ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯২ ১১/১ পৃষ্ঠা ১৯-২৪
  • একে অপরকে গড়ে তুলুন

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • একে অপরকে গড়ে তুলুন
  • ১৯৯২ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • কদালাপ এড়িয়ে চলা
  • অন্যদের গড়ে তুলবার জন্য চেষ্টা করুন
  • ঐশ্বরিক উপায়ে গড়ে তুলুন
  • যে প্রাচীনরা গড়ে তোলেন
  • খ্রীষ্টের ব্যবস্থা অনুসারে জীবনযাপন করা
    ১৯৯৬ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • “অন্যকে গড়ে তুলবার জন্য যা ভাল তেমন কথাই” বলুন
    “ঈশ্বরের প্রেমে আপনাদিগকে রক্ষা কর”
  • আপনার পোশাক-আশাকের ধরন কি ঈশ্বরকে গৌরবান্বিত করে?
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০১৬
  • পোশাক-আশাক ও সাজগোজের বিষয়ে চিন্তা করা কেন গুরুত্বপূর্ণ?
    চিরকাল জীবন উপভোগ করুন!—ঈশ্বরের কাছ থেকে শিখুন
আরও দেখুন
১৯৯২ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯২ ১১/১ পৃষ্ঠা ১৯-২৪

একে অপরকে গড়ে তুলুন

“তোমাদের মুখ হইতে কোন প্রকার কদালাপ বাহির না হউক, কিন্তু প্রয়োজনমতে গাঁথিয়া তুলিবার জন্য সদালাপ বাহির হউক।”—ইফিষীয় ৪:২৯.

১, ২. (ক) কেন যথাযথভাবে বলা যায় যে বাক্‌শক্তি একটি অত্যাশ্চর্য বিষয়? (খ) আমরা কিভাবে আমাদের জিহ্বা ব্যবহার করছি সেই সম্বন্ধে কী সাবধানতা অবলম্বন করা উচিৎ?

“বাক্‌শক্তি সেই অত্যাশ্চর্য সূত্র যা বন্ধুবান্ধব, পরিবার ও সমাজকে একত্রবদ্ধ করে . . . মানব মস্তিষ্ক থেকে এবং [জিহ্বার] পেশীসমষ্টির সমন্বয়মূলক সঙ্কোচনের দ্বারা আমরা শব্দ তৈরী করি যা প্রেম, ঈর্ষা, শ্রদ্ধা—বাস্তবিকই যে কোন মানব অনুভূতির উদ্রেক করতে পারে।”—হিয়ারিং, টেস্ট্‌ অ্যাণ্ড স্মেল্‌।

২ আমাদের জিহ্বা খাওয়া অথবা স্বাদ নেওয়ার দেহযন্ত্রের থেকেও অনেক বেশী কিছু; আমরা যা চিন্তা অথবা অনুভব করছি তা অন্যদের জানানোর ক্ষমতার এটি একটি অংশ। “জিহ্বাও ক্ষুদ্র অঙ্গ বটে,” যাকোব লিখেছিলেন। “উহার দ্বারাই আমরা প্রভু পিতার ধন্যবাদ করি, আবার উহার দ্বারাই ঈশ্বরের সাদৃশ্যে জাত মনুষ্যদিগকে শাপ দিই।” (যাকোব ৩:৫, ৯) হ্যাঁ, আমরা আমাদের জিহ্বাকে উত্তম উপায়ে ব্যবহার করতে পারি, যেমন যিহোবার প্রশংসা করায়। কিন্তু অসিদ্ধ হওয়ার জন্য, আমরা সহজেই ক্ষতিকারক অথবা অপ্রীতিকর বিষয়ে বলতে আমাদের জিহ্বাকে ব্যবহার করতে পারি। যাকোব লিখেছিলেন: “হে আমার ভ্রাতৃগণ, এ সকল এমন হওয়া অনুচিত।”—যাকোব ৩:১০.

৩. আমাদের কথাবার্তার কোন্‌ দুটি দিকের প্রতি আমাদের মনোযোগ দেওয়া উচিৎ?

৩ কোন মানুষ সম্পূর্ণরূপে তার জিহ্বাকে বশে রাখতে না পারলেও, আমাদের অবশ্যই উন্নতি করার প্রচেষ্টা করা উচিৎ। প্রেরিত পৌল আমাদের উপদেশ দেন: “তোমাদের মুখ হইতে কোন প্রকার কদালাপ বাহির না হউক, কিন্তু প্রয়োজনমতে গাঁথিয়া তুলিবার জন্য সদালাপ বাহির হউক, যেন যাহারা শুনে, তাহাদিগকে অনুগ্রহ দান করা হয়।” (ইফিষীয় ৪:২৯) লক্ষ্য করুন যে এই নির্দেশের দুটি দিক আছে: কী আমাদের এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা উচিৎ এবং কী করতে আমাদের চেষ্টা করা উচিৎ। আসুন আমরা দুটি দিকই বিবেচনা করে দেখি।

কদালাপ এড়িয়ে চলা

৪, ৫. (ক) অশ্লীল ভাষা সম্বন্ধে খ্রীষ্টিয় ব্যক্তিদের কী সংগ্রাম করতে হবে? (খ) “কদালাপ” শব্দটির সঙ্গে কোন্‌ প্রতিচ্ছবি খাপ খেতে পারে?

৪ ইফিষীয় ৪:২৯ প্রথমে আমাদের উপদেশ দেয়: “তোমাদের মুখ হইতে কোন প্রকার কদালাপ বাহির না হউক।” তা সহজ নাও হতে পারে। তার একটি কারণ হচ্ছে অশ্লীল কথাবার্তা আমাদের চারপাশের জগতে বহুল প্রচলিত। অনেক খ্রীষ্টিয় যুবক-যুবতী রোজ দিব্যি-কটুক্তি শোনে, কারণ স্কুলের সহপাঠীরা হয়ত মনে করে যে তা তাদের কথার ওপর জোর দেয় অথবা তাদের শক্তিশালী বলে মনে করায়। খারাপ কথা শোনা সম্পূর্ণরূপে হয়ত আমরা এড়িয়ে চলতে পারব না, কিন্তু সেগুলি মনে না রাখতে চেষ্টা আমরা করতে পারি এবং আমাদের করা উচিৎ। আমাদের মনে অথবা মুখে এগুলির কোন স্থান নেই।

৫ পৌলের সাবধানবাণীতে অন্তর্নিহিত রয়েছে একটি গ্রীক শব্দ যার সম্পর্ক আছে খারাপ হয়ে যাওয়া মাছ অথবা পচা ফলের সাথে। এই দৃশ্যটি কল্পনা করুন: আপনি একটি ব্যক্তিকে প্রথমে অধৈর্য এবং তারপর প্রচণ্ড ক্রুদ্ধ হয়ে উঠতে দেখছেন। অবশেষে সে রাগে ফেটে পড়ে, আর আপনি তার মুখ থেকে পচা মাছ বেরিয়ে আসতে দেখেন। তারপর আপনি দেখেন দুর্গন্ধপূর্ণ, পচা ফল বেরিয়ে আসছে, আশেপাশে যারা দাঁড়িয়ে আছে তাদের গায়ে ছিটিয়ে পড়ছে। এই ব্যক্তিটি কে? যদি সে আমাদের মধ্যে কেউ একজন হয় তাহলে কী ভয়ানক! এইরকম প্রতিচ্ছবি আমাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে যদি আমরা ‘আমাদের মুখ থেকে কদালাপ বার হয়ে আসতে দিই।’

৬. ইফিষীয় ৪:২৯ কিভাবে সমালোচনামূলক, প্রতিকূল কথাবার্তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য?

৬ ইফিষীয় ৪:২৯ আরেকভাবে প্রযোজ্য যে সবসময় সমালোচনা করা আমাদের এড়িয়ে চলতে হবে। মানতে হবে, যে বিষয়গুলি আমরা ভালবাসি না অথবা মেনে নিই না সেই বিষয়ে আমাদের সকলের মতামত এবং পছন্দ-অপছন্দ আছে, কিন্তু আপনি কী এমন কারো সঙ্গে থেকেছেন যার মুখে প্রতিটি লোক, জায়গা অথবা বিষয় সম্বন্ধে প্রতিকূল মন্তব্য (অথবা অনেক মন্তব্য) লেগেই আছে? (তুলনা করুন রোমীয় ১২:৯; ইব্রীয় ১:৯) তার কথাবার্তা মর্মভেদ করে, নিরাশ করে, বিনষ্ট করে। (গীতসংহিতা ১০:৭; ৬৪:২-৪; হিতোপদেশ ১৬:২৭; যাকোব ৪:১১, ১২) সে হয়ত জানে না, মালাখি যে সমালোচনাকারীদের বর্ণনা করেছিলেন তাদের সঙ্গে তার কতটা মিল আছে। (মালাখি ৩:১৩-১৫) যদি কোন পাশে দাঁড়িয়ে থাকা দর্শক তাকে বলে যে তার মুখ থেকে পচা মাছ অথবা ফল বেরিয়ে এসেছে তাহলে সে কেমন স্তম্ভিত হবে!

৭. আমাদের প্রত্যেকের কী আত্ম-পরীক্ষা করা উচিৎ?

৭ অন্যেরা যখন ক্রমাগত অপ্রীতিকর অথবা সমালোচনামূলক মন্তব্য করে তখন তা লক্ষ্য করা সহজ হলেও, নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন, ‘আমিও কি এইরকম ব্যবহার করার প্রবণতা দেখাই? সত্যিই কি দেখাই?’ কয়েক সময়ে আমাদের কথাবার্তার তাৎপর্য সম্বন্ধে চিন্তা করা বিজ্ঞতার কাজ হবে। তা কি মুখ্যত অপ্রীতিকর, সমালোচনামূলক? আমাদের কথা কি ইয়োবের তিন জন মিথ্যা সান্ত্বনাদায়ক ব্যক্তিদের মত শোনায়? (ইয়োব ২:১১; ১৩:৪, ৫; ১৬:২; ১৯:২) কোন গঠনমূলক বিষয় উল্লেখ করুন না কেন? যদি কোন আলোচনা প্রধানত সমালোচনামূলক হয়, গঠনমূলক বিষয়ের দিকে তা পরিচালিত করুন না কেন?

৮. কথাবার্তা সম্বন্ধে মালাখি ৩:১৬ কী শিক্ষা দেয়, আর আমরা কিভাবে দেখাতে পারি যে আমরা এই শিক্ষা প্রয়োগ করছি?

৮ মালাখি এই বৈসাদৃশ্য উপস্থাপিত করেন: “তখন, যাহারা সদাপ্রভুকে ভয় করিত, তাহারা পরস্পর আলাপ করিল, এবং সদাপ্রভু কর্ণপাত করিয়া শুনিলেন; আর যাহারা সদাপ্রভুকে ভয় করিত, ও তাঁহার নাম ধ্যান করিত, তাহাদের জন্য তাঁহার সম্মুখে একখানি স্মরণার্থক পুস্তক লেখা হইল।” (মালাখি ৩:১৬) আপনি কি লক্ষ্য করেছেন যিহোবা কিভাবে গঠনমূলক কথাবার্তার প্রতি সাড়া দেন? পরিচিত ব্যক্তিদের মধ্যে এইরকম কথাবার্তা কী প্রভাব ফেলতে পারে? আমাদের দৈনন্দিন কথাবার্তা সম্বন্ধে আমরা ব্যক্তিগতভাবে একটি শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি। আমাদের এবং অন্যদের পক্ষে কত ভাল হবে যদি আমাদের কথাবার্তায় ‘ঈশ্বরের উদ্দেশে নিয়ত স্তব-বলি’ প্রকাশ পায়।—ইব্রীয় ১৩:১৫.

অন্যদের গড়ে তুলবার জন্য চেষ্টা করুন

৯. কেন খ্রীষ্টিয় সভাগুলি অন্যদের গড়ে তোলবার জন্য ভাল সময়?

৯ মণ্ডলীর সভাগুলি সদালাপ করার জন্য খুব ভাল সময় যাতে ‘প্রয়োজনমত গেঁথে তোলা যায়, যেন যারা শোনে, তাদের অনুগ্রহ দান করা হয়।’ (ইফিষীয় ৪:২৯) বাইবেলের তথ্যের উপরে বক্তৃতা দেওয়ার সময়ে, একটি প্রদর্শনে অংশ নিয়ে, অথবা প্রশ্নোত্তর আলোচনার সময়ে মন্তব্য করে আমরা তা করতে পারি। এইভাবে আমরা হিতোপদেশ ২০:১৫ পদের সত্যতা প্রমাণ করি: “জ্ঞানবিশিষ্ট ওষ্ঠাধর অমূল্য রত্ন।” আর কে জানে আমরা কতজনের হৃদয় স্পর্শ করি অথবা কতজনকে গড়ে তুলি?

১০. সাধারণত কাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি সেই সম্বন্ধে চিন্তা করার পরে, কী রদ্‌বদল প্রয়োজন হতে পারে? (২ করিন্থীয় ৬:১২, ১৩)

১০ সভার আগে ও পরে, শ্রোতাদের জন্য প্রীতিজনক কথাবার্তার মাধ্যমে অন্যদের গড়ে তোলার সময়। এই সময়টি আত্মীয়স্বজন এবং অল্প কয়েকজন বন্ধুবান্ধব, যাদের সাথে আমাদের সদ্ভাব আছে, তাদের সাথে আলাপ-আলোচনা করে কাটিয়ে দেওয়া সহজ হতে পারে। (যোহন ১৩:২৩; ১৯:২৬) যাইহোক, ইফিষীয় ৪:২৯ পদের সাথে সমতা রেখে, অন্যদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করুন না কেন? আমরা আগে থেকে স্থির করতে পারি কোন নতুন লোক, বয়স্ক ব্যক্তি, অথবা ছোট ছেলেমেয়েদের শুধুমাত্র রীতি অনুযায়ী সম্বোধন করার চাইতেও বেশী কিছু করব, এমনকি ছোট ছেলেমেয়েদের সমকক্ষ হওয়ার জন্য তাদের পাশেও বসতে পারি। আমাদের প্রকৃত আগ্রহ এবং গঠনমূলক কথাবার্তার সময়কাল অন্যদের আরও বেশী করে গীতসংহিতা ১২২:১ পদে দায়ূদের মনোভাব প্রতিফলিত করতে সাহায্য করবে।

১১. (ক) আসনগ্রহণ সম্বন্ধে অনেকে কী অভ্যাস গড়ে তুলেছে? (খ) কেন কেউ কেউ ইচ্ছা করে তাদের বসার জায়গা পরিবর্তন করে?

১১ গঠনমূলক কথাবার্তার আরেকটি সহায়ক, সভায় যেখানে বসি সেই জায়গা পরিবর্তন করা। স্তন্যদাত্রী মায়েদের হয়ত বিশ্রামকক্ষের কাছে বসতে হতে পারে, অথবা একজন অসুস্থ ব্যক্তির হয়ত ধারের জায়গার প্রয়োজন হতে পারে, কিন্তু আমাদের অন্যদের সম্বন্ধে কি? নেহাত অভ্যাসবশত কোন একটি বিশেষ চেয়ারের অথবা জায়গার দিকে হয়ত আমরা পরিচালিত হতে পারি; এমনকি আকাশের পাখিরাও সহজাত প্রবৃত্তির জন্য নিজের বাসায় ফিরে আসে। (যিশাইয় ১:৩; মথি ৮:২০) বাস্তবে, যেহেতু আমরা যেখানে ইচ্ছা বসতে পারি, আমাদের বসার জায়গার পরিবর্তন করে—ডানদিকে, বাঁদিকে, সামনের দিকে, ইত্যাদি—এইভাবে সকলের সাথে ভালভাবে পরিচিত হই না কেন? এইরূপ করার কোন নিয়ম না থাকলেও, যে প্রাচীনেরা এবং অন্যান্য পরিপক্ক ব্যক্তিরা তাদের বসার জায়গার পরিবর্তন করেন তারা অপেক্ষাকৃত অল্প কয়েকজন ঘনিষ্ট বন্ধুর পরিবর্তে, সকলকে অনুগ্রহ দান করতে পেরেছেন।

ঐশ্বরিক উপায়ে গড়ে তুলুন

১২. কোন্‌ অবাঞ্ছিত প্রবণতা ইতিহাসে সর্বসময়ে দেখা গেছে?

১২ অন্যদের গড়ে তুলবার ইচ্ছা থাকার জন্য এই বিষয়ে ঈশ্বরকে অনুকরণ করতে একজন খ্রীষ্টানের অনুপ্রাণিত হওয়া উচিৎ, বহুসংখ্যক নিয়ম তৈরী করতে মানুষের প্রবৃত্তির অনুসরণ করার পরিবর্তে।a অসিদ্ধ মানুষ বহুকাল ধরে তাদের আশেপাশে যারা আছে তাদের উপর কর্তৃত্ত্ব করার প্রবণতা দেখিয়েছে, আর এমনকি ঈশ্বরের কিছু সেবকও এই ইচ্ছার বশবর্তী হয়েছে। (আদিপুস্তক ৩:১৬; উপদেশক ৮:৯) যীশুর সময়ে যিহুদী নেতারা ‘লোকেদের কাঁধে ভারী দুর্বহ বোঝা চাপিয়ে দিত কিন্তু নিজেরা সেগুলি সরাতে অনিচ্ছুক ছিল।’ (মথি ২৩:৪) তারা নিরাপদ রীতিগুলিকে অবশ্যকর্তব্য প্রথায় পরিণত করেছিল। মানুষের নিয়মাবলীর প্রতি তাদের অত্যধিক মনোযোগের জন্য, তারা যে বিষয়গুলির প্রতি ঈশ্বর অধিক গুরুত্ব দেন তা উপেক্ষা করেছিল। তাদের বহু অশাস্ত্রীয় নিয়ম তৈরী করার দ্বারা কেউ গড়ে ওঠেনি; তাদের পথ ঈশ্বরের পথ ছিল না।—মথি ২৩:২৩, ২৪; মার্ক ৭:১-১৩.

১৩. সহ-খ্রীষ্টিয়দের জন্যে বহুসংখ্যক নিয়ম স্থাপন করা কেন উপযুক্ত নয়?

১৩ খ্রীষ্টিয় ব্যক্তিরা ঐশ্বরিক আইন প্রকৃতরূপে মেনে চলতে চায়। কিন্তু, এমনকি আমরাও, অনেক ভারস্বরূপ নিয়ম তৈরী করার ইচ্ছার শিকার হতে পারি। কেন? একটি কারণ আমাদের রুচি এবং পছন্দের তারতম্য আছে, তাই কেউ হয়ত অন্যেরা যা অপছন্দ করে এবং বর্জন করা উচিৎ বলে মনে করে, তা গ্রহণযোগ্য বলে মনে করতে পারে। আত্মিক পরিপক্কতার দিকে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও খ্রীষ্টিয় ব্যক্তিদের মধ্যে পার্থক্য আছে। কিন্তু বহু সংখ্যক নিয়ম তৈরী করা কি একজনকে ঐশ্বরিক উপায়ে পরিপক্কতার দিকে এগিয়ে যাওয়ায় সাহায্য করার পদ্ধতি? (ফিলিপীয় ৩:১৫; ১ তীমথিয় ১:১৯; ইব্রীয় ৫:১৪) এমনকি যখন একজন ব্যক্তি যে পথে চলছে তা চরম অথবা বিপজ্জনক বলে মনে হয় তখনও বাধানিষেধজনক নিয়ম কি তার সবচেয়ে ভাল সমাধান? ঈশ্বরের পথ যোগ্য ব্যক্তিরা যেন নম্রভাবে একজন দোষী ব্যক্তিকে যুক্তিসহকারে বোঝাতে চেষ্টা করে তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য।—গালাতীয় ৬:১.

১৪. ঈশ্বর ইস্রায়েল জাতিকে যে নিয়মগুলি দেন তার দ্বারা কী কী উদ্দেশ্য সাধিত হয়েছিল?

১৪ সত্য, ইস্রায়েলজাতিকে তাঁর প্রজা হিসাবে ব্যবহার করার সময়, ঈশ্বর মন্দিরে উপাসনা, উৎসর্গ করা, এমনকি স্বাস্থ্যবিধান সম্বন্ধেও শত শত নিয়ম স্থাপন করেছিলেন। একটি বিশেষ জাতির জন্য এটি যথাযথ ছিল, এবং এগুলির মধ্যে অনেক নিয়মের ভাববাণীমূলক গুরুত্ব ছিল আর তা যিহূদীদের মশীহর প্রতি পরিচালিত হতে সাহায্য করে। পৌল লেখেন: “এই প্রকারে ব্যবস্থা খ্রীষ্টের কাছে আনিবার জন্য আমাদের পরিচালক দাস হইয়া উঠিল, যেন আমরা বিশ্বাস হেতু ধার্ম্মিক গণিত হই। কিন্তু যে অবধি বিশ্বাস আসিল, সেই অবধি আমরা আর পরিচালক দাসের অধীন নহি।” (গালাতীয় ৩:১৯, ২৩-২৫) মোশির নিয়মকে যাতনাদণ্ডে বাতিল করার পর, ঈশ্বর জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বহু নিয়মের একটি বিশদ তালিকা দেননি, কারণ তাদের বিশ্বাস গড়ে তোলা বজায় রাখার উপায় এটি ছিল না।

১৫. খ্রীষ্টিয় উপাসকদের জন্য ঈশ্বর কী নির্দেশনা দিয়েছেন?

১৫ অবশ্যই, আমরা নিয়মবিহীন নই। ঈশ্বর আমাদের আজ্ঞা দিয়েছেন প্রতিমাপূজা, ব্যভিচার ও পারদার্য, এবং রক্তের অপব্যবহার এড়িয়ে চলতে। তিনি বিশেষভাবে হত্যা, মিথ্যা বলা, প্রেতচর্চা, এবং অন্যান্য পাপে অংশ নিতে বারণ করেন। (প্রেরিত ১৫:২৮, ২৯; ১ করিন্থীয় ৬:৯, ১০; প্রকাশিত বাক্য ২১:৮) আর তাঁর বাক্যে বহু বিষয় সম্বন্ধে তিনি স্পষ্ট উপদেশ দিয়েছেন। তবুও, বাইবেলের নীতি জানতে এবং পালন করতে ইস্রায়েলীয়দের চাইতে অনেক বেশী মাত্রায় আমরা দায়ী। প্রাচীনরা অন্যদের গড়ে তুলতে পারেন এই নীতিগুলি খুঁজে তা বিবেচনা করতে তাদের সাহায্য করে, শুধুমাত্র নিয়মাবলী স্থাপন করে নয়।

যে প্রাচীনরা গড়ে তোলেন

১৬, ১৭. সহ-উপাসকদের জন্য নিয়ম তৈরী করার ক্ষেত্রে প্রেরিতরা কী উত্তম উদাহরণ স্থাপন করেছিলেন?

১৬ পৌল লিখেছিলেন: “আইস, আমরা যে পর্য্যন্ত পঁহুছিয়াছি, সেই একই ধারায় চলি।” (ফিলিপীয় ৩:১৬) এই ঐশ্বরিক দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সমতা রেখে প্রেরিত অন্যদের সাথে এমন ব্যবহার করতেন যা তাদের গড়ে তোলে। উদাহরণস্বরূপ, কোন প্রতিমার মন্দির থেকে আসা মাংস খাওয়া যায় কিনা সেই সম্বন্ধে প্রশ্ন উঠেছিল। এই প্রাচীন কি হয়ত একই ধারা বজায় রাখতে অথবা জটিলতা এড়াবার নামে, প্রারম্ভিক মণ্ডলীগুলিতে সকলের জন্য কোন নিয়ম স্থাপন করেছিলেন? না। তিনি স্বীকার করেছিলেন যে জ্ঞান এবং পরিপক্কতার দিকে এগিয়ে যাওয়ায় তারতম্য থাকার জন্য খ্রীষ্টিয় ব্যক্তিরা বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে পারে। তার নিজের ক্ষেত্রে, তিনি উত্তম উদাহরণ স্থাপন করতে দৃঢ়সংকল্প ছিলেন।—রোমীয় ১৪:১-৪; ১ করিন্থীয় ৮:৪-১৩.

১৭ খ্রীষ্টিয় গ্রীক শাস্ত্র দেখায় যে প্রেরিতরা কোন কোন ব্যক্তিগত বিষয়ে যেমন, পোশাক-পরিচ্ছদের ক্ষেত্রে, সাহায্যকারী উপদেশ দিয়েছিলেন, কিন্তু সর্ব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য কোন নিয়মাবলী স্থাপন করেননি। এই দৃষ্টান্ত বর্তমানে যে খ্রীষ্টিয় অধ্যক্ষরা পালকে গড়ে তুলতে আগ্রহী, তাদের জন্য একটি ভাল উদাহরণ। প্রকৃতপক্ষে এমনকি ঈশ্বর যেভাবে প্রাচীন ইস্রায়েল জাতির সঙ্গে ব্যবহার করতেন এটি তারই বিস্তৃত প্রয়োগ।

১৮. পোশাকপরিচ্ছদ সম্বন্ধে যিহোবা ইস্রায়েল জাতিকে কী নিয়ম দেন?

১৮ ঈশ্বর ইস্রায়েলীয়দের পোশাক সম্বন্ধে বিস্তারিত নিয়ম দেননি। হয়ত পুরুষ এবং স্ত্রীলোকেরা একই ধরনের আলখাল্লা, অর্থাৎ বাইরের পোশাক ব্যবহার করত, যদিও স্ত্রীলোকদের পোশাক হয়ত নক্সা করা অথবা বেশী রঙচঙে ছিল। উভয়েই একটি সা·ধিন’, অথবা অন্তর্বাস পরত। (বিচারকর্ত্তৃগণ ১৪:১২; হিতোপদেশ ৩১:২৪; যিশাইয় ৩:২৩) পোশাকপরিচ্ছদ সম্বন্ধে ঈশ্বর কী নিয়ম দিয়েছিলেন? পুরুষ অথবা নারী একে অপরের পোশাক পরবে না, স্পষ্টতই সমকামীতার মনোভাব নিয়ে। (দ্বিতীয় বিবরণ ২২:৫) চারিপাশের জাতিদের থেকে তারা আলাদা তা দেখাবার জন্য ইস্রায়েলীয়দের তাদের আলখাল্লার নিচের দিকে থোপ দিতে হত, তার ওপরে নীল ফিতে, আর হয়ত আলখাল্লার প্রান্ত রেশমের সুতো দিয়ে সজ্জিত করতে হত। (গণনাপুস্তক ১৫:৩৮-৪১) পোশাকের ধরন সম্বন্ধে মোশির নিয়ম মূলত এই নির্দেশ দিয়েছিল।

১৯, ২০. (ক) পোশাক ও সাজসজ্জা সম্বন্ধে বাইবেল খ্রীষ্টানদের কী নির্দেশ দেয়? (খ) ব্যক্তিগত বেশভূষা সম্বন্ধে নিয়ম স্থাপন করায় প্রাচীনদের কী দৃষ্টিভঙ্গি রাখা উচিৎ?

১৯ খ্রীষ্টানরা মোশির নিয়মের অধীনে না থাকলেও, বাইবেলে কি আমাদের জন্য পোশাক এবং সাজসজ্জা সম্বন্ধে অন্যান্য বিস্তারিত নিয়ম দেওয়া আছে? না। যে নীতি আমরা প্রয়োগ করতে পারি সেই সম্বন্ধে ঈশ্বর ভারসাম্যপূর্ণ মান রেখেছেন। পৌল লিখেছিলেন: “সেই প্রকারে নারীগণও সলজ্জ ও সুবুদ্ধিভাবে পরিপাটী বেশে আপনাদিগকে ভূষিতা করুক; বেণীবদ্ধ কেশপাশে ও স্বর্ণ বা মুক্তা বা বহুমূল্য পরিচ্ছদ দ্বারা নয়।” (১ তীমথিয় ২:৯) পিতর উপদেশ দেন খ্রীষ্টিয় নারীদের মনোযোগ শারীরিক বেশভূষার প্রতি কেন্দ্রীভূত না হোক কিন্তু “হৃদয়ের গুপ্ত মনুষ্য, মৃদু ও প্রশান্ত আত্মার অক্ষয় শোভা, তাহাদের ভূষণ হউক।” (১ পিতর ৩:৩, ৪) এই উপদেশ যে লিখে রাখা হয়েছে তা দেখায় যে কিছু প্রথম শতাব্দীর খ্রীষ্টানদের পোশাকপরিচ্ছদের ক্ষেত্রে আরও নম্রতা এবং শালীনতা দেখানোর প্রয়োজন ছিল। তবুও, কোন বিশেষ আদবকায়দা অনুযায়ী চলতে—অথবা তা বর্জন করার পরিবর্তে—প্রেরিতরা শুধুমাত্র গঠনমূলক উপদেশ দিয়েছিলেন।

২০ যিহোবার সাক্ষীদের সাধারণত তাদের নম্র বেশভূষার জন্য শ্রদ্ধা করা উচিৎ ও করা হয়ও। যাইহোক, বিভিন্ন দেশে, এমনকি বিভিন্ন এলাকায় অথবা মণ্ডলীতেও আদবকায়দার পার্থক্য থাকে। অবশ্যই, একজন প্রাচীন যার বেশভূষা সম্বন্ধে কঠোর মনোভাব অথবা নিজস্ব রুচি আছে তিনি নিজের সম্বন্ধে ও নিজের পরিবার সম্বন্ধে সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। কিন্তু পাল সম্বন্ধে, পৌলের বক্তব্য তার মনে রাখা উচিৎ: “আমরা যে তোমাদের বিশ্বাসের উপরে প্রভুত্ব করি, এমন নয়, বরং তোমাদের আনন্দের সহকারী হই; কারণ বিশ্বাসেই তোমরা দাঁড়াইয়া আছ।” (২ করিন্থীয় ১:২৪) হ্যাঁ, মণ্ডলীতে নিয়ম স্থাপন করার ইচ্ছাকে দমন করে প্রাচীনেরা অন্যদের বিশ্বাসকে গড়ে তোলার জন্য কাজ করেন।

২১. যদি কেউ পোশাকপরিচ্ছদ সম্বন্ধে সীমা ছাড়িয়ে যায় তাহলে কিভাবে প্রাচীনরা গঠনমূলক সাহায্য করতে পারেন?

২১ প্রথম শতাব্দীর মত, কোন কোন সময়ে একজন নতুন অথবা আত্মিকভাবে দুর্বল ব্যক্তি হয়ত পোশাক অথবা প্রসাধনসামগ্রী অথবা অলঙ্কার ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপত্তিকর অথবা নির্বুদ্ধিতার কাজ করতে পারে। তাহলে কী? আবার, গালাতীয় ৬:১ পদ যে প্রাচীনরা প্রকৃতই সাহায্য করতে চায় তাদের নির্দেশ দেয়। উপদেশ দেওয়ার জন্য মনস্থ করার আগে, তিনি আরেকজন সহ-প্রাচীনের মতামত নিতে পারেন, বিশেষত যে প্রাচীন তার মত একই রুচি অথবা চিন্তাধারা রাখেন না বলে তিনি জানেন। যদি মনে হয় যে পোশাকপরিচ্ছদের ক্ষেত্রে জাগতিক চালচলন মণ্ডলীতে অনেককে প্রভাবিত করছে, তাহলে প্রাচীনবর্গ আলোচনা করবেন কী করে সবচেয়ে ভালভাবে সাহায্য করা যায়, সভায় স্নেহশীল, গঠনমূলক কোন অংশের মাধ্যমে অথবা ব্যক্তিগতভাবে সাহায্য করার মাধ্যমে। (হিতোপদেশ ২৪:৬; ২৭:১৭) তাদের উদ্দেশ্য হবে ২ করিন্থীয় ৬:৩ পদের মনোভাবকে উৎসাহ দেওয়া: “আমরা কোন বিষয়ে কোন ব্যাঘাত জন্মাই না, যেন সেই পরিচর্য্যা-পদ কলঙ্কিত না হয়।”

২২. (ক) যদি সামান্য মতের অমিল হয় তাহলে তা বিরক্তির কারণ কেন হওয়া উচিৎ নয়? (খ) পৌল কী উত্তম উদাহরণ দিয়েছিলেন?

২২ যে খ্রীষ্টিয় প্রাচীনরা ‘ঈশ্বরের পালকে পালন করে’ তারা পিতর যেভাবে বলেছিলেন সেইভাবে তা করতে চান, অর্থাৎ ‘ঈশ্বরের নিরূপিত অধিকারের উপরে কর্ত্তৃত্বকারীরূপে নয়।’ (১ পিতর ৫:২, ৩) তাদের প্রেমময় কাজেও, কিছু বিষয় উত্থাপিত হতে পারে যেখানে মতভেদ দেখা দিতে পারে। প্রহরীদুর্গ অধ্যয়নের সময় দাঁড়িয়ে অনুচ্ছেদ পড়া হয়ত স্থানীয় রীতি হতে পারে। দলবদ্ধ ভাবে ক্ষেত্রের পরিচর্য্যার ব্যবস্থা করা এবং পরিচর্য্যা সম্বন্ধে অনেক ছোট ছোট বিষয় হয়ত স্থানীয় রীতি অনুযায়ী করা হয়। তবুও, যদি কেউ একটু অন্যরকমভাবে তা করে তাহলে কী সবকিছু ওলোটপালোট হয়ে যাবে? প্রেমময় অধ্যক্ষদের ইচ্ছা “সকলই শিষ্ট ও সুনিয়মিতরূপে করা হউক,” যা পৌল উল্লেখ করেছিলেন আত্মিক দান সম্বন্ধে। কিন্তু প্রসঙ্গ দেখায় যে পৌলের প্রধান আগ্রহ ছিল “মণ্ডলীকে গাঁথিয়া” তোলা। (১ করিন্থীয় ১৪:১২, ৪০) তিনি অসংখ্য নিয়ম তৈরী করবার কোন ইচ্ছা দেখাননি, যেন সম্পূর্ণ সামঞ্জস্যতা অথবা সম্পূর্ণ কর্মদক্ষতা তার মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল। তিনি লিখেছিলেন: “প্রভু তোমাদিগকে উৎপাটনের নিমিত্ত নয়, কিন্তু তোমাদিগকে গাঁথিয়া তুলিবার নিমিত্ত সেই কর্ত্তৃত্ব দিয়াছেন।”—২ করিন্থীয় ১০:৮.

২৩. কোন্‌ কোন্‌ উপায়ে আমরা অন্যদের গড়ে তুলবার জন্য পৌলের উদাহরণ অনুকরণ করতে পারি?

২৩ পৌল নিঃসন্দেহে গঠনমূলক এবং উৎসাহজনক কথাবার্তার দ্বারা অন্যদের গড়ে তোলার কাজ করেন। অল্প কয়েকজন বন্ধুদের সঙ্গে মেলামেশা করার পরিবর্তে, তিনি বহু ভাই-বোনেদের, আত্মিক ভাবে সবল এবং যাদের গড়ে তোলার বিশেষ প্রয়োজন ছিল, উভয়ের সঙ্গেই সাক্ষাৎ করতে বিশেষ প্রচেষ্টা করতেন। আর তিনি প্রেমের উপর জোর দেন—নিয়মের উপরে নয়—কারণ “প্রেমই গাঁথিয়া তুলে।”—১ করিন্থীয় ৮:১. (w92 8/15)

[পাদটীকাগুলো]

a একটি পরিবারের মধ্যে পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে বিভিন্ন নিয়ম প্রযোজ্য হতে পারে। অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেমেয়েদের জন্য সিদ্ধান্ত নিতে বাইবেল পিতামাতাদের অধিকার দেয়।—যাত্রাপুস্তক ২০:১২; হিতোপদেশ ৬:২০; ইফিষীয় ৬:১-৩.

পুনরালোচনার বিষয়

▫ যদি আমরা প্রতিকূল অথবা সমালোচনামূলক কথাবার্তা বলার প্রবণতা দেখাই তাহলে কেন তা পরিবর্তন করা আবশ্যক?

▫ মণ্ডলীকে আরও গড়ে তুলতে আমরা কী করতে পারি?

▫ অন্যদের জন্য বহুসংখ্যক নিয়ম তৈরী করা সম্বন্ধে ঐশ্বরিক আদর্শ কী?

▫ পালের জন্য মনুষ্য নিয়ম তৈরী করা এড়িয়ে চলতে কী প্রাচীনদের সাহায্য করবে?

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার