ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৩ ৩/১ পৃষ্ঠা ৩০-৩২
  • মিথ্যে বলা এত সহজ কেন?

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • মিথ্যে বলা এত সহজ কেন?
  • ১৯৯৩ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • মিথ্যে বলার কারণ
  • প্রভাবগুলি বিবেচনা করুন
  • সহজে মিথ্যে বলার কারণ
  • কেন সত্যবাদী হওয়া?
  • সত্য কথা বলুন
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০১৮
  • কেন সত্যবাদী হবেন?
    ২০০৭ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
১৯৯৩ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৩ ৩/১ পৃষ্ঠা ৩০-৩২

মিথ্যে বলা এত সহজ কেন?

কেউই তাকে মিথ্যা কথা বলা হোক চায় না। তবুও বিভিন্ন কারণে সারা জগতের লোক একে অপরকে মিথ্যা কথা বলে। জেমস্‌ প্যাটারসন্‌ ও পিটার কীম্‌ লিখিত দ্যা ডে অ্যামেরিকা টোল্ড দ্যা ট্রুথ বইতে উল্লিখিত এক সমীক্ষা প্রকাশ করে যে ৯১ শতাংশ আমেরিকাবাসী নিয়মিত মিথ্যে কথা বলে। লেখকগণ বলেন: “আমাদের বেশীরভাগের কাছে মিথ্যে না বলে একটি সপ্তাহ কাটানো খুবই কষ্টকর। পাঁচ জনের মধ্যে একজন মিথ্যে কথা না বলে একদিনও থাকতে পারে না—আর আমরা এখানে সজ্ঞানে, পূর্বচিন্তিত মিথ্যা সম্বন্ধেই কথা বলছি।”

আধুনিক জীবনে প্রতিটি ক্ষেত্রে মিথ্যা কথা বলা একটি সাধারণ অভ্যাস। রাজনৈতিক নেতারা একে অপরকে মিথ্যে বলে ও তাদের লোকদেরও মিথ্যা বলে। বারে বারে তাদের টিভিতে দেখা গেছে অপকীর্তিমূলক কাজগুলির সঙ্গে কোন রকম সম্পর্ক রয়েছে অস্বীকার করতে অথচ যাতে তারা প্রকৃতপক্ষে গভীরভাবে জড়িত আছে। সিসেলা বক্‌ তার লিখিত লাইং—মরাল চয়েস্‌ ইন পাব্লিক অ্যান্ড প্রাইভেট লাইফ, নামক বইতে উল্লেখ করেন: “আইনে, সাংবাদিকতায়, সরকারে ও সমাজ বিজ্ঞানে প্রতারণা করা সর্বজনস্বীকৃত যখন যারা মিথ্যা বলে ও যারা আইন ধার্য্য করে বলে প্রতীয়মান হয় তারা যখন মিথ্যাকে ক্ষমার যোগ্য বলে মনে করে”।

যুক্তরাষ্ট্রে রাজনীতির জগতে মিথ্যে বলা সম্বন্ধে উল্লেখ করতে গিয়ে ১৯৮৯ সালের মে/জুন মাসের কমোন্‌ কজ ম্যাগাজিন বলে: “সরকারি প্রতারণা এবং জনসাধারণের অবিশ্বাসের ব্যাপারে ওয়াটারগেট ও ভিয়েতনামের যুদ্ধ অবশ্যই ইরান-কন্ট্রার সাথে পাল্লা দিতে পারে। কি কারণের জন্য রিগানের দিনগুলি ছিল চরমমূহুর্তের? অনেকেই মিথ্যে বলেছিল কিন্তু খুব কমই অনুতপ্ত হয়েছিল।” উপযুক্ত কারণে সেইজন্যই সাধারণ জনতা রাজনৈতিক নেতাদের বিশ্বাস করে না।

সেই প্রকৃতির নেতাগণ আন্তর্জাতিক সম্পর্কে একে অপরকে বিশ্বাস করতে পারে না। গ্রীক দার্শনিক প্লেটো বলেন: “প্রদেশের শাসনকর্তাদের . . . প্রদেশের মঙ্গলের জন্য মিথ্যা বলতে দেওয়া যেতে পারে।” আন্তর্জাতিক সম্পর্কে বাইবেল ভবিষ্যদ্বাণী দানিয়েল ১১:২৭ পদ যেমন বলে তেমনই: “তাহারা এক মেজে বসিয়া মিথ্যা কথা কহিবে।”

ব্যবসা জগতে উৎপাদন ও কার্যোপযোগীতা সম্পর্কে মিথ্যে বলা অতি সাধারণ ব্যাপার। ছোট অক্ষরে লিখিত কথাগুলি পড়ে নিতে যেন নিশ্চিত এইভাবে ক্রেতাদের সাবধানতার সাথে চুক্তিমূলক সম্মতিতে যেতেই হয়। মিথ্যা বিজ্ঞাপন, ক্ষতিকারক উৎপাদন যা দেখানো হয় যে সেটি উপকারী ও অক্ষতিকারক, এবং নকল বস্তু থেকে জনসাধারণকে রক্ষা করতে কোন কোন দেশের সরকারে নিয়ন্ত্রক সংস্থা আছে। এত সব প্রচেষ্টা করেও, লোকেরা ঠগ ব্যবসাদারদের জন্য আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

কিছু লোকের কাছে মিথ্যে বলা এত সহজ যে তা অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গেছে। অপরেরা সাধারণত সত্য বলে থাকে কিন্তু বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে পড়লে তারা মিথ্যে বলবে। যে কোন পরিস্থিতিতেও মিথ্যে বলতে চায় না এমন লোক খুব কমই আছে।

মিথ্যা কথার সংজ্ঞা হল “১. বিশেষকরে প্রতারণা করার উদ্দেশ্যে মিথ্যে উক্তি বা কাজ করা . . . ২. যে কোন বিষয় যা মিথ্যা ধারণা দেয় বা দেওয়ার উদ্দেশ্যে করা হয়।” উদ্দেশ্য হল অপরকে এমন কিছু বিশ্বাস করান যা মিথ্যাবাদী জানে যে তা সত্যি নয়। যাদের সত্য জানার অধিকার আছে তাদের মিথ্যে বা অর্দ্ধসত্য বলে সে তাদের প্রতারণা করার চেষ্টা করে।

মিথ্যে বলার কারণ

লোকে মিথ্যে বলে অনেক কারণে। অনেকে মনে করে এই প্রতিযোগিতামূলক জগতে সাফল্যলাভের জন্য, তাদের যোগ্যতা সম্পর্কে তারা মিথ্যে বলতে বাধ্য। অপরেরা দোষ বা ত্রুটি মিথ্যা দিয়ে ঢাকে। আরও অনেকে তারা কাজ করেছে বলে ধারণা দিতে মিথ্যে রিপোর্ট দেয় যা আসলে তারা করেনি। তারপর আরও অনেকে আছে যারা অপরের সুনাম নষ্ট করতে, লজ্জাকর পরিস্থিতি এড়াতে, পূর্বের মিথ্যেকে সমর্থন করতে, অথবা অপরকে টাকাপয়সা সম্পর্কে ঠকাতে মিথ্যে কথা বলে।

মিথ্যে বলার একটি সাধারণ যুক্তি হল যে তা অপরকে রক্ষা করে। অনেকে এটিকে সদুদ্দেশ্যে মিথ্যা বলা বলে বিবেচনা করে কারণ তারা মনে করে যে তা কারোর কোন ক্ষতি করে না। কিন্তু সর্বপরিচিত এই সদুদ্দেশ্যে মিথ্যা বলা প্রকৃতই কি কোন মন্দ প্রভাব আনে না?

প্রভাবগুলি বিবেচনা করুন

সদুদ্দেশ্যে মিথ্যা বলাও একজনকে মিথ্যে বলতে অভ্যাসে পরিচালিত করতে পারে যা হয়ত আরও বেশী গুরুতর বিষয় হতে পারে। সিসেলা বক্‌ মন্তব্য করেন: “প্রত্যেকটি মিথ্যা যেগুলিকে “সদুদ্দেশ্যে” বলে যুক্তি দেওয়া হয়, তা সহজে অগ্রাহ্য করা যায় না। প্রথমত, মিথ্যার ক্ষতিকর প্রভাব বেশ ভালভাবেই তর্কসাপেক্ষ। মিথ্যাবাদী যা ক্ষতিকর নয় অথবা এমনকি উপকারী বলে মনে করে তা হয়ত প্রতারিত ব্যক্তির চোখে নাও হতে পারে।”

মিথ্যে, যতই নির্দোষ বলে মনে হোক না কেন, উত্তম মানব সম্পর্কের জন্য তা ধ্বংসাত্মক। মিথ্যাবাদীর বিশ্বাসযোগ্যতা চূর্ণবিচূর্ণ হয়, এবং নির্ভরতা চিরতরে শেষ হয়ে যেতে পারে। বিখ্যাত প্রবন্ধকার র‌্যাল্ফ ওয়াল্ডো লেখেন: “প্রতিবার সত্যকে অস্বীকার করা শুধুমাত্র মিথ্যাবাদীর জন্য মৃতুজনক নয় কিন্তু তা মানব সমাজের স্বাস্থ্যের জন্য আঘাতজনক।”

মিথ্যাবাদীর পক্ষে অপরের সম্পর্কে মিথ্যা উক্তি করা খুবই সহজ। যদিও সে কোন প্রমাণ না দেয়, তার মিথ্যা সন্দেহের উদ্রেক করে, আর অনেকেই তার কথা কোন বাছবিচার না করেই বিশ্বাস করে। ফলে এক নিরীহ ব্যক্তির সুনাম নষ্ট হয় আর তার নির্দোষিতার প্রমাণ করতে সে ভারগ্রস্ত হয়। তাই সেই কারণেই নৈরাশ্য বোধ আসে যখন লোকে নির্দোষ ব্যক্তির বদলে মিথ্যাবাদীকে বিশ্বাস করে, এবং তা মিথ্যাবাদীর সঙ্গে নির্দোষ ব্যক্তির সম্পর্ক নষ্ট করে।

মিথ্যাবাদী সহজেই মিথ্যা কথা বলার অভ্যাস করে নিতে পারে। একটি মিথ্যে বলা সাধারণত অপরটি বলতে পরিচালিত করে। থমাস্‌ জেফারসন্‌, যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বকালীন কূটনীতিজ্ঞ বলেন: “এমন কোন দোষ নেই যা এত জঘন্য, এত দুঃখদায়ক, এত ঘৃন্য; যে একবার মিথ্যে বলে তার পক্ষে দ্বিতীয়বার, তৃতীয়বার মিথ্যে বলা সহজ হয়ে দাঁড়ায়, অবশেষে সে মিথ্যা বলতে অভ্যস্ত হয়ে যায়।” এটি হল নৈতিক পতনের পথ।

সহজে মিথ্যে বলার কারণ

মিথ্যে কথা বলা আরম্ভ হয় যখন এক বিদ্রোহী দূত প্রথম মানবীকে মিথ্যে বলে, এই বলে যে সে যদি তার স্রষ্টার অবাধ্য হয় তাহলে সে মরবে না। এর ফলে সমস্ত মানবজাতির উপরে অপরিমেয় ক্ষতি নিয়ে আসে, আনে অসিদ্ধতা, অসুস্থতা, ও প্রত্যেকের মৃত্যু।—আদিপুস্তক ৩:১-৪; রোমীয় ৫:১২.

অবাধ্য আদম ও হবার সময় থেকে, মিথ্যাচারের পিতার ছলনাপূর্ণ প্রভাব মানবজাতির জগতে এমন এক আবহাওয়ার সৃষ্টি করেছে যা মিথ্যাকে প্ররোচিত করেছে। (যোহন ৮:৪৪) এই পতনশীল জগতে সত্য শুধুমাত্র আপেক্ষিক। সেপ্টেম্বর ১৯৮৬ সালের দ্যা স্যাটারডে ইভনিং পোস্ট বলে যে মিথ্যে বলার সমস্যা “ব্যবসা, সরকার, শিক্ষা, আমোদ-প্রমোদ এবং সহ নাগরিক ও প্রতিবাসীদের মধ্যে সাধারণ নিত্যনৈমিত্তিক সম্পর্ককেও প্রভাবিত করে। . . . আমরা সম্বন্ধবাদের তত্ত্ব মেনে নিয়েছি, এক মহা মিথ্যা যা বলে যে কোন চরম সত্য বলে কিছু নেই।”

মিথ্যে বলায় অভ্যস্তদের হল এই দৃষ্টিকোণ, যাদের প্রতারিতদের প্রতি কোন সমবেদনা থাকে না। তারা সহজেই মিথ্যে বলতে পারে। এটি তাদের জীবনের রীতি। কিন্তু যারা মিথ্যা বলতে অভ্যস্ত নয় তারা হয়ত ভয়েতে নিঃসঙ্কোচে মিথ্যে বলতে পারে—প্রকাশ হয়ে যাওয়ার ভয়ে, শাস্তির ভয়ে ও ইত্যাদি। অসিদ্ধ দেহের এটি এক দুর্বলতা। এই প্রকৃতির প্রবণতাকে কিভাবে সত্য বলার সিদ্ধান্তের দ্বারা প্রতিস্থাপিত করা যায়?

কেন সত্যবাদী হওয়া?

আমাদের মহান সৃষ্টিকর্তা সকলের জন্য সত্যকে মান হিসাবে স্থির করেছেন। তাঁর লিখিত বাক্য বাইবেল, ইব্রীয় ৬:১৮ পদে বলে যে “মিথ্যা কথা বলা ঈশ্বরের অসাধ্য।” সেই একই মান তাঁর পুত্র, যীশু তুলে ধরেন, যিনি পৃথিবীতে ঈশ্বরের ব্যক্তিগত প্রতিনিধি ছিলেন। যারা তাঁকে মারতে চেয়েছিল সেই যিহূদী ধর্মীয় নেতাদের তিনি বলেন: “ঈশ্বরের কাছে সত্য শুনিয়া তোমাদিগকে জানাইয়াছি যে আমি, আমাকেই বধ করিতে চেষ্টা করিতেছ; . . . আর আমি যদি বলি যে তাঁহাকে জানি না, তবে তোমাদেরই ন্যায় মিথ্যাবাদী হইব।” (যোহন ৮:৪০, ৫৫) তিনি আমাদের জন্য এক আদর্শ রাখেন যে তিনি “পাপ করেন নাই, তাঁহার মুখে কোন ছলও পাওয়া যায় নাই।”—১ পিতর ২:২১, ২২.

আমাদের সৃষ্টিকর্তা যাঁর নাম যিহোবা, তিনি মিথ্যা বলা ঘৃণা করেন, যেমন হিতোপদেশ ৬:১৬-১৯ পদ স্পষ্টভাবে বলে: “এই ছয় বস্তু সদাপ্রভুর ঘৃণিত, এমন কি, সপ্ত বস্তু তাঁহার প্রাণের ঘৃণাস্পদ; উদ্ধত দৃষ্টি, মিথ্যাবাদী জিহ্বা, নির্দ্দোষের রক্তপাতকারী হস্ত, দুষ্ট সঙ্কল্পকারী হৃদয়, দুষ্কর্ম্ম করিতে দ্রুতগামী চরণ, যে মিথ্যাসাক্ষী অসত্য কথা কহে, ও যে ভ্রাতৃগণের মধ্যে বিবাদ খুলিয়া দেয়।”

এই সত্যময় ঈশ্বর তাঁর অনুমোদন পাওয়ার জন্য চান যে, আমরা যেন তাঁর মান অনুযায়ী চলি। তাঁর অনুপ্রাণীত বাক্য আমাদের আজ্ঞা দেয়: “এক জন অন্য জনের কাছে মিথ্যা কথা কহিও না; কেননা তোমরা পুরাতন মনুষ্যকে তাহার ক্রিয়াশুদ্ধ বস্ত্রবৎ ত্যাগ করিয়াছ।” (কলসীয় ৩:৯) যে সব লোকরা মিথ্যা কথা বলার অভ্যাস ত্যাগ করতে পারে না তারা ঈশ্বরের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়; তারা তাঁর কাছ থেকে জীবনের পুরস্কার পাবে না। আসলে, গীতসংহিতা ৫:৬ পদ স্পষ্ট বলে যে ঈশ্বর “মিথ্যাবাদীদিগকে বিনষ্ট” করবেন। তাছাড়া প্রকাশিত বাক্য ২১:৮ বলে যে “সমস্ত মিথ্যাবাদীর অংশ” হল “দ্বিতীয় মৃত্যু,” যেটি হল অনন্ত ধ্বংস। তাই মিথ্যে বলা সম্পর্কে ঈশ্বরের দৃষ্টিকোণ গ্রহণ করাই সত্য বলতে আমাদের দৃঢ় কারণ জোগায়।

কিন্তু কোন এক পরিস্থিতিতে সত্য বললে যদি বিব্রত বোধ করায় অথবা মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয় সেই ক্ষেত্রে কি করা যেতে পারে? মিথ্যে কথা বলা সমাধান নয়, কিন্তু অনেক সময় কিছু না বলাটা সমাধান হতে পারে। কেন মিথ্যে বলবেন, যা শুধুমাত্র আপনার বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করতে পারে এবং ঐশিক অননুমোদনের যোগ্য করে তুলতে পারে?

ভয়ের কারণে এবং মানব দুর্বলতার জন্য, কোন এক ব্যক্তি মিথ্যের আশ্রয় নিতে প্রলুব্ধ হয়। সেই পথটি হল এক সহজ উপায় বা ভ্রান্ত করুণা। প্রেরিত পিতর সেই লোভে প্রলুব্ধ হন যখন তিনি যীশুকে জানেন বলে তিনবার অস্বীকার করেন। পরে, মিথ্যে বলার জন্য তিনি মর্ম্মাহত হন। (লূক ২২:৫৪-৬২) তার আন্তরিক অনুতাপ ঈশ্বরকে ক্ষমা করতে পরিচালিত করে কারণ পরে তার প্রমাণ পাওয়া যায়, তাকে সেবাকার্যে বহু সুযোগ প্রদান করে আশীর্বাদপ্রাপ্ত করা হয়। অনুতাপের সঙ্গে যা ঈশ্বর ঘৃণা করেন সেই মিথ্যে না বলার জন্য দৃঢ় সিদ্ধান্তই, ঐশিক ক্ষমা নিয়ে আসে।

মিথ্যে বলার পর ক্ষমা চাওয়ার থেকে, বরং আপনার স্রষ্টার সঙ্গে এক উত্তম সম্পর্ক বজায় রাখুন এবং অপরের সঙ্গে সত্য বলে আপনার বিশ্বাসযোগ্যতাও বজায় রাখুন। গীতসংহিতা ১৫:১, ২ কী বলে তা স্মরণে রাখুন: “হে সদাপ্রভু, তোমার তাম্বুতে কে প্রবাস করিবে? তোমার পবিত্র পর্ব্বতে কে বসতি করিবে? যে ব্যক্তি সিদ্ধ আচরণ ও ধর্ম্মকর্ম্ম করে, এবং হৃদয়ে সত্য কহে।” (w92 12⁄15)

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার