ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৩ ৭/১ পৃষ্ঠা ২১-২৬
  • বিশ্বাস প্রদর্শন করে ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞার প্রতি সাড়া দিন

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • বিশ্বাস প্রদর্শন করে ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞার প্রতি সাড়া দিন
  • ১৯৯৩ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • বিশ্বাস এবং যিহোবার প্রতিজ্ঞাসকল
  • বিশ্বাসের গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলি
  • বিপরীত প্রভাব
  • ভাববাণীমূলক বাক্যে বিশ্বাস রাখা
  • ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞার উপর তাদের বিশ্বাস ছিল
  • খ্রীষ্টীয় ব্যক্তিদের জন্য বিশ্বাস গুরুত্বপূর্ণ
  • যিহোবার প্রতিজ্ঞায় বিশ্বাস করে চলুন
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০১৬
  • আসুন আমাদের মহামূল্যবান বিশ্বাসকে ধরে রাখি!
    ১৯৯৭ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • আপনি কি সত্যিই সুসমাচারে বিশ্বাস করেন?
    ২০০৩ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • বিশ্বাস​—যে-গুণটা আমাদের শক্তিশালী হতে সাহায্য করে
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০১৯
আরও দেখুন
১৯৯৩ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৩ ৭/১ পৃষ্ঠা ২১-২৬

বিশ্বাস প্রদর্শন করে ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞার প্রতি সাড়া দিন

“তিনি [যিহোবা ঈশ্বর] আমাদিগকে মহামূল্য অথচ অতি মহৎ প্রতিজ্ঞা সকল প্রদান করিয়াছেন।”—২ পিতর ১:⁠৪.

১. প্রকৃত বিশ্বাস দেখাতে কী আমাদের সাহায্য করে?

যিহোবা চান আমরা যেন তাঁর প্রতিজ্ঞাতে সকলে বিশ্বাস রাখি। তবুও, “সকলের বিশ্বাস নাই।” (২ থিষলনীকীয় ৩:২) এই গুণটি ঈশ্বরের পবিত্র আত্মা অথবা কার্যকরী শক্তির একটি ফল। (গালাতীয় ৫:২২, ২৩) এই কারণে, যারা যিহোবার আত্মা দ্বারা পরিচালিত হন একমাত্র তারাই বিশ্বাস দেখাতে পারেন।

২. প্রেরিত পৌল কিভাবে “বিশ্বাসের” ব্যাখ্যা দেন?

২ কিন্তু বিশ্বাস কি? প্রেরিত পৌল একে বলেন “অদৃশ্য বিষয়ের প্রমাণপ্রাপ্তি।” এই অদৃশ্য বিষয়গুলির প্রমাণ এতই দৃঢ় যে এর সাথে বিশ্বাসকে সমান গণ্য করা হয়। বিশ্বাসকে আরও বলা হয় “প্রত্যাশিত বিষয়ের নিশ্চয়জ্ঞান” কারণ যাদের এই গুণটি আছে তারা যিহোবা ঈশ্বর দ্বারা প্রতিজ্ঞাত সকল বিষয় সম্বন্ধে এত নিশ্চিত যে মনে করেন ঠিক যেন পরিপূর্ণ হয়ে গেছে।—ইব্রীয় ১১:⁠১.

বিশ্বাস এবং যিহোবার প্রতিজ্ঞাসকল

৩. অভিষিক্ত খ্রীষ্টীয় ব্যক্তিরা যদি বিশ্বাস রাখেন তাহলে তাদের কী অভিজ্ঞতা হবে?

৩ যিহোবাকে সন্তুষ্ট করার জন্য, আমাদের তাঁর প্রতিজ্ঞার উপর বিশ্বাস রাখা প্রয়োজন। প্রেরিত পিতর এটি তার অনুপ্রাণিত দ্বিতীয় পত্রে দেখিয়েছেন, যেটি প্রায় সা.শ. ৬৪ সালে লেখা হয়েছিল। তিনি দেখিয়েছিলেন যদি তার অভিষিক্ত সহ-খ্রীষ্টানেরা বিশ্বাস দেখান, তাহলে তারা ঈশ্বরের “মহামূল্য অথচ অতি মহৎ প্রতিজ্ঞার” পরিপূর্ণতা দেখতে পাবেন। পরিণামস্বরূপ, তারা “ঈশ্বরীয় স্বভাবের সহভাগী” হয়ে স্বর্গীয় রাজ্যে যীশুর সাথে সহ-দায়াদ হতে পারবেন। বিশ্বাস এবং যিহোবা ঈশ্বরের সাহায্যের দ্বারা, তারা এই জগতের কলুষিত অভিলাষ এবং অভ্যাসের দাসত্ব থেকে পলায়ন করতে পেরেছেন। (২ পিতর ১:২-৪) ভেবে দেখুন! যারা প্রকৃত বিশ্বাস দেখাবে বর্তমানে তারাও সমরূপে অমূল্য স্বাধীনতা উপভোগ করবেন।

৪. কোন্‌ গুণগুলি আমাদের বিশ্বাসে যোগান উচিৎ?

৪ যিহোবার প্রতিজ্ঞাতে বিশ্বাস রাখলে আমাদের ঈশ্বর-দত্ত স্বাধীনতার প্রতি কৃতজ্ঞতা দেখাতে আমরা উদাহরণস্বরূপ খ্রীষ্টান হতে প্রাণপণ চেষ্টা করতে প্ররোচিত হব। পিতর বলেছেন: “ইহারই জন্য তোমরা সম্পূর্ণ যত্ন প্রয়োগ করিয়া আপনাদের বিশ্বাসে সদ্‌গুণ, ও সদ্‌গুণে জ্ঞান, ও জ্ঞানে জিতেন্দ্রিয়তা, ও জিতেন্দ্রিয়তায় ধৈর্য্য, ও ধৈর্য্যে ভক্তি, ও ভক্তিতে ভ্রাতৃস্নেহ, ও ভ্রাতৃস্নেহে প্রেম যোগাও।” (২ পিতর ১:৫-৭) পিতর এইভাবে আমাদের একটি তালিকা দিয়েছেন যা স্মরণে রাখা বিচক্ষণতার পরিচয় হবে। আসুন আমরা এই গুণগুলি পরীক্ষা করে দেখি।

বিশ্বাসের গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলি

৫, ৬. সদ্‌গুণ কী এবং আমরা কিভাবে আমাদের বিশ্বাসে তা সরবরাহ করতে পারি?

৫ পিতর বলেছিলেন যে সদ্‌গুণ, জ্ঞান, জিতেন্দ্রিয়তা, ধৈর্য, ঐশিক ভক্তি, ভ্রাতৃস্নেহ এবং প্রেম আমাদের বিশ্বাসে ও একটি আর একটিতে সরবরাহ করে যেতে হবে। এই গুণগুলিকে আমাদের বিশ্বাসের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান করতে হলে আমাদের কঠোর পরিশ্রম করে যেতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, সদ্‌গুণ এমন একটি গুণ যা বিশ্বাস ছাড়া দেখান যায় না। অভিধান-রচয়িতা ডব্লিউ. ই. ভাইন উল্লেখ করেছেন যে ২ পিতর ১:৫ পদে “বিশ্বাস প্রদর্শন করার ক্ষেত্রে একটি প্রয়োজনীয় গুণ হিসাবে সদ্‌গুণকে যোগ করা হয়েছে।” সাতটি অন্যান্য গুণাবলীর প্রত্যেকটি পিতর উল্লেখ করেছেন যে এগুলি বিশ্বাসের একটি করে উপাদান।

৬ প্রথমেই, আমাদের বিশ্বাসে সদ্‌গুণ যোগান উচিৎ। সদ্‌গুণসম্পন্ন হওয়ার অর্থ ঈশ্বরের দৃষ্টিতে যা ভাল তাই করা। এখানে যে গ্রীক শব্দটিকে লেখা হয়েছে “সদ্‌গুণ,” কিছু সংস্করণ তার জন্য ব্যবহার করে “মঙ্গলভাব।” (নিউ ইন্টারন্যাশেনাল্‌ ভারশন্‌; দ্যা যিরূশালেম বাইবেল; টুডেজ্‌ ইংলিশ ভারশন্‌) সহ-মানবের প্রতি অনিষ্ট বা ক্ষতি করা থেকে সদ্‌গুণ আমাদের এড়িয়ে চলতে প্ররোচিত করবে। (গীতসংহিতা ৯৭:১০) এটি আরও অন্যদের প্রতি আত্মিক, দৈহিক এবং মানসিক উপকারার্থে মনোবলের সাথে ভাল কাজ করতে সাহায্য করে।

৭. আমাদের বিশ্বাসে এবং সদ্‌গুণে জ্ঞান কেন সরবরাহ করা উচিৎ?

৭ পিতর কেন আমাদের বিশ্বাসে ও সদ্‌গুণে জ্ঞান যোগ করতে অনুরোধ করেছেন? হ্যাঁ, আমরা যখন আমাদের বিশ্বাসের বিরুদ্ধে নতুন নতুন প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্মুখীন হই, তখন ন্যায় অন্যায় বেছে নেওয়ার জন্য আমাদের জ্ঞানের প্রয়োজন। (ইব্রীয় ৫:১৪) বাইবেল অধ্যয়ন ও ঈশ্বরের বাক্য পালনের অভিজ্ঞতা এবং দৈনন্দিন জীবনে কার্যকারী প্রজ্ঞা প্রয়োগ করে আমাদের জ্ঞানের বৃদ্ধি করি। অন্যদিকে, এটি আমাদের তাড়নার সময়ে সদ্‌গুণসম্পন্ন কাজ করে যেতে ও আমাদের বিশ্বাসকে বজায় রাখতে সাহায্য করে।—হিতোপদেশ ২:৬-৮; যাকোব ১:৫-৮.

৮. জিতেন্দ্রিয়তা কী, আর ধৈর্যের সাথে এর কী সম্পর্ক আছে?

৮ বিশ্বাসের সাথে তাড়নার সম্মুখীন হতে, আমাদের জ্ঞানে জিতেন্দ্রিয়তা যোগানোর প্রয়োজন আছে। “জিতেন্দ্রিয়তার” গ্রীক শব্দ আমাদের নিজেদের উপর নিয়ন্ত্রণের এক ক্ষমতা থাকা বোঝায়। ঈশ্বরের আত্মার এই ফলটি আমাদের চিন্তাশক্তি, বাক্য এবং আচরণকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। জিতেন্দ্রিয়তা পালনে একনিষ্ঠ থাকলে, আমরা তাতে ধৈর্যের যোগান দিই। “ধৈর্যের” গ্রীক শব্দের অর্থ মনোবলসম্পন্ন স্থিরতা, এড়ান যায় না এমন কষ্ট সম্পর্কে বিষণ্ণ বদনে হাল ছেড়ে দেওয়া নয়। যীশুর সামনে আনন্দের এক লক্ষ্য ছিল বলেই তিনি যাতনা দণ্ডের কষ্ট সহ্য করতে পেরেছিলেন। (ইব্রীয় ১২:২) ঈশ্বর-দত্ত শক্তি ধৈর্যের সাথে মিলিত হলে আমাদের বিশ্বাস বাড়িয়ে তোলে এবং তাড়নার সময়ে আনন্দিত হতে, প্রলোভন রোধ করতে এবং তাড়িত হওয়ার সময়ে আপোশ করা এড়াতে সাহায্য করে।—ফিলিপীয় ৪:১৩.

৯. (ক) ঐশিক ভক্তি কী? (খ) কেন ঐশিক ভক্তিতে ভ্রাতৃস্নেহ সরবরাহ করা উচিৎ? (গ) আমরা কিভাবে ভ্রাতৃস্নেহে প্রেম সরবরাহ করতে পারি?

৯ আমাদের ধৈর্যে ঐশিক ভক্তি—শ্রদ্ধা, উপাসনা এবং যিহোবার পরিচর্যাকে অবশ্যই যোগ দেওয়া উচিৎ। ঐশিক ভক্তি অনুশীলনের সাথে আমাদের বিশ্বাসের বৃদ্ধি হয় যখন আমরা দেখি যে যিহোবা তাঁর লোকেদের সাথে কিভাবে ব্যবহার করেন। তবুও, ঐশিকভাব প্রকাশ করতে আমাদের ভ্রাতৃস্নেহের প্রয়োজন আছে। কারণ, “কেননা যাহাকে দেখিয়াছে, আপনার সেই ভ্রাতাকে যে প্রেম না করে, সে যাঁহাকে দেখে নাই, সেই ঈশ্বরকে প্রেম করিতে পারে না।” (১ যোহন ৪:২০) অন্যান্য যিহোবার দাসেদের প্রকৃত স্নেহ দেখাতে এবং সব সময়ে তাদের উপকার করতে আমাদের হৃদয়ের সাড়া থাকা উচিৎ। (যাকোব ২:১৪-১৭) কিন্তু আমাদের ভ্রাতৃস্নেহে কেন প্রেম যোগাতে বলা হয়েছে? স্পষ্টতই পিতর বোঝাতে চাইছেন যে শুধু আমাদের ভাইয়েদেরই জন্য নয় কিন্তু সমস্ত মানবজাতির প্রতি প্রেম থাকা উচিৎ। এই প্রেম বিশেষভাবে দেখান হয় সুসমাচার প্রচারের মাধ্যমে এবং লোকেদের আত্মিকভাবে সাহায্য করে।—মথি ২৪:১৪; ২৮:১৯, ২০.

বিপরীত প্রভাব

১০. (ক) আমাদের বিশ্বাসে যদি সদ্‌গুণ, জ্ঞান, জিতেন্দ্রিয়তা, ধৈর্য, ঐশিক ভক্তি, ভ্রাতৃস্নেহ এবং প্রেম সরবরাহ করা হয়, তাহলে আমাদের আচরণ কিরূপ হবে? (খ) যখন একজন নিজেকে খ্রীষ্টান বলে দাবি করেন অথচ তার মধ্যে এই গুণগুলির অভাব থাকে তখন কী হয়?

১০ আমাদের বিশ্বাসে আমরা যদি সদ্‌গুণ, জ্ঞান, জিতেন্দ্রিয়তা, ধৈর্য, ঐশিক ভক্তি, ভ্রাতৃস্নেহ এবং প্রেমের যোগান দিই, তাহলে আমাদের চিন্তা, কথা ও আচরণ ঈশ্বর-অনুমোদিত হবে। বিপরীতে, যদি কেউ নিজেকে খ্রীষ্টান বলে দাবি করেন অথচ এই গুণগুলি প্রদর্শন করতে অকৃতকার্য হন, তিনি আত্মিকভাবে অন্ধ হয়ে যান। তিনি ঈশ্বরের কাছ থেকে পাওয়া ‘জ্যোতি থেকে নিজের চক্ষু মুদিত করে ফেলেন’ এবং ভুলে যান যে তার বিগত পাপ থেকে তিনি পরিস্কৃত হয়েছেন। (২ পিতর ১:৮-১০; ২:২০-২২) আসুন আমরা যেন ওইরকম না করি এবং ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞার প্রতি বিশ্বাস হারিয়ে না ফেলি।

১১. বিশ্বস্ত অভিষিক্ত ব্যক্তিদের কাছ থেকে আমরা ন্যায়সঙ্গতভাবে কী আশা করতে পারি?

১১ বিশ্বস্ত অভিষিক্ত খ্রীষ্টানেরা যিহোবার প্রতিজ্ঞার উপর বিশ্বাস রাখেন ও তাদের প্রতি তাঁর আহ্বান এবং মনোনয়ন সম্পন্ন করতে প্রাণপণ করেন। তাদের পথে যে কোন রকমের উছোট আসুক না কেন, আমরা তাদের কাছ থেকে ঐশিক গুণাবলী প্রদর্শন আশা করতে পারি। কারণ বিশ্বস্ত অভিষিক্তদের স্বর্গে আত্মিক জীবনে পুনরুত্থানের মাধ্যমে ‘আমাদের প্রভু ও ত্রাণকর্তা যীশু খ্রীষ্টের অনন্ত রাজ্যে প্রবেশ করিবার অধিকার প্রচুররূপে দেওয়া হয়েছে।’—২ পিতর ১:১১.

১২. আমাদের কিভাবে ২ পিতর ১:১২-১৫ পদের বাক্যগুলি বুঝতে হবে?

১২ পিতর বুঝতে পেরেছিলেন যে উনি শীঘ্রই মারা যাবেন এবং যথাসময়ে স্বর্গীয় জীবনে পুনরুত্থান পাবেন। কিন্তু যতদিন তিনি “এই আবাসে”—তার মনুষ্য দেহে—জীবিত ছিলেন, তিনি সহ-বিশ্বাসীদের বিশ্বাস গড়ে তুলতে চেষ্টা করেছিলেন এবং ঐশিক অনুমোদন পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয়তাগুলি সম্বন্ধে স্মরণ করিয়ে দিয়ে তাদের উদ্দীপিত করেছিলেন। তার মৃত্যুর পর, পিতরের আত্মিক ভাই ও বোনেরা তার বাক্য স্মরণ করে তাদের বিশ্বাস বৃদ্ধি করতে পেরেছিলেন।—২ পিতর ১:১২-১৫.

ভাববাণীমূলক বাক্যে বিশ্বাস রাখা

১৩. যীশুর আগমন সম্বন্ধে ঈশ্বর কিভাবে বিশ্বাস-দৃঢ়কারী সাক্ষ্য দিয়েছিলেন?

১৩ যীশুর “পরাক্রম ও মহা প্রতাপে” নিশ্চিত আগমন সম্বন্ধে ঈশ্বর নিজে বিশ্বাস-দৃঢ়কারী সাক্ষ্য দিয়েছেন। (মথি ২৪:৩০; ২ পিতর ১:১৬-১৮) পৌত্তলিক পুরোহিতদের বিপরীতে যারা তাদের দেবতাদের সম্বন্ধে মিথ্যা গল্প বলে, পিতর, যাকোব এবং যোহন খ্রীষ্টের রূপান্তরিত হওয়ার অপূর্ব ঘটনা নিজেদের চোখে দেখেছেন। (মথি ১৭:১-৫) তারা তাকে মহিমান্বিত হতে দেখেছেন এবং ঈশ্বরের নিজের স্বরে স্বীকার করতে শুনেছেন যে যীশুই তাঁর প্রিয় পুত্র। সেই সময়ে খ্রীষ্টকে যে স্বীকৃতি এবং দীপ্তিমান চেহারা দেওয়া হয়েছিল, তা ছিল তাঁকে সম্মান ও মহিমা প্রদান। এই ঐশিক প্রকাশের জন্যই, পিতর, সম্ভবত হর্ম্মোণের কোন শাখায়, ওই জায়গাটিকে “পবিত্র ভূমি” বলেছিলেন।—তুলনা করুন যাত্রাপুস্তক ৩:৪, ৫.

১৪. যীশুর রূপান্তর দ্বারা আমাদের বিশ্বাস কিভাবে প্রভাবিত হওয়া উচিৎ?

১৪ কিভাবে যীশুর রূপান্তর আমাদের বিশ্বাসের উপর প্রভাব ফেলতে পারে? পিতর বলেছিলেন: “আর ভাববাণীর বাক্য দৃঢ়তর হইয়া আমাদের নিকটে রহিয়াছে; তোমরা যে সেই বাণীর প্রতি মনোযোগ করিতেছ, তাহা ভালই করিতেছ; তাহা এমন প্রদীপের তুল্য, যাহা যে পর্য্যন্ত দিনের আরম্ভ না হয় এবং প্রভাতীয় তারা তোমাদের হৃদয়ে উদিত না হয়, সেই পর্য্যন্ত অন্ধকারময় স্থানে দীপ্তি দেয়” (২ পিতর ১:১৯) “ভাববাণীর বাক্য” মনে হয় এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে মশীহ সম্বন্ধে শুধু ইব্রীয় শাস্ত্রের ভাববাণীগুলি নয় কিন্তু যীশুর উক্তিও যে তিনি “পরাক্রম ও মহা প্রতাপে” আসবেন। কিভাবে রূপান্তর দ্বারা বাক্য আরও “দৃঢ়তর” হতে পেরেছিল? ওই ঘটনাটি খ্রীষ্টের মহা প্রতাপে রাজ্যের ক্ষমতায় আসার ভাববাণীমূলক বাক্যকে প্রমাণিত করেছে।

১৫. ভাববাণীর বাক্যে মনোযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে কী জড়িত আছে?

১৫ আমাদের বিশ্বাসকে দৃঢ়তর করতে হলে, আমাদের ভাববাণীমূলক বাক্যে মনোযোগ দিতে হবে। বাক্যের অধ্যয়ন, খ্রীষ্টীয় সভাগুলিতে আলোচনা এবং উপদেশগুলি পালন করা এর অন্তর্ভুক্ত। (যাকোব ১:২২-২৭) এটি এমন প্রদীপ হওয়া উচিৎ যা “অন্ধকারময় স্থানে দ্বীপ্তি দেয়,” আমাদের হৃদয় আলোকিত করে। (ইফিষীয় ১:১৮) একমাত্র তাহলেই এটি আমাদের পরিচালনা করবে যতক্ষন না “প্রভাতীয় তারা” অথবা “উজ্জ্বল প্রভাতীয় নক্ষত্র,” যীশু খ্রীষ্ট নিজেকে মহিমায় প্রকাশ করছেন। (প্রকাশিত বাক্য ২২:১৬) ওই প্রকাশের অর্থ অবিশ্বাসীদের ধ্বংস এবং যারা বিশ্বাস দেখাচ্ছে তাদের জন্য আশীর্বাদ।—২ থিষলনীকীয় ১:৬-১০.

১৬. আমরা কেন বিশ্বাস রাখতে পারি যে ঈশ্বরের বাক্যের ভাববাণীমূলক প্রতিজ্ঞাসকল পরিপূর্ণ হবেই?

১৬ ঈশ্বরের ভাববাদীরা শুধুমাত্র বিচক্ষণ মানুষ ছিলেন না যারা জ্ঞানসম্পন্ন ভবিষ্যদ্বাণী করতেন, কারণ পিতর বলেছেন: “শাস্ত্রীয় কোন ভাববাণী বক্তার নিজ ব্যাখ্যার বিষয় নয়; কারণ ভাববাণী কখনও মনুষ্যের ইচ্ছাক্রমে উপনীত হয় নাই, কিন্তু মনুষ্যেরা পবিত্র আত্মা দ্বারা চালিত হইয়া ঈশ্বর হইতে যাহা পাইয়াছেন, তাহাই বলিয়াছেন।” (২ পিতর ১:২০, ২১) উদাহরণস্বরূপ, দায়ূদ বলেছেন: “আমার দ্বারা সদাপ্রভুর আত্মা বলিয়াছেন।” (২ শমূয়েল ২৩:১, ২) এবং পৌল লিখেছেন: “প্রত্যেক শাস্ত্রলিপি ঈশ্বর নিশ্বসিত।” (২ তীমথিয় ৩:১৬) যেহেতু ঈশ্বরের ভাববাদীরা তাঁর আত্মা দ্বারা অনুপ্রাণিত, আমরা বিশ্বাস রাখতে পারি যে তাঁর বাক্যের সমস্ত প্রতিজ্ঞা পরিপূর্ণ হবেই।

ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞার উপর তাদের বিশ্বাস ছিল

১৭. কোন্‌ প্রতিজ্ঞাটি হেবলের বিশ্বাসের ভিত্তি ছিল?

১৭ প্রাক্‌-খ্রীষ্টান ‘বৃহৎ সাক্ষিমেঘের’ বিশ্বাস যিহোবার প্রতিজ্ঞার উপর ভিত্তি করেই ছিল। (ইব্রীয় ১১:১–১২:১) উদাহরণস্বরূপ, হেবলের, এক “বীজ” সম্পর্কে ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞার উপর বিশ্বাস ছিল যে “সর্পের” মস্তক চূর্ণ করবে। হেবলের পিতামাতার উপর ঈশ্বরের দণ্ডাদেশের পরিপূর্ণতার প্রমাণ ছিল। এদনের বাইরে, আদম ও তার পরিবারকে ঘর্মাক্ত মুখে আহার করতে হয়েছিল কারণ অভিশপ্ত ভূমিতে কেবল কন্টক ও শেয়ালকাঁটা উৎপন্ন হত। সম্ভবত হেবল হবাকে তার স্বামীর প্রতি বাসনা রাখতে এবং আদমকে তার উপর কর্তৃত্ব করতে লক্ষ্য করেছিল। নিশ্চয় হবা তার প্রসববেদনা সম্বন্ধে বলেছিল। আর এদন উদ্যানের প্রবেশপথ করূবদের ও এক ঘূর্ণায়মান তেজোময় খড়গ দ্বারা সুরক্ষিত ছিল। (আদিপুস্তক ৩:১৪-১৯, ২৪) এই সমস্ত “প্রমাণপ্রাপ্তি” হেবলকে আশ্বাস দিয়েছিল যে উদ্ধার আসবে প্রতিজ্ঞাত বীজ দ্বারা। বিশ্বাসের কাজ অনুসারেই, হেবল ঈশ্বরকে উৎসর্গ অর্পণ করেছিলেন যা কয়িনের উৎসর্গ থেকে শ্রেষ্ঠ বলে বিবেচিত হয়েছিল।—ইব্রীয় ১১:১, ৪.

১৮, ১৯. কোন্‌ কোন্‌ উপায়ে অব্রাহাম ও সারা বিশ্বাস দেখিয়েছিলেন?

১৮ কুলপতি অব্রাহাম, ইস্‌হাক এবং যাকোবেরও যিহোবার প্রতিজ্ঞার উপর বিশ্বাস ছিল। ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞার উপর অব্রাহাম বিশ্বাস দেখিয়েছিলেন যে ভূমণ্ডলের যাবতীয় গোষ্ঠী তার দ্বারা আশীর্বাদপ্রাপ্ত হবে এবং তার বংশকে এক দেশ দেওয়া হবে। (আদিপুস্তক ১২:১-৯; ১৫:১৮-২১) তার পুত্র ইস্‌হাক এবং পৌত্র যাকোবও তার সাথেই সেই “প্রতিজ্ঞার সহাধিকারী” ছিলেন। বিশ্বাসে অব্রাহাম “বিদেশীর ন্যায় প্রতিজ্ঞাত দেশে প্রবাসী হইলেন” এবং “ভিত্তিমূলবিশিষ্ট সেই নগরের” অপেক্ষা করেছিলেন, ঈশ্বরের স্বর্গীয় রাজত্বের, যার অধীনে তিনি পৃথিবীতে জীবনে পুনরুত্থিত হবেন। (ইব্রীয় ১১:৮-১০) আপনারও কি সেইরূপ বিশ্বাস আছে?

১৯ অব্রাহামের স্ত্রী, সারা, প্রায় ৯০ বছর বয়স্কা ছিলেন এবং তিনি যখন ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞায় বিশ্বাস দেখিয়েছিলেন, তখন সন্তান ধারণের ক্ষমতা অতিক্রম করে গিয়েছিলেন, কিন্তু বিশ্বাসের জন্য “বংশ উৎপাদনের“ শক্তি পেলেন ও ইস্‌হাককে জন্ম দিলেন। এইরূপে ১০০ বছর বয়স্ক অব্রাহাম, যার প্রজনন ক্ষমতা “মৃতকল্প” ছিল, তার দ্বারা অবশেষে “এত লোক উৎপন্ন হইল, যাহারা সংখ্যায় আকাশের তারাগণের তুল্য।”—ইব্রীয় ১১:১১, ১২; আদিপুস্তক ১৭:১৫-১৭; ১৮:১১; ২১:১-৭.

২০. যদিও কুলপতিরা ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞার সম্পূর্ণ পরিপূর্ণতা তাদের প্রতি হতে দেখেননি, তারা কী করেছিলেন?

২০ বিশ্বস্ত কুলপতিরা তাদের প্রতি ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞার পরিপূর্ণতা না দেখেই মারা গিয়েছিলেন। যদিও তারা “[প্রতিজ্ঞাকলাপের] ফলপ্রাপ্ত হন নাই, কিন্তু দূর হইতে তাহা দেখিতে পাইয়া সাদর সম্ভাষণ করিয়াছিলেন, এবং আপনারা যে পৃথিবীতে বিদেশী ও প্রবাসী, ইহা স্বীকার করিয়াছিলেন।” বহু বংশ পেরিয়ে গিয়েছিল যখন অব্রাহামের বংশধরেরা প্রতিজ্ঞাত দেশ পেলেন। কিন্তু ঈশ্বরভীরু কুলপতিরা তাদের সমস্ত জীবন ধরে, যিহোবার প্রতিজ্ঞার প্রতি বিশ্বাস দেখিয়েছিলেন। যেহেতু তারা কখনও বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেননি, শীঘ্রই তারা পৃথিবীর উপরে জীবনে পুনরুত্থিত হবেন, সেই “নগর” মশীহ রাজ্যে যা ঈশ্বর তাদের জন্য প্রস্তুত করে রেখেছেন। (ইব্রীয় ১১:১৩-১৬) একইভাবে, বিশ্বাস আমাদেরও যিহোবার প্রতি বিশ্বস্ত করে রাখবে যদিও বা আমরা তাঁর অপূর্ব প্রতিজ্ঞাগুলির সবগুলির পরিপূর্ণতা অবিলম্বে প্রত্যক্ষ নাও করি। ঠিক যেমন অব্রাহাম করেছিলেন, আমাদের বিশ্বাসও ঈশ্বরের বাধ্য হতে আমাদের প্ররোচিত করবে। আর যেমন অব্রাহাম তার বংশধরদের আত্মিক উত্তরাধিকার দান করেছিলেন, সেইরূপ আমরাও আমাদের সন্তানদের যিহোবার মূল্যবান প্রতিজ্ঞার উপর বিশ্বাস গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারি।—ইব্রীয় ১১:১৭-২১.

খ্রীষ্টীয় ব্যক্তিদের জন্য বিশ্বাস গুরুত্বপূর্ণ

২১. বর্তমানে ঈশ্বরের কাছে গ্রহণীয় হতে গেলে, আমাদের বিশ্বাস দেখানোর ক্ষেত্রে কী অন্তর্ভুক্ত করা উচিৎ?

২১ অবশ্যই, যিহোবার প্রতিজ্ঞাতে শুধু আস্থা রাখা থেকে বিশ্বাস আরও বেশি কিছু। সমগ্র মানব ইতিহাসে, তাঁর অনুমোদন উপভোগ করার জন্য ঈশ্বরের প্রতি নানা দিক দিয়ে বিশ্বাস রাখা প্রয়োজনীয় ছিল। পৌল দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়ে দিয়েছেন যে “বিনা বিশ্বাসে [যিহোবা ঈশ্বরের] প্রীতির পাত্র হওয়া কাহারও সাধ্য নয়; কারণ যে ব্যক্তি ঈশ্বরের নিকটে উপস্থিত হয়, তাহার ইহা বিশ্বাস করা আবশ্যক যে ঈশ্বর আছেন, এবং যাহারা তাঁহার অন্বেষণ করে, তিনি তাহাদের পুরস্কারদাতা।” (ইব্রীয় ১১:৬) যিহোবার কাছে আজ গ্রহণীয় হতে গেলে, এক ব্যক্তিকে যীশু খ্রীষ্ট ও তার মাধ্যমে ঈশ্বর যে মুক্তির মূল্যরূপ বলিদান সরবরাহ করেছেন তার উপর বিশ্বাস রাখতে হবে। (রোমীয় ৫:৮; গালাতীয় ২:১৫, ১৬) এটি যীশু নিজে যেমন বলেছেন: “ঈশ্বর জগৎকে এমন প্রেম করিলেন যে, আপনার একজাত পুত্রকে দান করিলেন, যেন, যে কেহ তাঁহাতে বিশ্বাস করে, সে বিনষ্ট না হয়, কিন্তু অনন্ত জীবন পায়। যে কেহ পুত্রে বিশ্বাস করে, সে অনন্ত জীবন পাইয়াছে; কিন্তু যে কেহ পুত্রকে অমান্য করে, সে জীবন দেখিতে পাইবে না, কিন্তু ঈশ্বরের ক্রোধ তাহার উপর অবস্থিতি করে।”—যোহন ৩:১৬, ৩৬.

২২. মশীহ রাজ্য কোন্‌ প্রতিজ্ঞার পরিপূর্ণতা আনবে?

২২ খ্রীষ্টানেরা যে রাজ্যের প্রার্থনা করেন, সেই রাজ্য সম্পর্কে ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞার পরিপূর্ণতায় যীশু এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। (যিশাইয় ৯:৬, ৭; দানিয়েল ৭:১৩, ১৪; মথি ৬:৯, ১০) পিতর যেমন দেখিয়েছেন, যে যীশুর রূপান্তরিত হওয়াই রাজ্যের ক্ষমতায় ও মহা প্রতাপে তাঁর আগমন সম্বন্ধে ভাববাণীর বাক্যের সাক্ষ্য দিয়েছিল। মশীহ রাজ্য ঈশ্বরের আরেকটি প্রতিজ্ঞার পরিপূর্ণতা আনবে, কারণ পিতর লিখেছিলেন: “তাঁহার প্রতিজ্ঞা অনুসারে আমরা এমন নূতন আকাশমণ্ডলের ও নূতন পৃথিবীর অপেক্ষায় আছি, যাহার মধ্যে ধার্ম্মিকতা বসতি করে।” (২ পিতর ৩:১৩) একই ধরনের এক ভবিষ্যদ্বাণী পরিপূর্ণ হয়েছিল যখন বাবিলনে যিহূদী নির্বাসিতেরা গভর্নর সরুব্বাবিল ও মহাযাজক যিহোশূয়ের নেতৃত্বে ৫৩৭ সা.শ.পূ.তে নিজেদের দেশে পুনঃস্থাপিত হয়েছিল। (যিশাইয় ৬৫:১৭) কিন্তু পিতর এক ভবিষ্যৎ সময়ের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়েছিলেন যখন “নূতন আকাশ”—স্বর্গীয় মশীহ রাজ্য—এক ”নূতন পৃথিবীর” উপর রাজত্ব করবে, এক ধার্মিক মানব সমাজ যা এই পৃথিবীতে বাস করবে।—তুলনা করুন গীতসংহিতা ৯৬:⁠১.

২৩. সদ্‌গুণ সম্বন্ধে কোন্‌ প্রশ্নগুলি আমরা এরপরে আলোচনা করব?

২৩ যিহোবার বিশ্বস্ত দাস এবং তাঁর প্রিয় পুত্র, যীশু খ্রীষ্টের অনুসরণকারী হিসাবে, আমরা ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞাত রাজ্যের আকাঙ্ক্ষা করি। আমরা জানি যে তা কাছেই, আর আমরা বিশ্বাস রাখি যে যিহোবা তাঁর সমস্ত মূল্যবান প্রতিজ্ঞাসকল পরিপূর্ণ করবেন। যিহোবার কাছে গ্রহণীয় হতে গেলে, আমাদের বিশ্বাসকে দৃঢ় করতে তাতে সদ্‌গুণ, জ্ঞান, জিতেন্দ্রিয়তা, ধৈর্য, ঐশিক ভক্তি, ভ্রাতৃস্নেহ এবং প্রেম সরবরাহ করতে হবে।a এইখানে, কেউ জিজ্ঞাসা করতে পারে, আমরা কিভাবে সদ্‌গুণ দেখাতে পারি? আর কিভাবে আমরা সদ্‌গুণসম্পন্ন হলে আমাদের ও অন্যদেরও উপকার হবে, বিশেষকরে আমাদের খ্রীষ্টীয় সাথীদের, যারা ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞাতে বিশ্বাস দেখিয়ে সাড়া দিয়েছেন? (w93 7/1)

[পাদটীকাগুলো]

a বিশ্বাস এবং সদ্‌গুণ নিয়ে প্রহরীদুর্গের এই সংখ্যায় আলোচনা করা হয়েছে। জ্ঞান, জিতেন্দ্রিয়তা, ধৈর্য, ঐশিক ভক্তি, ভ্রাতৃস্নেহ এবং প্রেম সম্বন্ধে ভবিষ্যতের সংখ্যাগুলিতে আরও ভালভাবে বিবেচনা করা হবে।

আপনার উত্তরগুলি কী?

▫ “বিশ্বাসকে” কিভাবে বর্ণনা করা যায়?

▫ দ্বিতীয় পিতর ১:৫-৭ অনুযায়ী, কোন্‌ গুণগুলি আমাদের বিশ্বাসে সরবরাহ করতে হবে?

▫ যীশুর রূপান্তর আমাদের বিশ্বাসের উপর কী প্রভাব ফেলা উচিৎ?

▫ হেবল, অব্রাহাম, সারা এবং প্রাথমিক সময়ের আরও অন্যান্যেরা তাদের বিশ্বাসের কী উদাহরণ দেখিয়েছিলেন?

[Pictures on page 23]

আপনি কি জানেন যীশুর রূপান্তর কিভাবে একজন ব্যক্তির বিশ্বাসের উপর প্রভাব ফেলতে পারে?

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার