ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৭ ৬/১ পৃষ্ঠা ৭-১২
  • যিহোবা—এক ঈশ্বর যিনি গুপ্ত বিষয়গুলি প্রকাশ করেন

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • যিহোবা—এক ঈশ্বর যিনি গুপ্ত বিষয়গুলি প্রকাশ করেন
  • ১৯৯৭ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • সর্বশক্তিমান তবুও প্রেমময়
  • যিহোবা যে প্রতিষ্ঠানগুলিকে ব্যবহার করেন তার প্রতি উপযুক্ত শ্রদ্ধা
  • উন্মুক্ততা অথবা গোপনীয়তা?
  • বলব অথবা বলব না?
  • এক গুপ্ত বিষয় যা খ্রীষ্টানেরা লুকিয়ে রাখতে সাহসী হয় না!
    ১৯৯৭ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • ঈশ্বর সম্বন্ধে জ্ঞান নেওয়া কীভাবে?
    ২০০৬ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • ‘নিগূঢ়তত্ত্বরূপে ঈশ্বরের প্রজ্ঞা’
    যিহোবার নিকটবর্তী হোন
  • ঈশ্বরের উদ্দেশ্য পরিপূর্ণ করার জন্য এক বিধান
    ২০০৬ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
আরও দেখুন
১৯৯৭ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৭ ৬/১ পৃষ্ঠা ৭-১২

যিহোবা—এক ঈশ্বর যিনি গুপ্ত বিষয়গুলি প্রকাশ করেন

“ঈশ্বর স্বর্গে আছেন, তিনি নিগূঢ় বিষয় প্রকাশ করেন।”—দানিয়েল ২:২৮.

১, ২. (ক) যিহোবা কিভাবে তাঁর প্রধান বিপক্ষের থেকে পৃথক? (খ) মানুষেরা কিভাবে এই পার্থক্য প্রতিফলিত করে?

যিহোবা, মহাবিশ্বের সর্বোচ্চ এবং প্রেমময় ঈশ্বর, এক এবং একমাত্র সৃষ্টিকর্তা, প্রজ্ঞা ও ন্যায়বিচারের ঈশ্বর। তাঁর পরিচয়, তাঁর কার্যসকল অথবা তাঁর উদ্দেশ্যগুলিকে লুকিয়ে রাখার কোন প্রয়োজন তাঁর নেই। তাঁর নিরূপিত সময়ে এবং তাঁর নিজস্ব ইচ্ছানুযায়ী তিনি নিজেকে প্রকাশ করেন। এইভাবে তিনি তাঁর বিপক্ষ, শয়তান দিয়াবলের থেকে পৃথক, যে তার সত্য পরিচয় ও অভিপ্রায়গুলিকে লুকাতে চেষ্টা করে।

২ ঠিক যেমন যিহোবা এবং শয়তান পরস্পর বিপরীত, সুতরাং তাদের উপাসনাকারীরাও সেইরূপ। যারা শয়তানের পরিচালনা অনুসরণ করে তারা কপটতা ও প্রতারণার বৈশিষ্ট্যযুক্ত। তারা নিজেদের এক উত্তম দীপ্তিরূপে উপস্থিত করতে চেষ্টা করে যখন তারা অন্ধকারের কাজগুলি করে চলতে থাকে। করিন্থীয় খ্রীষ্টানদের বলা হয়েছিল যে তারা যেন এই বিষয়ে আশ্চর্য না হয়। “কেননা এরূপ লোকেরা ভাক্ত প্রেরিত, প্রতারক কর্ম্মকারী, তাহারা খ্রীষ্টের প্রেরিতদের বেশ ধারণ করে। আর ইহা আশ্চর্য্য নয়, কেননা শয়তান আপনি দীপ্তিময় দূতের বেশ ধারণ করে।” (২ করিন্থীয় ১১:১৩, ১৪) অপরপক্ষে, খ্রীষ্টানেরা তাদের নেতা হিসাবে খ্রীষ্টের প্রতি দৃষ্টিপাত করে। যখন পৃথিবীতে ছিলেন তিনি নিখুঁতভাবে তাঁর পিতা যিহোবা ঈশ্বরের ব্যক্তিত্ব প্রতিফলিত করেছিলেন। (ইব্রীয় ১:১-৩) তাই, খ্রীষ্টকে অনুসরণ করার দ্বারা খ্রীষ্টানেরা যিহোবাকে অনুকরণ করে যিনি সত্য, উন্মুক্ততা এবং দীপ্তির ঈশ্বর। তাদেরও, তাদের পরিচিতি, তাদের কার্যধারা অথবা তাদের উদ্দেশ্যগুলিকে লুকানোর কোন প্রয়োজন নেই।—ইফিষীয় ৪:১৭-১৯; ৫:১, ২.

৩. কিভাবে আমরা এই দাবিটিকে খণ্ডণ করতে পারি যে সেই লোকেরা যারা যিহোবার সাক্ষী হয় তারা এক “গুপ্ত সম্প্রদায়ে” যুক্ত হতে বাধ্য হয়?

৩ একটি সময় যেটি সর্বোত্তম বলে তিনি জানেন, যিহোবা তাঁর উদ্দেশ্যগুলি এবং ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে বিস্তারিতভাবে প্রকাশ করেন যা পূর্বে মানুষের কাছে অজ্ঞাত ছিল। এই অর্থে তিনি এমন এক ঈশ্বর যিনি গুপ্ত বিষয়গুলি প্রকাশ করেন। সেই কারণে, যে লোকেরা তাঁকে সেবা করতে চায় তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে—হ্যাঁ উৎসাহিত করা হয়েছে—এইধরনের প্রকাশিত তথ্যগুলিকে শেখার জন্য। একটি ইউরোপীয় দেশে ১,৪৫,০০০ জন সাক্ষীর উপর ১৯৯৪ সালে কৃত এক সমীক্ষা প্রকাশ করেছিল যে, একজন সাক্ষী হতে মনোনয়ন করার আগে গড়ে তাদের প্রত্যেকজন ব্যক্তিগতভাবে তিন বছর যিহোবার সাক্ষীদের শিক্ষাগুলি সম্বন্ধে অনুসন্ধান করেছিল। কোন দমনমূলক চাপ ছাড়াই তারা তাদের নিজস্ব স্বাধীন ইচ্ছা অনুযায়ী এই মনোনয়নটি করেছিল। আর ইচ্ছা ও কাজের ক্ষেত্রে তারা ক্রমাগতভাবে স্বাধীনতা পেয়ে আসছে। উদাহরণস্বরূপ, যেহেতু কিছুজন খ্রীষ্টানদের জন্য নির্ধারিত উচ্চ নৈতিক মানগুলির সাথে সমমত হতে পারেনি, তাই তারা পরবর্তী সময়ে স্থির করেছিল যে তারা আর সাক্ষী হিসাবে থাকতে চায় না। কিন্তু, এটি আগ্রহজনক যে, গত পাঁচ বছরে এই পূর্বতন সাক্ষীদের একটি বৃহৎ অংশ পরবর্তী সময়ে সাক্ষী হিসাবে তাদের মেলামেশা ও কার্যকলাপ পুনরারম্ভ করার জন্য পদক্ষেপ নিয়েছিল।

৪. বিশ্বস্ত খ্রীষ্টানদের কোন্‌ বিষয়ে বিক্ষুব্ধ হওয়ার প্রয়োজন নেই এবং কেন?

৪ অবশ্যই, সমস্ত পূর্বতন সাক্ষীরা ফিরে আসেনি এবং তাদের মধ্যে এমন কিছুজনও আছে যারা একসময় খ্রীষ্টীয় মণ্ডলীতে দায়িত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিল। এই বিষয়টি আশ্চর্যের হওয়া উচিত নয়, কারণ এমনকি যীশুর একজন অন্যতম ঘনিষ্ঠ অনুগামী প্রেরিত যিহূদা বিপথগামী হয়েছিল। (মথি ২৬:১৪-১৬, ২০-২৫) কিন্তু এটি কি স্বয়ং খ্রীষ্টতত্ত্বের পক্ষে বিঘ্নিত হওয়ার জন্য কোন কারণ? এটি কি যিহোবার সাক্ষীরা যে সফলতার সাথে তাদের শিক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে চলেছে তাকে অকৃতকার্য করে দেয়? একেবারেই নয়, ঠিক যেমন ঈষ্কোরিতীয় যিহূদার বিশ্বাসঘাতকতামূলক কাজ কোনভাবেই ঈশ্বরের উদ্দেশ্যকে স্তব্ধ করে দিতে পারেনি।

সর্বশক্তিমান তবুও প্রেমময়

৫. আমরা কিভাবে জানি যে যিহোবা এবং যীশু মানুষদের ভালবাসেন এবং কিভাবে তারা এই প্রেম প্রদর্শন করেছেন?

৫ যিহোবা হলেন প্রেমের ঈশ্বর। তিনি লোকেদের সম্বন্ধে চিন্তা করেন। (১ যোহন ৪:৭-১১) তাঁর সুউচ্চ স্থান সত্ত্বেও তিনি মানুষকে তাঁর বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করার বিষয়টি উপভোগ করেন। তাঁর এক প্রাচীন দাস সম্বন্ধে আমরা পড়ি: “‘অব্রাহাম ঈশ্বরে বিশ্বাস করিলেন, এবং তাহা তাঁহার পক্ষে ধার্ম্মিকতা বলিয়া গণিত হইল,’ আর তিনি ‘ঈশ্বরের বন্ধু’ এই নাম পাইলেন।” (যাকোব ২:২৩; ২ বংশাবলি ২০:৭; যিশাইয় ৪১:৮) যেমন মনুষ্য বন্ধুরা গোপন অথবা গুপ্ত বিষয়গুলি পরস্পর ভাগ করে নেয় সেইরকমই যিহোবাও তাঁর বন্ধুদের সাথে করেন। এই বিষয়ে যীশু তাঁর পিতাকে অনুকরণ করেছিলেন, কারণ তিনি তাঁর শিষ্যদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করেছিলেন এবং তাদের সাথে গুপ্ত বিষয়গুলি বন্টন করে নিয়েছিলেন। তিনি তাদের বলেছিলেন, “আমি তোমাদিগকে আর দাস বলি না, কেননা প্রভু কি করেন, দাস তাহা জানে না; কিন্তু তোমাদিগকে আমি বন্ধু বলিয়াছি, কারণ আমার পিতার নিকটে যাহা যাহা শুনিয়াছি, সকলই তোমাদিগকে জ্ঞাত করিয়াছি।” (যোহন ১৫:১৫) ব্যক্তিগত তথ্য অথবা “নিগূঢ় বিষয়” যিহোবা তাঁর পুত্র এবং তাদের বন্ধুদের মধ্যে একত্রে বন্টিত হওয়ায় তা তাদের প্রেম ও ভক্তির এক অটুট বন্ধনে ঐক্যবদ্ধ করেছিল।—কলসীয় ৩:১৪.

৬. যিহোবার কেন তাঁর অভিপ্রায়গুলিকে লুকাবার প্রয়োজন নেই?

৬ যিহোবা নামের অর্থ “তিনি অস্তিত্বে আনেন,” ইঙ্গিত করে যে তাঁর উদ্দেশ্য সম্পাদন করার জন্য যা কিছু তাঁর প্রয়োজন তা হওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর সক্ষমতা আছে। মানুষের বৈসাদৃশ্যে, যিহোবার তাঁর অভিপ্রায়গুলিকে লুকানোর কোন প্রয়োজন নেই এই ভয়ে যে অন্যেরা হয়ত সেগুলিকে প্রতিপাদন করার ক্ষেত্রে তাঁকে বাধা দিতে সমর্থ হবে। তিনি কখনই ব্যর্থ হতে পারেন না, সুতরাং তিনি প্রকাশ্যভাবে তাঁর বাক্য বাইবেলে, তিনি যা করতে উদ্দেশ্য করেছেন তার সমস্ত কিছুই প্রকাশ করেন। তিনি প্রতিজ্ঞা করেন: “আমার . . . বাক্য . . . নিষ্ফল হইয়া আমার কাছে ফিরিয়া আসিবে না, কিন্তু আমি যাহা ইচ্ছা করি, তাহা সম্পন্ন করিবে, এবং যে জন্য তাহা প্রেরণ করি, সে বিষয়ে সিদ্ধার্থ হইবে।”—যিশাইয় ৫৫:১০, ১১.

৭. (ক) যিহোবা এদনে কী ভাববাণী করেছিলেন এবং কিভাবে শয়তান ঈশ্বরকে সত্য হিসাবে প্রমাণিত করেছিল? (খ) ২ করিন্থীয় ১৩:৮ পদের নীতিটি কিভাবে সর্বদা সত্য প্রতিপন্ন হয়?

৭ এদনে বিদ্রোহের অল্প কিছু পরেই যিহোবা তাঁর এবং তাঁর বিপক্ষ শয়তানের মধ্যে ক্রমাগ্রসরমান বিরোধের চূড়ান্ত পরিণতি সম্বন্ধে এক পরিলেখ প্রকাশ করেছিলেন। ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞাত বংশ দুঃখজনকভাবে চূর্ণ হবে কিন্তু স্থায়ীভাবে নয়, যেখানে শয়তান চূড়ান্তভাবে এক দুর্দশাপূর্ণ চূর্ণতা ভোগ করবে। (আদিপুস্তক ৩:১৫) সা.শ. ৩৩ সালে দিয়াবল প্রকৃতপক্ষে সেই বংশ খ্রীষ্ট যীশুকে চূর্ণ করেছিল তাঁর মৃত্যুর কারণস্বরূপ হয়ে। এইভাবে শয়তান শাস্ত্রের পরিপূর্ণতা নিয়ে এসেছিল এবং এই পদ্ধতিতে যিহোবাকে সত্য ঈশ্বর হিসাবে প্রমাণিত করেছিল যদিও নিশ্চিতভাবেই এটি শয়তানের লক্ষ্য ছিল না। সত্য এবং ধার্মিকতার প্রতি তার ঘৃণা, একই সাথে তার অহঙ্কার, অনুতাপহীন মনোভাব তাকে ঠিক সেই কাজ করতেই পরিচালিত করেছিল যেটি সে করবে বলে ঈশ্বর ভাববাণী করেছিলেন। হ্যাঁ, সত্যের সমস্ত বিরোধীদের প্রতি, এমনকি স্বয়ং শয়তানের প্রতিও এই নীতিটি সত্য প্রতিপন্ন হয়: “আমরা সত্যের বিপক্ষে কিছুই করিতে পারি না, কেবল সত্যের সপক্ষে করিতে পারি।”—২ করিন্থীয় ১৩:৮.

৮, ৯. (ক) শয়তান কী জানে, কিন্তু এই জ্ঞাত বিষয়টি কি যিহোবার উদ্দেশ্যের প্রবাহমানতাকে বিপন্ন করে? (খ) যিহোবার বিরোধীরা কোন্‌ সহজ সতর্কবাণীকে উপেক্ষা করে এবং কেন?

৮ যখন ঈশ্বরের রাজ্য ১৯১৪ সালে অদৃশ্যভাবে স্থাপিত হয়েছিল তখন থেকে প্রকাশিত বাক্য ১২:১২ পদ প্রয়োগযোগ্য হয়েছে: “হে স্বর্গ ও তন্নিবাসিগণ, আনন্দ কর; পৃথিবী ও সমুদ্রের সন্তাপ হইবে; কেননা দিয়াবল তোমাদের নিকটে নামিয়া গিয়াছে; সে অতিশয় রাগাপন্ন, সে জানে, তাহার কাল সংক্ষিপ্ত।” তবুও, তার সময় সংক্ষিপ্ত এই বিষয়টি সম্বন্ধে জ্ঞাত হওয়া কি শয়তানকে তার কার্যধারা পরিবর্তন করতে কারণ যুগিয়েছে? এটি শয়তানের পক্ষ থেকে এক স্বীকৃতিস্বরূপ হবে যে যিহোবা হলেন সত্যের ঈশ্বর আর সর্বোচ্চ শাসক হিসাবে একমাত্র তিনিই উপাসনা পাওয়ার যোগ্য। কিন্তু, এই জ্ঞান থাকা সত্ত্বেও শয়তান পরাজয় স্বীকার করতে ইচ্ছুক নয়।

৯ যখন খ্রীষ্ট শয়তানের জগৎ ব্যবস্থার উপর বিচার সম্পাদন করতে আসবেন তখন কী ঘটবে সেই সম্বন্ধে যিহোবা উন্মুক্তভাবে প্রকাশ করেছেন। (মথি ২৪:২৯-৩১; ২৫:৩১-৪৬) এই সম্বন্ধে জগৎ শাসকদের বিষয়ে তাঁর বাক্য ঘোষণা করে: “লোকে যখন বলে, শান্তি ও অভয়, তখনই তাহাদের কাছে যেমন গর্ব্ভবতীর প্রসব-বেদনা উপস্থিত হইয়া থাকে, তেমনি আকস্মিক বিনাশ উপস্থিত হয়।” (১ থিষলনীকীয় ৫:৩) যারা শয়তানের নেতৃত্ব অনুসরণ করে তারা এই স্পষ্ট সতর্কবার্তাটিকে অবজ্ঞা করে থাকে। তাদের দুষ্ট হৃদয়ের কারণে তারা অন্ধ এবং এটি তাদের মন্দ কার্যধারার জন্য অনুতাপ করাকে ও তাদের পরিকল্পনা এবং কৌশলতা পরিবর্তন করাকে প্রতিরোধ করে যা যিহোবার উদ্দেশ্যগুলিকে ব্যাহত করার জন্য সচেষ্ট।

১০. (ক) কতদূর পর্যন্ত ১ থিষলনীকীয় ৫:৩ পদ হয়ত পরিপূর্ণ হয়েছে, কিন্তু যিহোবার লোকেদের কিভাবে প্রতিক্রিয়া দেখান উচিত? (খ) বিশ্বাস বহির্ভূত লোকেরা কেন হয়ত ভবিষ্যতে ঈশ্বরের লোকেদের বিরোধিতার ক্ষেত্রে আরও সাহসী হয়ে উঠতে পারে?

১০ বিশেষভাবে ১৯৮৬ সালে যখন রাষ্ট্রসংঘ দ্বারা আন্তর্জাতিক শান্তিবর্ষ ঘোষিত হয়েছিল, তখন থেকে জগৎ সম্পূর্ণভাবে শান্তি এবং নিরাপত্তা বিষয়ে আলোচনায় রত থেকেছে। নির্দিষ্ট পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করা হয়েছে বিশ্বশান্তি সুরক্ষিত করার প্রচেষ্টায় যা আপাতদৃষ্টিতে কিছু পরিমাণ সাফল্য নিয়ে আসে। এটিই কি এই ভবিষ্যদ্বাণীর সম্পূর্ণ পরিপূর্ণতা অথবা আমরা ভবিষ্যতে কোন প্রকার চমকপ্রদ ঘোষণার প্রত্যাশা করতে পারি? যিহোবা তাঁর নিরূপিত সময়ে বিষয়টি স্পষ্ট করবেন। এই মধ্যবর্তী সময়ে, আসুন আমরা “ঈশ্বরের সেই দিনের আগমনের অপেক্ষা ও আকাঙ্ক্ষা করিতে করিতে” আধ্যাত্মিকভাবে জেগে থাকি। (২ পিতর ৩:১২) যতই শান্তি ও নিরাপত্তা সম্বন্ধে অধিক আলোচনার মাধ্যমে সময় ক্রমাগত অতিবাহিত হতে থাকবে, কিছু ব্যক্তিরা যারা এই সতর্কবার্তা সম্বন্ধে জানে অথচ সেটিকে অবজ্ঞা করাকে বেছে নেয় তারা হয়ত আরও বিরোধী হয়ে উঠবে এই বিষয়টি অনুমান করে যে যিহোবা তাঁর বাক্য পরিপূর্ণ করবেন না অথবা করতে পারেন না। (তুলনা করুন হিতোপদেশ ৮:১১-১৩; ২ পিতর ৩:৩, ৪.) কিন্তু সত্য খ্রীষ্টানেরা জানে যে যিহোবা তাঁর উদ্দেশ্য সম্পন্ন করবেন!

যিহোবা যে প্রতিষ্ঠানগুলিকে ব্যবহার করেন তার প্রতি উপযুক্ত শ্রদ্ধা

১১. দানিয়েল এবং যোষেফ যিহোবা সম্বন্ধে কী শিখেছিলেন?

১১ যখন আধুনিক-বাবিলন সাম্রাজ্যের শাসক রাজা নবুখদ্‌নিৎসর এক বিভ্রান্তিকর স্বপ্ন দেখেছিলেন যেটি তিনি স্মরণ করতে পারছিলেন না, তিনি সাহায্য চেয়েছিলেন। তার পুরোহিতেরা, মন্ত্রবেত্তারা এবং মায়াবীরা তাকে বলতে পারেনি যে তার স্বপ্নটি কী ছিল অথবা ব্যাখ্যা করতে পারেনি যে সেটির অর্থ কী ছিল। কিন্তু, ঈশ্বরের দাস দানিয়েল সেটি করতে সমর্থ হয়েছিলেন যদিও তিনি উৎসুকভাবে স্বীকার করেছিলেন যে সেই স্বপ্ন ও তার অর্থ প্রকাশ করা তার নিজস্ব বুদ্ধির ফলস্বরূপ ছিল না। দানিয়েল বলেছিলেন: “ঈশ্বর স্বর্গে আছেন, তিনি নিগূঢ় বিষয় প্রকাশ করেন, আর উত্তরকালে যাহা যাহা ঘটিবে, তাহা তিনি মহারাজ নবুখদ্‌নিৎসরকে জানাইয়াছেন।” (দানিয়েল ২:১-৩০) বেশ কিছু শতাব্দী পূর্বে ঈশ্বরের আর এক ভাববাদী যোষেফ সমরূপ অভিজ্ঞতা লাভ করেছিলেন যে যিহোবা হচ্ছেন গুপ্ত বিষয়গুলির প্রকাশক।—আদিপুস্তক ৪০:৮-২২; আমোষ ৩:৭, ৮.

১২, ১৩. (ক) কে ঈশ্বরের সর্বমহান ভাববাদী ছিলেন এবং আপনি কেন তা বলবেন? (খ) আজকে কারা “ঈশ্বরের নিগূঢ়তত্ত্ব রূপ ধনের অধ্যক্ষ” হিসাবে সেবা করছে এবং তাদেরকে আমাদের কোন্‌ দৃষ্টিতে দেখা উচিত?

১২ পৃথিবীতে পরিচর্যাকারী যিহোবার সর্বমহান ভাববাদী ছিলেন যীশু খ্রীষ্ট। (প্রেরিত ৩:১৯-২৪) পৌল ব্যাখ্যা করেছিলেন: “ঈশ্বর পূর্ব্বকালে বহুভাগে ও বহুরূপে ভাববাদিগণে পিতৃলোকদিগকে কথা বলিয়া, এই শেষ কালে পুত্ত্রেই আমাদিগকে বলিয়াছেন। তিনি ইঁহাকেই সর্ব্বাধিকারী দায়াদ করিয়াছেন, এবং ইঁহারই দ্বারা যুগকলাপের রচনাও করিয়াছেন।”—ইব্রীয় ১:১, ২.

১৩ যিহোবা প্রাথমিক খ্রীষ্টানদের সাথে কথা বলেছিলেন তাঁর পুত্র যীশুর মাধ্যমে যিনি তাদের ঐশিক গুপ্ত বিষয়গুলি সম্পর্কে জানিয়েছিলেন। যীশু তাদের বলেছিলেন: “ঈশ্বরের রাজ্যের নিগূঢ় তত্ত্ব সকল তোমাদিগকে জানিতে দেওয়া হইয়াছে।” (লূক ৮:১০) পরবর্তীকালে পৌল অভিষিক্ত খ্রীষ্টানদের “ঈশ্বরের নিগূঢ়তত্ত্বরূপ ধনের অধ্যক্ষ” হওয়া সম্বন্ধে উল্লেখ করেছিলেন। (১ করিন্থীয় ৪:১) আজকে, অভিষিক্ত খ্রীষ্টানেরা সেইভাবে ক্রমাগত সেবা করে চলেছে এক বিশ্বস্ত বুদ্ধিমান দাস শ্রেণী গঠন করে, যেটি এর পরিচালক গোষ্ঠীর মাধ্যমে উপযুক্ত সময়ে আধ্যাত্মিক খাদ্য সরবরাহ করে থাকে। (মথি ২৪:৪৫-৪৭) যদি আমরা বিগত দিনগুলির ঈশ্বরের অনুপ্রাণিত ভাববাদীদের উচ্চ সম্মান প্রদর্শন করে থাকি এবং বিশেষ করে ঈশ্বরের পুত্রের প্রতি, তাহলে আমাদের কি উচিত নয় মনুষ্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিও সম্মান প্রদর্শন করা যেটি যিহোবা আজকে এক অপূর্ব পদ্ধতিতে বাইবেলের সত্যগুলিকে প্রকাশ করার জন্য ব্যবহার করছেন যা এই বিষম সময়ে তাঁর লোকেদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়?—২ তীমথিয় ৩:১-৫, ১৩.

উন্মুক্ততা অথবা গোপনীয়তা?

১৪. কখন খ্রীষ্টানেরা তাদের কার্যকলাপ গুপ্তভাবে করে থাকে আর সেইক্ষেত্রে তারা কার উদাহরণ অনুসরণ করে?

১৪ বিষয়গুলি প্রকাশে যিহোবার এই উন্মুক্ততা কি এই অর্থ রাখে যে খ্রীষ্টানদের সর্বদা ও সব পরিস্থিতিতে সমস্ত কিছু প্রকাশ করা উচিত যা তারা জানে? খ্রীষ্টানেরা তাঁর প্রেরিতদের প্রতি দেওয়া যীশুর এই উপদেশটি অনুসরণ করে “সর্পের ন্যায় সতর্ক ও কপোতের ন্যায় অমায়িক হও।” (মথি ১০:১৬) যদি এটি বলা হয় যে তাদের বিবেক যেমন চায় সেই অনুযায়ী তারা ঈশ্বরকে উপাসনা করতে পারবে না সেইক্ষেত্রে খ্রীষ্টানেরা ‘ঈশ্বরের আজ্ঞা পালন করে’ কারণ তারা উপলব্ধি করে যে, কোন মনুষ্য প্রতিষ্ঠানের, যিহোবার উপাসনাকে সীমাবদ্ধ করার অধিকার নেই। (প্রেরিত ৫:২৯) যীশু নিজে এর যথার্থতা প্রদর্শন করেছিলেন। আমরা পড়ি: “এই সকলের পরে যীশু গালীলে ভ্রমণ করিলেন, কেননা যিহূদিগণ তাঁহাকে বধ করিবার চেষ্টা করায় তিনি যিহূদিয়াতে ভ্রমন করিতে ইচ্ছা করিলেন না। এক্ষণে যিহূদীদের কুটীরবাস পর্ব্ব সন্নিকট হইল। তখন যীশু তাহাদিগকে [তাঁর অবিশ্বাসী মাংসিক ভাইয়েদের] কহিলেন, . . . তোমরাই পর্ব্বে যাও; আমি এখনও এই পর্ব্বে যাইতেছি না, কেননা আমার সময় এখনও সম্পূর্ণ হয় নাই। তাহাদিগকে এই কথা বলিয়া তিনি গালীলে রহিলেন। কিন্তু তাঁহার ভ্রাতৃগণ পর্ব্বে গেলে পর তিনিও গেলেন, প্রকাশ্যরূপে নয়, কিন্তু এক প্রকার গোপনে।”—যোহন ৭:১, ২, ৬, ৮-১০.

বলব অথবা বলব না?

১৫. কিভাবে যোষেফ ইঙ্গিত করেন যে গোপনীয়তা রক্ষা করা কখনও কখনও এক প্রেমপূর্ণ বিষয় হয়ে থাকে?

১৫ কিছু পরিস্থিতিতে একটি বিষয়কে গোপন রাখা কেবলমাত্র বিজ্ঞতার কাজই নয়, কিন্তু প্রেমপূর্ণও। উদাহরণস্বরূপ, যীশুর পালক পিতা যোষেফ কিভাবে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিলেন যখন তিনি জেনেছিলেন যে তার বাগ্‌দত্তা কনে মেরী গর্ভবতী? আমরা পড়ি: “আর তাঁহার স্বামী যোষেফ ধার্ম্মিক হওয়াতে ও তাঁহাকে সাধারণের কাছে নিন্দার পাত্র করিতে ইচ্ছা না করাতে, গোপনে ত্যাগ করিবার মানস করিলেন।” (বাঁকা অক্ষরে মুদ্রণ আমাদের।) (মথি ১:১৮, ১৯) এটি কতই না নিষ্ঠুরতা হত যদি তাকে সাধারণের কাছে নিন্দার পাত্রী করা হত!

১৬. গোপন বিষয়গুলি সম্পর্কে প্রাচীনদের ও সেইসাথে মণ্ডলীর অন্যান্য সদস্যদের কী দায়িত্ব রয়েছে?

১৬ গোপন বিষয়গুলি যা লজ্জা অথবা ব্যথার কারণ হতে পারে তা অনধিকারী লোকেদের কাছে প্রকাশ করা উচিত নয়। খ্রীষ্টীয় প্রাচীনেরা এই বিষয়টি মনে রাখবেন যখন তারা অবশ্যই ব্যক্তিগত পরামর্শ প্রদান করবেন অথবা সহখ্রীষ্টানদের সান্ত্বনা দেবেন অথবা সম্ভবত এমনকি যিহোবার বিরুদ্ধে গুরুতর পাপের কারণে সংশোধন করবেন। এই সমস্ত বিষয়গুলিকে এক শাস্ত্রীয় পদ্ধতিতে পরিচালনা করা প্রয়োজনীয়; যারা জড়িত নয় তাদের কাছে গোপনীয় বিষয় প্রকাশ করা অপ্রয়োজনীয় ও প্রেমপূর্ণ নয়। নিশ্চিতভাবেই, খ্রীষ্টীয় মণ্ডলীর সদস্যেরা গোপন তথ্যগুলি প্রাচীনদের কাছ থেকে জানবার জন্য কৌতুহলীভাবে খোঁজ করার চেষ্টা করবেন না, কিন্তু গোপন বিষয়কে গুপ্ত রাখার জন্য প্রাচীনদের যে দায়িত্ব তার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবেন। হিতোপদেশ ২৫:৯ পদ উল্লেখ করে: “প্রতিবাসীর সহিত তোমার বিবাদ মিটাইয়া ফেল, কিন্তু পরের গুপ্ত কথা প্রকাশ করিও না।”

১৭. অধিকাংশ ক্ষেত্রে খ্রীষ্টানেরা কেন গোপন বিষয়গুলিকে গুপ্ত রাখে কিন্তু কেন তারা সর্বদা তা করতে পারে না?

১৭ এছাড়া এই নীতিটি পারিবারিক বৃত্তের ক্ষেত্রে অথবা ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের মধ্যেও সত্য। কিছু বিষয় গোপন রাখা ভুল বোঝাবুঝি ও সংকটজনক সম্পর্ক এড়ানোর জন্য অত্যাবশ্যকীয়। “উত্তরীয় বায়ু বৃষ্টির উৎপাদক, তেমনি কর্ণেজপ জিহ্বা ক্রোধদৃষ্টির উৎপাদক।” (হিতোপদেশ ২৫:২৩) অবশ্যই, যিহোবা এবং তাঁর ধার্মিক নীতিগুলির প্রতি নিষ্ঠা ও সেইসাথে ভুলত্রুটিযুক্ত ব্যক্তির প্রতি প্রেম হয়ত কিছু পরিস্থিতিতে পিতামাতা, খ্রীষ্টীয় প্রাচীন অথবা অন্যান্য অধিকারপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কাছে এমনকি গোপন বিষয়গুলিও বলাকে প্রয়োজনীয় করে তোলে।a কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রগুলিতে, খ্রীষ্টানেরা অন্যের ব্যক্তিগত গুপ্ত বিষয়গুলিকে গোপন রাখে সেগুলিকে এমনভাবে রক্ষা করার দ্বারা যেভাবে তারা তাদের নিজেদেরগুলিকে রক্ষা করে।

১৮. কোন্‌ তিনটি খ্রীষ্টীয় গুণাবলি আমাদের নির্ধারণ করতে সাহায্য করতে পারে যে কোন্‌টি আমাদের বলা উচিত এবং কোন্‌টি নয়?

১৮ সংক্ষেপে বলা যায় যে, একজন খ্রীষ্টান যখন প্রয়োজন সেই সময় নির্দিষ্ট কিছু বিষয় গোপন রেখে, কেবলমাত্র যখন উপযুক্ত তখনই সেগুলি প্রকাশ করার দ্বারা যিহোবাকে অনুকরণ করেন। কোন্‌টি বলা উচিত ও কোন্‌টি নয় তা স্থির করার সময় তিনি নম্রতা, বিশ্বাস ও প্রেম দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকেন। তিনি যা জানেন তার সমস্ত কিছু তাদের বলা অথবা যে গুপ্ত বিষয়গুলি সম্বন্ধে তিনি বলতে পারেন না সেগুলির দ্বারা তাদেরকে উত্ত্যক্ত করার মাধ্যমে অন্যদের প্রভাবিত করতে চেষ্টা করে তার নিজস্ব গুরুত্বকে অতিরঞ্জিত করা থেকে নম্রতা তাকে প্রতিরোধ করে। যিহোবার বাক্য ও খ্রীষ্টীয় মণ্ডলীর প্রতি বিশ্বাস তাকে ঐশিকভাবে সরবরাহকৃত বাইবেলের তথ্য প্রচার করতে প্রণোদিত করে যখন সেইসাথে এমন বিষয়গুলি বলা এড়ানোর জন্য সতর্ক করে যা হয়ত অন্যদের প্রথমেই অসন্তুষ্ট করতে পারে। হ্যাঁ, প্রেম তাকে সেই বিষয়গুলি প্রকাশ্যে বলতে অনুপ্রাণিত করে যা ঈশ্বরকে গৌরবান্বিত করে এবং যা জীবন লাভ করার জন্য লোকেদের জানা প্রয়োজন। অপরপক্ষে, গোপন ব্যক্তিগত বিষয়গুলিকে তিনি রক্ষা করেন এটি উপলব্ধি করে যে অধিকাংশ ক্ষেত্রগুলিতে সেগুলিকে প্রকাশ করা প্রেমের অভাবকে প্রদর্শন করে।

১৯. কোন্‌ কার্যধারা সত্য খ্রীষ্টানদের শনাক্ত করতে সাহায্য করে এবং এর ফলাফল কী হয়?

১৯ এই ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থা সত্য খ্রীষ্টানদের শনাক্ত করতে সাহায্য করে। তারা ঈশ্বরের পরিচিতিকে এক নামহীনতার মুখোশের পিছনে অথবা এক রহস্যময় ব্যাখ্যাহীন ত্রিত্ব মতবাদের আড়ালে লুকাতে চায় না। অজ্ঞাত ঈশ্বরেরা মিথ্যা ধর্মের বৈশিষ্ট্য, সত্য ধর্মের নয়। (প্রেরিত ১৭:২২, ২৩ পদ দেখুন।) যিহোবার অভিষিক্ত সাক্ষীরা প্রকৃতই “ঈশ্বরের নিগূঢ়তত্ত্বরূপ ধনের অধ্যক্ষ” হওয়ার সুযোগকে উপলব্ধি করে। এই গুপ্ত বিষয়গুলিকে অন্যদের কাছে উন্মুক্তভাবে প্রকাশ করার দ্বারা তারা সৎ-হৃদয় ব্যক্তিদের যিহোবার বন্ধুত্ব অন্বেষণ করার জন্য আকৃষ্ট হতে সাহায্য করে।—১ করিন্থীয় ৪:১; ১৪:২২-২৫; সখরিয় ৮:২৩; মালাখি ৩:১৮.

[পাদটীকাগুলো]

a নভেম্বর ১৫, ১৯৮৫, প্রহরীদুর্গ (ইংরাজি) এর “অন্যের পাপের অংশী হবেন না” নামক প্রবন্ধটি দেখুন।

আপনি কিভাবে উত্তর দেবেন?

◻ যিহোবার কেন তাঁর অভিপ্রায়গুলিকে লুকানোর প্রয়োজন নেই?

◻ কাদের কাছে যিহোবা তাঁর গুপ্ত বিষয়গুলি প্রকাশ করেন?

◻ গোপন বিষয়গুলির ক্ষেত্রে খ্রীষ্টানদের কোন্‌ দায়িত্ব আছে?

◻ কোন্‌ তিনটি গুণাবলি খ্রীষ্টানদের জানতে সাহায্য করবে যে কোন্‌টি বলা উচিত এবং কোন্‌টি নয়?

[৮, ৯ পৃষ্ঠার চিত্র]

যিহোবা তাঁর বাক্যের মাধ্যমে গুপ্ত বিষয়গুলি প্রকাশ করেন

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার