ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৭ ১/১ পৃষ্ঠা ২৩-২৫
  • মহৎ কিছুর জন্য অনেক ত্যাগ করা

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • মহৎ কিছুর জন্য অনেক ত্যাগ করা
  • ১৯৯৭ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • আমি কিভাবে একজন আলাডোরা হয়েছিলাম
  • যিহোবার সাক্ষীদের সাথে প্রাথমিক যোগাযোগ
  • খ্যাতি বৃদ্ধির সাথে মোহভঙ্গ
  • যিহোবাকে সেবা করার সিদ্ধান্ত
  • গির্জায় আমাকে বহাল রাখার প্রচেষ্টা
  • একজন স্ত্রীয়ের প্রতি অনুগত থাকা
  • যিহোবার আশীর্বাদ উপভোগ করা
  • বাইবেল জীবনকে পরিবর্তন করে
    প্রহরীদুর্গ: বাইবেল জীবনকে পরিবর্তন করে
  • দুশ্চিন্তার কারণ যখন পরিবার
    ২০১৫ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
১৯৯৭ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৭ ১/১ পৃষ্ঠা ২৩-২৫

মহৎ কিছুর জন্য অনেক ত্যাগ করা

জুলিয়াস ওয়ুও বেলো দ্বারা কথিত

৩২ বছর ধরে আমি একজন আলাডোরা* ছিলাম। আমি বিশ্বাস করতাম যে দৈব-চিকিৎসা এবং প্রার্থনা আমার সকল সমস্যা সমাধান এবং সবধরনের অসুস্থতা সুস্থ করতে পারবে। আমি কখনও কোন ওষুধ কিনিনি, এমনকি কোন ব্যথা উপশমকারীও নয়। সেই বছরগুলিতে, আমার পরিবারের কাউকেই কখনও হাসপাতালে যেতে হয়নি। যখনই আমার কোন সন্তান অসুস্থ হত, তারা সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত আমি রাতদিন প্রার্থনা করতাম। আমি বিশ্বাস করতাম যে ঈশ্বর আমার প্রার্থনার উত্তর দিচ্ছেন এবং আমাকে আশীর্বাদ করছেন।

* ইউরোবা শব্দ থেকে এসেছে যার অর্থ “একজন ব্যক্তি যে প্রার্থনা করে।” এটি আফ্রিকার একটি গির্জার কোন এক সদস্যের প্রতি নির্দেশ করে যে আধ্যাত্মিক আরোগ্য অনুশীলন করে থাকে।

আমি পশ্চিম নাইজেরিয়ার একটি শহর আকুরের উল্লেখযোগ্য সামাজিক ক্লাব, এগ্‌ব জোলি-র একজন সদস্য ছিলাম। আমাদের অঞ্চলের আমার বন্ধুবান্ধবেরা সবচেয়ে ধনী এবং অত্যন্ত ক্ষমতাশালী ছিল। আকুরের রাজা, ডেজী, প্রায়ই আমার ঘরে আমার সাথে সাক্ষাৎ করতে আসতেন।

এছাড়াও আমি বহুগামী ছিলাম আর আমার ছয় স্ত্রী ও অনেক উপপত্নী ছিল। আমার ব্যবসার উন্নতি লাভ করেছিল। আমার ক্ষেত্রে সবকিছুই উত্তমভাবে চলছিল। তৎসত্ত্বেও, যীশুর মুক্তার দৃষ্টান্তে বণিকের ন্যায়, আমি এমন মূল্যবান কিছু খুঁজে পেয়েছিলাম যে তার বিনিময়ে আমি আমার পাঁচ স্ত্রী, উপপত্নীদের, গির্জা, সামাজিক ক্লাব এবং জাগতিক প্রাধান্যকে ত্যাগ করি।—মথি ১৩:৪৫, ৪৬.

আমি কিভাবে একজন আলাডোরা হয়েছিলাম

১৯৩৬ সালে যখন আমার বয়স ১৩ বছর ছিল তখন আমি প্রথম আলাডোরা সম্বন্ধে শুনি। গাব্রিয়েল নামে এক বন্ধু আমাকে বলে: “যদি তুমি খ্রীষ্টীয় এপোসটোলিক চার্চে যাও তাহলে তুমি ঈশ্বরকে কথা বলতে শুনবে।”

“কিভাবে ঈশ্বর কথা বলেন?” আমি তাকে জিজ্ঞাসা করি।

সে বলে: “এস, তাহলে তুমি দেখতে পাবে।”

আমি ঈশ্বরের কথা শুনবার জন্য উৎসুক ছিলাম। তাই সেই রাত্রে, আমি গাব্রিয়েলের সাথে গির্জায় যাই। ছোট গৃহটি উপাসনাকারীদের দ্বারা পরিপূর্ণ ছিল। মণ্ডলী গান করতে শুরু করে: “হে লোকেরা, এসো! এখানেই যীশু আছেন!”

এই গান চলাকালীন সময়ে, কেউ একজন চিৎকার করে বলে: “পবিত্র আত্মা, নেমে এসো!” অন্য একজন ঘন্টা বাজায় এবং মণ্ডলী নিস্তব্ধ হয়ে থাকে। তারপর, একজন স্ত্রীলোক উত্তেজিত হয়ে অর্থহীন ভাষায় বিড়বিড় করে কিছু বলতে শুরু করে। হঠাৎ সে চিৎকার করে বলে ওঠে: “হে লোকেরা, ঈশ্বরের বার্তা শোন! ঈশ্বর বলেছেন: ‘শিকারিদের জন্য প্রার্থনা কর যাতে করে তারা মানুষদের হত্যা না করে!’” পরিবেশটি ভাবাবেগ দ্বারা পরিপূর্ণ ছিল।

আমি বিশ্বাস করি যে ঈশ্বর তার মাধ্যমে কথা বলেছিলেন, তাই পরের বছরে আমি খ্রীষ্টীয় এপোসটোলিক চার্চের একজন সদস্য হিসাবে বাপ্তাইজিত হই।

যিহোবার সাক্ষীদের সাথে প্রাথমিক যোগাযোগ

১৯৫১ সালে, আমি আদেদেজী বোবোয়ে নামে এক সাক্ষীর কাছ থেকে প্রহরীদুর্গ পত্রিকার একটি সংখ্যা নিই। পত্রিকাটি আগ্রহজনক ছিল, তাই আমি এর গ্রাহক হই এবং নিয়মিতভাবে তা পড়ি। ১৯৫২ সালে, আমি আদো ইকিটিকে অনুষ্ঠিত যিহোবার সাক্ষীদের চার দিনের জেলা সম্মেলনে যোগদান করি।

সম্মেলনে আমি যা দেখি তা আমাকে প্রভাবিত করে। আমি একজন যিহোবার সাক্ষী হওয়ার জন্য ঐকান্তিকভাবে চিন্তা করি, কিন্তু পরে সেই মনোভাবটি বাতিল করে দিই। আমার সমস্যা ছিল যে সেই সময় আমার তিনটি স্ত্রী এবং একটি উপপত্নী ছিল। আমি ভেবেছিলাম যে কোনভাবেই আমি শুধুমাত্র একজন  স্ত্রীর সাথে বাস করতে পারব না।

যখন আমি আকুরে ফিরে আসি, আমি আদেদেজীকে আমার সাথে সাক্ষাৎ করতে মানা করি এবং আমি আমার প্রহরীদুর্গ গ্রাহকভুক্তি পুনর্নবীকরণ করিনি। আমি আমার গির্জায় আরও সক্রিয় হয়ে উঠি। সর্বোপরি, আমি এই যুক্তি করি যে খ্রীষ্টীয় এপোসটোলিক চার্চে যোগ দেওয়ার পর থেকে ঈশ্বর আমাকে আশীর্বাদ করেছিলেন। আমি তিনজন স্ত্রীলোককে বিবাহ করি এবং অনেক সন্তানের জন্ম দিই। আমি আমার নিজ গৃহ নির্মাণ করি। আমি কখনও হাসপাতালে ভর্তি হইনি। যেহেতু দেখা গিয়েছিল যে ঈশ্বর আমার প্রার্থনার উত্তর দিচ্ছেন, তাহলে কেন আমি আমার ধর্ম পরিবর্তন করব?

খ্যাতি বৃদ্ধির সাথে মোহভঙ্গ

আমি গির্জায় যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ দান করতে শুরু করি। শীঘ্রই তারা আমাকে গির্জার একজন প্রাচীন করে, এমন একটি পদ যা আমাকে গির্জার অন্তর্বর্তী কাজগুলি দেখার সুযোগ করে দিয়েছিল। আমি যা দেখেছিলাম তা আমাকে বিরক্ত করেছিল। যাজক এবং “ভাববাদীরা” টাকা ভালবাসত; তাদের লোভ আমাকে আতঙ্কিত করেছিল।

উদাহরণস্বরূপ, ১৯৬৭ সালের মার্চ মাসে বিভিন্ন স্ত্রীর মাধ্যমে আমার তিনটি সন্তান জন্মগ্রহণ করে। গির্জায় শিশুর নামকরণের অনুষ্ঠান উদ্‌যাপনের প্রথা ছিল। সুতরাং আমি উপহার হিসাবে—মাছ, লেমনেড এবং কোমল পানীয়—অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিস্বরূপ যাজকের কাছে নিয়ে যাই।

গির্জার পরিচর্যার দিনে, সম্পূর্ণ মণ্ডলীর সামনে যাজক বলেছিলেন: “এই গির্জার ধনী ব্যক্তিরা আমাকে অবাক করেছে। তারা একটি নামকরণের অনুষ্ঠান করতে চায়, কিন্তু যা তারা আনে তা হল কোমল পানীয় এবং মাছ। মাংস নয়! ছাগল নয়! কল্পনা করুন! কয়িন ঈশ্বরকে বৃহৎ রাঙা আলু উৎসর্গ করেছিল, তথাপি ঈশ্বর সেই বলিদান গ্রহণ করেননি, যেহেতু তার মধ্যে রক্ত ছিল না। ঈশ্বর এমন বস্তু চান যার মধ্যে রক্ত রয়েছে। হেবল একটি পশু এনেছিলেন এবং তার বলিদান গ্রহণ করা হয়েছিল।”

এটি শুনে, আমি উঠে দাঁড়াই এবং দ্রুতবেগে বের হয়ে যাই। যাইহোক, আমি তখনও গির্জায় যোগদান করে চলি। ক্রমবর্ধমানভাবে, আমি সামাজিক কার্যকলাপ এবং আমার ক্লাবের সভাগুলিতে যোগদান করতে আরও সময় ব্যয় করি। কখনও কখনও আমি কিংডম হলের সভাগুলিতে যোগ দিই এবং আমার প্রহরীদুর্গ গ্রাহকভুক্তি পুনর্নবীকরণ করি। তৎসত্ত্বেও, আমি একজন যিহোবার সাক্ষী হওয়ার জন্য তখনও প্রস্তুত ছিলাম না।

যিহোবাকে সেবা করার সিদ্ধান্ত

১৯৬৮ সালে, আমার ক্ষেত্রে সেই সন্ধিক্ষণটি উপস্থিত হয়েছিল। একদিন আমি প্রহরীদুর্গ এর একটি প্রবন্ধ পড়তে শুরু করি যেটি মালাউইতে যিহোবার সাক্ষীদের উপর পাশবিক নির্যাতনের বিষয়ে বর্ণনা করে। এটি ১৫ বছরের একটি মেয়ের কথা বলে যাকে একটি গাছে বাঁধা হয় এবং ছয়বার ধর্ষণ করা হয় কারণ সে তার বিশ্বাসকে আপোশ করতে প্রত্যাখ্যান করেছিল। মর্মাহত হয়ে আমি পত্রিকাটি রেখে দিই, কিন্তু এ সম্বন্ধে আমি চিন্তা করতে থাকি। আমি উপলব্ধি করি যে আমার গির্জার কোন মেয়েই এইধরনের বিশ্বাস প্রদর্শন করতে পারবে না। পরে ঐ সন্ধ্যায় আমি পত্রিকাটি নিয়ে আবার পৃষ্ঠাটি পড়ি।

আমি গম্ভীরভাবে বাইবেল অধ্যয়ন করতে শুরু করি। যতই আমার জ্ঞান বৃদ্ধি পায়, আমি লক্ষ্য করতে শুরু করি যে গির্জা আমাদের কতটা ভুল পথে পরিচালিত করেছিল। প্রাচীনকালে যেমন সত্য ছিল, তেমনি আমাদের পাদ্রিরা শুধু ‘কুকর্ম্ম করছিল।’ (হোশেয় ৬:৯) এইধরনের ব্যক্তিরা ভাক্ত ভাববাদীদের অন্তর্ভুক্ত যাদের সম্বন্ধে যীশু সাবধান করেছিলেন! (মথি ২৪:২৪) আমি তাদের দর্শন এবং ক্ষমতাপূর্ণ কাজগুলিতে আর বিশ্বাস রাখতে পারিনি। আমি সিদ্ধান্ত নিই মিথ্যা ধর্ম থেকে স্বাধীন হয়ে অন্যদেরও তা করতে সাহায্য করব।

গির্জায় আমাকে বহাল রাখার প্রচেষ্টা

যখন গির্জার প্রাচীনেরা বুঝতে পেরেছিল যে আমি গির্জা ছাড়ার জন্য দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ, তখন তারা আমাকে বিনতি করার জন্য প্রতিনিধি পাঠায়। তারা আয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসকে হারাতে চায়নি। তারা আমাকে বাবা এগ্‌বো, আকুরের একটি খ্রীষ্টীয় এপোসটোলিক চার্চের পৃষ্ঠপোষক করার প্রস্তাব দেয়।

আমি তাদের প্রত্যাখ্যান করি এবং কারণ সম্বন্ধে জানাই। “গির্জা আমাদের মিথ্যা বলেছে,” আমি বলি। “তারা বলে যে সমস্ত ভাল লোকেরা স্বর্গে যাবে। কিন্তু আমি বাইবেলে পড়েছি এবং আমি দৃঢ়প্রত্যয়ী যে শুধুমাত্র ১,৪৪,০০০ জন ব্যক্তি স্বর্গে যাবে। অন্যান্য ধার্মিক লোকেরা একটি পরমদেশ পৃথিবীতে বাস করবে।”—মথি ৫:৫, প্রকাশিত বাক্য ১৪:১, ৩.

গির্জার যাজক আমার স্ত্রীয়েদের আমার বিরুদ্ধে আনার চেষ্টা করে। তিনি তাদের যিহোবার সাক্ষীদের আমাদের বাড়িতে আসার বিষয়টিকে প্রতিরোধ করতে বলেন। আমার স্ত্রীয়েদের একজন আমার খাবারে বিষ প্রয়োগ করে। তাদের মধ্যে দুইজন আমাকে একটি দর্শন সম্বন্ধে সর্তক করে দেয় যা তারা গির্জায় দেখেছে। দর্শনটি দেখিয়েছিল যে যদি আমি গির্জা ত্যাগ করি, তাহলে আমি মারা যাব। তৎসত্ত্বেও, আমি আমার স্ত্রীয়েদের কাছে সাক্ষ্য দিয়ে চলতে থাকি, আর তাদের আমার সাথে সভাগুলিতে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাই। আমি বলি, “সেখানে তোমরা অন্যান্য স্বামীদেরও দেখতে পাবে।” কিন্তু, তাদের মধ্যে কেউই আগ্রহ দেখায়নি এবং তারা ক্রমাগতভাবে আমাকে নিরুৎসাহিত করার চেষ্টা করে চলে।

পরিশেষে, ১৯৭০ সালের ২রা ফেব্রুয়ারিতে, যখন আমি প্রতিবেশী একটি শহর থেকে যাত্রা শেষ করে বাড়িতে ফিরে আসি, আমি দেখতে পাই যে বাড়িটি খালি। আমার সব স্ত্রীয়েরা সন্তানদের নিয়ে চলে গেছে।

একজন স্ত্রীয়ের প্রতি অনুগত থাকা

‘আমি এখন আমার বৈবাহিক পরিস্থিতিকে সংশোধন করতে পারি,’ আমি চিন্তা করেছিলাম। আমি আমার প্রথম স্ত্রী, জেনেটকে বাড়িতে ফিরে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাই। সে রাজি হয়। কিন্তু, তার পরিবার প্রবলভাবে সেই ইচ্ছার বিরোধিতা করে। যখন আমার অন্যান্য স্ত্রীয়েরা জানতে পারে যে আমি জেনেটকে ফিরে আসতে বলেছি, তারা তার বাবার বাড়িতে যায় এবং তাকে প্রহার করার চেষ্টা করে। ফলে তার পরিবার আমার সাথে একটি সভা করার জন্য আমাকে ডেকে আনে।

সেখানে সভার জন্য প্রায় ৮০ জন ব্যক্তি উপস্থিত ছিল। জেনেটের কাকা, যিনি পরিবারের প্রধান ছিলেন, বলেন: “যদি তুমি আমাদের কন্যাকে পুনরায় বিবাহ করতে চাও, তবে অন্যান্য স্ত্রীয়েদেরও তোমাকে পুনরায় গ্রহণ করতে হবে। কিন্তু তুমি যদি তোমার নতুন ধর্ম অভ্যাস করতে চাও এবং একজন স্ত্রীর সাথে থাকতে চাও, তাহলে অবশ্যই তোমাকে আরেকটি স্ত্রী খুঁজে নিতে হবে। তুমি যদি জেনেটকে ফিরিয়ে নিয়ে যাও তোমার অন্যান্য স্ত্রীয়েরা তাকে হত্যা করবে আর আমরা আমাদের কন্যাকে মরতে দিতে চাই না।”

অনেক কথাবার্তার পর, পরিবারটি উপলব্ধি করতে পারে যে আমি একটি স্ত্রী রাখার ব্যাপারে দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ। পরিশেষে তাদের কঠোরতা হ্রাস পায়। কাকা বলেন: “আমরা তোমার স্ত্রীকে তোমার কাছ থেকে নেব না। তুমি তাকে তোমার সাথে নিয়ে যেতে পার।”

১৯৭০ সালের ২১শে মে, জেনেট এবং আমি বৈধভাবে বিবাহ করি। নয় দিন পর একজন যিহোবার সাক্ষী হিসাবে আমি বাপ্তাইজিত হই। একই বছরের ডিসেম্বরে, জেনেটও বাপ্তাইজিত হয়।

যিহোবার আশীর্বাদ উপভোগ করা

আমাদের প্রাক্তন গির্জার সদস্যেরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল যে যদি আমরা সাক্ষী হই, তাহলে আমরা মারা যাব। এটি প্রায় ৩০ বছর আগের কথা। এমনকি যদি আমি এখন মারা যাই, তবে তা কি আমি একজন যিহোবার সাক্ষী হয়েছি বলে? যদি আমার স্ত্রী এখন মারা যায়, কেউ কি বলতে পারে যে সে একজন যিহোবার সাক্ষী হয়েছে বলে তা ঘটেছে?

আমি আমার ১৭ জন সন্তানকে সত্যের পথে পরিচালিত করতে সংগ্রাম করেছি। যদিও সেই সময় যখন আমি একজন সাক্ষী হই, তাদের মধ্যে অনেকেই প্রাপ্তবয়স্ক ছিল, আমি তাদের বাইবেল অধ্যয়ন করতে উৎসাহিত করি এবং সভা ও সম্মেলনগুলিতে তাদের নিয়ে যাই। এটি আমার জন্য আনন্দদায়ক যে তাদের মধ্যে পাঁচ জন আমার সাথে যিহোবার সেবা করছে। একজন আমার সাথে মণ্ডলীতে প্রাচীন হিসাবে সেবা করছে। অন্য আরেকজন পার্শ্ববর্তী একটি মণ্ডলীতে একজন পরিচারক দাস। আমার সন্তানদের মধ্যে দুজন নিয়মিত অগ্রগামী হিসাবে সেবা করছে।

যখন আমি পিছনে ফিরে তাকাই, আমাকে তাঁর দাস হতে সাহায্য করার জন্য যিহোবার অযাচিত করুণার বিষয়ে আমি বিস্মিত হয়ে পড়ি। যীশুর বাক্যগুলি কতই না সত্য: “পিতা, যিনি আমাকে পাঠাইয়াছেন, তিনি আকর্ষণ না করিলে কেহ আমার কাছে আসিতে পারে না”!—যোহন ৬:৪৪.

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার