ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৬ ৪/১৫ পৃষ্ঠা ৫-৬
  • সামনেই সুসংবাদ!

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • সামনেই সুসংবাদ!
  • ১৯৯৬ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • সকল দুঃসংবাদের কারণ
  • দুঃসংবাদের বৃদ্ধি কেন?
  • এটি চিরকাল থাকবে না
  • দুঃসংবাদের—বৃদ্ধিরত ঘটনাগুলি
    ১৯৯৬ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • “সুসংবাদ”!
    আনন্দের সঙ্গে যিহোবার উদ্দেশে গান করুন
  • আত্মিক স্তরের শাসকেরা
    ১৯৯৫ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • ‘মঙ্গলের সুসমাচার প্রচার করা’
    ২০০৫ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
১৯৯৬ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৬ ৪/১৫ পৃষ্ঠা ৫-৬

সামনেই সুসংবাদ!

ব্যক্তিগতরূপে যদি আমরা দুঃসংবাদ শুনি তাহলে আমরা সকলেই দুঃখবোধ করি। অপরপক্ষে, আমরা আনন্দিত হই যখন সুসংবাদ আসে—আমাদের এবং প্রিয়জনদের জন্য খুশির খবর। কিন্তু যখন কোন খারাপ খবর অন্যদের প্রভাবিত করে এবং আমাদের নিজেদের করে না, তখন অনেক ক্ষেত্রে কৌতুহল দেখা যায়; কিছু ব্যক্তি এমনকি অন্যদের দুর্ঘটনা থেকে আনন্দ পেয়ে থাকে। এটি হয়ত কিছু অংশে ব্যাখ্যা করবে যে কেন খারাপ খবর বেশি বিক্রি হয়ে থাকে!

দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের প্রথম দিকে দুর্যোগের প্রতি কিছু লোকের অত্যন্ত আগ্রহের একটি বিশিষ্ট উদাহরণ রয়েছে। ১৯৩৯ সালে একটি ১০,০০০ টন পকেট যুদ্ধজাহাজ গ্রাফ স্পা জার্মান নৌবাহিনীর গর্ব ছিল। অনেক সপ্তাহ ধরে এই যুদ্ধজাহাজ দক্ষিণ আটলান্টিক এবং ভারত মহাসাগরে সন্ধিযুক্ত দেশগুলির বাণিজ্যপোতগুলিতে ধ্বংসসাধন করছিল। অবশেষে, তিনটি ব্রিটিশ জাহাজ পিছু করে এবং গ্রাফ স্পা-কে আক্রমণ করে, যার ফলে জীবন হানি ঘটে আর কিছুটা অকেজো অবস্থায় উরুগুয়ের বন্দর মনটিভিডিওতে মেরামতের জন্য এটিকে যেতে হয়। উরুগুয়ের সরকার সেই যুদ্ধজাহাজকে তৎক্ষণাৎ পুনরায় জলে যেতে বলে অন্যথা তাকে আবদ্ধ করা হবে। তাই এক হিংস্র, কিন্তু একতরফা যুদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা যায়।

এই বিষয়টি শুনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একদল ধনী ব্যবসায়ী একটি প্লেনকে ভাড়া করে যার জন্য মাথা পিছু $২,৫০০ দিতে হয়, যাতে করে তারা উরুগুয়েতে উড়ে এই রক্তাক্ত যুদ্ধ দেখতে পারে। তারা হতাশ হয় যখন যুদ্ধ আর হয় না। এডল্ফ হিটলার গ্রাফ স্পা-কে ডুবিয়ে দেওয়ার আদেশ দেন। হাজার দর্শকেরা যারা সমুদ্র তীরে এসেছিল প্রচণ্ড যুদ্ধ দেখবে এই আশা করেছিল, কিন্তু পরিবর্তে তারা শুধুমাত্র সশব্দ আওয়াজ দেখে এবং শোনে যা গ্রাফ স্পা-কে ডুবিয়ে দেয়, যেটি তার নিজের নাবিকদল করেছিল। পোতাধ্যক্ষ নিজের মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করে।

কিছু লোকেদের মধ্যে জঘন্য প্রবণতা থাকা সত্ত্বেও, বেশির ভাগ লোকেরা একমত হবে যে তারা দুঃসংবাদের চাইতে সুসংবাদ পছন্দ করে। আপনি কি একইরকম মনে করেন না? তাহলে, কেন ইতিহাসের বিবরণ এত দুঃসংবাদ এবং অল্প সুসমাচার দেখায়? এই পরিস্থিতিটিকে কি কখনও পালটানো যেতে পারে?

সকল দুঃসংবাদের কারণ

বাইবেল এমন সময়ের কথা বলে যখন শুধুমাত্র সুসংবাদই ছিল। দুঃসংবাদ অজানা, অশ্রুতপূর্ব ছিল। যখন যিহোবা ঈশ্বর তাঁর সৃষ্টি শেষ করেন, পৃথিবী, মানুষ এবং পশুদের উপভোগের জন্য তৈরি ছিল। আদিপুস্তকের বিবরণ আমাদের জানায়: “ঈশ্বর আপনার নির্ম্মিত বস্তু সকলের প্রতি দৃষ্টি করিলেন, আর দেখ, সে সকলই অতি উত্তম।”—আদিপুস্তক ১:৩১.

মানুষের সৃষ্টির পর দুঃসংবাদের অনুপস্থিতি বেশি সময়ের জন্য ছিল না। আদম ও হবার কোন সন্তান হওয়ার আগেই, ঈশ্বর এবং তাঁর উত্তম সংগঠিত বিশ্ব ব্যবস্থার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের বিবরণ পাওয়া যায়। একটি উচ্চ-পদস্থ আত্মিক পুত্র বিশ্বাসঘাতক হয়, তার বিশ্বস্ত স্থানের প্রতি এবং প্রথম মানব দম্পতিকে তার বিদ্রোহের, বিশ্বাসঘাতকতার পথে চালনা করতে সফল হয়।—আদিপুস্তক ৩:১-৬.

মানবজাতি যে দুঃসংবাদের প্রাচুর্য দেখছে তা শুরু হয়েছিল সেই সময়ে। অবাক হওয়ার বিষয় নয় যে চক্রান্ত, প্রতারণা, মিথ্যা, অসৎ এবং অর্ধসত্য, দুঃসংবাদের এতই মুখ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে, যে তা জগৎকে তারপর থেকে ভরে দিয়েছে। যীশু খ্রীষ্ট যথাযথরূপে শয়তান দিয়াবলকে দুঃসংবাদের উৎসরূপে দোষারোপ করেছিলেন যখন তিনি তাঁর দিনের ধর্মীয় নেতাদের বলেছিলেন: “তোমরা আপনাদের পিতা দিয়াবলের, এবং তোমাদের পিতার অভিলাষ সকল পালন করাই তোমাদের ইচ্ছা; সে আদি হইতেই নরঘাতক, সত্যে থাকে নাই, কারণ তাহার মধ্যে সত্য নাই। সে যখন মিথ্যা বলে, তখন আপনা হইতেই বলে, কেননা সে মিথ্যাবাদী ও তাহার পিতা।”—যোহন ৮:৪৪.

যতই জনসংখ্যা বাড়তে থাকে, দুঃসংবাদ ও তার সাথে বৃদ্ধি পেতে থাকে। অবশ্য এর মানে এই নয় যে আনন্দ এবং সুখের কোন জায়গা নেই, কারণ জীবনে এমন অনেক কিছু জিনিস আছে যা আনন্দ নিয়ে আসে। কিন্তু, আজকে পর্যন্ত মানবজাতির প্রত্যেক বংশের সামনে সমস্যা এবং দুঃখের মেঘ প্রতীয়মান রয়েছে।

কিন্তু এই দুঃখজনক পরিস্থিতির আরেকটি কারণ রয়েছে। যা হল পাপ এবং অপরাধের প্রতি আমাদের উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত প্রবণতা। যিহোবা নিজে দুঃসংবাদের এই অবশ্যম্ভাবী কারণকে এই বলে শনাক্ত করেন: “বাল্যকাল অবধি মনুষ্যের মনস্কল্পনা দুষ্ট।”—আদিপুস্তক ৮:২১.

দুঃসংবাদের বৃদ্ধি কেন?

এই বিংশ শতাব্দীতে দুঃসংবাদের বৃদ্ধির আরেকটি কারণ রয়েছে? কারণটি বাইবেলে পরিষ্কারভাবে বলা রয়েছে, যেটি ভাববাণী করে যে মানবজাতি এই বিংশ শতাব্দীতে একটি অদ্বিতীয় সময়ে প্রবেশ করবে যা ‘শেষকাল’ অথবা “শেষের সময়” হিসাবে অভিহিত হবে। (২ তীমথিয় ৩:১; দানিয়েল ১২:৪, NW) বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণী এবং বাইবেলের কালনির্ঘন্ট এই “শেষ সময়”-কে শনাক্ত করে যা ১৯১৪ সালে শুরু হয়েছে। পুঙ্খানুপুঙ্খ শাস্ত্রীয় প্রমাণের জন্য, জ্ঞান যা অনন্ত জীবনে পরিচালিত করে পুস্তকের অধ্যায় ১১ দয়া করে দেখুন যা ওয়াচ টাওয়ার বাইবেল অ্যান্ড ট্র্যাক্ট সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া দ্বারা প্রকাশিত।

এই শেষকাল একটি ঘটনা দ্বারা শুরু হয়েছিল যা সরাসরি পৃথিবীতে দুঃসংবাদ বৃদ্ধি হওয়ার কারণ। সেটি কী? সেটি হল শয়তান দিয়াবল এবং তার মন্দ দূতের দলটিকে স্বর্গ থেকে নিক্ষেপ করা। আপনি এই অবশ্যম্ভাবী দুঃসংবাদের বৃদ্ধির বৈশিষ্ট্যপূর্ণ বর্ণনা প্রকাশিত বাক্য ১২:৯, ১২ পদে পড়তে পারেন: “সেই মহানাগ নিক্ষিপ্ত হইল; এ সেই পুরাতন সর্প, যাহাকে দিয়াবল [অপবাদক] এবং শয়তান [বিপক্ষ] বলা যায়, সে সমস্ত নরলোকের ভ্রান্তি জন্মায়; সে পৃথিবীতে নিক্ষিপ্ত হইল, এবং তাহার দূতগণও তাহার সঙ্গে নিক্ষিপ্ত হইল। . . . পৃথিবী ও সমুদ্রের সন্তাপ হইবে; কেননা দিয়াবল তোমাদের নিকটে নামিয়া গিয়াছে; সে অতিশয় রাগাপন্ন, সে জানে, তাহার কাল সংক্ষিপ্ত।”

তাই এই শেষকাল শেষ হওয়ার আগে, যতখানি সময় রয়েছে দুঃসংবাদ চলতে থাকবে এবং আমরা এমনকি তার পরিমাণ এবং তীব্রতা বৃদ্ধি পাওয়া আশা করতে পারি।

এটি চিরকাল থাকবে না

পৃথিবীর নিবাসীদের জন্য আনন্দের বিষয় এই যে মন্দ পরিস্থিতি যা আজকের দুঃসংবাদের ব্যাপকতাকে বাড়িয়ে তুলছে তা চিরদিন থাকবে না। প্রকৃতপক্ষে, আমরা দৃঢ়তার সাথে বলতে পারি যে দুঃসংবাদের এই ক্রমাগত দিনগুলি খুবই সীমিত। পরিস্থিতি হতাশাজনক নয়, যদিও আপাতদৃষ্টিতে তা মনে হতে পারে। সকল দুসংবাদের শেষ খুবই কাছে এবং তা ঈশ্বরের নিরূপিত সময়ে অবশ্যই আসবে।

আমরা এই বিষয়ে নিশ্চিত থাকতে পারি কারণ এই শেষকাল সমন্ধে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে যে তা চরম পরিণতিতে অথবা শেষে পৌঁছাবে যখন ঈশ্বরের ধ্বংস আসবে এবং দুঃসংবাদের সকল কারণগুলি সরিয়ে দেওয়া হবে। তিনি দুষ্ট মানব কলহ সৃষ্টিকারী যারা পরিবর্তন করতে এবং তাদের ভুল পথ থেকে সরে যেতে চায় না তাদের মুছে ফেলবেন। এটি চরম পরিণতিতে আসবে সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের মহাদিনে যা প্রচলিতরূপে আরমাগেদনের যুদ্ধ হিসাবে পরিচিত। (প্রকাশিত বাক্য ১৬:১৬) ঠিক তার পরেই, শয়তান দিয়াবল এবং তার মন্দ দূতগণের দলটিকে নিষ্ক্রিয় করা হবে। প্রকাশিত ২০:১-৩ পদ সকল দুঃসংবাদের উৎস শয়তানের শৃঙ্খলাবদ্ধের বর্ণনা দেয় যা হল: “আমি স্বর্গ হইতে এক দূতকে নামিয়া অসিতে দেখিলাম, তাঁহার হস্তে অগাধলোকের চাবি এবং বড় এক শৃঙ্খল ছিল। তিনি সেই নাগকে ধরিলেন; এ সেই পুরাতন সর্প, এ দিয়াবল [অপবাদক] এবং শয়তান [বিপক্ষ]; তিনি তাহাকে সহস্র বৎসর বদ্ধ রাখিলেন, আর তাহাকে অগাধলোকের মধ্যে ফেলিয়া দিয়া সেই স্থানের মুখ বদ্ধ করিয়া মুদ্রাঙ্কিত করিলেন; যেন ঐ সহস্র বৎসর সম্পূর্ণ না হইলে সে জাতিবৃন্দকে আর ভ্রান্ত করিতে না পারে; তৎপরে অল্প কালের নিমিত্ত তাহাকে মুক্ত হইতে হইবে।”

এই নাটকীয় ঘটনাগুলির পর, পৃথিবী এবং তার নিবাসীদের জন্য এক অপ্রত্যাশিত সুসংবাদের সময় আসবে। এই নিবাসীদের মধ্যে থাকবে লক্ষ লক্ষ ব্যক্তি যারা সর্বশেষ আরমাগেদনের যুদ্ধ থেকে রক্ষা পাবে এবং কোটি কোটি যারা কবরে মৃত্যুর ঘুম থেকে পুনরুত্থিত হবে। এই সবচেয়ে সুসংবাদ বাইবেলের শেষ বইয়ে বর্ণনা করা হয়েছে: “মনুষ্যদের সহিত ঈশ্বরের আবাস; তিনি তাহাদের সহিত বাস করিবেন, এবং তাহারা তাঁহার প্রজা হইবে; এবং ঈশ্বর আপনি তাহাদের সঙ্গে থাকিবেন, ও তাহাদের ঈশ্বর হইবেন। আর তিনি তাহাদের সমস্ত নেত্রজল মুছাইয়া দিবেন; এবং মৃত্যু আর হইবে না; শোক বা আর্ত্তনাদ বা ব্যথাও আর হইবে না; কারণ প্রথম বিষয় সকল লুপ্ত হইল।”—প্রকাশিত বাক্য ২১:৩, ৪.

আপনি কি সেই আনন্দময় দিনের কথা চিন্তা করতে পারেন? সত্যই এক উত্তম ভবিষ্যৎ যেখানে দুঃসংবাদ আর থাকবে না। হ্যাঁ, সকল দুঃসংবাদ তখন শেষ হয়ে যাবে এবং আর কখনও শোনা যাবে না। সুসংবাদ তখন একাই রাজত্ব করবে এবং চিরকালের জন্য থাকবে।

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার