পাঠকদের থেকে প্রশ্নসকল

এটি কি বলা যেতে পারে যে মথি ২৪:৩৪ পদে ‘বংশ’ (NW) শব্দটির সাম্প্রতিক নব বোধগম্যতা এই ধারণা প্রদান করে যে, এই বিধিব্যবস্থার শেষ দূর ভবিষ্যৎ পর্যন্ত বিলম্বিত হতে পারে?

বিষয়টি নিশ্চয়ই তা নয়। বিপরীতে, এই বিষয়ে সাম্প্রতিক উন্নত বোধগম্যতার, আমাদের শেষ সম্বন্ধে অবিরত দৃঢ় প্রত্যাশা রাখতে সাহায্য করা উচিত। তা কিভাবে?

নভেম্বর ১, ১৯৯৫, প্রহরীদুর্গ যেমন ব্যাখ্যা করেছিল, যীশু “এই কালের” [“এই বংশের,” NW] কথাটি সমকালীন দুষ্ট লোকেদের প্রতি প্রয়োগ করেছিলেন। (মথি ১১:৭, ১৬-১৯; ১২:৩৯, ৪৫; ১৭:১৪-১৭; প্রেরিত ২:৫, ৬, ১৪, ৪০) এটি, নির্দিষ্ট একটি তারিখে শুরু হয়ে কোন নির্ধারিত দৈর্ঘ্যের সময়ের বর্ণনা ছিল না।

বস্তুতপক্ষে, প্রহরীদুর্গ এর সেই একই সংখ্যায় “পাঠকদের থেকে প্রশ্নসকল” দুটি মুখ্য বিষয়ের উপর আলোকপাত করেছিল: “একটি বংশের লোককে কোন নির্দিষ্ট সময় বা বছরের দ্বারা দেখা যেতে পারে না,” এবং “একটি বংশের লোকেরা অপেক্ষাকৃতভাবে কম সময় ধরে জীবিত থাকে।”

আমরা ‘বংশ’-কে প্রায়ই এইভাবে ব্যবহার করে থাকি। উদাহরণস্বরূপ, আমরা হয়ত বলতে পারি, ‘নেপোলিয়ানের বংশের সৈনিকেরা উড়োজাহাজ এবং পারমাণবিক বোমা সম্পর্কে কিছুই জানত না।’ এটি বলার দ্বারা আমরা কি এর সেই সমস্ত সৈনিকদের নির্দেশ করব যারা ঠিক সেই বছরেই জন্মগ্রহণ করেছিল যখন নেপোলিয়ান করেছিলেন? অথবা আমরা কি কেবলমাত্র সেই ফরাসী সৈনিকদের নির্দেশ করব যারা নেপোলিয়ানের পূর্বেই মৃত্যুবরণ করেছিল? অবশ্যই না; আমরা ‘বংশ’ শব্দটি এইভাবে ব্যবহার করার দ্বারা নির্দিষ্ট সংখ্যক কতগুলি বছরকে স্থাপন করার চেষ্টা করব না। যাইহোক, আমরা এক অপেক্ষাকৃত কম সময়কাল সম্বন্ধে উল্লেখ করছি কিন্তু, নেপোলিয়ানের সময় থেকে ভবিষ্যতে শত শত বছরের প্রতি নয়।

জৈতুন পর্বতে প্রদত্ত তাঁর ভবিষ্যদ্বাণীতে যীশু যা বলেছিলেন তা আমাদের বোধগম্যতার সাথে মিলযুক্ত। সেই ভবিষ্যদ্বাণীর বিভিন্ন দিকগুলির পরিপূর্ণতা প্রমাণ করে যে এই বিধিব্যবস্থার শেষ সন্নিকট। (মথি ২৪:৩২, ৩৩) স্মরণ করুন, প্রকাশিত বাক্য ১২:৯, ১০ পদ অনুযায়ী, ১৯১৪ সালে ঈশ্বরের স্বর্গীয় রাজ্যের প্রতিষ্ঠার সাথে সাথে শয়তানকে পৃথিবীর সান্নিধ্যে নিক্ষেপ করা হয়েছিল। প্রকাশিত বাক্য আরও বলে যে, শয়তান এখন অতিশয় রাগান্বিত। কেন? কারণ সে জানে “তার কাল সংক্ষিপ্ত।” (বাঁকা অক্ষরে মুদ্রণ আমাদের।)—প্রকাশিত বাক্য ১২:১২.

তাই নভেম্বর ১, প্রহরীদুর্গ-এ “জাগিয়া থাকিও” এই উপশিরোনামটি যথাযথ ছিল! এর পরবর্তী অনুচ্ছেদটি সঙ্গতভাবে বলেছিল: “ঘটনাগুলি ঘটার নির্দিষ্ট সময় জানার আমাদের কোন প্রয়োজন নেই। বরঞ্চ, সজাগ থাকার প্রতি, দৃঢ় বিশ্বাস গড়ে তোলার প্রতি ও যিহোবার পরিচর্যায় ব্যস্ত থাকার প্রতি আমাদের দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখা উচিত—তারিখ গণনা করার প্রতি নয়।” তারপর এটি যীশুর বাক্যগুলিকে উদ্ধৃতি করেছিল: “সাবধান, তোমরা জাগিয়া থাকিও ও প্রার্থনা করিও; কেননা সে সময় কবে হইবে, তাহা জান না। আর আমি তোমাদিগকে যাহা বলিতেছি, তাহাই সকলকে বলি, জাগিয়া থাকিও।”—মার্ক ১৩:৩৩, ৩৭.