ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৬ ১০/১ পৃষ্ঠা ৩-৪
  • স্বপ্ন দেখা আবশ্যক

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • স্বপ্ন দেখা আবশ্যক
  • ১৯৯৬ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • স্বপ্নের জগৎ
  • ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে স্বপ্ন কি পূর্বেই বলতে পারে?
    ১৯৯৬ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
১৯৯৬ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৬ ১০/১ পৃষ্ঠা ৩-৪

স্বপ্ন দেখা আবশ্যক

আপনি কি স্বপ্ন দেখেন? খুব সম্ভবত আপনি তা দেখেন, কারণ নিদ্রিত অবস্থায় আমরা সকলেই স্বপ্ন দেখি, যদিও আমরা দাবি করি যে আমরা দেখি না। এটি অনুমান করা হয়েছে যে সব স্বপ্নের শতকরা ৯৫ ভাগ মনে থাকে না। আপনার কোন্‌ স্বপ্নগুলি মনে থাকে? আসলে, সাধারণতঃ ঘুম ভাঙার আগে যে স্বপ্নগুলি আমরা দেখি, সেগুলিই আমরা মনে রাখি।

স্বপ্নের অনুসন্ধানকারীরা লক্ষ্য করেছেন যে নিদ্রা এমন একটি প্রক্রিয়া যা প্রথম কিছু ঘন্টা অত্যন্ত গভীর হয়ে থাকে আর তারপর এটি ক্রমশই হাল্কা হয়ে যায়। বিশেষভাবে চক্ষুর দ্রুত সঞ্চালনের সময় স্বপ্নের উদ্ভব হয়ে থাকে যাকে রেম নিদ্রা বলা হয়। এর বিকল্প হল রেমহীন নিদ্রা। রেমহীন/রেম নিদ্রার এই চক্রটির স্থায়িত্ব হয় প্রায় ৯০ মিনিট আর রাতে এই চক্রগুলির পাঁচ বা ছয়বার পুনরাবৃত্তি ঘটে এবং ঘুম ভাঙার ঠিক আগে এর শেষ চক্রটির উদ্ভব হয়।

এটি মনে করা ভুল যে নিদ্রাকালীন অবস্থায় আপনার মস্তিষ্ক তুলনামূলকভাবে স্বল্প মাত্রায় কাজ করে। এটা দেখা গেছে যে মনোযোগ ও স্মরণশক্তির সাথে সম্পর্কিত, মস্তিষ্ককাণ্ডের কয়েকটি স্নায়ুকোষ ছাড়া, জাগ্রত অবস্থার তুলনায়, স্বপ্নের মধ্যে মস্তিষ্ক অনেক বেশি কার্যকারী হয়ে থাকে। রেম নিদ্রার সময় এগুলিকে নিষ্ক্রিয় থাকতে দেখা যায়। কিন্তু সাধারণতঃ মস্তিষ্কের স্নায়ুকোষগুলির মধ্যে অনবরত পারস্পরিক যোগাযোগ থাকে।

আমাদের মস্তিষ্ক কোটি কোটি উপাদান দিয়ে গঠিত শরীরের এক বিস্ময়কর জটিল অংশ যা এক সেকেণ্ডে আনুমানিক একশত থেকে দুই অথবা তিনশত সংকেত দেয়। পৃথিবীর জনসংখ্যার চেয়েও আরও অনেক বেশি উপাদান একজন মানুষের মস্তিষ্কে রয়েছে। কিছু গবেষকেরা অনুমান করে দেখেন যে এর মধ্যে ২,০০০ কোটি থেকে ৫,০০০ কোটিরও বেশি উপাদান রয়েছে। এর জটিলতা, মনুষ্য দেহ সম্বন্ধে বাইবেল লেখক দায়ূদ যা বলেছিলেন সেই বিষয়টিকে নিশ্চিত করে: “আমি তোমার স্তব করিব, কেননা আমি ভয়াবহরূপে ও আশ্চর্য্যরূপে নির্ম্মিত; তোমার কর্ম্ম সকল আশ্চর্য্য।”—গীতসংহিতা ১৩৯:১৪.

স্বপ্নের জগৎ

জেগে থাকার সময় আমাদের পঞ্চইন্দ্রিয় মস্তিষ্কে অবিরাম তথ্য এবং প্রতিচ্ছবি পৌঁছে দেয়, কিন্তু নিদ্রাকালীন সময়ে এটি ঘটে না। বাইরের কোন অতিরিক্ত সংবেদন ছাড়াই মস্তিষ্ক নিজের মধ্যে প্রতিচ্ছবি উৎপন্ন করে। অতএব, স্বপ্নের মধ্যে আমরা যা দেখি এবং এর মধ্যে যে কার্যকলাপের অভিজ্ঞতা আমাদের হয় তা অনেকটা ভ্রমের মত। এটি আমাদের জন্য এমন কিছু করতে সম্ভব করে যা প্রাকৃতিক নিয়ম বিরুদ্ধ যেমন পিটার প্যান এর মত উড়ে যাওয়া অথবা উচ্চ পর্বত থেকে অক্ষত অবস্থায় পড়ে যাওয়া। সময়ের হিসাব সম্ভবত গোলমাল হয়ে যায় যার ফলে অতীতকে বর্তমান বলে মনে হতে থাকে। অথবা আমরা যদি পালাবার চেষ্টা করি, আমাদের গতিবিধির উপর নিয়ন্ত্রণ থাকে না—আমাদের পা সাড়া দিতে চায় না। গভীর অনুভূতি এবং অভিজ্ঞতা যা সম্ভবত আমরা আমাদের জাগ্রত অবস্থায় লাভ করি, তা অবশ্যই আমাদের স্বপ্নকে প্রভাবিত করে। অনেকেই যারা যুদ্ধের ভয়ঙ্কর নৃশংসতার মুখোমুখি হয়েছে তারা সহজে সেগুলিকে ভুলতে পারে না, আবার কেউ কেউ অপরাধী দ্বারা আক্রমণের অনুভূতিগুলিকেও মন থেকে সরিয়ে ফেলতে পারে না। জাগ্রত অবস্থার এই অস্বস্তিকর অভিজ্ঞতাগুলি আমাদের স্বপ্নে আসে, যার ফলে দুঃস্বপ্নের সৃষ্টি হয়। ঘুমাতে যাওয়ার সময় যে দৈনন্দিন বিষয়গুলি আমাদের মনে থাকে সেগুলিই স্বপ্নের মধ্যে ভেসে উঠতে পারে।

মাঝে মাঝে আমরা যখন কোন সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করি, সমাধানটি আমাদের কাছে নিদ্রার সময় আসে। এটি হয়ত দেখায় নিদ্রার মধ্যে স্বপ্নই সবকিছু নয়। চিন্তা করাও হল এর এক অংশ।

স্বপ্ন ও আমাদের মস্তিষ্ক সম্পর্কিত একটি পুস্তক বিবরণ দেয়: “নিদ্রার সময় মানসিক কার্যাবলির সবচাইতে স্বাভাবিক রূপ হল স্বপ্ন দেখা নয়, কিন্তু চিন্তা করা। নিদ্রাকালীন চিন্তার সাথে কোনও সংবেদনশীল বিভ্রান্তি সংযুক্ত এবং তা অদ্ভুত নয়। এটি সাধারণতঃ প্রায়ই গতকাল অথবা আগামীকালের বাস্তব জীবনের ঘটনার সাথে জড়িত বিষয় চিন্তা করতে প্রবৃত্ত করে আর অধিকাংশ ক্ষেত্রে অর্থহীন, অকেজো ও একঘেঁয়ে।”

কিছু লোক মনে করে যে স্বপ্নের বিষয়গুলি তাদের জন্য এক বিশেষ অর্থ রাখে। এগুলির ব্যাখ্যা পাওয়ার জন্য তারা বিছানার কাছে নোটবই রাখে যাতে করে ঘুম থেকে উঠেই তারা তা লিখে রাখতে পারে। স্বপ্নের চিহ্ন ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করে এমন বইগুলির ব্যবহারিকতা সম্বন্ধে অ্যান ফ্যারাডের দ্বারা লিখিত স্বপ্ন ক্রীড়া (ইংরাজি) নামক বইটি জানায়: “স্বপ্নের বইগুলি যার মধ্যে আপনি স্বপ্নের বিষয় ও চিহ্নের অর্থ খোঁজেন তা ঐতিহ্যগতই হোক বা আধুনিক মনস্তাত্ত্বিক তত্ত্বের উপর ভিত্তিশীল হোক, সমানভাবে অকার্যকারী।”

যেহেতু দেখা যায় যে স্বপ্ন প্রধানত মস্তিষ্কের অভ্যন্তরে উৎপন্ন হয়, এটি মনে করা যুক্তিসংগত নয় যে তা আমাদের জন্য বিশেষ অর্থ রাখবে। এগুলিকে মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কাজ হিসাবে আমাদের ধরে নেওয়া উচিত যা এটিকে স্বাস্থ্যকর অবস্থা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

কেউ যদি বলে যে স্বপ্নে তারা তাদের আত্মীয় বা বন্ধুর মৃত্যু দেখেছে আর তার পরেই যদি সেই ঘটনাটি ঘটে তাহলে কী বলা যায়? এটি কি দেখায় না যে স্বপ্ন ভবিষ্যতের আভাস দেয়? পরবর্তী প্রবন্ধে আমরা ভাববাণীমূলক স্বপ্নের পিছনে কী রয়েছে তা বিবেচনা করব।

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার