ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৫ ১০/১ পৃষ্ঠা ৩-৫
  • হতাশাজনক প্রচেষ্টার বছরগুলি

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • হতাশাজনক প্রচেষ্টার বছরগুলি
  • ১৯৯৫ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • শান্তি এবং সুরক্ষা—অপ্রাপ্য লক্ষ্যগুলি
  • সম্প্রচার মাধ্যমের প্রভাব
  • যুদ্ধবিহীন এক জগৎ—কখন?
    ১৯৯৫ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • যুদ্ধের ভবিষ্যৎ কী?
    ১৯৯৯ সচেতন থাক!
  • উত্তম সরকারের খোঁজে
    ২০০৪ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
১৯৯৫ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৫ ১০/১ পৃষ্ঠা ৩-৫

হতাশাজনক প্রচেষ্টার বছরগুলি

“আমরা রাষ্ট্রসংঘের লোকেরা দৃঢ়প্রত্যয়ী যে সামনের বংশগুলিকে যুদ্ধের দুর্দশা থেকে রক্ষা করব, যা আমাদের জীবনকালে দুইবার মানবজাতির জন্য অপরিমেয় দুঃখ নিয়ে এসেছে, মানুষের মৌলিক অধিকারের প্রতি বিশ্বাস পুনর্স্থাপন করা, মানুষের মর্যাদা এবং মূল্যবোধ এবং ছোট ও বড় দেশগুলিতে পুরুষ এবং স্ত্রীদের একই অধিকার, . . .”—রাষ্ট্রসংঘের চার্টারের ভূমিকা।

অক্টোবার ২৪, ১৯৯৫ রাষ্ট্রসংঘের ৫০তম বার্ষিকী। সমস্ত ১৮৫ বর্তমান সদস্য দেশগুলি এই সংগঠনের নীতি এবং লক্ষ্যগুলির প্রতি বদ্ধপরিকর যা চার্টারে ব্যক্ত করা হয়েছে: আন্তর্জাতিক শান্তি এবং সুরক্ষা বজায় রাখা; যা জগৎ শান্তিকে নষ্ট করে সেই কাজগুলিকে দমন করা; দেশগুলির মধ্যে আরও মৈত্রী সম্পর্ক গড়ে তুলতে উৎসাহ দেওয়া; জাতি, লিঙ্গ, ভাষা অথবা ধর্ম হেতু পক্ষপাতিত্ব না করে সকল লোকেদের মৌলিক স্বাধীনতা রক্ষা করা; আর আর্থিক, সামাজিক, এবং সাংস্কৃতিক সমস্যাগুলি সমাধান করার দ্বারা আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিয়ে আসা।

৫০ বছর ধরে রাষ্ট্রসংঘ জগতে শান্তি এবং সুরক্ষা নিয়ে আসার জন্য উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা করেছে। যুক্তিযুক্তরূপে বলা যেতে পারে যে, এটি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধকে সম্ভবত দমিয়ে রাখতে পেরেছে এবং পারমাণবিক বোমাগুলি ব্যবহারের মাধ্যমে মানবজাতির ব্যাপক ধ্বংসের আর কোন পুনরাবৃত্তি হয়নি। রাষ্ট্রসংঘ কোটি কোটি ছেলেমেয়েদের খাদ্য এবং ওষুধ যুগিয়েছে। অন্যান্য জিনিসগুলির মধ্যে, আরও পরিষ্কার জল এবং মারাত্মক রোগগুলির বিরুদ্ধে টীকার ফলে অনেক দেশগুলিতে এটি স্বাস্থ্যের মানকে উন্নত করেছে। কোটি কোটি উদ্বাস্তুরা মানবিক সাহায্য পেয়েছে।

এর সাফল্যের খাতিরে রাষ্ট্রসংঘকে পাঁচবার নোবেল পুরস্কার দান করা হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় হল যে, আমরা এখনও যুদ্ধবিহীন এক জগতে বাস করছি না।

শান্তি এবং সুরক্ষা—অপ্রাপ্য লক্ষ্যগুলি

৫০ বছর প্রচেষ্টা করার পরও, শান্তি এবং সুরক্ষা এখনও অপ্রাপ্য লক্ষ্য হিসাবে রয়ে গেছে। রাষ্ট্রসংঘের জেনেরাল অ্যাসেম্বলির কাছে সাম্প্রতিক এক বক্তৃতায়, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এইভাবে তার হতাশা ব্যক্ত করেন, “এই শতাব্দী আশা এবং সুযোগ এবং সাফল্য দ্বারা পূর্ণ কিন্তু তা সম্পূর্ণ ধ্বংস এবং বিষণ্ণতার দ্বারাও পূর্ণ।”

যখন ১৯৯৪ সাল শেষ হয়ে আসছিল, দ্যা নিউ ইর্য়ক টাইমস উল্লেখ করে: “প্রায় ১৫০টি যুদ্ধ অথবা খণ্ডযুদ্ধ চলছে যাতে হাজার হাজার লোকেরা মৃত্যুবরণ করছে—অনুমান করা হয় সৈনিকের থেকে জনসাধারণ বেশি—এবং লক্ষ লক্ষ উদ্বাস্তু হয়ে দাঁড়াচ্ছে।” ইউনাইটেড নেশনস ডিপার্টমেন্ট অফ পাবলিক ইনফরমেশন রিপোর্ট করে যে, ১৯৪৫ থেকে সশস্ত্র লড়াইয়ের ফলে প্রায় দুই কোটির বেশি লোক তাদের জীবন হারিয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত, মেডেলিন অলব্রাইট লক্ষ্য করেন যে, “সাম্প্রদায়িক লড়াই অনেক দিক দিয়ে আরও মারাত্মক হয়ে উঠছে।” মানব অধিকারের উলঙ্ঘন এবং ভেদাভেদের খবর প্রতিদিন শোনা যায়। মনে হয় অনেক দেশ বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ না দেখিয়ে একে অপরকে বরদাস্ত করে চলেছে।

স্যার ডেভিড হ্যানা, রাষ্ট্রসংঘের জন্য ব্রিটেনের রাষ্ট্রদূত স্বীকার করেন যে, “১৯৮০ দশক পর্যন্ত রাষ্ট্রসংঘ প্রায় সম্মানসূচক এক ব্যর্থতা প্রমাণিত হয়েছে।” রাষ্ট্রসংঘের সেক্রেটারি-জেনেরাল, বুতরস বুতরস-ঘালি ক্ষেদ প্রকাশ করেন যে, শান্তি রক্ষার কাজগুলির ক্ষেত্রে বৃদ্ধিরত উদাসীনতা এবং ক্লান্তিভাব সদস্য দেশগুলির মধ্যে দেখা যাচ্ছে। তিনি পরিসমাপ্তিতে আসেন যে অধিকাংশ সদস্যদের জন্য, “রাষ্ট্রসংঘ প্রথম স্থান গ্রহণ করে না।”

সম্প্রচার মাধ্যমের প্রভাব

যতই শক্তিশালী রাষ্ট্রসংঘ হোক না কেন, এর প্রচেষ্টাগুলি বেশির ভাগ সময়ে রাজনীতি এবং সম্প্রচার মাধ্যমের দ্বারা ব্যর্থ হয়ে যায়। রাষ্ট্রসংঘ শক্তিহীন হয়ে যায় যদি তার সদস্যদের সমর্থন না পায়। কিন্তু জনসাধারণের অনুমোদন ছাড়া অনেক ইউএন সদস্যেরা রাষ্ট্রসংঘকে সমর্থন করবে না। উদাহরণস্বরূপ, দ্যা ওয়াল স্ট্রীট জার্নাল অনুযায়ী, “সোমালিয়া এবং বসনিয়াতে উল্লেখযোগ্য অকৃতকার্যতার ফলে অনেক আমেরিকাবাসীরা মনে করে যে এই সংগঠন শুধুমাত্র নষ্টই করে না কিন্তু আসলে খুব বিপজ্জনক।” জনসাধারণের এই মনোভাব, পরিবর্তে কিছু অ্যামেরিকান রাজনীতিবিদ্‌দের মধ্যে বিশ্বাস জাগিয়েছে এই প্রস্তাব দিতে যে রাষ্ট্রসংঘের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সাহায্য কমিয়ে দিক।

রাষ্ট্রসংঘকে তীব্রভাবে সমালোচনা করার বিষয়ে সংবাদ সংঘটনগুলি কিছু কম যায় না। ইউএন কাজগুলির বিভিন্ন দিকগুলি বর্ণনা করতে গিয়ে এই ভাষাগুলি যেমন “সম্পূর্ণ অকৃতকার্যতা,” “সমস্যাপূর্ণ,” “অকার্যকর,” এবং “পঙ্গু” সাধারণভাবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। দ্যা ওয়াশিংটন পোস্ট ন্যাশন্যাল ইউকলি এডিশন সম্প্রতি বলে যে, “রাষ্ট্রসংঘ হল ধীর গতি আমলাতন্ত্র যা বাস্তব জগতের সাথে মানিয়ে নেওয়ার লড়াই করছে।”

আরেকটি সংবাদপত্র উদ্ধৃতি করে সেক্রেটারি-জেনেরাল বুতরস বুতরস-ঘালি যিনি রুয়ান্ডার হত্যাকান্ডের বিষয়ে তার হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছিলেন: “এটি শুধুমাত্র রাষ্ট্রসংঘের নয়, এটি আন্তর্জাতিক সমাজের জন্য ব্যর্থতা। আর আমরা সকলে এই ব্যর্থতার জন্য দায়ী।” এক জনপ্রিয় টেলিভিশন সংবাদ-ধারাবাহিক ১৯৯৩ সালে ঘোষণা করে যে রাষ্ট্রসংঘ “শান্তির প্রতি সবচেয়ে বড় যে ভয়—পারমাণবিক অস্ত্রের বৃদ্ধি তা বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে।” সেই টিভি অনুষ্ঠান রাষ্ট্রসংঘের বিষয় বলতে গিয়ে বলে যে, “দশকের পর দশক ধরে এটি শুধুমাত্র আলোচনাই করেছে।”

চারিদিকে এই নিরাশাজনক মনোভাব রাষ্ট্রসংঘের আধিকারিকদের মনে চাপ সৃষ্টি করে এবং হতাশা আরও বাড়িয়ে দেয়। তবুও, হতাশা থাকা সত্ত্বেও, রাষ্ট্রসংঘের ৫০তম বার্ষিকীতে, অনেকে একটি ভালো আরম্ভ নিয়ে শুরু করার আশা করছে। যদিও তিনি রাষ্ট্রসংঘের দুর্বলতাগুলি স্বীকার করেন, রাষ্ট্রদূত অলব্রাইট অনেক লোকের মনের ভাব প্রকাশ করেন যখন তিনি বলেন: “আমরা যা ছিলাম সেই সম্বন্ধে কথা বন্ধ করতে হবে এবং কোথায় আমরা যাচ্ছি সেই সম্বন্ধে কথা বলা উচিত।”

হ্যাঁ, জগৎ কোন্‌ দিকে যাচ্ছে? যুদ্ধবিহীন এক জগৎ কি সম্ভব? যদি তাই হয়, তাহলে রাষ্ট্রসংঘ এতে কী ভূমিকা গ্রহণ করবে? এছাড়াও, আপনি যদি ঈশ্বর-ভীরু হন তাহলে আপনার জিজ্ঞাসা করা উচিত, ‘এর মধ্যে ঈশ্বরের ভূমিকা কী হবে?’

[৪ পৃষ্ঠার বাক্স]

হতাশাজনক প্রচেষ্টাগুলি

যতক্ষণ পর্যন্ত যুদ্ধ, দারিদ্র, অপরাধ এবং দুর্নীতি রয়েছে ততক্ষন শান্তি এবং সুরক্ষা আসতে পারে না। রাষ্ট্রসংঘ সম্প্রতি এই বিষয়গুলির একটি পরিসংখ্যাণ তালিকা বার করে।

যুদ্ধ: ১৯৮৯ এবং ১৯৯২ সালের ৮২টি সশস্ত্র লড়াইয়ের মধ্যে ৭৯টি ছিল গৃহযুদ্ধ, যা বেশির ভাগ সাম্প্রদায়িক; ৯০ শতাংশ মৃতেরা জনসাধারণ।”—ইউনাইটেড নেশনস ডিপার্টমেন্ট অফ পাবলিক ইনফরমেশন (ইউ এন ডি পি আই)

অস্ত্র: “আই সি আর সি [ইন্টারন্যাশন্যাল কমিটি অফ দ্যা রেড ক্রস] অনুমান করে যে প্রায় প্রতিবছর ৯৫টিরও বেশি উৎপাদনকারী ৪৮টি দেশে ৫০ লক্ষ থেকে ১ কোটি অ্যান্টি-পারসনেল মাইনস তৈরি করছে।”—ইউনাইটেড নেশনস হাই কমিশনার ফর রেফিউজিস্‌ (ইউ এন এইচ সি আর)

“আফ্রিকাতে ১৮টিরও বেশি দেশে প্রায় ৩ কোটি মাইনস ছড়ানো রয়েছে।—ইউ এন এইচ সি আর

দরিদ্রতা: “জগদ্ব্যাপী, পাঁচ জনের মধ্যে একজন—একশো কোটির থেকে বেশি—দরিদ্রতার মাত্রার নিচে বাস করে এবং আনুমানিক ১ কোটি ৩০ লক্ষ থেকে ১ কোটি ৮০ লক্ষ ব্যক্তি বার্ষিক দরিদ্রতার কারণে মারা যায়।”—ইউ এন ডি পি আই

অপরাধ: “১৯৮০ এর দশক থেকে জগদ্ব্যাপী গড়ে ৫ শতাংশ অপরাধের বৃদ্ধি প্রতি বছরে রিপোর্ট করা হয় এমন অপরাধ বেড়েছে; শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রে ৩ কোটি ৫০ লক্ষ অপরাধ প্রতি বছরে ঘটে।”—ইউ এন ডি পি আই

দুর্নীতি: “জনসাধারণের মধ্যে দুর্নীতি সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কয়েকটি দেশে আর্থিক জুয়াচুরি সেই দেশের বার্ষিক সমস্ত উপাদানগুলির ১০ শতাংশের সমতুল্য অনুমান করা হয়।”—ইউ এন ডি পি আই

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার