ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৬ ১২/১৫ পৃষ্ঠা ৫-৮
  • যীশু সম্বন্ধে সত্যটি

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • যীশু সম্বন্ধে সত্যটি
  • ১৯৯৬ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • বাইবেল যা বলে
  • প্রত্যয়ের জন্য ভিত্তি
  • কেন তারা বিশ্বাস করে না
  • প্রকৃত যীশুকে খুঁজে পাওয়া
  • প্রকৃত যীশু
    ২০০১ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • এটা কি সত্যিই ঘটেছিল?
    প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে (জনসাধারণের সংস্করণ)—২০১৬
  • সুসমাচারের বইগুলো—ইতিহাস অথবা পৌরাণিক কাহিনী?
    ২০০০ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • সর্বশ্রেষ্ঠ প্রজ্ঞার এক অনুপম উৎস
    জীবনের উদ্দেশ্য কী? আপনি কিভাবে তা পেতে পারেন?
আরও দেখুন
১৯৯৬ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৬ ১২/১৫ পৃষ্ঠা ৫-৮

যীশু সম্বন্ধে সত্যটি

যীশু কে ছিলেন এবং তিনি কী সম্পাদন করেছিলেন সেবিষয়ে মনে হয় যেন তত্ত্বাদি ও অনুমানের কোন শেষ নেই। কিন্তু স্বয়ং বাইবেল সম্বন্ধে কী বলা যায়? যীশু খ্রীষ্ট সম্বন্ধে এটি আমাদের কী বলে?

বাইবেল যা বলে

মনোযোগ সহকারে বাইবেল পড়লে আপনি এই মুখ্য তথ্যগুলি লক্ষ্য করতে পারবেন:

◻ যীশু হলেন ঈশ্বরের একজাত পুত্র, সমস্ত সৃষ্টির মধ্যে প্রথমজাত।—যোহন ৩:১৬; কলসীয় ১:১৫.

◻ প্রায় দুই সহস্র বছর আগে, ঈশ্বর যীশুর জীবনকে এক যিহূদী কুমারীর গর্ভে মানুষ হিসাবে জন্মগ্রহণ করার জন্য স্থানান্তরিত করেছিলেন।—মথি ১:১৮; যোহন ১:১৪.

◻ যীশু কেবলমাত্র একজন ভাল ব্যক্তিই ছিলেন না, তার চেয়েও বেশি কিছু ছিলেন। প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন তাঁর পিতা যিহোবা ঈশ্বরের সুন্দর ব্যক্তিত্বের এক বিশ্বস্ত প্রতিফলন।—যোহন ১৪:৯, ১০; ইব্রীয় ১:৩.

◻ তাঁর পার্থিব পরিচর্যাকালে, যীশু প্রেমপূর্ণভাবে নিপীড়িতদের প্রয়োজনের প্রতি মনোযোগ দিয়েছিলেন। তিনি অলৌকিকভাবে অসুস্থকে সুস্থ করেছিলেন এবং এমনকি মৃতকে উত্থিত করেছিলেন।—মথি ১১:৪-৬; যোহন ১১:৫-৪৫.

◻ যীশু হতাশাগ্রস্ত মানুষের জন্য একমাত্র আশা হিসাবে ঈশ্বরের রাজ্যকে ঘোষণা করেছিলেন এবং তিনি এই প্রচার কাজ ক্রমাগত করে চলার জন্য তাঁর শিষ্যদের প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন।—মথি ৪:১৭; ১০:৫-৭; ২৮:১৯, ২০.

◻ সা.শ. ৩৩ সালের ১৪ই নিশান (প্রায় ১লা এপ্রিল) যীশুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল, বিচার করা হয়েছিল, দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছিল এবং রাজদ্রোহের মিথ্যা অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।—মথি ২৬:১৮-২০; ২৬:৪৮–২৭:৫০.

◻ বিশ্বাসী মানবজাতিকে তাদের পাপপূর্ণ অবস্থা থেকে মুক্ত করে যীশুর মৃত্যু মুক্তির মূল্য হিসাবে কাজ করে এবং এর ফলে যে সমস্ত লোকেরা তাঁর উপর বিশ্বাস অনুশীলন করে তাদের সকলের জন্য অনন্তকালীন জীবনের পথ উন্মুক্ত করে।—রোমীয় ৩:২৩, ২৪; ১ যোহন ২:২.

◻ ১৬ই নিশান যীশু পুনরুত্থিত হয়েছিলেন এবং তার অল্পসময় পরেই তিনি তাঁর সিদ্ধ মানব জীবনের মুক্তির মূল্য তাঁর পিতার কাছে পরিশোধ করার জন্য স্বর্গারোহণ করেছিলেন।—মার্ক ১৬:১-৮; লূক ২৪:৫০-৫৩; প্রেরিত ১:৬-৯.

◻ যিহোবার নিযুক্তিকৃত রাজা হিসাবে পুনরুত্থিত যীশুর সম্পূর্ণ অধিকার আছে মানুষের জন্য ঈশ্বরের আদি উদ্দেশ্য প্রতিপাদন করা।—যিশাইয় ৯:৬, ৭; লূক ১:৩২, ৩৩.

এইভাবে বাইবেল যীশুকে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যের পূর্ণতার এক মুখ্য চরিত্র হিসাবে উপস্থাপিত করে। কিন্তু কিভাবে আপনি নিশ্চিত হতে পারেন যে ইনিই হলেন প্রকৃত যীশু—ঐতিহাসিক ব্যক্তি যীশু, যিনি বৈৎলেহমে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং প্রায় ২,০০০ বছর আগে এই পৃথিবীতে ভ্রমণ করেছিলেন?

প্রত্যয়ের জন্য ভিত্তি

কেবলমাত্র এক কুসংস্কারমুক্ত মন নিয়ে খ্রীষ্টীয় গ্রীক শাস্ত্র পড়ার দ্বারাই অনেক সন্দেহ থেকে মুক্ত হওয়া যেতে পারে। এইরূপ করার দ্বারা আপনি দেখবেন যে বাইবেলের বিবরণ কেবলমাত্র ঘটনাবলীর এক অনির্দিষ্ট উল্লেখ নয় যেটি পুরাকাহিনীর ক্ষেত্রে সত্য। বরঞ্চ, নাম, নির্দিষ্ট সময় এবং যথার্থ স্থান উল্লেখ করা হয়েছে। (উদাহরণস্বরূপ, লূক ৩:১, ২ পদ দেখুন।) এছাড়াও, যীশুর শিষ্যদের উল্লেখযোগ্য সততার সাথে চিত্রিত করা হয়েছে, এমন নিষ্কপটভাবে যা পাঠকদের মধ্যে প্রত্যয় সঞ্চারিত করে। লেখকেরা কাউকে রঞ্জিত করেননি—এমনকি তাদের নিজেদেরকেও নয়—এক বিশ্বস্ত নথি তৈরি করার উদ্দেশ্যে। হ্যাঁ, আপনি দেখতে পাবেন যে বাইবেলে সত্যের এক প্রতিধ্বনি আছে।—মথি ১৪:২৮-৩১; ১৬:২১-২৩; ২৬:৫৬, ৬৯-৭৫; মার্ক ৯:৩৩, ৩৪; গালাতীয় ২:১১-১৪; ২ পিতর ১:১৬.

তবুও, আরও বেশি কিছু আছে। প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলি বার বার বাইবেলের নথিকে নিশ্চিত করেছে। উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনি যিরূশালেমের ইজরায়েল যাদুঘরটি পরিদর্শন করেন, আপনি সেখানে একটি পাথর দেখতে পারেন যাতে একটি খোদিতলিপিতে পন্তীয় পীলাতের নাম আছে। অপর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলি নিশ্চিত করে যে লিসানিয়াস ও সের্গীয় পৌলুস যাদের সম্বন্ধে বাইবেল উল্লেখ করে, প্রাথমিক খ্রীষ্টানদের সৃষ্ট কাল্পনিক ব্যক্তি এরা নন বরঞ্চ বাস্তব ব্যক্তি ছিলেন। খ্রীষ্টীয় গ্রীক শাস্ত্রাবলীতে (নতুন নিয়ম) বিবৃত ঘটনাগুলি সম্বন্ধে প্রাচীন লেখকদের উল্লেখ থেকে প্রচুর প্রমাণ পাওয়া যায়, যাদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন জুভেনাল, ট্যাসিটাস, সেনেকা, সুয়েটোনিয়াস, প্লিনি দ্যা ইয়ংগার, লুশিয়ান, সেলসাস এবং যিহূদী ইতিহাসবেত্তা যোসেফাস।a

খ্রীষ্টীয় গ্রীক শাস্ত্রাবলীতে উপস্থাপিত বিবরণগুলি প্রশ্নাতীতভাবে প্রথম শতাব্দীতে জীবিত সহস্রাধিক ব্যক্তিদের দ্বারা গৃহীত হয়েছিল। এমনকি খ্রীষ্টতত্ত্বের শত্রুরাও যীশু যা বলেছিলেন ও করেছিলেন বলে বিবৃত করা হয়েছিল তার সত্যতাকে অস্বীকার করতে পারেননি। যীশুর চরিত্র তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর শিষ্যদের দ্বারা অলঙ্কৃত করা হয়েছিল এই বিষয়ের সম্ভাবনা সম্বন্ধে অধ্যাপক এফ. এফ. ব্রুস মন্তব্য করেন: “সেই প্রাথমিক বছরগুলিতে, যেমন কিছু লেখকেরা মনে করে থাকেন, যীশুর বাক্য ও কাজ সম্বন্ধে কোন কিছু কাল্পনিক আবিষ্কারের সম্ভাবনাই ছিল না যখন তাঁর অনেক শিষ্যেরা তখনও উপস্থিত ছিলেন যারা স্মরণ করতে পারতেন যে কী ঘটেছিল আর কী ঘটেনি। . . . শিষ্যেরা এই অযথার্থতার ঝুঁকি নিতে পারতেন না (তথ্যকে ইচ্ছাপূর্বক পরিবর্তিত করার কথা তো বলাই বাহুল্য) যা সেই সমস্ত লোকেদের দ্বারা তৎক্ষণাৎই প্রকাশিত হয়ে যেত যারা এটি করতে খুব খুশি হতেন।”

কেন তারা বিশ্বাস করে না

তৎসত্ত্বেও, কিছু পণ্ডিতেরা সন্দেহ পোষণ করতেই থাকেন। যদিও একদিকে তারা অনুমান করেন যে বাইবেলের নথি কাল্পনিক, অন্যদিকে তারা উৎসুকভাবে অপ্রামাণিক লেখাগুলির অনুসন্ধান করেন আর সেগুলিকে বিশ্বাসযোগ্য বলে গ্রহণ করেন! কেন? স্পষ্টতই, বাইবেলের নথি যে বিষয়গুলিকে সূচিবদ্ধ করে তা অনেক বিদ্বান ব্যক্তি বিশ্বাস করতে চান না।

১৮৭১ সালে প্রকাশিত তার ইউনিয়ন বাইবেল কম্পেনিয়ন নামক বইয়ে এস. অস্টিন এলবোনে সন্দেহবাদীদের সামনে এক প্রতিদ্বন্দ্বিতা উপস্থিত করেন। তিনি লিখেছিলেন: “সুসমাচারের ইতিহাসের সত্যতা সম্পর্কে সন্দেহ প্রকাশ করে এমন যে কোন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করুন যে তার কাছে এটি বিশ্বাস করার কী কারণ আছে যে কৈসর ক্যাপিটালে মারা গিয়েছিলেন অথবা ৮০০ শতাব্দীতে পশ্চিমের সম্রাটরূপে সম্রাট শার্লেমেন, পোপ লিও তৃতীয় দ্বারা অভিষিক্ত হয়েছিলেন? . . . এই লোকেদের সম্বন্ধে কৃত . . . সমস্ত দাবিগুলি আমরা বিশ্বাস করি, আর সেটি এইজন্য, কারণ তাদের সত্যতা সম্পর্কে আমাদের কাছে ঐতিহাসিক প্রমাণ আছে। . . . যদি এইধরনের প্রমাণ উৎপাদনের পরও কোন ব্যক্তি তা বিশ্বাস করতে অস্বীকার করে, তাহলে আমরা তাদের মূর্খ স্বেচ্ছাচারী অথবা হতাশাজনক অজ্ঞ হিসাবে পরিত্যাগ করি। তাহলে আমরা তাদের সম্বন্ধে কী বলব যারা পবিত্র শাস্ত্রের প্রামাণিকতার উপর বর্তমানে উৎপাদিত প্রচুর প্রমাণ সত্ত্বেও নিজেদের অপ্রত্যায়িত বলে প্রকাশ্যে ঘোষণা করে? . . . তারা এইরকম কোন বিষয়ে বিশ্বাস করতে ইচ্ছুক নয় যা তাদের গর্বকে অবনমিত করে, আর তাদের এক ভিন্নপ্রকার জীবনযাপনে বাধ্য করে।”

হ্যাঁ, কিছু সন্দেহবাদীর খ্রীষ্টীয় গ্রীক শাস্ত্রকে প্রত্যাখ্যান করার গুপ্ত অভিপ্রায় আছে। তাদের যে সমস্যাটি আছে তা এর বিশ্বাসযোগ্যতার সাথে নয়, কিন্তু এর মানের সাথে সম্বন্ধযুক্ত। উদাহরণস্বরূপ, যীশু তাঁর অনুগামীদের বলেছিলেন: “তাহারা জগতের নয়, যেমন আমিও জগতের নই।” (যোহন ১৭:১৪) কিন্তু, অনেক তথা-কথিত খ্রীষ্টানেরা এই জগতের রাজনৈতিক বিষয়ের সাথে গভীরভাবে জড়িত, এমনকি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধগুলির সাথেও জড়িত। বাইবেলের মানগুলির সাথে উপযোগীভাবে চলার চেয়ে বরঞ্চ অনেক লোকেরা বাইবেল তাদের নিজস্ব মান অনুযায়ী চলুক তা পছন্দ করে।

নৈতিকতার বিষয়টিও বিবেচনা করুন। ব্যভিচার অভ্যাস করাকে প্রশ্রয় দেওয়ার কারণে থুয়াতীরা মণ্ডলীকে যীশু কঠোর উপদেশ দিয়েছিলেন। তিনি তাদের বলেছিলেন, “‘আমি মর্ম্মের ও হৃদয়ের অনুসন্ধানকারী, আর আমি তোমাদের প্রত্যেক জনকে আপন আপন কার্য্যানুযায়ী ফল দিব।’”b (প্রকাশিত বাক্য ২:১৮-২৩) তবুও, এটি কি সত্য নয় যে, খ্রীষ্টান বলে দাবি করে এমন অনেক ব্যক্তি নৈতিক মানগুলিকে পথপার্শ্বে নিক্ষেপ করে থাকে? তারা বরঞ্চ যীশু যা বলেছিলেন তা প্রত্যাখ্যান করবে, কিন্তু তাদের অনৈতিক আচরণধারা প্রত্যাখ্যান করবে না।

বাইবেলের যীশুকে গ্রহণ না করার প্রবণতায় পণ্ডিতেরা তাদের নিজস্ব কল্পনা অনুযায়ী এক যীশুকে তৈরি করে নিয়েছেন। তারা নিজেরা কাল্পনিক কাহিনী তৈরির জন্য দোষী যা তারা মিথ্যাভাবে সুসমাচার লেখকদের উপর আরোপ করেন। তারা যীশুর জীবনের সেই অংশটিকে ধরে থাকেন যেটি তারা গ্রহণ করতে চান, বাকি অংশ প্রত্যাখ্যান করেন আর তাদের নিজস্ব কিছু বিবরণ তার সাথে যুক্ত করেন। প্রকৃতপক্ষে, তাদের বিস্ময়কর বিজ্ঞ ব্যক্তি অথবা সমাজ সংস্কারক, ইতিহাসের যীশু নয় যার অনুসন্ধান করার দাবি তারা করে থাকে; বরঞ্চ সে সাধারণভাবে তাদের গর্বিত পাণ্ডিত্যপূর্ণ কল্পনার উদ্ভাবনমাত্র।

প্রকৃত যীশুকে খুঁজে পাওয়া

যীশু তাদের হৃদয়কে জাগাতে প্রচেষ্টা করেছিলেন যারা অকৃত্রিমভাবে সত্য এবং ধার্মিকতার জন্য ক্ষুধার্ত। (মথি ৫:৩, ৬; ১৩:১০-১৫) এইধরনের ব্যক্তিরা যীশুর আমন্ত্রণে সাড়া দেন: “হে পরিশ্রান্ত ও ভারাক্রান্ত লোক সকল, আমার নিকটে আইস, আমি তোমাদিগকে বিশ্রাম দিব। আমার যোঁয়ালি আপনাদের উপরে তুলিয়া লও, এবং আমার কাছে শিক্ষা কর, কেননা আমি মৃদুশীল ও নম্রচিত্ত; তাহাতে তোমরা আপন আপন প্রাণের জন্য বিশ্রাম পাইবে। কারণ আমার যোঁয়ালি সহজ ও আমার ভার লঘু।”—মথি ১১:২৮-৩০.

আধুনিক পণ্ডিতদের দ্বারা লিখিত বইগুলিতে প্রকৃত যীশু অনাবৃত নন; অথবা তাঁকে খ্রীষ্টীয়জগতের গির্জাগুলিতেও দেখতে পাওয়া যায় না, যেটি মনুষ্য-নির্মিত পরম্পরার সৃজনভূমিতে পরিণত হয়েছে। আপনি আপনার বাইবেলের কপিটি থেকে ঐতিহাসিক যীশুকে খুঁজে পেতে পারেন। আপনি কি তাঁর সম্বন্ধে আরও জানতে পছন্দ করবেন? এটি করার জন্য যিহোবার সাক্ষীরা আপনাকে সাহায্য করতে খুশি হবে।

[পাদটীকাগুলো]

a আরও তথ্যের জন্য ওয়াচটাওয়ার বাইবেল অ্যান্ড ট্র্যাক্ট সোসাইটি দ্বারা প্রকাশিত বাইবেল—ঈশ্বরের বাক্য অথবা মানুষের? (ইংরাজি), অধ্যায় ৫, পৃষ্ঠা ৫৫-৭০ দেখুন।

b বাইবেলে, মর্ম কথাটি কখনও কখনও একজনের গভীরতম চিন্তাধারা এবং ভাবাবেগকে চিত্রিত করে।

[৬ পৃষ্ঠার বাক্স]

সমালোচনার শতাব্দীগুলি

খ্রীষ্টীয় গ্রীক শাস্ত্রাবলীর সমালোচনা ২০০ বছরেরও বেশি পূর্বে শুরু হয়েছিল যখন জার্মান দার্শনিক হারম্যান জ্যামুয়েল রাইমারুস (১৬৯৪-​১৭৬৮) নিশ্চয়তার সাথে বলেছিলেন: “আমরা প্রেরিতদের লেখায় তাদের শিক্ষা এবং যীশু স্বয়ং তাঁর জীবনকালে যা ঘোষণা করেছিলেন ও শিক্ষা দিয়েছিলেন তার মধ্যে সুস্পষ্ট পার্থক্য করার ক্ষেত্রে ন্যায়সম্মত স্থানে রয়েছি।” রাইমারুসের সময় থেকে, অনেক পণ্ডিতদের অনুরূপভাবে অনুভব করার জন্য শিক্ষা দেওয়া হয়েছিল।

প্রকৃত যীশু (ইংরাজি), নামক পুস্তক উল্লেখ করে যে অতীতের অনেক সমালোচকেরা নিজেদের ধর্মভ্রষ্ট বলে বিবেচনা করেননি। বরঞ্চ “তারা নিজেদের ধর্মীয় মতবাদ ও অন্ধবিশ্বাসের শৃঙ্খল ভেঙে ফেলার জন্য অকৃত্রিম খ্রীষ্টান হিসাবে মনে করতেন।” তারা মনে করেছিলেন উচ্চ সমালোচনা ছিল “খ্রীষ্টতত্ত্বের এক পরিশুদ্ধ রূপ।”

দুঃখজনক সত্য হল এটিই যে, খ্রীষ্টীয় জগৎ মনুষ্য-নির্মিত পরম্পরাগতবিধির সৃজনভূমিতে পরিণত হয়ে পড়েছে। আত্মার অমরত্ব, ত্রিত্ব এবং অগ্নিময় নরক প্রভৃতি মতবাদগুলি হল মাত্র কয়েকটি শিক্ষা যা বাইবেল বিরুদ্ধ। কিন্তু খ্রীষ্টীয় গ্রীক শাস্ত্রাবলীর লেখকেরা সত্যের এই কলুষতার জন্য দায়ী নন। বিপরীতে, প্রথম শতাব্দীর মধ্যভাগে তারা মিথ্যা শিক্ষার প্রাথমিক চিহ্নগুলির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন, যখন পৌল লিখেছিলেন যে তথা-কথিত খ্রীষ্টানদের মধ্যে এক ধর্মভ্রষ্টতা “এখনই কার্য্য সাধন” করছিল। (২ থিষলনীকীয় ২:​৩, ৭) আমরা নিশ্চিত হতে পারি যে খ্রীষ্টীয় গ্রীক শাস্ত্রাবলীতে যা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তা ঐতিহাসিক ও মতবাদ সংক্রান্ত সত্যের এক নথি।

[৭ পৃষ্ঠার বাক্স]

কখন সুসমাচার পুস্তকগুলি লেখা হয়েছিল?

নতুন নিয়মের অনেক সমালোচকেরা দৃঢ়তার সাথে বলে থাকেন যে সুসমাচার পুস্তকগুলি, এতে বর্ণিত ঘটনার চেয়ে দীর্ঘ সময় পরে লেখা হয়েছিল আর সেই কারণে এতে অযথার্থতার অন্তর্ভুক্তি প্রায় নিশ্চিত।

কিন্তু, প্রমাণ মথি মার্ক ও লূকের পুস্তক লেখার এক প্রাচীন তারিখ সম্বন্ধে সূচিত করে। মথির কিছু পাণ্ডুলিপির অভিলেখ ইঙ্গিত করে যে প্রাথমিক লেখা সম্পাদিত হয়েছিল অনেক পূর্বে, অর্থাৎ সা.শ. ৪১ সালে। লূক সম্ভবত সা.শ. ৫৬ এবং ৫৮ সালের মধ্যবর্তী সময়ে লেখা হয়েছিল, কারণ প্রেরিতের পুস্তক (সম্ভবত সা.শ. ৬১ সালে সম্পূর্ণ হয়েছিল) ইঙ্গিত করে যে লেখক লূক, ইতিমধ্যেই তার “প্রথম বিবরণ,” সুসমাচার পুস্তক সংকলন করেছিলেন। (প্রেরিত ১:১) মার্কের সুসমাচার পুস্তক রোমে প্রেরিত পৌলের প্রথম অথবা দ্বিতীয় কারাবরণের সময় সংকলিত করা হয়েছিল বলে বিবেচিত হয়ে থাকে—সম্ভবত সা.শ. ৬০ এবং ৬৫ সালের মধ্যবর্তী সময়ে।

অধ্যাপক ক্রেগ এল. ব্লোমবার্গ এই সুসমাচার পুস্তকগুলির প্রাচীন তারিখ নির্ণয়ের সাথে একমত হন। তিনি উল্লখ করেন যে এমনকি যখন আমরা যোহনের সুসমাচার পুস্তককে যুক্ত করি যেটি প্রথম শতাব্দীর শেষে সংকলিত হয়েছিল, “তবুও আমরা অনেক প্রাচীন জীবনীকাহিনীর তুলনায় প্রকৃত ঘটনার অনেক কাছাকাছি পৌঁছাই। উদাহরণস্বরূপ, মহান আলেকজাণ্ডারের দুই সর্বপ্রথম জীবনীকার এরিয়ান ও প্লুটার্ক খ্রী.পূ. ৩২৩ সালে আলেকজাণ্ডারের মৃত্যুর চার শত বছরেরও বেশি পরে লিখেছিলেন, তবুও ইতিহাসবেত্তারা সাধারণতঃ সেগুলিকে নির্ভরযোগ্য বলে বিবেচনা করে থাকেন। সময়ের সাথে সাথে আলেকজাণ্ডারের জীবন সম্বন্ধে অনেক পৌরাণিক কাহিনী বিকশিত হয়েছিল, কিন্তু এর অধিকাংশই কেবলমাত্র এই দুই লেখকের থেকে অনেক শতাব্দী পরে লেখা হয়েছিল।” খ্রীষ্টীয় গ্রীক শাস্ত্রাবলীর ঐতিহাসিক অংশ নিশ্চিতভাবেই অন্ততপক্ষে জাগতিক ইতিহাস যতখানি বিশ্বাসযোগ্য ততখানিই বিশ্বাসের উপযুক্ত।

[৮ পৃষ্ঠার চিত্র]

আগত পার্থিব পরমদেশে সকলের জন্য অত্যন্ত আনন্দ অধিষ্ঠান করবে

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার