দানশীলতার মনোভাব কি আপনার আছে?
আপনি কি লক্ষ্য করেছেন যে একাধিক মনোভাব একজন মানুষকে কিছু দিতে অনুপ্রাণিত করে? উপহার হয়ত প্রেম, উদারতা ও উপলব্ধিবোধের এক প্রকাশ হতে পারে। তবুও আপনি কি এটা লক্ষ্য করেছেন যে কারও চোখে অনুগ্রহ লাভ করার জন্যও উপহার দেওয়া হয়ে থাকে? অথবা কেবলমাত্র দায়িত্ববোধের জন্য কিম্বা দাতা তার দানের বিনিময়ে কিছু চান এর জন্যও দান করা হতে পারে।
উপহারটি হয়ত সুন্দর একটি ফিতা বাঁধা প্যাকেটে দেওয়া হয়। কিন্তু এটাও কি সত্য নয় যে ফুলের ডালি, পাত্রে দেওয়া কিছু খাদ্যদ্রব্য অথবা অনুগ্রহপূর্বক কিছু কাজ এগুলিও এক উত্তম উপহারের পর্যায় পড়ে? বস্তুতপক্ষে, যে উপহারগুলির প্রতি সবচাইতে বেশি উপলব্ধিবোধ দেখানো হয় তা হল যখন একজন নিজেকে দান করে।
এমন কেউ কি আছে যার অনুগ্রহ আপনি পেতে চান?
এটা কোন অস্বাভাবিক ব্যাপার নয় যে একজন ব্যক্তি তাকেই উপহার দিতে চাইবে যার অনুগ্রহ সে কামনা করে। কিছু দেশে একজন যুবক যখন তার প্রত্যাশিত স্ত্রীর হৃদয় জয় করতে চায় তখন সে হয়ত তার জন্য ফুল নিয়ে আসতে পারে। কিন্তু একজন বুদ্ধিমতী নারী উপহারের চাইতেও আরও গভীর কিছু বিষয়ের প্রতি লক্ষ্য রাখে। সে এটাও বিবেচনা করে যে এই যুবক ব্যক্তিটি কি প্রেমের মনোভাব নিয়ে উপহারটি দিয়েছে যা তাকে ভবিষ্যতে এক উত্তম স্বামী করে তুলবে। এইধরনের উপহার যা ঈশ্বরীয় মনোভাবকে প্রতিফলিত করে, তা যিনি দান করছেন তার জন্যও ও যিনি গ্রহণ করছেন তার জন্যও অতিশয় আনন্দ নিয়ে আসতে পারে।
বাইবেল নাবলের স্ত্রী, অবীগলের কথা বলে, যিনি দায়ূদের জন্য ত্বরিত গতিতে উত্তম উপহার তৈরি করেছিলেন, কারণ তিনি জানতেন যে ঈশ্বর তাকেই ইস্রায়েলের ভবিষ্যৎ রাজা হিসাবে নির্বাচন করেছেন। তিনিও অনুগ্রহ কামনা করেছিলেন। তার স্বামী দায়ূদকে অস্বীকার করেন এবং দায়ূদের লোককে উচ্চস্বরে বিদ্রূপ করেছিলেন। ৪০০ জন সশস্ত্র লোককে সঙ্গে নিয়ে, দায়ূদ এগিয়ে আসেন নাবল ও তার পরিবারকে ধ্বংস করতে। এর মধ্যে অবীগল হস্তক্ষেপ করেন এবং ত্বরিত গতিতে দায়ূদের কাছে তার লোকেদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য দ্রব্যের উপহার পাঠিয়ে দেন। উপহার পাঠিয়ে দেওয়ার পর তিনি নিজেও আসেন এবং তার স্বামী যা করেছেন তার জন্য ক্ষমা চাওয়ার পর, দায়ূদের সাথে যুক্তি করার দ্বারা তিনি তার অপূর্ব বিচক্ষণতার প্রমাণ দেন।
তার উদ্দেশ্য ছিল মহৎ ও তার ফলও হয়েছিল উত্তম। দায়ূদ তার উপহার গ্রহণ করেন এবং তাকে বলেন: “তুমি কুশলে ঘরে যাও; দেখ, আমি তোমার রবে কর্ণপাত করিয়া তোমাকে গ্রাহ্য করিলাম।” পরে, নাবলের মৃত্যুর পর, দায়ূদ অবীগলকে বিবাহ করার প্রস্তাব দেন আর তিনি তা সানন্দে গ্রহণ করেন।—১ শমূয়েল ২৫:১৩-৪২.
কিন্তু, কিছু ক্ষেত্রে, একজন ব্যক্তি যখন কোন অনুগ্রহ চায় তখন তার মধ্যে হয়ত অন্তর্ভুক্ত থাকে পক্ষপাতিত্ব, এমনকি বিকৃত বিচার। সেই ক্ষেত্রে উপহার এক উৎকোচ হয়ে দাঁড়ায়। যিনি দান করছেন তিনি হয়ত ভাবতে পারেন যে এর দ্বারা তিনি উপকৃত হবেন, কিন্তু আসলে তিনি তার মনের শান্তি হারিয়ে ফেলছেন। অপরের হাতে ধরা পড়া ও জবাবদিহি করার বিপদ সর্বদা থাকে। এমনকি অনুগ্রহ যদি পাওয়াও যায়, তবুও যিনি তা পেলেন তার মনোভাব সম্বন্ধে সবসময়ই একটা প্রশ্ন থেকে যায়। ঈশ্বরীয় প্রজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে বাইবেল এইধরনের উপহার সম্বন্ধে সতর্ক করে দেয়।—দ্বিতীয় বিবরণ ১৬:১৯; উপদেশক ৭:৭.
উপহারটি কি স্বেচ্ছাকৃত হৃদয় থেকে আসে?
এই বিষয় কোন সন্দেহ নেই যে—অন্যদের প্ররোচনায় পড়ে কাউকে কিছু বাধ্য হয়ে দেওয়ার চাইতে আপনি যাকে ভালবাসেন তাকে স্বেচ্ছায় কিছু দেওয়ার মধ্যে অনেক বেশি আনন্দ আছে।
সহখ্রীষ্টানেরা, যাদের বস্তুগত সাহায্যের প্রয়োজন ছিল তাদের জন্য ত্রাণ সামগ্রী যোগাড় করার সময় প্রেরিত পৌল ঈশ্বরীয় দানের এক উত্তম নীতিকে তুলে ধরেন। “যদি আগ্রহ থাকে,” তিনি লেখেন, “তবে যাহার যাহা আছে, তদনুসারে তাহা গ্রাহ্য হয়; যাহার যাহা নাই, তদনুসারে নয়।” তিনি আরও বলেন: “প্রত্যেক ব্যক্তি আপন আপন হৃদয়ে যেরূপ সংকল্প করিয়াছে, তদনুসারে দান করুক, মনোদুঃখপূর্বক কিম্বা আবশ্যক বলিয়া না দিউক; কেননা ঈশ্বর হৃষ্টচিত্ত দাতাকে ভাল বাসেন।” (২ করিন্থীয় ৮:১২; ৯:৭) অতএব, অনেক কিছু আপনার উপর নির্ভর করে। উপহার দেওয়ার মত্ততায় ধার করার পরিবর্তে আপনি কি আপনার ক্ষমতার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেন? সামাজিক অথবা বাণিজ্যিক চাপে পড়ে বাধ্য হয়ে কিছু দান করার পরিবর্তে, আপনি কি আপনার হৃদয় থেকে তা করেন? প্রাথমিক খ্রীষ্টানেরা যারা এই ঈশ্বরীয় নীতিটি প্রয়োগ করেছিলেন তাদের সম্বন্ধে পৌল লেখেন: “বিস্তর অনুনয় সহকারে সেই অনুগ্রহের সম্বন্ধে, এবং পবিত্রগণের পরিচর্য্যায় সহভাগিতার সম্বন্ধে, আমাদের কাছে অনুরোধ করিয়াছিল।”—২ করিন্থীয় ৮:৪.
এর বিপরীতে, ১৯৯৪ সালের নভেম্বর/ডিসেম্বর মাসের রয়াল ব্যাঙ্ক লেটার বড়দিনের পূর্ববর্তী সপ্তাহগুলি সম্বন্ধে বলে: “এই মরশুমে এক বাহ্যিক উত্তেজনার দৃশ্য দেখা যায় যেখানে ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের আকৃষ্ট করে সেই সব জিনিসগুলি কিনতে যা হয়ত তারা অন্য সময় কিনত না।” যদি ধারে কিছু কেনা হয়, তাহলে উপহার দেওয়ার মধ্যে থেকে যে তৃপ্তি আসে তা সহজেই বিলুপ্ত হয়ে যায় যখন বিলগুলি পুরণ করতে হয়।
আপনার মুখ্য উদ্দেশ্য—উপলক্ষ? অথবা প্রেমের প্রকাশ?
যে সব উপলক্ষে দান আশা করা হয় আপনি কি দেখেছেন যে সেখানেই শুধু আপনি উপহার দিয়ে থাকেন? যদি তাই হয়, তাহলে স্বতঃস্ফূর্তভাবে দান করার মধ্যে যে আনন্দ আছে তার থেকে আপনি বঞ্চিত হচ্ছেন।
অনেক লোক আছে যারা নির্দিষ্ট কোন দিনে উপহার দেওয়াকে পছন্দ করে না। একজন মা, যিনি একজন লেখিকাও, তিনি স্বীকার করেন যে যতই উপহার পাওয়ার সেই নির্দিষ্ট দিনটি এগিয়ে আসে তার সন্তানদের মধ্যে একধরনের লোভের আভাস দেখতে পাওয়া যায়। তিনি নিজেও স্বীকার করেছেন যে আশানুরূপ এক উত্তম উপহার না পাওয়ার দরুন তার সমস্ত আনন্দই মাটি হয়ে গিয়েছিল। বহু রিপোর্ট জানায় যে, যে সব ছুটির দিনগুলিতে উৎসব ও উপহারের আদান-প্রদান হয়ে থাকে সেই সব দিনগুলিতেই আবার মানসিক বিষণ্ণতা ও মাদক দ্রব্যের অপব্যবহার দেখা যায়।
ছুটির সময় উপহার দেওয়ার ব্যাপারটি যেভাবে ছোট ছেলেমেয়েদের উপর এক বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে তা লক্ষ্য করে মনোবিজ্ঞানের এক অধ্যাপক নিউ ইয়র্ক টাইমস-এ উল্লেখিত একটি প্রস্তাব দেন: “অন্য যে কোন একটি দিনে উপহার দেওয়া হল চাপ কমানোর একটা উপায়।” আপনি কি মনে করেন যে এটি এক উত্তম প্রভাব ফেলবে?
ট্যামি, ১২-বছরের একটি মেয়ে, যার বাড়িতে বড়দিন ও জন্মদিন পালন করা হয় না, সে লেখে: “যখন আপনি আশা করছেন না তখনই কোন উপহার পাওয়ার মধ্যে আরও বেশি আনন্দ আছে।” মেয়েটি বলে, বছরে একবার কি দুইবার উপহার দেওয়ার পরিবর্তে, তার বাবামা সারা বছর ধরে তাকে ও তার ভাইকে উপহার দিয়ে থাকে। কিন্তু তার কাছে ঐ উপহারগুলির চেয়েও আরেকটি জিনিস আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সে এইভাবে বিষয়টিকে প্রকাশ করেছিল, “আমার এক অত্যন্ত সুখী পারিবারিক জীবন আছে।”
দৃঢ় পরিবারগুলির গুপ্ত রহস্য (ইংরাজি) নামক বইটি স্পষ্টভাবে বলে: “আমাদের মধ্যে অধিকাংশই জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকী অথবা ছুটির দিনগুলিতে অনেক সময় ও অর্থ ব্যয় করি সেই সব লোকেদের জন্য এক উত্তম উপহার কিনতে যাদের আমরা ভালবাসি। সবচাইতে শ্রেষ্ঠ উপহারের জন্য ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তোলার কোন প্রয়োজন হয় না। সেটিকে কাগজে মুড়তেও হয় না। আপনি যদি বিশ্বাস করেন, যেমন অধিকাংশ লোকেরা করে থাকে, যে সবচাইতে মূল্যবান বস্তু যা আপনার কাছে আছে তা হল আপনার জীবন, তাহলে সেই জীবনের কিছুটা সময়ই হল এক অত্যন্ত মূল্যবান উপহার যা আপনি দিতে পারেন। আমরা আমাদের প্রিয়জনদের সাথে কিছুটা সময় কাটানোর দ্বারাই সবচাইতে মূল্যবান উপহার তাদের দিয়ে থাকি।”
এই দান আপনি আপনার নিজস্ব পরিবারের বাইরেও করতে পারেন। অপরের প্রয়োজন পূরণ করার জন্য যে স্বতঃস্ফূর্ত দান তা এক বিশেষ তৃপ্তি নিয়ে আসে। যীশু খ্রীষ্ট এইধরনের প্রেমপূর্ণ সহানুভূতি দরিদ্র, খঞ্জ ও অন্ধদের প্রতি আমাদের দেখাতে বলেন আর তিনি এও বলেন: “তাহাতে ধন্য [“সুখী,”NW] হইবে, কেননা তোমার প্রতিদান করিতে তাহাদের কিছু নাই।”—লূক ১৪:১২-১৪.
এইধরনের দান সম্বন্ধে সম্প্রতি রকল্যান্ড জার্নাল-নিউজ (ইউ.এস.এ.) একটি উদাহরণ দেয়। যখন এক অন্ধ বৃদ্ধা মহিলার ঘর ভেঙে পড়ে, বন্ধুবান্ধবেরা তার জন্য একটি নতুন ঘর তৈরি করে দেয়। স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলি অর্থ দান করে আর স্থানীয় সরকারের প্রতিনিধি এর জন্য টাকা ধার্য করে। “যদিও সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল,” সংবাদপত্রটি জানায়, “১৫০ জনের মত লোকেরা, যাদের মধ্যে অধিকাংশই হেবারস্ট্রয়ে যিহোবার সাক্ষীদের মণ্ডলীর সাথে যুক্ত, তারা তাদের সময় দেয় গৃহটি নির্মাণ করার কাজে।”
প্রবন্ধটি আরও বলে: “নির্মাণস্থলে বোঝাই করা মালপত্র রয়েছে আর তারই পাশে টেবিল ভর্তি খাবার। দুইদিনের মধ্যে কর্মীরা তিনতলা বিশিষ্ট দুটি অ্যাপার্টমেন্ট তৈরি করে ফেলে। . . . অল্পসময়ের মধ্যে বাড়ি নির্মাণ করার জন্য যিহোবার সাক্ষীরা খুবই পরিচিত। . . . এইধরনের তৎপরতা তাদের স্থায়ী উদ্দেশ্যের তুলনায় খুবই বিপরীত, যা হল: প্রেমপূর্ণ কাজের ক্ষেত্রে স্থায়ীত্ব বজায় রাখা। মিস. ব্ল্যাকলী হয়ত তার নতুন গৃহটি দেখতে পাবেন না কিন্তু তিনি তার হাত দিয়ে তা উপলব্ধি করতে পারবেন এবং তার হৃদয় জানে যে এইধরনের স্বার্থহীন কাজের পিছনে কতখানি গভীরতা লুকিয়ে আছে।”
সারা বছর ধরে উদারতার মনোভাব
যারা মনোভাবের ক্ষেত্রে প্রকৃতই উদার তারা কোন বিশেষ দিনের জন্য অপেক্ষা করে না। তাদের জীবন কেবলমাত্র নিজেদের কেন্দ্র করেই গড়ে ওঠে না। তারা যখন কোন কিছু উত্তম জিনিস পায় তখন তা অপরের সাথে বন্টন করে আনন্দ পায়। এটার মানে এই নয় যে তারা বাধ্যতামূলকরূপে উপহার দিয়ে থাকে। এটার মানে এও নয় যে তারা তাদের পরিবারকে বঞ্চিত করে উপহার দেয়। যাকে দেওয়া হচ্ছে তার উপর কী প্রভাব পড়তে পারে এই কথা চিন্তা না করে যে তারা উপহার দেয় তাও নয়। তবুও, তারা হচ্ছে সেই ধরনের লোক যারা “দেওয়া অভ্যাস” করে, যেমন যীশু তাঁর শিষ্যদের তাই করতে শিখিয়েছিলেন।—লূক ৬:৩৮, NW.
তারা তাদের বন্ধুবান্ধব ও প্রতিবেশী, যারা বৃদ্ধ, অসুস্থ অথবা যাদের উৎসাহের প্রয়োজন আছে, তাদের পরিস্থিতি সম্বন্ধে সচেতন। তাদের “উপহার” এর অন্তর্ভুক্ত বস্তুটি হয়ত দোকানে যাওয়া অথবা ঘরের কোন কাজ করতে সাহায্য করা। হয়ত কাঠ কাটা অথবা বরফ পরিষ্কার করা। হয়ত বা একবাটি খাবার তৈরি করে দেওয়া অথবা কিছু সময় তাদের সাথে ব্যয় করা ও একসাথে কিছু পড়া। তাদের নিজস্ব জীবনও হয়ত ব্যস্তময়, কিন্তু তারা অপরকে সাহায্য করার ক্ষেত্রে কখনই অতি ব্যস্তবোধ করে না। তারা হয়ত তাদের অভিজ্ঞতা থেকে বুঝতে পেরেছে যে “গ্রহণ করা অপেক্ষা বরং দান করা ধন্য হইবার বিষয়।”—প্রেরিত ২০:৩৫.
অবশ্যই, সবচাইতে মহান দানশীল ব্যক্তি হলেন, আমাদের সৃষ্টিকর্তা, যিহোবা ঈশ্বর। তিনি “সকলকে জীবন ও শ্বাস ও সমস্তই দিতেছেন।” (প্রেরিত ১৭:২৫) এছাড়াও, দুষ্টতা, অসুস্থতা ও মৃত্যুকে সরিয়ে দিয়ে এই পৃথিবীকে পরমদেশ করা সম্বন্ধীয় তাঁর যে উদ্দেশ্য সেই সম্বন্ধে বাইবেলের মাধ্যমে তিনি আমাদের অন্তর্দৃষ্টি যোগান। (গীতসংহিতা ৩৭:১০, ১১; প্রকাশিত বাক্য ২১:৪, ৫) এটি শেখার পর, যারা উদার মনোভাবাপন্ন তারা এই সুসমাচারকে নিজেদের মধ্যে রেখে দেয় না। তাদের সবচাইতে বেশি আনন্দের একটি দিক হল অপরের সাথে তা বন্টন করা। প্রকৃতই তাদের এক ঈশ্বরীয় দানশীলতার মনোভাব আছে। সেই মনোভাবই কি আপনি গড়ে তুলছেন?
[Pictures on page 7]
কয়েকটি অত্যন্ত মূল্যবান উপহারের জন্য কোন অর্থ লাগে না