ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯২ ২/১ পৃষ্ঠা ৪-৭
  • এক বিশৃঙ্খল জগতে অপরাধের মোকাবিলা করা

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • এক বিশৃঙ্খল জগতে অপরাধের মোকাবিলা করা
  • ১৯৯২ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • অপরাধীর মনোভাব ও ন্যায়
  • ব্যবহারিক প্রজ্ঞা ও সাধারণ জ্ঞান
  • যদি আপনাকে আক্রমণ করা হয়?
  • যখন অপরাধ শেষ হবে
  • পুলিশ বাহিনী তাদের ভবিষ্যৎ কী?
    ২০০২ সচেতন থাক!
  • এক বিশৃঙ্খল জগতে অপরাধ
    ১৯৯২ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
১৯৯২ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯২ ২/১ পৃষ্ঠা ৪-৭

এক বিশৃঙ্খল জগতে অপরাধের মোকাবিলা করা

আপনি কি রাত্রেবেলা বাইরে যেতে ভয় পান? আপনার দরজায় অথবা জানালায় কি দুটি অথবা তিনটি তালা লাগাবার প্রয়োজন হয়? আপনার গাড়ি অথবা সাইকেল কি কখনও চুরি হয়েছে? আপনার গাড়ি থেকে কি রেডিও খুলে নেওয়া হয়েছে? কোন কোন এলাকায় কি আপনি আশঙ্কিত বোধ করেন?

যদি আপনি যে কোন একটি প্রশ্নের প্রতি হ্যাঁ উত্তর দেন, তাহলে আপনি একটি বিশৃঙ্খল জগতে অপরাধের সাথে মোকাবিলা করার চেষ্টা করছেন। এই সম্বন্ধে আপনি কি করতে পারেন? বাইবেল কি আপনাকে মোকাবিলা করতে সাহায্য করতে পারে?

অপরাধীর মনোভাব ও ন্যায়

অপরাধের জগতে তিনটি মৌলিক অংশ রয়েছে: অপরাধী, পুলিশ, ও যারা অপরাধের শিকার হয়। আপনার, সম্ভাব্য শিকার হিসাবে, কি করতে পারেন যাতে অপরাধের মোকাবিলা করতে পারেন? এই তিনটি অংশের যে কোন একটিকে কি আপনি প্রভাবিত করতে পারেন? উদাহরণস্বরূপ, আপনি কি অপরাধীর মনে পরিবর্তন আনতে পারেন?

অনেক অপরাধী তাদের জীবিকা গড়ে তুলেছে অপরাধকে কেন্দ্র করে। তারা সেটিকে বেছে নিয়েছে এক সহজতর জীবনের পথ হিসাবে। ‘যখন অন্যের উপার্যনে বেঁচে থাকা যায় তখন কাজ করা কেন?’ এই হল তাদের মতবাদ। একজন ছিনতাইকারী জানে যে কোন সাধারণ মানুষ তার টাকা বিনা প্রতিরোধে তার হাতে তুলে দেবে। আর ধরা পড়ে জেলে যাওয়ার সম্ভাবনা এতই কম, যে তারা মনে করে অপরাধ অনেক কিছু সাধন করতে পারে।

তাছাড়াও, আদালতে নিয়মকানুন খুবই জটিল ও সময়সাপেক্ষ। কিছু দেশে, অতি অল্প আদালত, বিচারক ও জেলখানা আছে। এত অপরাধের ঘটনা তাদের কাছে আসে যে তারা সামলাতে পারে না। ন্যায়চক্র এত আস্তে ঘোরে যে পরিস্থিতি এইরকম যা বাইবেল প্রায় তিন হাজার বছর আগে বর্ণনা করেছিল: “দুষ্কর্ম্মের দণ্ডাজ্ঞা ত্বরায় সিদ্ধ হয় না, এই কারণ মনুষ্যসন্তানদের অন্তঃকরণ দুষ্কর্ম্ম করিতে সম্পূর্ণরূপে রত হয়।” এই বাইবেলের নীতি যেমন উল্লেখ করে, অপরাধীদের সংখ্যা কমিয়ে বা তাদের পরিবর্তন করে এর সমাধান করার সম্ভাবনা অত্যন্ত কম।—উপদেশক ৮:১১.

দ্বিতীয় বিষয়, পুলিশ, সম্বন্ধে কি? কোন আশা আছে কি যে পুলিশ পরিস্থিতি আয়ত্ত্বে আনতে পারবে? তারা নিজেরাই উত্তর দেবে: আইন এখন প্রায়ই অপরাধীর অধিকারের পক্ষ নেয়, নীতিজ্ঞানহীন উকিলরা আইনকে পরিচালনা করে দোষী ব্যক্তিকে মুক্ত করতে, আরও বৃহৎ ও অধিক কারাগার তৈরীর খরচা ব্যয় করতে সমাজ নারাজ, এবং পুলিশ বাহিনীতে লোকের অভাব, এই সমস্ত কিছুর জন্য অপরাধের প্রবাহের বিরুদ্ধে বিশেষ কিছুই করা যাবে না।

বাকি থাকল তৃতীয় বিষয়টি, সম্ভাব্য শিকার: আমরা, জনতা। আমরা নিজেরা কি কিছু করতে পারি যাতে এই অরাজকতাপূর্ণ পরিস্থিতির সাথে অন্তত কিছুটা মোকাবিলা করতে পারি?

ব্যবহারিক প্রজ্ঞা ও সাধারণ জ্ঞান

বাইবেলের বই হিতোপদেশ বলে: “তুমি সূক্ষ্ম বুদ্ধি ও পরিণামদর্শিতা রক্ষা কর। তাহাতে সে সকল তোমার প্রাণের জীবনস্বরূপ হইবে, তোমার কণ্ঠের শোভাস্বরূপ হইবে। তখন তুমি নিজ পথে নির্ভয়ে গমন করিবে, তোমার পায়ে উছোট লাগিবে না।” এই উপদেশ সেই সব পরিস্থিতিতে প্রযোজ্য হতে পারে যেখানে একজনের অপরাধের শিকার হওয়ার সম্ভাবনা আছে। কিভাবে ব্যবহারিক প্রজ্ঞা আমাদের এই ক্ষেত্রে সাহায্য করতে পারে?—হিতোপদেশ ৩:২১-২৩.

অপরাধীরা শিকারী বন্য পশুর মত আচরণ করে। তারা সহজসাধ্য শিকার খোঁজে। তারা সংঘর্ষে জড়াতে ও ধরা পড়তে চায় না যদি তারা একই লাভ একজন সহজসাধ্য শিকারের কাছে পায়। তাই তারা তাদের আক্রমণ করে যারা বয়স্ক, অসুস্থ, অবিন্যস্ত, এবং যারা বিপদ সম্বন্ধে সচেতন নয়। ছিনতাইকারীরা সেই সময় ও জায়গা বেছে নেয় যা তাদের জন্য সুবিধাজনক। এইখানে সম্ভাব্য শিকার ব্যবহারিক প্রজ্ঞা প্রয়োগ করতে পারে।

যেমন বাইবেল বর্ণনা করে, মন্দতা পছন্দকারীরা প্রায়ই অন্ধকারের আড়ালে তাদের কার্য্যসিদ্ধি করে। (রোমীয় ১৩:১২; ইফিষীয় ৫:১১, ১২) এই কথা সত্য যে আজ মানুষের বিরুদ্ধে ও সম্পত্তিসংক্রান্ত বহু অপরাধ রাত্রে ঘটে। (ইয়োব ২৪:১৪; ১ থিষলনীকীয় ৫:২ তুলনা করুন।) তাই যেখানে সম্ভব হবে, একজন জ্ঞানী ব্যক্তি রাত্রিবেলা বিপদজনক এলাকা এড়িয়ে চলবে। অপরাধ-নিপীড়িত শহর নিউ ইয়র্কে, দৈনিক পুলিশ রেকর্ড জানায় যে বহু লোককে আক্রমণ করা হয় সূর্যাস্তের পর, বিশেষত রাত দশটার পর, যখন তারা বাড়ি ফেরে। আক্রমণকারীরা জনশূণ্য রাস্তায় শিকারের অপেক্ষায় থাকে। তাই, যদি আপনার কাছে সুযোগ থাকে একটি বাস কিম্বা ট্যাক্সির জন্য অপেক্ষা করার অথবা একটি বিপদজনক এলাকার মধ্যে দিয়ে যাওয়ার, ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করুন। নয়তো, আপনার অভিজ্ঞতা অপ্রীতিকর হতে পারে।

একজন খ্রীষ্টান ভীষনভাবে প্রহারিত হন ও তার টাকাপয়সা ছিনিয়ে নেওয়া হয় যখন রাত্রি দশটার সময়, বাসের জন্য অপেক্ষা না করে তিনি অর্ধ-অন্ধকারে কিছুটা হেঁটে যান। রাস্তায় অন্য লোকেরা ছিল, কিন্তু তিনজন লুঠেরা অসচেতন ব্যক্তিদের জন্য ফাঁদ পেতেছিল। একজন অন্যদের সংকেত করে যখন সম্ভাব্য শিকার সেই রাস্তা দিয়ে যায়। কোন কথা না বলে, তারা তাকে আক্রমণ করে ও তার টাকাপয়সা কেড়ে নেয়। সবকিছু এত তাড়াতাড়ি ঘটে যে একজন প্রতিবেশীও কিছু করার সুযোগ পায় না। সেই খ্রীষ্টান পরে বলেন: “পরের বার আমি বাসের জন্য অপেক্ষা করব।”

ডিকেন্সের বই অলিভার টুইস্ট-এ একজন অল্পবয়স্ক পকেটমার আর্টফুল ডজার, তুলনামূলকভাবে বর্তমানের রাস্তার অপরাধীর একজন নিরীহ নমুনা ছিল। বর্তমানের চোর বা ছিনতাইকারী, তাদের বয়স যাই হোক না কেন, আর্টফুল ডজারের বিপরীতে, ছুরি অথবা বন্দুক সঙ্গে রাখে ও ব্যবহার করে। অবিন্যস্ত পর্যটক, ভ্রমণকারী, ও যারা বড় শহরে ইতস্তত ঘুরে বেড়ায়, তারা এই হিংস্র অপরাধীদর জন্য সহজসাধ্য লক্ষ্যবস্তু। যা পাওয়া যায় চোখের পলক ফেলার আগে তারা ছিনিয়ে নেবে! কি একটি চোরের হৃদ্‌স্পন্দন বৃদ্ধি করে? একটি সোনার চেন অথবা অন্যান্য মূল্যবান গহণা এমনভাব পরা যাতে দেখা যায়। অথবা একজন পর্যটকের গলায় ঝোলানো ক্যামেরা। এর অর্থ গলায় এই রকম একটি ফলক ঝুলিয়ে বেড়ানো যা বলে, “এস আমাকে আক্রমণ কর!” তাই, সাবধানতার প্রয়োজন। কোন গহণা লুকিয়ে রাখুন ও ক্যামেরা এমন ভাবে রাখুন যাতে বোঝা না যায়, যেমন ব্যাগের মধ্যে রাখতে পারেন। এটিই ব্যবহারিক প্রজ্ঞা।

সতর্ক থাকা অপরাধের সঙ্গে মোকাবিলা করার আরেকটি উপায়। বাইবেল বলে: “জ্ঞানবানের মস্তকেই চক্ষু থাকে, কিন্তু হীনবুদ্ধি অন্ধকারে ভ্রমণ করে।” (উপদেশক ২:১৪) অপরাধের সমস্যার প্রতি এই সাবধানবানী প্রয়োগ করলে যে লোকেরা সন্দেহজনকভাবে, কোন উদ্দেশ্য ছাড়া ঘুরে বেড়ায় তাদের লক্ষ্য রাখতে সাহায্য করবে। ফুটপাথে হাঁটার সময় যে ছিনতাইকারী পিছন থেকে এসে আপনার ব্যাগ ছিনিয়ে নিতে পারে সে দিকেও লক্ষ্য রাখুন। যেহেতু অনেকে মোটরবাইকে চড়ে পাশ দিয়ে বেগে যাওয়ার সময় ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়, ফুটপাথের একদম ধারে হাঁটবেন না, বিশেষত যদি আপনি কোন ব্রিফকেস অথবা হাতব্যাগ নিয়ে যাচ্ছেন। যে সাব-ওয়ে গাড়ির কামরা প্রায় জনশূন্য তা এড়িয়ে চলুন। যেখানে অনেক লোক ও আলো আছে যেখানে আপনি অধিক নিরাপদ। ছিনতাইকারীরা চায় না যে তাদের লক্ষ্য করা ও চিনে ফেলা হোক।

বাড়িতে চুরি আরেকটি সাধারণ অপরাধ যা সহজেই এড়ানো যায় যদি লোকে অপরাধ সম্বন্ধে আরও সচেতন হয়। বাইবেল সঠিকভাবে এই তুলনা ব্যবহার করেছে: “চোরের ন্যায় গবাক্ষ দিয়া প্রবেশ করে।” (যোয়েল ২:৯) ব্যবহারিক জ্ঞান আপনাকে পরিচালিত করবে দরজা ও জানালা খুলে না রাখতে। এটি সবসময় সত্য যে প্রতিরোধ আরোগ্য লাভের চাইতে অনেক ভাল। আপনার বাড়িকে সুরক্ষিত রাখতে কিছু বাড়তি খরচ সত্যই চুরি ও দৈহিক ক্ষতির বিরুদ্ধে বীমাস্বরূপ।

যদি আপনাকে আক্রমণ করা হয়?

হ্যাঁ, যদি সমস্ত সাবধানতা সত্ত্বেও একজন ছিনতাইকারী আপনার পথ আটকায়, তখন কি করবেন? আতঙ্কিত হবেন না অথবা দ্রুত নড়াচড়া করবেন না। মনে রাখবেন যে ছিনতাইকারীও ভীত হতে পারে ও আপনার অঙ্গভঙ্গী ভুল বুঝতে পারে। যুক্তি সহকারে কথা বলার চেষ্টা করুন যদি সেই পুরুষ অথবা নারী আপনাকে বলতে দেয়। (হ্যাঁ, আপনার আক্রমণকারী একজন নারীও হতে পারে।) অনেকসময় ছিনতাইকারী শান্ত হয়েছে যখন সে জেনেছে একজন সত্য ও একনিষ্ঠ খ্রীষ্টানকে সে আক্রমণ করেছে। তার প্রতিক্রিয়া যাই হোক না কেন যদি সে শুধুমাত্র টাকা অথবা কোন সম্পত্তি চায় তাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। যা চাওয়া হয় তা দিয়ে দেওয়াই ভাল। বাইবেল শিক্ষা দেয় যে একজন ব্যক্তির জীবন তার যে কোন সম্পত্তির চাইতে বেশী মূল্যবান।—মার্ক ৮:৩৬ তুলনা করুন।

আপনি সূক্ষ্মভাবে পরীক্ষা করছেন এমন যেন মনে না হয়, কিন্তু ছিনতাইকারীর জামাকাপড়ে অথবা চেহারায় কোন বিশেষত্ব লক্ষ্য করার চেষ্টা করুন। তার কথা বলার ধরন কিরকম? এই সমস্ত বিবরণ কাজে লাগতে পারে যখন আপনি পুলিসের কাছে রিপোর্ট করবেন, কারণ অধিকাংশ অপরাধীই তাদের নিজস্ব পদ্ধতিতে কাজ করে আর তাই সহজেই চেনা সম্ভব হবে।

আত্মরক্ষার জন্য কোন অস্ত্র সঙ্গে রাখা সম্বন্ধে কি? অবশ্যই একজন খ্রীষ্টানের পক্ষে অস্ত্র সঙ্গে রাখা বিজ্ঞতার কাজ হবে না। যদি লুঠেরা মনে করে যে আপনি কোন অস্ত্র বার করতে যাচ্ছেন, সে আপনাকে আঘাত করা বা হত্যা করা সম্বন্ধে দ্বিতীয়বার চিন্তা করবে না। এছাড়াও, কিভাবে আপনি বাইবেলের নীতি “মনুষ্যমাত্রের সহিত শান্তিতে থাক” পালন করতে সক্ষম হবেন যদি আপনি পাল্টা আক্রমণ করার জন্য অস্ত্র সমেত প্রস্তুত থাকেন?—রোমীয় ১২:১৮.

আপনি যে কোন সাবধানতাই অবলম্বন করুন কোন নিশ্চয়তা নেই যে একদিন আপনি আপরাধের শিকার হবেন না। অপরাধ-পরিব্যাপ্ত শহরে আপনাকে শুধু ভুল জায়গায় ভুল সময় থাকতে হবে। নিউ ইয়র্কে অল্প কিছু দিন আগে, একজন উকিল তার অফিস ছেড়ে এক কাপ কফি কিনতে বাইরে আসে। সে যখন দোকানে ঢোকে কয়েকজন যুবক গাড়ি করে এসে গুলি চালাতে শুরু করে। সেই উকিলটি মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। “কাল ও অজানা ঘটনার” জন্য তার মৃত্যু ঘটে। কত দুঃখজনক ঘটনা! বর্তমানের অপরাধ প্রবাহ যা পৃথিবীতে বয়ে চলেছে তার কি কোন স্থায়ী সমাধান আছে?—উপদেশক ৯:১১, NW.

যখন অপরাধ শেষ হবে

প্রায় দুই হাজার বছর আগে, যীশু ভবিষ্যদ্‌বাণী করেছিলেন যে একটি বংশ আসবে যারা যে কোন পূর্বের বংশের চাইতে আরও ভয়াবহ ঘটনা পরিদর্শন করবে। টেলিভিশন, ও ইন্সটান্ট কমিউনিকেশনের মাধ্যমে কয়েক লক্ষ্য, না, হাজার হাজার লক্ষ্য লোক, তাদের স্থানীয় সংবাদ চ্যানেলে দৌরাত্মের চিত্র দেখতে পায় যা প্রকৃতই ঘটছে। ফলস্বরূপ, সত্যতা তারা দৈনিক উপলব্ধি করছে, আর যেমন যীশু ভবিষ্যদ্‌বাণী করেছিলেন, “ভয়ে, এবং ভূমণ্ডলে যাহা যাহা ঘটিবে তাহার আশঙ্কায়, মানুষের প্রাণ উড়িয়া যাইবে।”—লূক ২১:২৬.

যীশু ১৯১৪ সাল থেকে যে সমস্ত ঘটনা ঘটেছে তার পূর্বদর্শন পেয়েছিলেন, যে ঘটনা “যুগান্তকে” চিহ্নিত করবে। (মথি ২৪:৩-১৪) কিন্তু তিনি আরও বলেন: “তোমরা যখন এই সকল ঘটিতেছে দেখিবে, তখন জানিবে, ঈশ্বরের রাজ্য সন্নিকট।” (লূক ২১:৩১) তার অর্থ ঈশ্বরের ধার্মিক রাজত্ব শীঘ্রই পৃথিবীকে নাটকীয়ভাবে প্রভাবিত করবে।—মথি ৬:৯, ১০; প্রকাশিত বাক্য ২১:১-৪.

সেই রাজত্বের অধীনে, যারা মৃদুশীল, শান্তিপ্রিয়, এবং যারা ঈশ্বরের প্রতি বাধ্য তারাই পৃথিবীতে পরমদেশ পরিস্থিতি উপভোগ করবে। অপরাধী ও দুষ্কর্মকারীদের কি হবে? “তাহারা ঘাসের ন্যায় শীঘ্র ছিন্ন হইবে, হরিৎ তৃণের ন্যায় ম্লান হইবে। কারণ দুরাচারগণ উচ্ছিন্ন হইবে, কিন্তু যাহারা যিহোবার অপেক্ষা করে, তাহারাই দেশের অধিকারী হইবে।” সেই ধার্মিক স্বর্গীয় সরকারের অধীনে, বিশৃঙ্খলা অথবা অপরাধ আর থাকবে না।—গীতসংহিতা ৩৭:২, ৯, NW.

যদি আপনি এই শান্তিপূর্ণ ও চিরস্থায়ী বিশ্ব সরকারের বাইবেল-ভিত্তিক আশা সম্বন্ধে আরও জানতে চান, আপনার এলাকায় অথবা স্থানীয় কিংডম হলে যিহোবার সাক্ষীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করুন। তারা সানন্দে, বিনামূল্যে আপনাকে বাইবেল বুঝতে সাহায্য করবে। (w91 5/1)

[৬ পৃষ্ঠার ব্লার্ব]

“দুরাচারগণ উচ্ছিন্ন হইবে, কিন্তু যাহারা যিহোবার অপেক্ষা করে, তাহারাই দেশের অধিকারী হইবে”

[Pictures on page 7]

চার্লস ডিকেন্সের পকেটমার, আর্টফুল ডজার, বর্তমানের ছিনতাইকারীদের তুলনায় আনাড়ী ছিল

[সজন্যে]

Graphic Works of GEORGE CRUIKSHANK, by Richard A. Vogler, Dover Publications, Inc.

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার