ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৫ ৫/১ পৃষ্ঠা ৪-৭
  • অদূর ভবিষ্যতে, কেউ আর দরিদ্র থাকবে না!

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • অদূর ভবিষ্যতে, কেউ আর দরিদ্র থাকবে না!
  • ১৯৯৫ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • দরিদ্রদের জন্য সাহায্য
  • দরিদ্রতার সাথে মাকাবিলা করার সাহায্য
  • অবশেষে, দরিদ্রতা আর নেই!
  • যিশুর উদাহরণ অনুসরণ করুন এবং দরিদ্রদের প্রতি চিন্তা দেখান
    ২০০৬ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • দরিদ্রতামুক্ত এক জগৎ সন্নিকট
    ২০০৫ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • দরিদ্রতা স্থায়ী সমাধান খুঁজে পাওয়া
    ২০০৩ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • দরিদ্রদের আশা প্রদান করুন
    ২০০৭ আমাদের রাজ্যের পরিচর্যা
আরও দেখুন
১৯৯৫ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৫ ৫/১ পৃষ্ঠা ৪-৭

অদূর ভবিষ্যতে, কেউ আর দরিদ্র থাকবে না!

“ভয় করিও না, কেননা দেখ, আমি তোমাদিগকে মহানন্দের সুসমাচার জানাইতেছি; সেই আনন্দ সমুদয় লোকেরই হইবে।” (লূক ২:১০) এই উৎসাহজনক কথাগুলি বিহ্বলিত মেষপালকেরা শুনেছিল বৈৎলেহমের কাছে, সেই রাতে, যে রাতে যীশু জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। সেই ঘোষণার সাথে সামঞ্জস্য রেখে, যীশু খ্রীষ্ট তাঁর পার্থিব পরিচর্যার সময় “সুসমাচার” এর উপর বিশেষভাবে জোর দিয়েছিলেন। আজকের দিনে, যখন আমরা আমাদের চাহিদা মেটানোর জন্য অর্থের উপর এতটা নির্ভর করি, তখন যীশু সম্বন্ধীয় এই সুসমাচার আমাদের কিভাবে উপকার করতে পারে?

যীশু খ্রীষ্ট “দরিদ্রদের কাছে সুসমাচার” ঘোষণা করেছিলেন। (লূক ৪:১৮) মথি ৯:৩৫ পদ অনুসারে, “যীশু সমস্ত নগরে ও গ্রামে ভ্রমণ করিতে লাগিলেন; তিনি লোকদের সমাজ-গৃহে উপদেশ দিলেন ও রাজ্যের সুসমাচার প্রচার করিলেন।” বিশেষ করে যারা প্রকৃতপক্ষে দরিদ্র, তাদের কাছে যীশুর বার্তা ছিল উৎসাহজনক। “কিন্তু বিস্তর লোক দেখিয়া তিনি তাহাদের প্রতি করুণাবিষ্ট হইলেন, কেননা তাহারা ব্যাকুল ও ছিন্নভিন্ন ছিল, যেন পালকবিহীন মেষপাল।” (মথি ৯:৩৬) এটা সত্যি যে, যীশু বলেছিলেন, “তোমাদের কাছে দরিদ্রেরা সর্ব্বদাই আছে,” কিন্তু এই বাক্যগুলি থেকে আমাদের কখনই এই উপসংহারে আসা উচিত নয় যে দরিদ্রদের জন্য কোন আশা নেই। (যোহন ১২:৮) যতদিন এই দুষ্ট বিধিব্যবস্থা থাকবে, ততদিন দরিদ্র লোক থাকবে, আর তাদের এই অবস্থার জন্য যা কিছুই দায়ী হোক না কেন। ঈশ্বরের বাক্য দরিদ্রতার যে বাস্তবতা, সেটিকে অস্বীকার করে না, কিন্তু এটি এর নেতিবাচক দিকটিকে সবসময় আলোকপাত করে না। বরঞ্চ, এটি জীবনের উদ্বিগ্নতাগুলির সাথে মোকাবিলা করতে দরিদ্রদের সাহায্য করে।

দরিদ্রদের জন্য সাহায্য

এই উক্ত বিষয়টি লক্ষণীয়: “একজন ব্যক্তির পক্ষে সবচাইতে বড় বোঝা হল যখন সে উপলব্ধি করে যে কেউ তার প্রতি উৎসাহী নয় এবং কেউ তাকে বুঝতে চায় না।” কিন্তু, যদিও অধিকাংশ লোকেদের ক্ষেত্রে সহানুভূতির অভাব দেখা যায়, তবুও দরিদ্রদের জন্য সুসমাচার আছে—বর্তমানে এবং ভবিষ্যতে।

দুঃখের বিষয় যে, বহু লোক দরিদ্রদের সাহায্য করার ক্ষেত্রে খুব কমই আগ্রহ দেখিয়ে থাকে। দ্যা ওয়ার্ল্ড বুক এনসাইক্লোপিডিয়া, অনুসারে অনেকে বিশ্বাস করে যে “সমাজের লোকেরা বাঁচবার জন্য লড়াই করছে এবং . . . উৎকৃষ্ট ব্যক্তিবিশেষেরা ক্ষমতাশালী ও সমৃদ্ধশালী হয়ে উঠছে।” যারা এই মতবাদটিকে বিশ্বাস করে, যাকে বলা হয়ে থাকে সামাজিক ডারউইনবাদ, তারা হয়ত দরিদ্রদের অলস অথবা অমিতব্যয়ী বলে মনে করতে পারে। তথাপি, গ্রাম্য ও ভ্রমণশীল কর্মীরা এবং অন্যান্যেরা অতি অল্প বেতন পাওয়া সত্ত্বেও নিজেদের পরিবারের ভরণপোষণের জন্য প্রায়ই কঠোর পরিশ্রম করে থাকে।

অনেক দেশে দরিদ্রতা হল একটা সাধারণ ব্যাপার। অতএব, যারা দরিদ্র—অর্থাৎ অধিকাংশই—তাদের অকৃতকার্য বলে মনে করা হয় না। এমনকি সেই সব দেশে এমন কিছু লোক আছে যারা দরিদ্র ব্যক্তিদের মাঝে বিলাসবহুলভাবে জীবন যাপন করে। গিজগিজে অস্বাস্থ্যকর বস্তির মাঝে দেখা যায় আরামদায়ক, বিলাসবহুল গৃহগুলি। উচ্চ বেতন প্রাপ্ত লোকেরা রাস্তায় অভাবী ও বেকারদের ভিড়ের মধ্য দিয়ে তাদের মূল্যবান গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যায়। সেইসব দেশে দরিদ্রেরা তাদের এই অবস্থা সম্পর্কে মর্মান্তিকভাবে সচেতন। বস্তুতপক্ষে, “দরিদ্রেরা কেবলমাত্র পুষ্টির অভাবে, অনুন্নত গৃহের জন্য এবং যথেষ্ট পরিমাণে চিকিৎসার অভাবের জন্যই যে পীড়িত, তা নয়, কিন্তু তারই সাথে আছে দৈনন্দিন পরিস্থিতির চিন্তা,” দ্যা ওয়ার্ল্ড বুক এনসাইক্লোপিডিয়া মন্তব্য করে। “ভাল চাকুরি না পাওয়ার দরুন, তারা মর্যাদা ও আত্ম-সম্মান হারিয়ে ফেলে।” তাহলে, অতি দরিদ্র যারা তারা কিভাবে তাদের এই অবস্থার সাথে মোকাবিলা করে? যীশু সম্বন্ধীয় সুসমাচারের সাথে মোকাবিলা করার কী সম্পর্ক আছে?

প্রথমত, মনে রাখবেন যে অন্যায় অভ্যাসগুলির জন্য দরিদ্রতা অত্যন্ত চরম পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে। কয়েকটি উদাহরণের কথা বিবেচনা করুন। ভ্যাল্ডাসির স্বীকার করে যে যেখানে তার স্ত্রী ও তার সন্তানদের যথেষ্ট খাবার জুটতো না, সেখানে সে অনৈতিক জীবনযাপন বজায় রাখার জন্য অর্থের অপচয় করত। সে বলে: “যদিও আমি চাকুরি করতাম, আমার হাতে কোন টাকা থাকত না, কিন্তু আমার পকেটে সবসময়ে নানা ধরনের লটারির টিকিট থাকত।” অতিরিক্ত পরিমাণে মদ্যপান ও ধূমপান করার দরুন মিলটন, ২৩ জন কর্মীসহ তার নিজস্ব ব্যবসা হারায়। সে বলে: “আমি সারা রাত রাস্তায় কাটিয়েছি, ঘরে যেতে পারিনি আর আমার জন্য আমার পরিবারকে অনেক তাড়না সহ্য করতে হয়েছে।”

ঝাঁও, তার বেতনের টাকা বদভ্যাসে নষ্ট করেছে। “আমি সারা রাত বাড়ির বাইরে কাটাই। আমি যা রোজকার করতাম তা আমার বদভ্যাস ও অনৈতিক জীবনধারার জন্য যথেষ্ট ছিল না। পরিস্থিতি অসহনীয় হয়ে উঠে এবং আমার স্ত্রী বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন জানায়।” অর্থনৈতিক ও দাম্পত্য সমস্যা ছাড়াও আরও অন্যান্য সমস্যা ছিল। সে বলে: “আমি আত্মীয়স্বজন এবং প্রতিবেশীদের জন্য সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিলাম এবং বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রে আমার সমস্যা হত। এর ফলে, আমি প্রায়ই বেকার হয়ে পড়তাম।” জুলিও ড্রাগের প্রতি আসক্ত ছিল। যাইহোক না কেন সে ব্যাখ্যা করে: “যেহেতু এই নেশাকর দ্রব্য নেওয়ার অভ্যাসকে বজায় রাখার জন্য আমার বেতন যথেষ্ট ছিল না, তাই আমি মাদকদ্রব্য বিক্রি করার কাজে লেগে যাই, যাতে করে আমাকে পয়সা দিয়ে এগুলি কিনতে না হয়।”

আটটি সন্তান সমেত একটি দরিদ্র পরিবারে মানুষ হওয়ার ফলে জোস, নিজের জন্য কিছু করতে চেয়েছিল। তার নিজের কোন ক্ষতি হবে না এই ভেবে সে অন্যান্য যুবকদের সাথে লোকেদের জিনিস চুরি করতে আরম্ভ করে। হতাশ হয়ে, আরেকজন যুবক হেডব্যাঙার নামে একটি দলের সদস্য হয়। সে ব্যাখ্যা করে: “যেহেতু আমাদের মধ্যে অধিকাংশই খুব গরীব ছিলাম, তাই জিনিসপত্র ভাঙচুর করে আর লোকেদের আক্রমণ করে আমরা একধরনের তৃপ্তি পেতাম।”

তবুও, আজকে এইসব ব্যক্তিরা আর অভাব, তিক্ততা কিংবা ক্ষুব্ধ বোধ করে না। তারা আর অসহায় অথবা আশাহীন অবস্থায় নেই। কেন নেই? কারণ যীশু যে সুসমাচার প্রচার করেছিলেন, তারা সে বিষয় অধ্যয়ন করেছিল বলে। তারা বাইবেলের উপদেশকে প্রয়োগ করেছে এবং যিহোবার সাক্ষীদের মণ্ডলীতে সেই ধরনের ব্যক্তি বিশেষদের সাথে মেলামেশা করেছে। আর তারা ঐশ্বর্য এবং দরিদ্রতা সম্বন্ধে কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস জানতে পেরেছে।

দরিদ্রতার সাথে মাকাবিলা করার সাহায্য

প্রথমত, তারা শেখে যে যদি বাইবেলের মানগুলিকে প্রয়োগ করা যায়, তাহলে দরিদ্রতার যে প্রভাব তার উপশম করা সম্ভব। বাইবেল, অনৈতিকতা, মাতলামী, জুয়াখেলা এবং নেশাকর দ্রব্যের অপব্যবহারকে নিন্দা করে। (১ করিন্থীয় ৬:৯, ১০) এই সব বস্তুগুলি অত্যন্ত ব্যয়সাপেক্ষ। এগুলি একজন ধনী ব্যক্তিকে দরিদ্র এবং একজন দরিদ্র ব্যক্তিকে দরিদ্রতর করে তুলতে পারে। এগুলি এবং আরও অন্যান্য বদভ্যাসগুলিকে বর্জন করলে পরিবারে অর্থনৈতিক পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হতে পারে।

দ্বিতীয়ত, তারা দেখতে পেয়েছে যে ঐশ্বর্য ছাড়াও জীবনে আরও অধিক কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে। এই অনুপ্রাণিত বাক্যগুলির মধ্যে এক ভারসাম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ পেয়েছে: “প্রজ্ঞা আশ্রয়, ধনও আশ্রয় বটে, কিন্তু জ্ঞানের উৎকৃষ্টতা এই যে, প্রজ্ঞা আপন অধিকারীর জীবন রক্ষা করে।” (উপদেশক ৭:১২) হ্যাঁ, অর্থের প্রয়োজন আছে। কিন্তু বাইবেল-ভিত্তিক প্রজ্ঞা ও ঈশ্বরের উদ্দেশ্য সম্বন্ধীয় জ্ঞান হল অনেক বেশি কার্যকারী। অবশ্যই, একজনের কাছে যদি অনেক টাকা থাকে, অথচ তার যদি প্রজ্ঞার অভাব হয় তাহলে অতি অল্প থাকার যে বোঝা তার অবস্থা ঠিক সেরকমই দাঁড়াবে। বাইবেলের লেখক বিজ্ঞতার সাথে প্রার্থনা জানান: “দরিদ্রতা বা ঐশ্বর্য্য আমাকে দিও না, আমার নিরূপিত খাদ্য আমাকে ভোজন করাও; পাছে অতি তৃপ্ত হইলে আমি তোমাকে অস্বীকার করিয়া বলি সদাপ্রভু কে? কিম্বা পাছে দরিদ্র হইলে চুরি করিয়া বসি, ও আমার ঈশ্বরের নাম অপব্যবহার করি।”—হিতোপদেশ ৩০:৮, ৯.

তৃতীয়ত, তারা উপলব্ধি করেছে যে যদি একজন ব্যক্তি যীশুর দ্বারা প্রচারিত সুসমাচার অনুসারে চলে, তাহলে তাকে কখনও পরিত্যক্ত হওয়ার মনোভাব পোষণ করতে হবে না। এই সুসমাচারের সাথে যুক্ত রয়েছে ঈশ্বরের রাজ্য। এই বার্তাটিকে বলা হয়ে থাকে “রাজ্যের সুসমাচার,” এবং আমাদের দিনে এটি সমগ্র পৃথিবীতে প্রচারিত হচ্ছে। (মথি ২৪:১৪) যীশু আমাদের বলেছিলেন যে যদি আমরা আমাদের আশা রাজ্যের উপর স্থাপন করি, তাহলে আমাদের সাহায্য করা হবে। তিনি বলেন: “কিন্তু তোমরা প্রথমে [ঈশ্বরের] রাজ্য ও তাঁহার ধার্ম্মিকতার বিষয়ে চেষ্টা কর, তাহা হইলে ঐ সকল দ্রব্যও তোমাদিগকে দেওয়া হইবে।” (মথি ৬:৩৩) ঈশ্বর মূল্যবান গাড়ি অথবা বিলাসবহুল ঘর দেবেন বলে প্রতিজ্ঞা করেননি। যীশু এখানে দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজন সম্বন্ধে বলেছেন, যেমন খাদ্য এবং বস্ত্র। (মথি ৬:৩১) কিন্তু লক্ষ লক্ষ লোক আজকে সাক্ষ্য দিতে পারে যে যীশুর এই প্রতিজ্ঞা বিশ্বাসযোগ্য। একজন ব্যক্তি বিশেষ, এমনকি একজন অত্যন্ত গরীব ব্যক্তিও কখনও সম্পূর্ণরূপে পরিত্যক্ত হবে না যদি সে ঈশ্বরের রাজ্যকে প্রথম স্থান দেয়।

চতুর্থত, তারা দেখতে পেয়েছে যে যারা ঈশ্বরের রাজ্যকে প্রথম স্থান দেয়, তারা কখনও অর্থনৈতিক চাপে ভারগ্রস্ত হয়ে পড়ে না। হ্যাঁ, একজন দরিদ্র মানুষকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। কিন্তু সে যদি ঈশ্বরের সেবা করে, তাহলে তার সৃষ্টিকর্তার সাথে এক মূল্যবান সম্পর্ক থাকবে, যার সম্বন্ধে বাইবেল বলে: “তিনি দুঃখীর দুঃখ উপেক্ষা বা ঘৃণা করেন নাই; তিনি তাহা হইতে আপন মুখও লুকান নাই; বরং সে তাঁহার কাছে কাঁদিলে তিনি শুনিলেন।” (গীতসংহিতা ২২:২৪) এছাড়াও, একজন দরিদ্র ব্যক্তি জীবনের সমস্যাগুলির মোকাবিলা করার জন্য সাহায্য পেয়ে থাকে। সে সহখ্রীষ্টানদের সাথে আন্তরিক সাহচর্য উপভোগ করে এবং যিহোবার প্রকাশিত উদ্দেশ্য সম্বন্ধে তার জ্ঞান ও আস্থা থাকে। এইধরনের বস্তু “স্বর্ণ ও প্রচুর কাঞ্চন অপেক্ষা বাঞ্ছনীয়।”—গীতসংহিতা ১৯:১০.

অবশেষে, দরিদ্রতা আর নেই!

পরিশেষে, যারা সুসমাচার শোনে তারা জানতে পারে যে যিহোবা ঈশ্বরের উদ্দেশ্য হল চিরকালের জন্য তাঁর রাজ্যের মাধ্যমে দরিদ্রতার যে সমস্যা, তা সমাধান করা। বাইবেল প্রতিজ্ঞা করে: “দরিদ্র নিয়ত বিস্মৃতিপাত্র থাকিবে না, দুঃখীদিগের আশা চিরতরে বিনষ্ট হইবে না।” (গীতসংহিতা ৯:১৮) রাজ্য হল এক বাস্তব সরকার, যেটি স্বর্গে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং যার শাসক হলেন যীশু খ্রীষ্ট। শীঘ্রই, ঐ সরকার মানবজাতিকে শাসন করার জন্য মনুষ্য সরকারগুলির স্থানটি দখল করবে। (দানিয়েল ২:৪৪) এরপর, সিংহাসনে অধিষ্ঠিত রাজা, যীশু “দীনহীন ও দরিদ্রের প্রতি দয়া করিবেন, তিনি দরিদ্রগণের প্রাণ নিস্তার করিবেন। তিনি চাতুরী ও দৌরাত্ম্য হইতে তাহাদের প্রাণ মুক্ত করিবেন, তাঁহার দৃষ্টিতে তাহাদের রক্ত বহুমূল্য হইবে।”—গীতসংহিতা ৭২:১৩, ১৪.

সেই দিনের প্রতি দৃষ্টি আরোপ করে, মীখা ৪:৩, ৪ পদ বলে: “প্রত্যেকে আপন আপন দ্রাক্ষালতার ও আপন আপন ডুমুরবৃক্ষের তলে বসিবে; কেহ তাহাদিগকে ভয় দেখাইবে না; কেননা বাহিনীগণের সদাপ্রভুর মুখ ইহা বলিয়াছে।” এখানে কার সম্বন্ধে বলা হয়েছে? তাদের সম্বন্ধে যারা ঈশ্বরের রাজ্যের প্রতি বশ্যতা স্বীকার করবে। সেই রাজ্য সমস্ত সমস্যার সমাধান করবে যা মানবজাতিকে পীড়িত করছে—এমনকি অসুস্থতা ও মৃত্যুর সমস্যা পর্যন্ত। “তিনি মৃত্যুকে অনন্তকালের জন্য বিনষ্ট করিয়াছেন, ও প্রভু সদাপ্রভু সকলের মুখ হইতে চক্ষুর জল মুছিয়া দিবেন।” (যিশাইয় ২৫:৮; ৩৩:২৪) কতই না ভিন্ন জগৎ সেটি হবে! আর মনে রাখবেন, আমরা এই প্রতিজ্ঞাগুলিকে বিশ্বাস করতে পারি কারণ এগুলি স্বয়ং ঈশ্বরের দ্বারা অনুপ্রাণিত। তিনি বলেন: “আমার প্রজাগণ শান্তির আশ্রমে, নিঃশঙ্কতার আবাসে ও নিশ্চিন্ততার বিশ্রাম-স্থানে বাস করিবে।”—যিশাইয় ৩২:১৮.

ঈশ্বরের রাজ্যের প্রতি আস্থার মাধ্যমে আত্ম-সম্মানের অভাবকে প্রতিরোধ করা যায়, যা প্রায়ই দরিদ্রতার হেতু হয়ে থাকে। একজন দরিদ্র খ্রীষ্টান জানে যে সে ঈশ্বরের দৃষ্টিতে ঠিক ততখানিই গুরুত্বপূর্ণ, যতখানি একজন ধনী খ্রীষ্টান। ঈশ্বর উভয়কেই সমানভাবে ভালবাসেন এবং দুজনেরই একই আশা আছে। উভয়ই অধীর আগ্রহে সেই সময়ের দিকে তাকিয়ে থাকে যখন, ঈশ্বরের রাজ্যের অধীনে, দরিদ্রতা হবে এক অতীতের বিষয়। কতই না আনন্দময় সময় সেটি হবে! অবশেষে, কেউ আর দরিদ্র থাকবে না!

[৫ পৃষ্ঠার চিত্র]

কেন জুয়াখেলায়, ধূমপানে, অতিরিক্ত মদ্যপানে, নেশাকর দ্রব্যের অপব্যবহারে অথবা অনৈতিক জীবনধারায় সঙ্গতির অপচয় করা?

[৭ পৃষ্ঠার চিত্র]

যিহোবা ঈশ্বর তাঁর রাজ্যের মাধ্যমে মানুষের দরিদ্রতার যে সমস্যা তার সমাধান করবেন

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার