ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৫ ৮/১ পৃষ্ঠা ৩-৪
  • সেদিন পালটে গেছে

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • সেদিন পালটে গেছে
  • ১৯৯৫ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • শলোমন বিজ্ঞতার সঙ্গে শাসন করেন
    বাইবেল—এই বইয়ে কোন বার্তা রয়েছে?
  • তিনি কি আপনার জন্য এক উত্তম উদাহরণ, নাকি এক সাবধানবাণীমূলক উদাহরণ?
    ২০১১ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • দরিদ্রতা দূর করার বিভিন্ন প্রচেষ্টা
    ২০১২ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • কে সাহায্যের জন্য আর্তনাদকারী ব্যক্তিদের উদ্ধার করতে পারেন?
    ২০১০ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
আরও দেখুন
১৯৯৫ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৫ ৮/১ পৃষ্ঠা ৩-৪

সেদিন পালটে গেছে

বিশ্বস্ত রাজা শলোমনের মহিমাময় রাজত্বের অধীনে প্রাচীন ইস্রায়েলে জীবনযাপন করা কতই না আনন্দময় ছিল! এটি ছিল শান্তি, সমৃদ্ধি এবং সুখের এক যুগ। যতদিন রাজা শলোমন সত্য উপাসনাকে বিশ্বস্তভাবে ধরে রেখেছিলেন, ততদিন পর্যন্ত যিহোবা সেই জাতিকে প্রচুররূপে আশীর্ব্বাদ করেছিলেন। রাজা শলোমনকে ঈশ্বর শুধুমাত্র প্রচুর সম্পদই দেননি, কিন্তু “জ্ঞানশালী ও বুঝিবার চিত্ত,”-ও দিয়েছিলেন যাতে করে শলোমন ধার্মিকতা ও প্রেমে শাসন করতে পারেন। (১ রাজাবলি ৩:১২) বাইবেল জানায়: “ঈশ্বর শলোমনের চিত্তে যে জ্ঞান দিয়াছিলেন, তাঁহার সেই জ্ঞানের উক্তি শুনিবার জন্য পৃথিবীর সমস্ত রাজা তাঁহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে চেষ্টা করিতেন।”—২ বংশাবলি ৯:২৩.

লোকেদের যিহোবা শান্তি, নিরাপত্তা এবং উত্তম জিনিসের প্রাচুর্য দিয়েছিলেন। ঈশ্বরের বাক্য জানায়: “যিহূদা ও ইস্রায়েল সমুদ্রতীরস্থ বালুকার ন্যায় বহুসংখ্যক ছিল, তাহারা ভোজন পান ও আমোদ করিত।” আক্ষরিক ও রূপক উভয় অর্থে, লোকেরা “শলোমনের সমস্ত অধিকার-সময়ে . . . প্রত্যেক জন আপন আপন দ্রাক্ষালতার ও আপন আপন ডুমুর বৃক্ষের তলে নির্ভয়ে বাস করিত।”—১ রাজাবলি ৪:২০, ২৫.

কিন্তু সেদিন পালটে গেছে। সুদূর অতীতের সেই সুখের দিনগুলির তুলনায় বর্তমানের জীবন সম্পূর্ণ ভিন্ন। শলোমনের দিনের বিপরীতে আজকের দিনের প্রধান সমস্যা হল দরিদ্রতা। এমনকি ধনি দেশগুলিতেও দরিদ্রতা রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, রাষ্ট্রসংঘের উন্নয়ন কার্যক্রম জানায় যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন উভয় দেশে প্রায় ১৫ শতাংশের মত লোক দারিদ্র সীমায় বাস করে।

পৃথিবীব্যাপী চিত্র সম্পর্কে ইউনিসেফ (রাষ্টসংঘের শিশু বিভাগ) এর একটি রিপোর্ট, দ্যা স্টেট অফ ওয়ার্ল্ডস্‌ চিলড্রেন ১৯৯৪, জানায় যে, পৃথিবীর জনসংখ্যার প্রায় এক পঞ্চমাংশ চরম দরিদ্রতায় বাস করে, আর পৃথিবীর অধিকাংশ দরিদ্র ব্যক্তিরাই “আরও দরিদ্র ও হতাশ হয়ে পড়ছে।”

কিছু দেশে অত্যন্ত মুদ্রাস্ফীতি দরিদ্রদের দুঃখকষ্টকে আরও বৃদ্ধি করেছে। আফ্রিকার এক মহিলা বলেছিলেন: “আপনি বাজারে কিছু দেখেন এবং আপনি বলেন, ‘ঠিক আছে, তা কেনার জন্য, যাই বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসি।’ একঘন্টা পরে আপনি ফিরে আসেন শুধুমাত্র শোনার জন্য যে সেটা আপনি কিনতে পারবেন না, কারণ সবেমাত্র তার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। একজন ব্যক্তি কী করবেন? এটা অবশ্যই নৈরাশ্যজনক।”

সেখানে আর একজন বিবাহিতা মহিলা বলেছিলেন: ‘বেঁচে থাকার জন্য আমরা অন্য সব কিছু ভুল গিয়েছি। কী করে খাবার পাব সেটা এখন আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

রাষ্ট্রসংঘের কথা অনুসারে ভবিষ্যৎ হল হতাশাজনক। উদাহরণস্বরূপ, ইউনিসেফের পরিসংখ্যাণ অনুসারে, উপস্থিত জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার যদি এইভাবে বাড়তে থাকে, তাহলে পৃথিবীব্যাপী দরিদ্র লোকের সংখ্যা “একজনের জীবনকালের মধ্যেই” চারগুণ বেড়ে যাবে।

তথাপি, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক পরিস্থিতি খারাপ হয়ে যাওয়া সত্ত্বেও ঈশ্বরের দাসেদের আশাবাদী হওয়ার কারণ রয়েছে। যদিও তারা এমন লোকেদের মাঝে বসবাস করে যারা ভবিষ্যৎকে আরও নিরাশার দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখে, ঈশ্বরের দাসেরা কিন্তু ভবিষ্যতের দিকে আনন্দ ও আস্থা নিয়ে তাকায়। কেন তা, পরবর্তী প্রবন্ধটি তার কারণগুলি উদ্ঘাটন করবে।

[৩ পৃষ্ঠার চিত্র সৌজন্যে]

De Grunne/Sipa Press

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার