার মেষদের খাওয়াচ্ছে না। (মথি ২৪:১৪; ২৮:১৯, ২০; যোহন ২১:১৫-১৭; ১ যোহন ৫:৩) তারা তাদের সাথে যোয়ালি বদ্ধ হতে চায় না যারা যীশুর পদানুসরণ করছে। তাদর জন্য সঙ্কীর্ণ দ্বার অতি সঙ্কীর্ণ। তারা ভালভাবে থাকতে চায়, সেই কারণে “তাহারা আমাদের হইতে বাহির হইয়াছে; কিন্তু আমাদের ছিল না; কেননা যদি আমাদের হইতে তবে আমাদের সহিত থাকিত।” (যোহন ২:১৯) তারা সেই অন্ধকারে ফিরে গেছে, আর “সেই অন্ধকার কত বড়!” (মথি ৬:২৩) তারা যোহনের আবেদন প্রত্যাখান করে: “বৎসেরা আইস, আমরা বাক্যে কিম্বা জিহ্বাতে নয়, কিন্তু কার্য্যে ও সত্যে প্রেম করি।”—যোহন ৩:১৮.

১৩, ১৪. তার বাক্য আমাদের জীবনে প্রয়োগ করা সম্বন্ধে যীশু কি উদাহরণ দেন, আর তা প্যালেষ্টাইনে বসবাসকারীদের জন্য এত উপযুক্ত ছিল কেন?

১৩ যীশু তার পার্বত্য উপদেশে এক নাটকীয় উদাহরনের দ্বারা শেষ করেন: “অতএব যে কেহ আমার এই বাক্য সকল শুনিয়া পালন করে, তাহাকে এমন একজন বুদ্ধিমান লোকের তুল্য বলিতে হইবে, যে পাষাণের উপরে গৃহ নির্ম্মাণ করিল। পরে বৃষ্টি নামিল, বন্যা আসিল, বায়ু বহিল, এবং সেই গৃহে লাগিল, তথাপি তাহা পড়িল না কারণ পাষাণের উপরে তাহার ভিত্তিমূল স্থাপিত হইয়াছিল।”—মথি ৭:২৪, ২৫.

১৪ প্যালেষ্টাইনে প্রচণ্ড বৃষ্টির জল উপত্যকা দিয়ে বয়ে এসে দারুণ বন্যার সৃষ্টি করতে পারে। যদি গৃহগুলিকে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় তাদের ভিত্তিমূল হতে হবে পাষাণের উপর। লূকের বিবরণ দেখায় যে সেই ব্যক্তি, “খুঁড়িয়া গভীর করিল, ও পাষাণের উপরে ভিত্তিমূল স্থাপন করিল।” (লূক ৬:৪৮) ইহা কঠিন কাজ ছিল, কিন্তু যখন প্রতিকূল পরিস্থিতি বন্যার ন্যায় আমাদের উপর এসে পড়বে তা আমাদের জন্য হবে পুরস্কারদায়ী।

১৫. যারা যীশুর বাক্য পালন না করে মনুষ্যের পরম্পরাগত রীতি পালন করবে তাদের ফল কি হবে?

১৫ অন্য গৃহটি নির্ম্মাণ করা হয় বালুকার উপর: “আর যে কেহ আমর এই সকল বাক্য শুনিয়া পালন না করে, তাহাকে এমন একজন নির্বোধ লোকের তুল্য বলিতে হইবে, যে বালুকার উপর আপন গৃহ নির্ম্মাণ করিল। পরে বৃষ্টি নামিল, বন্যা আসিল, বায়ু বহিল, এবং সেই গৃহে আঘাত করিল, তাহাতে তাহা পড়িয়া গেল, ও তাহার পতন ঘোরতর হইল।” ঠিক সেইরূপ হইবে তাদের জন্য যারা “হে প্রভু, হে প্রভু” করে কিন্তু যীশুর কথা অনুযায়ী কাজ করতে ব্যার্থ হয়।—মথি ৭:২৬, ২৭.

তাহাদের অধ্যাপকদের মত নয়

১৬. যারা পার্বত্য উপদেশ শুনেছিল তাদের উপর কি প্রভাব আসে?

১৬ পার্বত্য উপদেশের প্রতিক্রিয়া কি হয়? “যীশু যখন এই সকল বাক্য শেষ করিলেন, লোকসমূহ তাহার উপদেশে চমৎকার জ্ঞান করিল; কারণ তিনি ক্ষমতাপন্ন ব্যক্তির ন্যায় তাহাদিগকে উপদেশ দিতেন, তাহাদের অধ্যাপদের ন্যায় নয়।” (মথি ৭:২৮, ২৯) তিনি এমন ক্ষমতাপন্ন ব্যক্তির ন্যায় কথা বলেন যা তারা আগে কখন শোনেনি এবং তা তাদের গভীরে নাড়া দেয়।

১৭. অধ্যাপকেরা তাদের শিক্ষাকে বৈধতা দেবার জন্য কি করত এবং, তারা কি দাবি করে যখন মৃত সাধু ব্যক্তিদের নাম নেওয়া হয়?

১৭ কোন অধ্যাপক তার নিজের ক্ষমতায় কথা বলত না, যেমন এই ঐতিহাসিক বিবরণটি দেখায়: “অধ্যাপকের শিক্ষার তাই কোন ক্ষমতা বা মূল্য ছিল না, তারা কোন [কথা] বলত এই বলে . . . রব্বিদের পরম্পরাগত ধারা বলে বা . . . জ্ঞানী ব্যক্তিরা বলেন; বা সেই ধরণের কোন পরম্পরাগত দৈববাণী। হিলেল দ্যা গ্রেট সত্য শিক্ষা দিয়েছেন, কোন পরাম্পরাগত রীতির উপর, যদিও তিনি প্রায় সারাদিন বক্তৃতা দেন . . . তারা তার মতবাদ শোনেনি, যতক্ষন না সে বলে, আমি ইহা শুনিয়াছি সেমাইয়া ও আবটালিয়ন এর কাছ থেকে [যারা হিলেলের পূর্বে কর্তৃপক্ষ ছিল]’” (এ কমেন্ট্রি অন নিউ টেষ্টামন্ট ফ্রম দ্যা তালমুড অ্যাণ্ড হব্রাইকা বাই জন লাইটফুট) ফরীশীরা এমনকি দাবি করত সেই সাধুদের সম্বন্ধে যারা বহু পূর্বে মরে গেছে: “এই ধার্ম্মিকদের, মুখ কবরে বিড়বিড় করে—যখন কেউ তাদের নাম নিয়ে আইন শিক্ষাদেয়।”—তোরহা—ফ্রম স্ক্রোল টু সিম্‌বল ইন ফরমেটিভ যুডাইজম্‌।

১৮. (ক) যীশুর শিক্ষায় আর ফরীশীদের শিক্ষায় কি পার্থক্য ছিল? (খ) কি কারণে যীশুর শিক্ষা এত আলাদা ছিল?

১৮ ফরীশীরা মৃত ব্যক্তিদের তাদের কতৃপক্ষরূপে ব্যবহার করত; যীশু কথা বলছিলেন এমন একজন হিসাবে যিনি ক্ষমতা পেয়েছেন জীবন্ত ঈশ্বরের কাছ থেকে। (যোহন ১২:৪৯, ৫০; ১৪:১০) অধ্যাপকেরা যেন চৌবাচ্চা থেকে বাসী জল তুলছিল; যীশু ঝরর্ণার জল তুলে আনছিলেন যা এক ভিতরকার তৃষ্ণা মিটিয়ে দেয়। তিনি সারা রাত ব্যাপি প্রার্থনা ও চিন্তা করেন, যখন তিনি কথা বলেন, তিনি লোকের গভীরে স্পর্শ করেন যে রকমটি লোকে ইতিপূর্বে অনুভব করেনি। তারা বুঝতে পারে যে তিনি ক্ষমতা সম্পন্ন হয়ে কথা বলছেন, যে ক্ষমতাকে পরে অধ্যাপকেরা, ফরীশীরা, ও সদ্দূকীরা মোকাবিলা করতে ভয় পায়। (মথি ২২:২৬; মার্ক ১২:৩৪; লূক ২০:৪০) আর কখন আর এক ব্যক্তি এইরূপ ভাবে কথা বলেননি! সেই উপদেশের শেষে, সেই জনতা বিস্মিত হয়ে যায়!

১৯. কিভাবে যিহোবার সাক্ষীরা আজ যে শিক্ষার প্রণালী ব্যবহার করেন তা ঠিক যীশু পার্বত্য উপদেশে যে প্রণালী ব্যবহার করেছিলেন ঠিক তেমন?

১৯ আজকের দিন সম্বন্ধে কি? ঘরে ঘরে প্রচারের পরিচারকরূপে, যিহোবার সাক্ষীরা একই সহজ প্রণালী ব্যবহার করে। যখন এক গৃহকর্ত্তা বলেন: “আমার গির্জ্জা শিক্ষা দেয় যে পৃথিবী একদিন পুড়ে চাই হবে।” আপনি উত্তর দেন: “আপনার নিজের কিং জেম্‌স বাইবেল বলে উপদেশক ১:৪: ‘যে পৃথিবী চিরকাল থাকবে।’” ব্যক্তি আশ্চর্য্য হয়। “আমি জানতাম না এই কথা বাইবেলে আছে!” আর এক জন বলেন: “আমি সব সময় শুনেছি পাপীরা নরকে জ্বলবে।” “কিন্তু আপনার নিজের বাইবেল বলে রোমীয় ৬:২৩: ‘পাপের বেতন মৃত্যু।’” অথবা ত্রিত্ব সম্বন্ধে: “আমার প্রচারক বলেন যীশু এবং পিতা তারা সমান।” “কিন্তু যোহন ১৪:২৮ পদে আপনার বাইবেল যীশুর কথা উল্লেখ করে বলে: ‘আমার পিতা আমা অপেক্ষা মহান্‌।” অন্য একজন হয়ত বলবে আপনাকে: “আমি শুনেছি বলা হয় ঈশ্বরের রাজ্য আপনার মধ্যে আছে।” আপনার উত্তর “দানিয়েল ২:৪৪ আপনার বাইবেল বলে: ‘আর সেই রাজগণের সময় স্বর্গের ঈশ্বর এক রাজ্য স্থাপন করিবেন, তাহা কখন বিনষ্ট হইবে না . . . তাহা ঐ সকল রাজ্যকে চূর্ণ ও বিনষ্ট করিয়া আপনি চিরস্থায়ী হইবে।’ তাহা আপনার ভেতরে কি করে থাকতে পারে?”

২০. (ক) সাক্ষীরা যে ভাবে শিক্ষা দেন ও খ্রীষ্টীয় জগতের পাদ্রীদের শিক্ষায় পার্থক্য কি? (খ) এখন ইহা কিসের সময়?

২০ যীশু ঈশ্বরের নিকট থেকে ক্ষমতা পেয়ে কথা বলেন। যিহোবার সাক্ষীরা ঈশ্বরের বাক্যের ক্ষমতায় কথা বলেন। খ্রীষ্টীয় জগতের পাদ্রীরা তাদের ধর্ম্মীয় পরম্পরাগত দূষণ দ্বারা আক্রান্ত শিক্ষাগুলি যা বাবিলন ও মিশর থেকে এসেছে সেই কথা বলে। যখন সরল ব্যক্তিরা শোনেন যে তাদের বিশ্বাস বাইবেল খণ্ডন করে, তারা বিস্মিত হয় ও বলে: ‘আমি জানতাম না এই কথা বাইবেলে আছে!’ কিন্তু তাহা আছে। এখনই হচ্ছে সময় যারা তাদের আত্মিক বিষয় সচেতন তারা যেন যীশুর পার্বত্য উপদেশ শোনে ও সেই পাষাণের উপর ভিত্তি স্থাপন করে। (W90 10/1)

পুনরালোচনার জন্য প্রশ্ন

◻ বিচার না করে, আমাদের কি করতে চেষ্টা করা প্রয়োজন, এবং কেন?

◻ কেন আজ অনেকে প্রশস্ত রাস্তা বেছে নেয়?

◻ কেন যীশুর শিক্ষার ধরণ অধ্যাপকদের থেকে এত আলাদা ছিল?

◻ পার্বত্য উপদেশ যে শ্রোতারা শোনে তা তাদের উপর কি প্রভাব আনে?

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার