ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৫ ৯/১৫ পৃষ্ঠা ৮-১৪
  • যিহোবার শুদ্ধ উপাসনার জন্য ঈর্ষান্বিত

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • যিহোবার শুদ্ধ উপাসনার জন্য ঈর্ষান্বিত
  • ১৯৯৫ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • স্বর্ণ নির্মিত গোবৎস
  • বাল-পিয়োর
  • এক সতর্কতামূলক শিক্ষা
  • ধার্মিক ঈর্ষার পরবর্তী উদাহরণগুলি
  • ঈশ্বরের ঈর্ষা তাঁর লোকেদের উপকার করে
  • ভবিষ্যতে ঐশিক ঈর্ষার কাজগুলি
  • প্রেম অনুচিত ঈর্ষাকে জয় করে
    ১৯৯৫ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • খ্রীষ্টানদের কি ঈর্ষান্বিত হওয়া উচিত?
    ২০০২ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • ঈর্ষা সম্বন্ধে আপনার কী জানা উচিত
    ১৯৯৫ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • যোষেফ ঈর্ষার শিকার হন
    আমাদের খ্রিস্টীয় জীবন ও পরিচর্যা—সভার জন্য অধ্যয়ন পুস্তিকা ২০২০
আরও দেখুন
১৯৯৫ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৫ ৯/১৫ পৃষ্ঠা ৮-১৪

যিহোবার শুদ্ধ উপাসনার জন্য ঈর্ষান্বিত

“যিহোবা, যাঁর নাম হল ঈর্ষান্বিত, তিনি হলেন এক ঈর্ষান্বিত ঈশ্বর।”—যাত্রাপুস্তক ৩৪:১৪, NW.

১. ঈশ্বরের মুখ্য গুণটি কী এবং সেটি ঈর্ষার সাথে কিভাবে সম্পর্কযুক্ত?

যিহোবা নিজেকে “এক ঈর্ষান্বিত ঈশ্বর” হিসাবে বর্ণনা করেন। আপনি হয়ত অবাক হবেন, কারণ “ঈর্ষা” কথাটির মধ্যে নেতিবাচক বৈশিষ্টাদি আছে। এটা অবশ্যই যে, ঈশ্বরের প্রধান গুণ হল প্রেম। (১ যোহন ৪:৮) অতএব তাঁর পক্ষে যে কোন ঈর্ষার অনুভূতি নিশ্চয় মানবজাতির ভালোর জন্য হবে। প্রকৃতপক্ষে আমরা দেখব যে, বিশ্বের শান্তি এবং একতার জন্য ঈশ্বরের ঈর্ষা গুরুত্বপূর্ণ।

২. ইব্রীয় শব্দ ঈর্ষার কয়েকটি অনুবাদ কী?

২ “ঈর্ষা”-র সাথে সম্বন্ধযুক্ত ইব্রীয় শব্দগুলি প্রায় ৮০ বারেরও বেশি ইব্রীয় শাস্ত্রাবলীতে পাওয়া যায়। এদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকটি যিহোবা ঈশ্বরের প্রতি ইঙ্গিত করে। “যখন ঈশ্বরের প্রতি ইঙ্গিত করে,” জি. এইচ. লিভিংস্টোন ব্যাখ্যা করেন, “ঈর্ষা কথার ধারণাটি এক বিকৃত অনুভূতির বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করে না, কিন্তু, পরিবর্তে, শুধুমাত্র যিহোবার উপাসনার উপরই একান্ত জোর দেয়।” (দ্যা পেন্টাটুক ইন ইটস কালচারাল এনভায়ারনমেন্ট) ফলত, নতুন জগৎ অনুবাদ (ইংরাজি) কখনও কখনও ইব্রীয় বিশেষ্য “একমাত্র ভক্তির উপর অত্যন্ত জোর দেয়।” (যিহিষ্কেল ৫:১৩) অন্যান্য যথার্থ শব্দগুলি হল “অন্তর্জ্বালা” অথবা “উদ্যোগ।”—গীতসংহিতা ৭৯:৫; যিশাইয় ৯:৭.

৩. কোন্‌ কোন্‌ উপায়ে ঈর্ষা অনেকসময় ভাল উদ্দেশ্য সাধন করতে পারে?

৩ মানুষকে ঈর্ষান্বিত অনুভব করার সামর্থ দিয়ে সৃষ্টি করা হয়েছিল, কিন্তু পাপে পতিত হওয়ার ফলে ঈর্ষা বিকৃত হয়ে গেছে। তবুও, মানুষের ঈর্ষা উত্তম উদ্দেশ্য সাধন করতে পারে। এটি প্রিয়জনকে খারাপ প্রভাবগুলি থেকে রক্ষা করতে একজন ব্যক্তিকে প্ররোচিত করতে পারে। এছাড়াও, যিহোবা এবং তাঁর উপাসনার জন্য মানবজাতি সঠিকভাবে ঈর্ষা দেখাতে পারে। (১ রাজাবলি ১৯:১০) যিহোবার প্রতি এইধরনের ঈর্ষাকে সঠিকভাবে বোঝার জন্য ইব্রীয় বিশেষ্যকে হয়ত এইভাবে অনুবাদ করা যেতে পারে যে তাঁর প্রতি “কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতা সহ্য না করা।”—২ রাজাবলি ১০:১৬, NW.

স্বর্ণ নির্মিত গোবৎস

৪. ইস্রায়েলদের প্রতি দেওয়া ঈশ্বরের নিয়মে ধার্মিক ঈর্ষার সাথে সম্পর্কযুক্ত কোন্‌ আদেশটি মুখ্য বিষয় ছিল?

৪ ধার্মিক ঈর্ষার একটি উদাহরণ হল সিনয় পর্বতে ইস্রায়েলীয়রা নিয়ম পাওয়ার পর যা ঘটেছিল তা। বারংবার, তাদের সাবধান করে দেওয়া হয়েছিল, তারা যেন মনুষ্য-নির্মিত কোন ঈশ্বরদের উপাসনা না করে। যিহোবা তাদের বলেছিলেন: “তোমার ঈশ্বর যিহোবা আমি এমন ঈশ্বর আমাকেই একান্ত ভক্তি কর [অথবা “একজন ঈশ্বর যিনি ঈর্ষান্বিত” (উদ্যোগী); এমন একজন ঈশ্বর যিনি কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতা সহ্য করেন না”]।” (যাত্রাপুস্তক ২০:৫, NW, পাদটীকা; তুলনা করুন যাত্রাপুস্তক ২০:২২, ২৩; ২২:২০; ২৩:১৩, ২৪, ৩২, ৩৩.) ইস্রায়েলীয়দের সাথে যিহোবা এক চুক্তিতে এসেছিলেন, তাদের আশীর্বাদ করেছিলেন এবং প্রতিজ্ঞাত দেশে নিয়ে যাবেন বলে প্রতিজ্ঞা করেছিলেন। (যাত্রাপুস্তক ২৩:২২, ৩১) আর লোকেরা বলেছিল: “সদাপ্রভু যাহা যাহা কহিলেন, আমরা সমস্তই পালন করিব ও আজ্ঞাবহ হইব।”—যাত্রাপুস্তক ২৪:৭.

৫, ৬. (ক) সীনয় পর্বতে অবস্থিতির সময়ে কিভাবে ইস্রায়েল জাতি মারাত্মক পাপ করেছিল? (খ) কিভাবে যিহোবা এবং তাঁর বিশ্বস্ত উপাসনাকারীরা সীনয় পর্বতে ধার্মিক ঈর্ষা দেখিয়েছিলেন?

৫ তৎসত্ত্বেও, ইস্রায়েলীয়রা শীঘ্রই ঈশ্বরের বিরুদ্ধে পাপ করে। তারা তখনও সীনয় পর্বতের নিচে ছিল। ঈশ্বরের কাছ থেকে আরও নির্দেশ পাওয়ার জন্য মোশি পর্বতে অনেকদিন ছিলেন এবং লোকেরা মোশির ভাই, হারোণকে তাদের জন্য একটি ঈশ্বর করে দেওয়ার জন্য চাপ দেয়। হারোণ তাদের কথা মানেন এবং তারা যে স্বর্ণ দিয়েছিল তা দিয়ে এক গোবৎস নির্মাণ করেন। এটি দাবি করা হয়েছিল যে এই প্রতিমাটি যিহোবাকে প্রতিনিধিত্ব করছে। (গীতসংহিতা ১০৬:২০) পরের দিন তারা তার কাছে বলি উৎসর্গ করে এবং ‘প্রণিপাত করতে’ থাকে। এরপর তারা “ক্রীড়া করিতে” লাগল।—যাত্রাপুস্তক ৩২:১, ৪, ৬, ৮, ১৭-১৯.

৬ যখন মোশি পর্বত থেকে নেমে আসেন ইস্রায়েলীয়রা তখন উপাসনা করছিল। তাদের এই বিদ্রূপকারী আচরণ দেখে, তিনি চিৎকার করে উঠেন: “সদাপ্রভুর পক্ষ কে?” (যাত্রাপুস্তক ৩২:২৫, ২৬) লেবীয়ের পুত্রেরা মোশির পক্ষ নেয় এবং মোশি তাদের তলওয়ার দিয়ে প্রতিমাপূজা উৎসবকারীদের হত্যা করতে নির্দেশ দেন। ঈশ্বরের শুদ্ধ উপাসনার পক্ষে তাদের ঈর্ষা দেখিয়ে লেবীয়রা প্রায় তাদের ৩,০০০ জন দোষী ভাইদের হত্যা করেছিল। রক্ষাপ্রাপ্তদের উপর আঘাত দ্বারা যিহোবা এই কাজকে আরও জোরাল করেছিলেন। (যাত্রাপুস্তক ৩২:২৮, ৩৫) তারপর ঈশ্বর তাঁর আদেশকে পুনরাবৃত্তি করেন: “তুমি অন্য ঈশ্বরের কাছে প্রণিপাত কর না, কেননা যিহোবা, যাঁর নাম হল ঈর্ষান্বিত তিনি হলেন ঈর্ষান্বিত ঈশ্বর।”—যাত্রাপুস্তক ৩৪:১৪, NW.

বাল-পিয়োর

৭, ৮. (ক) বাল-পিয়োরের সাথে সম্পর্কযুক্ত হয়ে কিভাবে ইস্রায়েল জাতি প্রতিমাপূজার কবলে পড়েছিল? (খ) যিহোবার কাছ থেকে আসা শাস্তি কিভাবে শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছিল?

৭ চল্লিশ বছর পরে, যখন ইস্রায়েল জাতি প্রায় প্রতিজ্ঞাত দেশে প্রবেশ করার মুখে ছিল, তখন মোয়াবীয় এবং মিদিয়নীয় স্ত্রীলোকেরা তাদের আতিথেয়তা গ্রহণ করতে অনেক ইস্রায়েলীয়দের প্রলোভন দেখায়। এই লোকেদের উচিত ছিল মিথ্যা ঈশ্বরদের উপাসকদের সাথে ঘনিষ্ঠ মেলামেশা প্রত্যাখ্যান করা। (যাত্রাপুস্তক ৩৪:১২, ১৫) পরিবর্তে, তারা বধ্য মেষের ন্যায় বলির শিকার হতে এগিয়ে যায় এবং স্ত্রীলোকেদের সাথে ব্যভিচার করে এবং তাদের সাথে বাল-পিয়োরের দেবতার কাছে প্রণিপাত করতে যোগ দেয়।—গণনাপুস্তক ২৫:১-৩; হিতোপদেশ ৭:২১, ২২.

৮ যিহোবা এক শাস্তিদান করে তাদের হত্যা করেন যারা এই জঘন্য যৌন উপাসনায় লিপ্ত হয়। এছাড়াও ঈশ্বর নির্দোষ ইস্রায়েলীয়দের আদেশ দিয়েছিলেন তাদের দোষী ভাইদের হত্যা করতে। পুরোপুরি অবাধ্য হয়ে ইস্রায়েলের সিম্রি নামক এক পিতৃকুলাধক্ষ্য এক মিদিয়নীয়া রাজকুমারীকে তার সাথে সহবাস করার জন্য তার তাম্বুতে নিয়ে আসে। এটি দেখে ঈশ্বর-ভীরু যাজক পীনহস সেই অনৈতিক দম্পতিকে হত্যা করেন। শাস্তি তারপরে থেমে যায় আর ঈশ্বর ঘোষণা করেন: “পীনহস . . . ইস্রায়েলের প্রতি আমার ক্রোধকে নিবৃত্ত করেছে; সেই একই ঈর্ষান্বিত ক্রোধ যা আমাকে প্ররোচিত করে তা সে তাদের মাঝে প্রকাশ করেছে, তাই আমি ঈর্ষার জন্য ইস্রায়েলীয়দের সংহার করিনি।” (গণনাপুস্তক ২৫:১১, দ্যা নিউ ইংলিশ বাইবেল) সেই ধ্বংস থেকে যদিও জাতিটি রক্ষা পেয়েছিল, কিন্তু অন্ততপক্ষে ২৩,০০০ জন ইস্রায়েলীয়রা মারা গিয়েছিল। (১ করিন্থীয় ১০:৮) প্রতিজ্ঞাত দেশে প্রবেশ করার তাদের এই দীর্ঘকালীন সুন্দর আশাটি তারা হারিয়ে ফেলেছিল।

এক সতর্কতামূলক শিক্ষা

৯. যেহেতু তারা যিহোবার সত্য উপাসনার প্রতি ঈর্ষান্বিত ছিল না তাই ইস্রায়েলদের উপর এবং যিহূদার লোকেদের উপর কী এসেছিল?

৯ দুঃখের বিষয় এই যে, শীঘ্রই ইস্রায়েলীয়রা এই শিক্ষাগুলি ভুলে যায়। যিহোবার শুদ্ধ উপাসনার প্রতি তারা ঈর্ষান্বিত প্রমাণ করেনি। ‘আপনাদের ক্ষোদিত প্রতিমাগণ দ্বারা [ঈশ্বরের] ঈর্ষা জন্মাইল।’ (গীতসংহিতা ৭৮:৫৮) এর ফলে, যিহোবা অশরীয়দের দ্বারা সা.শ.পূ. ৭৪০ সালে ইস্রায়েলের দশটি বংশকে বন্দী দশায় নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুমতি দিয়েছিলেন। অবশিষ্ট দুই-বংশের রাজ্য যিহূদা একই শাস্তি পায় যখন তাদের রাজধানী যিরূশালেম সা.শ.পূ. ৬০৭ সালে ধ্বংস হয়ে যায়। অনেকে হত হয় এবং যারা বেঁচে যায় তাদের বাবিলনে বন্দী দশায় নিয়ে যাওয়া হয়। আজকের দিনের সকল খ্রীষ্টানদের জন্য এটি কতই না এক সতর্কতা মূলক দৃষ্টান্ত!—১ করিন্থীয় ১০:৬, ১১.

১০. অনুতপ্তহীন প্রতিমাপূজকদের কী হবে?

১০ পৃথিবীর এক তৃতীয়াংশ জনসংখ্যা—প্রায় ১৯০ কোটি—এখন খ্রীষ্টান বলে দাবি করে। (১৯৯৪ ব্রিটানিকা বুক অফ দ্যা ইয়ার) তাদের মধ্যে বেশির ভাগ এমন গির্জার সদস্য যারা তাদের উপাসনায় প্রতিমা, মূর্তি এবং ক্রুশ ব্যবহার করে। যিহোবা তাঁর নিজের লোকেদের রেহাই দেননি যারা প্রতিমাপূজার দ্বারা তাঁর ঈর্ষাকে প্ররোচিত করেছিল। তাই তিনি যারা খ্রীষ্টান বলে দাবি করে, যারা বস্তুগত জিনিসগুলি দিয়ে উপাসনা করে তাদেরও তিনি রেহাই দেবেন না। “ঈশ্বর আত্মা; আর যাহারা তাঁহার ভজনা করে, তাহাদিগকে আত্মায় ও সত্যে ভজনা করিতে হইবে,” যীশু খ্রীষ্ট বলেছিলেন। (যোহন ৪:২৪) এছাড়াও, বাইবেল খ্রীষ্টানদের প্রতিমাপূজার বিরুদ্ধে সতর্ক করে দেয়। (১ যোহন ৫:২১) তাদের মধ্যে অনুতপ্তহীন প্রতিমাপূজকেরা ঈশ্বরের রাজ্যে প্রবেশ করতে পারবে না।—গালাতীয় ৫:২০, ২১.

১১. কিভাবে এক খ্রীষ্টান প্রতিমার সামনে নতজানু না হয়ে প্রতিমাপূজার দোষে দোষী হতে পারে এবং সেইসব ব্যক্তিদের প্রতিমাপূজা এড়াতে কী সাহায্য করবে? (ইফিষীয় ৫:৫)

১১ যদিও একজন সত্য খ্রীষ্টান হয়ত কখনও প্রতিমার সামনে নতজানু হবে না, তবুও ঈশ্বর যেগুলিকে প্রতিমাপূজা সংক্রান্ত, অশুদ্ধ এবং পাপপূর্ণ বলে মনে করেন তা সে অবশ্যই এড়িয়ে চলবে। উদাহরণস্বরূপ, বাইবেল সতর্ক করে দেয়: “তোমরা পৃথিবীস্থ আপন আপন অঙ্গ সকল মৃত্যুসাৎ কর, যথা, বেশ্যাগমন, অশুচিতা, মোহ, কু-অভিলাষ, এবং লোভ, এ ত প্রতিমাপূজা। এই সকলের কারণ অবাধ্যতার সন্তানগণের প্রতি ঈশ্বরের ক্রোধ উপস্থিত হয়।” (বাঁকা অক্ষরে মুদ্রণ আমাদের।) (কলসীয় ৩:৫, ৬) এই কথাগুলির প্রতি বাধ্য হওয়ার অর্থ হল অনৈতিক আচরণ প্রত্যাখ্যান করা। এর অন্তর্ভুক্ত হল এমন আমোদ-প্রমোদ যা অপবিত্র যৌন আকাঙ্ক্ষাকে গড়ে তোলার জন্য তৈরি করা হয়েছে তা বর্জন করা। এই আকাঙ্ক্ষাকে পূর্ণ করার পরিবর্তে, সত্য খ্রীষ্টানেরা ঈশ্বরের শুদ্ধ উপাসনার প্রতি ঈর্ষান্বিত।

ধার্মিক ঈর্ষার পরবর্তী উদাহরণগুলি

১২, ১৩. ঈশ্বরের শুদ্ধ উপাসনার প্রতি ঈর্ষা দেখানোর ক্ষেত্রে কিভাবে যীশু এক উল্লেখযোগ্য উদাহরণ স্থাপন করেছিলেন?

১২ সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য এক ব্যক্তির উদাহরণ যিনি ঈশ্বরের শুদ্ধ উপাসনার প্রতি ঈর্ষা দেখিয়েছিলেন তিনি হলেন যীশু খ্রীষ্ট। তাঁর পরিচর্যার প্রথম বছরে তিনি লোভী ব্যবসায়ীদের মন্দিরের প্রাঙ্গণে ব্যবসা করতে দেখেছিলেন। ভ্রমণকারী যিহূদীদের হয়ত মুদ্রা পরিবর্তনকারীদের প্রয়োজন ছিল কারণ তাদের বিদেশী মুদ্রার পরিবর্তে মন্দিরের কর হিসাবে গ্রহণযোগ্য যে মুদ্রা তা দিতে হত। এছাড়া তাদের ঈশ্বরের নিয়ম অনুসারে বলি হিসাবে উৎসর্গ করার জন্য পশু এবং পাখিও কিনতে হত। এইধরনের ব্যবসা মন্দিরের প্রাঙ্গণের বাইরে করা উচিত ছিল। এর থেকেও খারাপ বিষয়টি ছিল এই যে তাদের ভাইয়েদের ধর্মীয় প্রয়োজনের অহেতুক সুযোগ নিয়ে চড়া মূল্যে উপাদানগুলি বিক্রি করছিল। ঈশ্বরের শুদ্ধ উপাসনার জন্য ঈর্ষার সাথে, যীশু চাবুকের সাহায্যে মেষ এবং অন্যান্য পশুদের বার করে দিয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি পোদ্দারদের মেজ উল্টে দিয়েছিলেন এই বলে: “আমার পিতার গৃহকে বাণিজ্যের গৃহ করিও না।” (যোহন ২:১৪-১৬) এইভাবে যীশু গীতসংহিতা ৬৯:৯ পদের কথাগুলি পরিপূর্ণ করেছিলেন: “তোমার গৃহনিমিত্তক উদ্যোগ (অথবা “ঈর্ষা,” বাইংটন) আমাকে গ্রাস করিয়াছে।”

১৩ তিন বছর পরে যীশু আবার দেখেন যে লোভী ব্যবসাদারেরা যিহোবার মন্দিরের মধ্যে ব্যবসা করছে। তিনি কি আবার এটিকে দ্বিতীয়বার পরিষ্কার করবেন? ঈশ্বরের শুদ্ধ উপাসনার প্রতি তাঁর ঈর্ষা তখনও পরিচর্যা শুরু করার সময়ের মত প্রগাঢ় ছিল। তিনি বিক্রেতা এবং ক্রেতা উভয়দেরকেই বার করে দিয়েছিলেন। আর এমনকি তাঁর এই কাজের প্রতি আরও দৃঢ় যুক্তি দেখিয়েছিলেন এই বলে: “‘ইহা কি লেখা নাই, আমার গৃহকে সর্ব্বজাতির প্রার্থনা-গৃহ বলা যাইবে’”? কিন্তু তোমরা ইহা ‘দস্যুগণের গহ্বর’ করিয়াছ।” (মার্ক ১১:১৭) অধ্যবসায়ের সাথে ধার্মিক ঈর্ষা দেখানোর ক্ষেত্রে কতই না এক অপূর্ব উদাহরণ!

১৪. শুদ্ধ উপাসনার প্রতি যীশুর ঈর্ষা আমাদের কিভাবে প্রভাবিত করা উচিত?

১৪ এখন গৌরবান্বিত যীশু খ্রীষ্টের ব্যক্তিত্বের কোন পরিবর্তন হয়নি। (ইব্রীয় ১৩:৮) এই বিংশ শতাব্দীতে, তাঁর পিতার শুদ্ধ উপাসনার প্রতি পৃথিবীতে থাকার সময়ে যেমন ছিলেন তিনি একইরকম ঈর্ষান্বিত রয়েছেন। প্রকাশিত বাক্য পুস্তকে লিপিবদ্ধ করা সাতটি মণ্ডলীর প্রতি যীশুর বার্তা থেকে এটি দেখা যেতে পারে। এখন, “প্রভুর দিনে” এইগুলির মহান পরিপূর্ণতা হবে। (প্রকাশিত বাক্য ১:১০; ২:১–৩:২২) প্রেরিত যোহন তার দর্শনে গৌরবান্বিত যীশু খ্রীষ্টকে দেখেন যাঁর “চক্ষু অগ্নিশিখার তুল্য।” (প্রকাশিত বাক্য ১:১৪) এর অর্থ এই দাঁড়ায় যে খ্রীষ্টের চক্ষু কোন কিছু থেকে নিষ্কৃতি পায় না যখন তিনি মণ্ডলীকে পরীক্ষা করেন এই নিশ্চিত করতে যে তারা যিহোবার পরিচর্যার জন্য শুদ্ধ এবং গ্রহণযোগ্য আছে। বর্তমান দিনের খ্রীষ্টানদের দুইজন প্রভুর—ঈশ্বর এবং ধনের, সেবা করার বিরুদ্ধে যীশুর সতর্কবাণী মনে রাখা উচিত। (মথি ৬:২৪) যীশু লায়দিকেয়া মণ্ডলীর বস্তুবাদী সদস্যদের বলেছিলেন: “এইরূপে তুমি কদুষ্ণ, না তপ্ত না শীতল, এই জন্য আমি নিজ মুখ হইতে তোমাকে বমন করিতে উদ্যত হইয়াছি। . . . উদ্যোগী হও, ও মন ফিরাও।” (প্রকাশিত বাক্য ৩:১৪-১৯) কথা এবং উদাহরণের দ্বারা, মণ্ডলীর নিযুক্ত প্রাচীনদের তাদের সহখ্রীষ্টানদের বস্তুবাদিতার ফাঁদকে এড়ানোর জন্য সাহায্য করা উচিত। প্রাচীনদের এই যৌন-চিন্তক জগতের নৈতিক দুর্নীতি থেকে পালকে রক্ষাও করতে হবে। এছাড়াও, ঈশ্বরের লোকেরা যেন কোনরকমের ঈষেবলের প্রভাব বরদাস্ত না করে।—ইব্রীয় ১২:১৪, ১৫; প্রকাশিত বাক্য ২:২০.

১৫. যিহোবার উপাসনার প্রতি ঈর্ষা দেখানোর ক্ষেত্রে প্রেরিত পৌল কিভাবে যীশুকে অনুকরণ করেছিলেন?

১৫ প্রেরিত পৌল খ্রীষ্টের একজন অনুকরণকারী ছিলেন। মন্দ আধ্যাত্মিক প্রভাবগুলি থেকে নতুন বাপ্তাইজিত খ্রীষ্টানদের রক্ষা করার জন্য, তিনি বলেছিলেন: “ঈশ্বরীয় অন্তর্জ্বালায় তোমাদের জন্য আমার অন্তর্জ্বালা হইতেছে।” (২ করিন্থীয় ১১:২) এটি বলার আগে, পৌলের শুদ্ধ উপাসনার প্রতি ঈর্ষা তাকে প্ররোচিত করেছিল সেই একই মণ্ডলীকে নির্দেশ দিতে অনুতপ্তহীন ব্যভিচারীকে সমাজচ্যুত করতে, কারণ সে এক মন্দ প্রভাব ছিল। সেই সময়ে দেওয়া নির্দেশগুলি আজকের দিনের প্রাচীনদের খুব সাহায্যকারী, কারণ তারা যিহোবার সাক্ষীদের ৭৫,৫০০টির বেশি মণ্ডলীকে পরিষ্কার রাখতে চায়।—১ করিন্থীয় ৫:১, ৯-১৩.

ঈশ্বরের ঈর্ষা তাঁর লোকেদের উপকার করে

১৬, ১৭. (ক) প্রাচীন যিহূদাকে যখন ঈশ্বর শাস্তি দিয়েছিলেন তখন জাতিগণ কী মনোভাব দেখিয়েছিল? (খ) যিহূদার ৭০ বছর বন্দী দশায় থাকার পর কিভাবে যিহোবা যিরূশালেমের প্রতি ঈর্ষা দেখিয়েছিলেন?

১৬ বাবিলনীয়দের দ্বারা বন্দী দশায় নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার দ্বারা ঈশ্বর যখন যিহূদার লোকেদের শাস্তি দিয়েছিলেন, তখন তাদের বিদ্রূপ করা হয়েছিল। (গীতসংহিতা ১৩৭:৩) ঈর্ষান্বিত ঘৃণাবশত, ইদোমীয়েরা এমনকি ঈশ্বরের লোকেদের উপর ধ্বংস নিয়ে আসতে বাবিলনীয়দের সাহায্য করেছিল আর যিহোবা তা দেখেছিলেন। (যিহিষ্কেল ৩৫:১১; ৩৬:১৫) বন্দী দশায় যারা বেঁচে ছিল তারা অনুতপ্ত হয়েছিল এবং ৭০ বছর পরে যিহোবা তাদের নিজের দেশে পুর্নস্থাপন করেছিলেন।

১৭ প্রথমে, যিহূদার লোকেরা খুব খারাপ পরিস্থিতিতে ছিল। যিরূশালেম শহর এবং তার মন্দির সম্পূর্ণ ধ্বংসপ্রাপ্ত অবস্থায় ছিল। কিন্তু চতুরপার্শ্বস্থ জাতিগুলি মন্দির পুনর্নিমাণের সকল প্রচেষ্টাকে বাধা দিয়েছিল। (ইষ্রা ৪:৪, ২৩, ২৪) যিহোবা এই বিষয়ে কী মনে করেছিলেন? অনুপ্রাণিত বিবরণ বলে: “বাহিনীগণের সদাপ্রভু এই কথা বলেন, যিরূশালেমের পক্ষে ও সিয়োনের পক্ষে আমি মহা অন্তর্জালায় জ্বালাযুক্ত হইয়াছি। আর নিশ্চিন্ত জাতিগণের প্রতি আমি মহাক্রোধাবিষ্ট হইয়াছি; কেননা আমি যৎকিঞ্চিৎ ক্রোধাবিষ্ট হইলে তাহারা অমঙ্গলার্থে সাহায্য করিল। এই জন্য সদাপ্রভু এই কথা বলেন, আমি করুণা করিয়া যিরূশালেমে ফিরিয়া আসিলাম; তাহার মধ্যে আমার গৃহ নির্ম্মিত হইবে, ইহা বাহিনীগণের সদাপ্রভু বলেন।” (সখরিয় ১:১৪-১৬) প্রতিজ্ঞা অনুসারে মন্দির এবং যিরূশালেম শহর সফলতার সাথে পুনর্নির্মিত হয়েছিল।

১৮. প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ে সত্য খ্রীষ্টানেরা কী অভিজ্ঞতা লাভ করেছিল?

১৮ সত্য খ্রীষ্টীয় মণ্ডলী এই বিংশ শতাব্দীতে একই অভিজ্ঞতা লাভ করে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ে, যিহোবা তাঁর লোকেদের শাসন করেছিলেন কারণ তারা জাগতিক সংঘর্ষে সম্পূর্ণরূপে নিরপেক্ষ ছিল না। (যোহন ১৭:১৬) ঈশ্বর রাজনৈতিক শক্তিদের দ্বারা তাদের পীড়িত হতে অনুমতি দিয়েছিলেন এবং খ্রীষ্টীয়জগতের পাদ্রীবর্গ এই বিপর্যয়ের উপর খুশি হয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে পাদ্রীবর্গ রাজনীতিবিদ্‌দের দ্বারা বাইবেল ছাত্রদের, যিহোবা সাক্ষীদের তৎকালীন নাম, কাজকে নিষিদ্ধ করার পিছনে অগ্রগণ্য ছিল।—প্রকাশিত বাক্য ১১:৭, ১০.

১৯. কিভাবে যিহোবা ১৯১৯ সালের পর থেকে তাঁর উপাসনার জন্য ঈর্ষা দেখিয়েছেন?

১৯ কিন্তু, তাঁর উপাসনার প্রতি যিহোবা ঈর্ষা দেখিয়েছিলেন এবং তাঁর অনুতপ্ত লোকেদের যুদ্ধের পরের বছর ১৯১৯ সালে তাঁর অনুমোদনের অধীনে পুনর্স্থাপিত করেছিলেন। (প্রকাশিত বাক্য ১১:১১, ১২) এর ফলে, যিহোবার প্রশংসাকারীদের সংখ্যা ১৯১৮ সালে ৪,০০০ জনেরও কম থেকে আজকে তা ৫০ লক্ষের উপর বৃদ্ধি পেয়েছে। (যিশাইয় ৬০:২২) শীঘ্রই, তাঁর শুদ্ধ উপাসনার প্রতি যিহোবার ঈর্ষা আরও বড় আকারে প্রকাশিত হবে।

ভবিষ্যতে ঐশিক ঈর্ষার কাজগুলি

২০. তাঁর সত্য উপাসনার প্রতি ঈর্ষা দেখানোর জন্য যিহোবা শীঘ্রই কী করবেন?

২০ শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে খ্রীষ্টীয় জগতের গির্জাগুলি ধর্মভ্রষ্ট যিহূদীদের পথ অনুসরণ করেছে যারা যিহোবার ঈর্ষাকে প্রণোদিত করে এসেছে। (যিহিষ্কেল ৮:৩, ১৭, ১৮) শীঘ্রই রাষ্ট্রসংঘের সদস্যদের হৃদয়ে এক তীব্র চিন্তা ঢুকিয়ে দেওয়ার দ্বারা যিহোবা ঈশ্বর কাজ করবেন। এটি রাজনৈতিক শক্তিগুলির দ্বারা খ্রীষ্টজগৎ এবং অন্যান্য মিথ্যা ধর্মকে ধ্বংস করতে প্ররোচিত করবে। (প্রকাশিত বাক্য ১৭:১৬, ১৭) সেই ঐশিক বিচারের ভয়াবহ ধ্বংস থেকে সত্য উপাসকেরা রক্ষা পাবে। তারা স্বর্গীয় প্রাণীদের কথাগুলির প্রতি সাড়া দেবে যারা বলেন: “হাল্লিলূয়া, . . . কারণ যে মহাবেশ্যা [মিথ্যা ধর্ম] আপন বেশ্যাক্রিয়া দ্বারা পৃথিবীকে ভ্রষ্ট করিত, তিনি তাহার বিচার করিয়াছেন, তাহার হস্ত হইতে আপন দাসগণের রক্তপাতের পরিশোধ লইয়াছেন।”—প্রকাশিত বাক্য ১৯:১, ২.

২১. (ক) মিথ্যা ধর্ম ধ্বংস হওয়ার পর শয়তান এবং তার বিধিব্যবস্থা কী করবে? (খ) ঈশ্বর এর প্রতি কিভাবে সাড়া দেবেন?

২১ মিথ্যা ধর্মের বিশ্ব সাম্রাজ্য ধ্বংস হওয়ার পর কী হবে? শয়তান রাজনৈতিক শক্তিগুলিকে যিহোবার লোকেদের উপর জগদ্ব্যাপী আক্রমণ নিয়ে আসতে প্ররোচিত করবে। পৃথিবীর বুক থেকে সত্য উপাসনা মুছে ফেলার শয়তানের প্রচেষ্টা দেখে সত্য ঈশ্বর কিধরনের প্রতিক্রিয়া দেখাবেন? যিহিষ্কেল ৩৮:১৯-২৩ পদ আমাদের বলে: “আমি [যিহোবা] নিজ অন্তর্জ্বালায় [অথবা, ঈর্ষায়] ও রোষানলে বলিয়াছি, . . . আমি মহামারী ও রক্ত দ্বারা বিচারে তাহার [শয়তান] সহিত বিবাদ করিব, এবং তাহার উপরে, তাহার সকল সৈন্যদলের উপরে ও তাহার সঙ্গী অনেক জাতির উপরে প্লাবনকারী ধারাসম্পাত ও বড় বড় করকা, অগ্নি ও গন্ধক বর্ষণ করিব। আর আমি আপনার মহত্ত্ব ও পবিত্রতা প্রকাশ করিব, বহুসংখ্যক জাতির সাক্ষাতে আপনার পরিচয় দিব; তাহাতে তাহারা জানিবে যে, আমিই সদাপ্রভু।”—আরও সফনিয় ১:১৮; ৩:৮ পদও দেখুন।

২২. আমরা কিভাবে দেখাতে পারি যে আমরাও যিহোবার শুদ্ধ উপাসনার প্রতি ঈর্ষান্বিত?

২২ এই বিশ্বের সার্বভৌম তাঁর সত্য উপাসকদের ঈর্ষার সাথে যত্ন নেন তা জানা কতই না সান্ত্বনাদায়ক! তাঁর অযাচিত করুণার প্রতি গভীর উপলব্ধিবশত, আসুন আমরা যিহোবা ঈশ্বরের সত্য উপাসনার প্রতি ঈর্ষান্বিত হই। উৎসাহের সাথে, সুসমাচার প্রচার কাজ চালিয়ে যাই এবং মহান দিনের জন্য নিশ্চয়তার সঙ্গে অপেক্ষা করি, যখন যিহোবা তাঁর নামকে মহিমান্বিত এবং পবিত্রকৃত করবেন।—মথি ২৪:১৪.

ধ্যান করার বিষয়গুলি

◻ যিহোবা প্রতি ঈর্ষান্বিত হওয়ার অর্থ কী?

◻ প্রাচীন ইস্রায়েল জাতির দ্বারা স্থাপিত উদাহরণ থেকে আমরা কী শিখতে পারি?

◻ যিহোবা যাতে ঈর্ষা না করেন তা আমরা কিভাবে এড়াতে পারি?

◻ কিভাবে ঈশ্বর এবং খ্রীষ্ট শুদ্ধ উপাসনার প্রতি ঈর্ষা দেখিয়েছেন?

[১২ পৃষ্ঠার বাক্স]

প্রেম ঈর্ষা করে না

হিংসা সম্পর্কে, উনবিংশ শতাব্দীর বাইবেল পন্ডিত অ্যালবার্ট বার্নস লিখেছিলেন: “এটি দুষ্টতার একটি অতিসাধারণ প্রকাশ এবং তা স্পষ্টভাবে ব্যক্তির অতিশয় মন্দতাকে দেখায়।” তিনি আরও বলেছিলেন: “এমন এক ব্যক্তি যে, সমস্ত যুদ্ধ এবং বিবাদ এবং জাগতিক পরিকল্পনার উৎস খোঁজে, সে দেখবে—এমন কি নামধারী খ্রীষ্টানদের সমস্ত পরিকল্পনা ও উদ্দেশ্য তাদের ধর্মকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং তাদের বস্তুবাদী করে তোলে এটি দেখে আশ্চর্য হবে যে তা কত বেশি হিংসার কারণবশত। আমাদের থেকে অন্যেরা বেশি সমৃদ্ধশালী দেখে আমরা কষ্ট পাই; অন্যদের যা আছে আমরা তা পেতে চাই, যদিও তাতে আমাদের কোন অধিকার নেই; এবং এটি তার দ্বারা প্রাপ্ত তাদের সুখকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে অথবা নিজেদের জন্য তা অর্জন করতে বা সাধারণভাবে লোকেদের কাছে যা থাকে তা নেই, সেটি দেখানোর জন্য বিভিন্ন মন্দ কাজে তা পরিচালিত করে। . . . কারণ এইভাবে হৃদয়ের মধ্যে হিংসার মনোভাব তৃপ্ত হয়।”—রোমীয় ১:২৯; যাকোব ৪:⁠৫.

এর বিপরীতে, বার্নস প্রেম সম্পর্কে যা “হিংসা করে না” এক আগ্রহজনক মন্তব্য করেছিলেন। (১ করিন্থীয় ১৩:​৪, কিং জেমস্‌ ভারসন) তিনি লিখেছিলেন: “প্রেম অন্যের উপভোগ্য সুখকে হিংসা করে না; এটি তাদের মঙ্গলে আনন্দ করে; এবং তাদের সুখ বৃদ্ধি পেলে . . . প্রেম দ্বারা পরিচালিত ব্যক্তিরা . . . , এটিকে হ্রাস করবে না; তাদের ভাল অবস্থার জন্য তারা তাদের অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতে ফেলবে না; তারা ওই সুখকে হ্রাস করবে না; তারা নিজেরা এত ভাল পরিস্থিতিতে নেই বলে অভিযোগ করবে না অথবা অসন্তোষ প্রকাশ করবে না। . . . যদি আমরা অন্যদের প্রেম করে থাকি—যদি আমরা তাদের সুখে আনন্দিত হয়ে থাকি, তাহলে আমরা তাদের হিংসা করব না।”

[১০ পৃষ্ঠার চিত্র]

যিহোবার সত্য উপাসনার প্রতি পীনহস ঈর্ষান্বিত ছিলেন

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার