ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৩ ৯/১ পৃষ্ঠা ২১-২৬
  • ধৈর্য—খ্রীষ্টানদের জন্য অত্যাবশ্যক

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • ধৈর্য—খ্রীষ্টানদের জন্য অত্যাবশ্যক
  • ১৯৯৩ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • ধৈর্য—তার অর্থ
  • ধৈর্য—কেন?
  • শেষ পর্যন্ত ধৈর্য রাখা—কিভাবে?
  • “ধৈর্য্যগুণকে তোমাদের জীবনে পুরোপুরিভাবে কাজ করতে দাও”
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০১৬
  • ধৈর্য সহকারে যিহোবার দিনের জন্য অপেক্ষা করা
    ২০০৭ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • যিহোবার মতো ধৈর্য ধরুন
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য সম্বন্ধে ঘোষণা করে (অধ্যয়ন)—২০২১
  • ধৈর্য পুরস্কৃত হয়
    ২০০৪ আমাদের রাজ্যের পরিচর্যা
আরও দেখুন
১৯৯৩ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৩ ৯/১ পৃষ্ঠা ২১-২৬

ধৈর্য—খ্রীষ্টানদের জন্য অত্যাবশ্যক

“আপনাদের বিশ্বাসে . . . ধৈর্য্য . . . যোগাও।”—২ পিতর ১:৫, ৬.

১, ২. কেন আমাদের সকলকে শেষ পর্যন্ত ধৈর্য রাখতে হবে?

একজন ভ্রমণকারী অধ্যক্ষ এবং তার স্ত্রী ৯০-বছর বয়স্ক একজন সহ-খ্রীষ্টানের সাথে দেখা করতে এসেছিলেন। তিনি বহু দশক ধরে পূর্ণ-সময় পরিচর্যা করে এসেছেন। কথা বলতে বলতে, পূর্বেকার কিছু সুযোগ সম্বন্ধে বয়স্ক ভাইটির মনে পড়ে যায়। “কিন্তু,” দুঃখে কেঁদে ফেলে তিনি বলেছিলেন, “এখন আর আমি কোন কিছুই করতে পারি না।” ভ্রমণকারী অধ্যক্ষটি তার বাইবেল খুলে মথি ২৪:১৩ (NW) পদ পড়েছিলেন, যেখানে যীশুর কথা উদ্ধৃতি করা আছে: “কিন্তু যে কেহ শেষ পর্য্যন্ত ধৈর্য্য রাখিবে, সেই পরিত্রাণ পাইবে।” তারপর সেই অধ্যক্ষ তার প্রিয় ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন: “আমরা যত বেশি অথবা যত কমই করতে সক্ষম হই না কেন, আমাদের সকলের সর্বশেষ কার্যভার হল, শেষ পর্যন্ত ধৈর্য রাখা।”

২ হ্যাঁ, খ্রীষ্টান হিসাবে আমাদের সকলকে, এই বিধি-ব্যবস্থার শেষ অথবা আমাদের জীবনের শেষ পর্যন্ত ধৈর্য রাখতে হবে। পরিত্রাণের জন্য যিহোবার অনুমোদন পাওয়ার আর কোন উপায় নেই। জীবনের জন্য একটি দৌড়ে আমরা অংশ নিয়েছি, আর তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের ‘ধৈর্যপূর্বক দৌড়াতে’ হবে। (ইব্রীয় ১২:১) এই গুণটির গুরুত্ব সম্বন্ধে প্রেরিত পিতর জোর দিয়েছিলেন যখন তিনি সহ খ্রীষ্টানদের উৎসাহিত করেছিলেন: “আপনাদের বিশ্বাসে . . . ধৈর্য্য . . . যোগাও।” (২  পিতর ১:৫, ৬) কিন্তু, ধৈর্য আসলে কী?

ধৈর্য—তার অর্থ

৩, ৪. ধৈর্য রাখার অর্থ কী?

৩ ধৈর্য রাখার অর্থ কী? “ধৈর্য” কথাটির গ্রীক ক্রিয়াপদের (হাই·পো·মি’নো) আক্ষরিক অর্থ হল “কোনকিছুর নিচে থাকা বা অবস্থান করা।” বাইবেলে ১৭ বার এই সম্বন্ধে উল্লেখ আছে। অভিধান-লেখক ডব্লু. বয়ার, এফ্‌. ডব্লু. গিংরিচ এবং এফ্‌. ড্যাঙ্কারের অভিমতে, এর অর্থ “পালিয়ে না গিয়ে স্থির থাকা . . . , নিজের অধিকারে দৃঢ় থাকা, সমর্পন না করা।” “ধৈর্যের” গ্রীক বিশেষ্য (হাই·পো·মো·নি’) ৩০ বারেরও বেশি পাওয়া যায়। এই সম্বন্ধে, উইলিয়াম বার্ক্‌লের এ নিউ টেস্টামেন্ট ওয়ার্ডবুক জানায়: “যে মনোবলের সাহায্যে সহ্যশক্তি পাওয়া যায়, শুধুমাত্র হতাশ হয়ে নয়, কিন্তু তীব্র আশার সাথে। . . . যে গুণের সাহায্যে মানুষ ঝড়ঝঞ্ঝার সম্মুখীন হয়েও নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে থাকতে পারে। যে গুণের সাহায্যে সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষাও গৌরবে পরিণত হয়, কারণ কষ্ট উপেক্ষা করে তখন উদ্দেশ্যপ্রাপ্তির দিকে নজর রাখা হয়।”

৪ সুতরাং, বাধা অথবা বিপত্তির সম্মুখীন হলেও, ধৈর্য আমাদের দৃঢ় থাকতে, আশা রাখতে সাহায্য করে। (রোমীয় ৫:৩-৫) ধৈর্য, বর্তমান দুঃখকষ্ট উপেক্ষা করে শেষ ফলের প্রতি আশা রাখে—যা হল স্বর্গে অথবা পৃথিবীতে অনন্ত জীবনের পুরস্কার বা উপহার।—যাকোব ১:১২.

ধৈর্য—কেন?

৫. (ক) কেন সকল খ্রীষ্টানের জন্য “ধৈর্য্যের প্রয়োজন” রয়েছে? (খ) আমাদের পরীক্ষাগুলিকে কোন্‌ দুটি বিভাগে ভাগ করা যায়?

৫ খ্রীষ্টান হিসাবে আমাদের সকলের “ধৈর্য্যের প্রয়োজন” আছে। (ইব্রীয় ১০:৩৬) কেন? প্রধানত কারণ আমরা “নানাবিধ পরীক্ষায়” পড়ি। এখানে, যাকোব ১:২ পদের গ্রীক ভাষা থেকে বোঝা যায় যে অপ্রত্যাশিত অথবা অবাঞ্ছিত পরীক্ষার উল্লেখ করা হয়েছে, যেমন যখন কোন ডাকাতের সামনে আমরা পড়ি। (তুলনা করুন লূক ১০:৩০.) আমরা যে সব পরীক্ষার সম্মুখীন হই, তা দুটি ভাগে বিভক্ত করা যায়: জন্মসূত্রে লাভ করা পাপের জন্য যেগুলি সব মানুষের সামনে আসে, আর যেগুলি আমাদের ঈশ্বরীয় ভক্তির জন্য উত্থাপিত হয়। (১ করিন্থীয় ১০:১৩; ২ তীমথিয় ৩:১২) এই পরীক্ষাগুলির মধ্যে কয়েকটি কী?

৬. কষ্টকর একটি রোগে আক্রান্ত হয়ে একজন বিশ্বস্ত সাক্ষী কিভাবে ধৈর্য রেখেছিলেন?

৬ গুরুতর রোগব্যাধি। তীমথিয়ের মত, কিছু খ্রীষ্টানকে “বার বার অসুখ”-এ ভুগতে হবে। (১ তীমথিয় ৫:২৩) বিশেষত যখন কোন দীর্ঘস্থায়ী, কষ্টকর রোগ হয়, তখন ঈশ্বরের সাহায্যে আমাদের ধৈর্য রাখতে হবে, দৃঢ় থাকতে হবে এবং আমাদের খ্রীষ্টীয় আশা হারালে চলবে না। পঞ্চাশের কিছু বেশি বয়স্ক একজন সাক্ষীর কথা বিবেচনা করুন, যিনি বহুদিন ধরে ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কঠিন সংগ্রাম করছিলেন। দুটি অপারেশনের মধ্যেও তিনি দৃঢ় ছিলেন যে তিনি রক্ত গ্রহণ করবেন না। (প্রেরিত ১৫:২৮, ২৯) কিন্তু সেই টিউমার আবার তার পেটের মধ্যে, তার শিরদাঁড়ার কাছে বাড়তে থাকে। এই জন্য, তিনি অকল্পনীয় যন্ত্রণায় ভুগতেন, কোন ওষুধেই যার উপশম হত না। তবুও, তিনি তখনকার ব্যথা উপেক্ষা করে, নতুন জগতে জীবনের পুরস্কার পাওয়ার আশা রাখতেন। তার জ্বলন্ত আশা তিনি ডাক্তার, নার্স এবং যারা তাকে দেখতে আসত, তাদের জানাতেন। তিনি সর্বশেষ পর্যন্ত—তার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ধৈর্য রেখেছিলেন। স্বাস্থ্য সম্বন্ধে আপনার সমস্যা, এই প্রিয় ভাইয়ের মত মারাত্মক অথবা কষ্টকর না হলেও, ধৈর্যের ক্ষেত্রে তা আপনার সামনে খুব বড় পরীক্ষা নিয়ে আসতে পারে।

৭. আমাদের কিছু আত্মিক ভাই-বোনেদের জন্য ধৈর্য রাখার সাথে কী ধরনের দুঃখকষ্ট জড়িত থাকে?

৭ মানসিক দুঃখকষ্ট। কখনও কখনও যিহোবার কিছু লোকেরা “মনে ব্যথা” পায় যা “আত্মা ভগ্‌ন” করে। (হিতোপদেশ ১৫:১৩) এই “বিষম সময়ে” প্রচণ্ড ডিপ্রেশান বা অবসাধবোধে ভোগা খুবই সাধারণ। (২ তীমথিয় ৩:১) ডিসেম্বর ৫, ১৯৯২ তারিখের সায়েন্স্‌ নিউজ্‌ লিখেছিল: “উনিশ্‌শো পনেরো সালের পর থেকে যথাক্রমে প্রত্যেকটি বংশে, প্রচণ্ড এমনকি দুঃসহ অবসাধবোধের হার ক্রমশ বেড়ে চলেছে।” এই ধরনের অবসাধবোধের অনেক কারণ আছে, যা শরীরসংক্রান্ত কারণ থেকে দুঃখজনক অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতা পর্যন্ত হতে পারে। কিছু খ্রীষ্টানদের জন্য, মানসিক কষ্টের সামনে ধৈর্য রাখা হল প্রতিদিন একটি সংগ্রাম। তবুও, তারা হাল ছেড়ে দেন না। এত দুঃখ সত্ত্বেও, তারা যিহোবার প্রতি বিশ্বস্ত থাকেন।—তুলনা করুন গীতসংহিতা ১২৬:৫, ৬.

৮. আমরা আর্থিকভাবে কোন্‌ পরীক্ষার সম্মুখীন হতে পারি?

৮ আমাদের বিভিন্ন পরীক্ষার অন্যতম হতে পারে গুরুতর আর্থিক সংকট। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সিতে যখন একজন ভাই হঠাৎ তার চাকরি হারান, তখন স্বভাবতই তিনি তার পরিবারের দেখাশোনা করা এবং গৃহহীন হয়ে পড়া সম্বন্ধে চিন্তিত ছিলেন। যাইহোক, তিনি রাজ্যের আশা হারিয়ে ফেলেননি। আরেকটি কাজ খোঁজার সময়ে, সেই সুযোগে তিনি সহায়ক অগ্রগামী হিসাবে কাজ করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত, তিনি আরেকটি কাজ খুঁজে পেয়েছিলেন।—মথি ৬:২৫-৩৪.

৯. (ক) কোন প্রিয়জনের মৃত্যু হলে, কিভাবে ধৈর্যের প্রয়োজন হতে পারে? (খ) কোন্‌ শাস্ত্রগুলি দেখায় যে দুঃখ হলে অশ্রুপাত করা ভুল নয়?

৯ আপনার কোন প্রিয়জনের যদি মৃত্যু হয়, তাহলে অন্য সবাই স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় ফিরে আসার পরও অনেক দিন পর্যন্ত আপনাকে ধৈর্য রাখতে হতে পারে। এমনকি আপনি অনুভব করতে পারেন যে বছরের যে সময় সেই প্রিয়জন মারা গিয়েছিলেন, প্রত্যেক বছর ঠিক সেই সময়টিই আপনার পক্ষে বেশি কষ্টকর হয়ে ওঠে। এই ধরনের ক্ষতি সহ্য করে নেওয়ার অর্থ এই নয় যে অশ্রুপাত করা ভুল। আমরা যাকে ভালবাসি তার মৃত্যুতে শোকার্ত হওয়া স্বাভাবিক এবং এখান থেকে এমন ইঙ্গিত পাওয়া যায় না যে আমরা পুনরুত্থানের আশায় বিশ্বাস করি না। (আদিপুস্তক ২৩:২; তুলনা করুন ইব্রীয় ১১:১৯.) লাসার যখন মারা গিয়েছিল, যীশু তখন ‘কেঁদেছিলেন,’ যদিও তিনি দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে মার্থাকে বলেছিলেন: “তোমার ভাই আবার উঠিবে।” আর লাসার উঠে এসেছিল!—যোহন ১১:২৩, ৩২-৩৫, ৪১-৪৪.

১০. যিহোবার সাক্ষীদের কেন বিশেষভাবে ধৈর্য রাখা প্রয়োজন?

১০ সব লোকেই যে পরীক্ষার সম্মুখীন হয়, তা ছাড়াও যিহোবার লোকেরা অন্য কিছু পরীক্ষায় পড়ে যে জন্য ধৈর্যের প্রয়োজন। “আমার নাম প্রযুক্ত সমুদয় জাতি তোমাদিগকে দ্বেষ করিবে,” যীশু সাবধান করে দিয়েছিলেন। (মথি ২৪:৯) তিনি আরও বলেছিলেন: “লোকে যখন আমাকে তাড়না করিয়াছে, তখন তোমাদিগকেও তাড়না করিবে।” (যোহন ১৫:২০) কেন এত বিদ্বেষ আর নির্যাতন? কারণ, ঈশ্বরের সেবক হিসাবে আমরা পৃথিবীর যেখানেই থাকি না কেন, যিহোবার প্রতি আমাদের বিশ্বস্ততা শয়তান ভাঙতে চেষ্টা করছে। (১ পিতর ৫:৮; তুলনা করুন প্রকাশিত বাক্য ১২:১৭.) এই উদ্দেশ্য নিয়েই শয়তান প্রায়ই নির্যাতনের আগুন প্রবল করে তুলেছে, আমাদের ধৈর্যকে কঠোরভাবে পরীক্ষা করেছে।

১১, ১২. (ক) যিহোবার সাক্ষীরা এবং তাদের ছেলেমেয়েরা, ১৯৩০ এবং ১৯৪০ দশকের প্রথম দিকে ধৈর্য সম্বন্ধে কোন্‌ পরীক্ষার সম্মুখীন হয়েছিলেন? (খ) যিহোবার সাক্ষীরা কেন জাতীয় প্রতীকচিহ্নকে অভিবাদন করেন না?

১১ উদাহরণস্বরূপ, ১৯৩০ এবং ১৯৪০ দশকের প্রথম দিকে, যুক্তরাষ্ট্র এবং ক্যানাডাতে যিহোবার সাক্ষীরা এবং তাদের ছেলেমেয়েরা নির্যাতনের শিকার হয়েছিল কারণ জাতিয় প্রতীকচিহ্নকে অভিবাদন করতে তাদের বিবেক সম্মতি দেয়নি। যে দেশে তারা বাস করে, সেই দেশের প্রতীকচিহ্নকে তারা সম্মান দেখায়, কিন্তু যাত্রাপুস্তক ২০:৪, ৫ পদে দেওয়া ঈশ্বরের নির্দেশও তারা মেনে চলে: “তুমি আপনার নিমিত্তে খোদিত প্রতিমা নির্ম্মাণ করিও না; উপরিস্থ স্বর্গে, নীচস্থ পৃথিবীতে ও পৃথিবীর নিচস্থ জলমধ্যে যাহা যাহা আছে, তাহাদের কোন মূর্ত্তি নির্ম্মাণ করিও না; তুমি তাহাদের কাছে প্রণিপাত করিও না, এবং তাহাদের সেবা করিও না; কেননা তোমার ঈশ্বর সদাপ্রভু আমি স্বগৌরব রক্ষণে উদ্‌যোগী ঈশ্বর।” একমাত্র যিহোবার উপাসনা করার জন্য, যখন কিছু ছেলেমেয়েদের স্কুল থেকে বহিষ্কার করা দেওয়া হয়, তখন তাদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য সাক্ষীরা কিংডম স্কুল গড়ে তোলে। এই ছেলেমেয়েরা তাদের পাব্‌লিক স্কুলে ফিরে গিয়েছিল যখন যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট তাদের ধর্মীয় বিশ্বাসকে স্বীকার করে নেয়, যেমন উদারপন্থী দেশগুলিতে আজ করা হয়। কিন্তু, এই কিশোর-কিশোরীদের সাহসিকতার সাথে ধৈর্য প্রদর্শন খুবই ভাল উদাহরণ, বিশেষত বাইবেলের নীতি অনুযায়ী চলার জন্য বর্তমানে যে খ্রীষ্টীয় যুবক-যুবতীরা ঠাট্টাতামাশার সম্মুখীন হয়, তাদের জন্য।—১ যোহন ৫:২১.

১২ সব মানুষে যে পরীক্ষায় পড়ে এবং আমাদের খ্রীষ্টীয় বিশ্বাসের জন্য আমরা যে পরীক্ষায় পড়ি—এই দুই ধরনের পরীক্ষার জন্যই ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে আমাদের ধৈর্যের প্রয়োজন। কিন্তু কিভাবে আমরা ধৈর্য রাখতে পারি?

শেষ পর্যন্ত ধৈর্য রাখা—কিভাবে?

১৩. যিহোবা কিভাবে ধৈর্য রাখতে সাহায্য করেন?

১৩ যারা যিহোবার উপাসনা করে না তাদের তুলনায় ঈশ্বরের লোকেদের একটি বিশেষ সুবিধা আছে। সাহায্যের জন্য, আমরা “ধৈর্য্যের ও সান্ত্বনার ঈশ্বরের” কাছে যেতে পারি। (রোমীয় ১৫:৫) কিন্তু, যিহোবা কিভাবে আমাদের মধ্যে ধৈর্যের সৃষ্টি করেন? একটি উপায় হল, তাঁর বাক্য, বাইবেলে ধৈর্যসম্পন্ন ব্যক্তিদের উদাহরণ লিখে রেখে। (রোমীয় ১৫:৪) সেইগুলি সম্বন্ধে চিন্তা করার সময়ে আমরা শুধুমাত্র ধৈর্য রাখতে উৎসাহ পাই তা নয়, কিন্তু কিভাবে ধৈর্য রাখতে হয় সেই সম্বন্ধেও অনেক কিছু জানতে পারি। দুটি উল্লেখযোগ্য উদাহরণের কথা বিবেচনা করুন—ইয়োবের নির্ভীক ধৈর্য এবং যীশু খ্রীষ্টের নিঁখুত ধৈর্যের কথা।—ইব্রীয় ১২:১-৩; যাকোব ৫:১১.

১৪, ১৫. (ক) ইয়োব কী কী পরীক্ষা সহ্য করেছিলেন? (খ) সেই সমস্ত পরীক্ষার মধ্যে, ইয়োব কিভাবে ধৈর্য রাখতে পেরেছিলেন?

১৪ কোন্‌ পরিস্থিতির জন্য ইয়োবের ধৈর্য পরীক্ষিত হয়েছিল? তার অধিকাংশ সম্পত্তি হারিয়ে তিনি আর্থিক সংকটে পড়েছিলেন। (ইয়োব ১:১৪-১৭; তুলনা করুন ইয়োব ১:৩.) একটি ঝড়ে, তার দশ জন সন্তানসন্ততীকেই হারানোর বেদনা ইয়োব অনুভব করেছিলেন। (ইয়োব ১:১৮-২১) তিনি একটি গুরুতর, খুবই কষ্টকর রোগে ভুগছিলেন। (ইয়োব ২:৭, ৮; ৭:৪, ৫) ঈশ্বরের পথ থেকে সরে যেতে, তার নিজের স্ত্রী তাকে চাপ দিয়েছিল। (ইয়োব ২:৯) নিকট বন্ধুরা তার সম্বন্ধে দুঃখদায়ক, নির্মম, অসত্য কথা বলেছিল। (তুলনা করুন ইয়োব ১৬:১-৩ এবং ইয়োব ৪২:৭.) এত সব কিছুর মধ্যেও কিন্তু, ইয়োব দৃঢ় থেকেছিলেন, বিশ্বস্ততা বজায় রেখেছিলেন। (ইয়োব ২৭:৫) তিনি যে সমস্ত বিষয় সহ্য করেছিলেন তার সঙ্গে বর্তমান দিনে যিহোবার লোকেরা যে সব পরীক্ষার সম্মুখীন হয়, তার মিল আছে।

১৫ এই সমস্ত পরীক্ষা ইয়োব কিভাবে সহ্য করেছিলেন? বিশেষভাবে যে বিষয়টি ইয়োবকে ধৈর্য রাখতে সাহায্য করেছিল তা হল আশা। “বৃক্ষেরও আশা আছে,” তিনি বলেছিলেন। “ছিন্ন হইলে তাহা পুনর্ব্বার পল্লবিত হইবে, তাহার কোমল শাখার অভাব হইবে না।” (ইয়োব ১৪:৭) ইয়োবের কী আশা ছিল? কয়েকটি পদ পরে, যেমন উল্লেখ করা হয়েছে, তিনি বলেছিলেন: “মনুষ্য মরিয়া কি পুনর্জীবিত হইবে? . . . তুমি আহ্বান করিবে, ও আমি উত্তর দিব। তুমি আপন হস্তকৃতের প্রতি মমতা [অথবা করুণা] করিবে।” (ইয়োব ১৪:১৪, ১৫) হ্যাঁ, ইয়োব তার বর্তমান দুঃখকষ্ট উপেক্ষা করে ভবিষ্যতের প্রতি দৃষ্টি রেখেছিলেন। তিনি জানতেন যে তার পরীক্ষাসকল চিরকাল থাকবে না। খুব বেশি হলে, তাকে মৃত্যু পর্যন্ত ধৈর্য রাখতে হবে। তার দৃঢ় আশা ছিল যে যিহোবা যিনি মৃত ব্যক্তিদের প্রেমপূর্ণভাবে পুনরুত্থান করতে ইচ্ছুক, তিনি তাকে আবার জীবন ফিরিয়ে দেবেন।—প্রেরিত ২৪:১৫.

১৬. (ক) ইয়োবের উদাহরণ থেকে ধৈর্য সম্বন্ধে আমরা কী শিখতে পারি? (খ) রাজ্যের আশা আমাদের কাছে কতটা সত্য হওয়া উচিৎ এবং কেন?

১৬ ইয়োবের ধৈর্য প্রদর্শন থেকে আমরা কী শিখতে পারি? শেষ পর্যন্ত ধৈর্য রাখতে হলে আমাদের কখনোই আশা হারানো উচিৎ নয়। আরও মনে রাখবেন যে রাজ্যের আশার নিশ্চয়তার অর্থ হল যে আমরা যে কোন দুঃখকষ্টের সম্মুখীন হই না কেন, তা তুলনামূলকভাবে “ক্ষণকালস্থায়ী।” (২ করিন্থীয় ৪:১৬-১৮) আমাদের মূল্যবান আশা, এমন একটি সময় সম্বন্ধে যিহোবার প্রতিজ্ঞার উপর দৃঢ়রূপে ভিত্তি করে গঠিত, যখন “তিনি [আমাদের] সমস্ত নেত্রজল মুছাইয়া দিবেন; এবং মৃত্যু আর হইবে না; শোক বা আর্ত্তনাদ বা ব্যথাও আর হইবে না।” (প্রকাশিত বাক্য ২১:৩, ৪) সেই আশা, যা “লজ্জাজনক” নয়, যেন আমাদের চিন্তাধারাকে প্রভাবিত করে। (রোমীয় ৫:৪, ৫; ১ থিষলনীকীয় ৫:৮) সেই আশা আমাদের কাছে বাস্তব হওয়া উচিৎ, এতই বাস্তব যে আমাদের বিশ্বাসের চোখে আমরা যেন নতুন জগতে নিজেদের কল্পনা করতে পারি—রোগব্যাধি এবং অবসাধবোধের বিরুদ্ধে আর যুদ্ধ না করে, সুস্থ সবল শরীর এবং মন নিয়ে রোজ সকালে ঘুম থেকে ওঠা; আর্থিক চাপ সম্বন্ধে আর দুশ্চিন্তা না করে নিরাপত্তায় বাস করা; মৃত প্রিয়জনদের জন্য আর শোক না করে, তাদের পুনরুত্থানে আনন্দ পাওয়া। (ইব্রীয় ১১:১) এইরকম আশা না থাকলে, বর্তমানের বিভিন্ন পরীক্ষায় হয়ত আমরা এতই জর্জরিত হয়ে পড়তাম যে আমরা হতাশ হয়ে যেতাম। আমাদের আশা নিয়ে লড়াই করে যাওয়ায়, শেষ পর্যন্ত ধৈর্য রাখার জন্য কি অপূর্ব প্রেরণা আমরা পাই!

১৭. (ক) যীশু কী কী পরীক্ষা সহ্য করেছিলেন? (খ) যীশু যে প্রচণ্ড কষ্ট সহ্য করেছিলেন, তা কোন্‌ ঘটনা থেকে বোঝা যায়? (ফুটনোট দেখুন।)

১৭ বাইবেল আমাদের উৎসাহ দেয় যীশুর প্রতি “দৃষ্টি” রাখতে এবং ‘তাঁকেই আলোচনা’ করতে। তিনি কী কী পরীক্ষা সহ্য করেছিলেন? এই পরীক্ষার কয়েকটি এসেছিল অন্যদের পাপ এবং অসিদ্ধতার জন্য। যীশু শুধুমাত্র “পাপিগণের . . . প্রতিবাদ” নয়, কিন্তু তার শিষ্যদের মধ্যে যে সমস্যা দেখা দিত, যার অন্তর্ভুক্ত কে সবচেয়ে মহান এই নিয়ে বার বার বচসা, তাও তিনি ধৈর্যের সাথে সহ্য করেছিলেন। তার থেকেও বড় কথা, বিশ্বাসের একটি অভাবনীয় পরীক্ষায় তিনি ধৈর্য রেখেছিলেন। তিনি “ক্রুশ সহ্য” করেছিলেন। (ইব্রীয় ১২:১-৩; লূক ৯:৪৬; ২২:২৪) যাতনাদণ্ডে বিদ্ধ হওয়ার মানসিক ও শারীরিক যন্ত্রণা এবং একজন ঈশ্বরনিন্দক হিসাবে মৃত্যুদণ্ড ভোগ করার লাঞ্ছনা সম্বন্ধে কল্পনা করাও কঠিন।a

১৮. প্রেরিত পৌলের মতানুযায়ী, কোন্‌ দুটি বিষয় যীশুকে শক্তি দিয়েছিল?

১৮ শেষ পর্যন্ত ধৈর্য রাখতে কী যীশুকে সাহায্য করেছিল? প্রেরিত পৌল দুটি বিষয় উল্লেখ করেছিলেন যা যীশুকে শক্তি দিয়েছিল: ‘প্রার্থনা ও বিনতি’ এবং তাঁর ‘সম্মুখস্থ আনন্দ।’ ঈশ্বরের সিদ্ধ পুত্র যীশু, সাহায্য চাইতে লজ্জিত ছিলেন না। “প্রবল আর্ত্তনাদ ও অশ্রুপাত সহকারে” তিনি প্রার্থনা করতেন। (ইব্রীয় ৫:৭; ১২:২) বিশেষত যখন তার সামনে সবচেয়ে বড় পরীক্ষা এসেছিল তখন তিনি বার বার একাগ্রভাবে প্রার্থনা করবার প্রয়োজন বোধ করেছিলেন। (লূক ২২:৩৯-৪৪) যীশুর আবেদনের উত্তরে, যিহোবা সেই পরীক্ষা সরিয়ে দেননি, কিন্তু যীশু যাতে তা সহ্য করতে পারেন সেই জন্য তাঁকে শক্তি দিয়েছিলেন। শুধুমাত্র যাতনাদণ্ড নয়, আরও কিছুর প্রত্যাশা রাখার জন্যেও যীশু ধৈর্য রাখতে পেরেছিলেন—যিহোবার নাম পবিত্রীকৃত করতে অংশ নিয়ে এবং মৃত্যু থেকে মানবজাতিকে উদ্ধার করে যে আনন্দ তিনি পাবেন, সেইজন্য।—মথি ৬:৯; ২০:২৮.

১৯, ২০. ধৈর্যের সাথে কী জড়িত আছে, সেই সম্বন্ধে যীশুর উদাহরণ কিভাবে আমাদের বাস্তববাদী দৃষ্টিভঙ্গি রাখতে সাহায্য করে?

১৯ ধৈর্য রাখার সাথে কী জড়িত আছে, সেই সম্বন্ধে বাস্তববাদী দৃষ্টিভঙ্গি রাখতে, যীশুর উদাহরণ থেকে আমরা অনেক কিছু শিখতে পারি। ধৈর্য রাখার পথ সহজ নয়। কোন বিশেষ পরীক্ষায় ধৈর্য রাখা যদি আমরা কঠিন মনে করি, তাহলে এই ভেবে আমরা সান্ত্বনা পেতে পারি যে যীশুর পক্ষেও তা সহজ ছিল না। শেষ পর্যন্ত ধৈর্য রাখতে হলে, শক্তির জন্য বার বার আমাদের প্রার্থনা করতে হবে। অনেকসময়, পরীক্ষায় পড়ে আমরা প্রার্থনা করার অযোগ্য বলে নিজেদের মনে করতে পারি। কিন্তু আমাদের হৃদয় উন্মুক্ত করে দিতে যিহোবা আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন, কারণ ‘তিনি আমাদের জন্য চিন্তা করেন।’ (১ পিতর ৫:৭) আর যিহোবা তাঁর বাক্যে যা প্রতিজ্ঞা করেছেন সেই অনুযায়ী, যারা বিশ্বাসের সাথে তাঁকে ডাকবে, তাদের “পরাক্রমের উৎকর্ষ” দান করবেন।—২ করিন্থীয় ৪:৭-৯.

২০ কখনও কখনও অশ্রুপাতের সাথে আমাদের ধৈর্য রাখতে হবে। যীশুর জন্য, যাতনাদণ্ডের যন্ত্রণা কোন আনন্দের বিষয় ছিল না। বরং, আনন্দ ছিল যে পুরষ্কার তার সামনে রাখা হয়েছিল সেই জন্য। আমাদের ক্ষেত্রেও, পরীক্ষায় পড়ে আমরা যে সবসময়ে হাসিখুশি এবং উৎফুল্ল থাকব তা নয়। (তুলনা করুন ইব্রীয় ১২:১১.) কিন্তু, পুরষ্কারের দিকে তাকিয়ে, এমনকি সবচেয়ে পরীক্ষামূলক পরিস্থিতিতেও আমরা তা “আনন্দের বিষয় জ্ঞান” করতে পারি। (যাকোব ১:২-৪; প্রেরিত ৫:৪১) গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যে অশ্রপাতসহ কষ্ট সহ্য করতে হলেও আমাদের দৃঢ় থাকতে হবে। কারণ যীশু বলেননি যে ‘যে কেহ অতি অল্প অশ্রুপাত করিবে সে পরিত্রাণ পাইবে,’ তিনি বলেছিলেন ‘যে কেহ শেষ পর্য্যন্ত ধৈর্য রাখিবে, সে পরিত্রাণ পাইবে।’—মথি ২৪:১৩.

২১. (ক) দ্বিতীয় পিতর ১:৫, ৬ পদে, আমাদের ধৈর্যের সঙ্গে আর কী যোগান দিতে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে? (খ) পরের প্রবন্ধে কোন্‌ প্রশ্নগুলি আলোচনা করা হবে?

২১ পরিত্রাণের জন্য ধৈর্য হল অপরিহার্য। কিন্তু, ২ পিতর ১:৫, ৬ পদে আমাদের উৎসাহ দেওয়া হয়েছে যে আমাদের ধৈর্যে যেন আমরা ঈশ্বরীয় ভক্তি যোগাই। কিন্তু ধৈর্যের সঙ্গে তার কি সম্পর্ক আছে এবং আমরা কিভাবে তা পেতে পারি? পরের প্রবন্ধে এই প্রশ্নগুলি আলোচনা করা হবে। (w93 9/1)

[পাদটীকাগুলো]

a যীশু যে প্রচণ্ড কষ্ট সহ্য করেছিলেন তা হয়ত বোঝা যায় কারণ তার সিদ্ধ দেহ থাকা সত্ত্বেও, তিনি মাত্র কয়েক ঘন্টা পরে মারা গিয়েছিলেন, কিন্তু তার পাশে যাতনাদণ্ডে-বিদ্ধ অপরাধীদের মৃত্যু তাড়াতাড়ি ঘটানোর জন্য তাদের পা ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছিল। (যোহন ১৯:৩১-৩৩) তার আগের বিশ্রামহীন রাতে, যীশুর মত মানসিক এবং দৈহিক পরিশ্রম তাদের সহ্য করতে হয়নি, যে পরিশ্রমের জন্য যীশু এমনকি তার নিজের যাতনাদণ্ড পর্যন্ত বহন করে নিয়ে যেতে পারছিলেন না।—মার্ক ১৫:১৫, ২১.

আপনি কিভাবে উত্তর দেবেন?

▫ ধৈর্য রাখার অর্থ কী?

▫ যিহোবার সাক্ষীদের কেন বিশেষ করে ধৈর্য রাখার প্রয়োজন রয়েছে?

▫ ধৈর্য রাখতে, কোন্‌ বিষয়টি ইয়োবকে সাহায্য করেছিল?

▫ ধৈর্য সম্বন্ধে বাস্তববাদী দৃষ্টিভঙ্গি রাখতে যীশুর উদাহরণ কিভাবে আমাদের সাহায্য করে?

[Pictures on page 22]

একমাত্র যিহোবার উপাসনা করার জন্য, যে খ্রীষ্টীয় ছেলেমেয়েদের স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হয়, তাদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য কিংডম স্কুল গড়ে তোলা হয়েছিল

[Pictures on page 24]

তাঁর পিতাকে সম্মান প্রদর্শন করতে দৃঢ় মনোভাব নিয়ে, যীশু ধৈর্য রাখার জন্য প্রার্থনা করেছিলেন

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার