ওয়াচটাওয়ার অনলাইন লাইব্রেরি
ওয়াচটাওয়ার
অনলাইন লাইব্রেরি
বাংলা
  • বাইবেল
  • প্রকাশনাদি
  • সভা
  • w৯৮ ৮/১৫ পৃষ্ঠা ৫-৭
  • আস্থা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব!

এই বাছাইয়ের সঙ্গে কোনো ভিডিও প্রাপ্তিসাধ্য নেই।

দুঃখিত, ভিডিওটা চালানো সম্বভব হচ্ছে না।

  • আস্থা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব!
  • ১৯৯৮ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • উপশিরোনাম
  • অনুরূপ বিষয়বস্ত‌ু
  • ফল? আন্তরিকতাশূন্য সম্পর্ক
  • আমরা কার উপর নির্ভর করতে পারি?
  • আস্থা পুনরুদ্ধার করা
  • আস্থার এত অভাব কেন?
    ১৯৯৮ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • ঈশ্বরের ধার্মিকতার প্রতি আমাদের আস্থা দৃঢ় করা
    ১৯৯৮ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • অবশ্যই আমরা যিহোবার উপর আস্থা রাখব
    ১৯৯৮ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
  • প্রথম মানব দম্পতির কাছ থেকে আমরা যা শিখতে পারি
    ২০০০ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
আরও দেখুন
১৯৯৮ প্রহরীদুর্গ যিহোবার রাজ্য ঘোষণা করে
w৯৮ ৮/১৫ পৃষ্ঠা ৫-৭

আস্থা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব!

যদিও আজকের আস্থার অভাব ‘শেষ কালের’ একটি চিহ্ন কিন্তু আস্থার অভাব হাজার হাজার বছর আগেও দেখা গিয়েছিল। (২ তীমথিয় ৩:১) এটি প্রথম ঘটেছিল সেই স্থানে যেখানে তা ঘটা অকল্পনীয় ছিল—সেই মনোরম উদ্যানে। বাইবেল সেই স্থান সম্বন্ধে বলে: “সদাপ্রভু ঈশ্বর পূর্ব্বদিকে, এদনে, এক উদ্যান প্রস্তুত করিলেন, এবং সেই স্থানে আপনার নির্ম্মিত ঐ মনুষ্যকে রাখিলেন। আর সদাপ্রভু ঈশ্বর ভূমি হইতে সর্ব্বজাতীয় সুদৃশ্য ও সুখাদ্য-দায়ক বৃক্ষ, এবং সেই উদ্যানের মধ্যস্থানে জীবনবৃক্ষ ও সদসদ্‌-জ্ঞানদায়ক বৃক্ষ, উৎপন্ন করিলেন।”—আদিপুস্তক ২:৮, ৯.

পরবর্তী পদগুলি ব্যাখ্যা করে যে কিভাবে এটি আজকের দিনে আস্থার অভাবের সঙ্গে সম্বন্ধযুক্ত। আমরা পড়ি: “সদাপ্রভু ঈশ্বর আদমকে এই আজ্ঞা দিলেন, তুমি এই উদ্যানের সমস্ত বৃক্ষের ফল স্বচ্ছন্দে ভোজন করিও; কিন্তু সদসদ্‌-জ্ঞানদায়ক যে বৃক্ষ, তাহার ফল ভোজন করিও না, কেননা যে দিন তাহার ফল খাইবে, সেই দিন মরিবেই মরিবে।” (আদিপুস্তক ২:১৬, ১৭) যিহোবা যা বলেছিলেন, আদমের কি তাতে সন্দেহ করার কোন কারণ ছিল?

আমরা আরও পড়ি: “সদাপ্রভু ঈশ্বরের নির্ম্মিত ভূচর প্রাণীদের মধ্যে সর্প সর্ব্বাপেক্ষা খল ছিল। সে ঐ নারীকে কহিল, ঈশ্বর কি বাস্তবিক বলিয়াছেন, তোমরা এই উদ্যানের কোন বৃক্ষের ফল খাইও না? নারী সর্পকে কহিলেন, আমরা এই উদ্যানস্থ বৃক্ষ সকলের ফল খাইতে পারি; কেবল উদ্যানের মধ্যস্থানে যে বৃক্ষ আছে, তাহার ফলের বিষয় ঈশ্বর বলিয়াছেন, তোমরা তাহা ভোজন করিও না, স্পর্শও করিও না, করিলে মরিবে। তখন সর্প নারীকে কহিল, কোন ক্রমে মরিবে না; কেননা ঈশ্বর জানেন, যে দিন তোমরা তাহা খাইবে, সেই দিন তোমাদের চক্ষু খুলিয়া যাইবে, তাহাতে তোমরা ঈশ্বরের সদৃশ হইয়া সদসদ্‌-জ্ঞান প্রাপ্ত হইবে। নারী যখন দেখিলেন, ঐ বৃক্ষ সুখাদ্যদায়ক ও চক্ষুর লোভজনক, আর ঐ বৃক্ষ জ্ঞানদায়ক বলিয়া বাঞ্ছনীয়, তখন তিনি তাহার ফল পাড়িয়া ভোজন করিলেন; পরে আপনার মত নিজ স্বামীকে দিলেন, আর তিনিও ভোজন করিলেন।”—আদিপুস্তক ৩:১-৬.

ঈশ্বরের স্পষ্ট সতর্কবার্তাকে অবজ্ঞা করে আদম ও হবা যিহোবার উপর আস্থার অভাব দেখিয়েছিল। তারা নিজেদেরকে ঈশ্বরের বিপক্ষ শয়তানের প্রতিচ্ছবি করে তুলেছিল, যে আক্ষরিক সাপের মাধ্যমে হবার সঙ্গে কথা বলেছিল। যিহোবার শাসন পদ্ধতির প্রতি শয়তানের আস্থার অভাব ছিল। এইজন্য এবং এক গর্বিত, উচ্চাকাঙ্ক্ষী হৃদয়ের কারণে সে ঈশ্বরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল আর মনুষ্যদেরও সেই একই কাজ করার জন্য বিপথে পরিচালিত করেছিল। সে তাদের এই কথা চিন্তা করতে প্ররোচিত করেছিল যে ঈশ্বরের উপর নির্ভর করা যায় না।

ফল? আন্তরিকতাশূন্য সম্পর্ক

আপনি হয়ত লক্ষ্য করে থাকবেন, যে ব্যক্তিরা অন্যদের উপর নির্ভর করতে পারেন না তাদের পক্ষে বন্ধুত্ব বজায় রাখা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। সা.কা.পূ. প্রথম শতাব্দীর একজন ল্যাটিন লেখক পাবলিলিয়াস সাইরাস লিখেছিলেন: “বন্ধুত্বের একমাত্র বন্ধনই হচ্ছে আস্থা।” তাদের বিদ্রোহিতার দ্বারা আদম ও হবা দেখিয়েছিল যে তারা ঈশ্বরের উপর নির্ভরশীল নয়। তাই ঈশ্বরেরও তাদের উপর নির্ভর করার কোন কারণ ছিল না। নির্ভরতা বা আস্থা এইভাবে ভেঙে যাওয়ায় প্রথম মনুষ্যেরা ঈশ্বরের সঙ্গে তাদের বন্ধুত্ব হারিয়েছিল। তাদের বিদ্রোহের কারণে অগ্রাহ্য করার পর যিহোবা আর কখনও তাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন কি না সেই বিষয়ে কোন ইঙ্গিত নেই।

আদম ও হবার সম্পর্কের মধ্যেও চিড় ধরেছিল। যিহোবা হবাকে সতর্ক করেছিলেন: “তুমি বেদনাতে সন্তান প্রসব করিবে; এবং স্বামীর প্রতি তোমার বাসনা থাকিবে; ও সে তোমার উপরে কর্ত্তৃত্ব করিবে।” (বাঁকা অক্ষরে মুদ্রণ আমাদের।) (আদিপুস্তক ৩:১৬) দ্যা যিরূশালেম বাইবেল বলে: “সে তোমার উপর প্রভুত্ব করবে।” তার স্ত্রীর সঙ্গে প্রেমপূর্ণ মস্তক হিসাবে ব্যবহার করার পরিবর্তে যেমন ঈশ্বর চেয়েছিলেন, আদম তার প্রভুতে পরিণত হয়েছিল, তার উপর কর্তৃত্ব করেছিল।

পাপ করার পর আদম তার স্ত্রীর উপর দোষ চাপাতে চেষ্টা করেছিল। তার মনোভাব এমন ছিল যেন হবার কৃত কাজের জন্যই, তাদের সেই সুন্দর বাগান থেকে এক রুক্ষ পৃথিবীতে বের করে দেওয়া হয়েছিল আর ধুলোয় মিশে যাওয়ার আগে অসিদ্ধতার অধীনে দাস হয়ে থাকার শাস্তি ভোগ করতে হয়েছিল। (আদিপুস্তক ৩:১৭-১৯) আমরা বেশ ভালই কল্পনা করতে পারি যে এটিই ছিল দুজনের মধ্যে সংঘর্ষের উৎস। আদম হয়ত খুব জোরালো প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল এই কথাগুলি উচ্চারণ করে যে সে আর কখনও হবার কথা শুনবে না। সম্ভবত সে এই কথাগুলি বলাকেও উপযুক্ত বলে মনে করেছিল যে ‘এখন থেকে আমিই প্রভু!’ অপরপক্ষে হবা হয়ত দেখেছিল যে পরিবারের মস্তক হিসাবে আদম তার ভূমিকা পালন করতে ব্যর্থ হয়েছিল যে কারণে সেও তার উপর আস্থা হারিয়ে ফেলেছিল। যে কোন ভাবেই হোক না কেন, ঈশ্বরের প্রতি আস্থার অভাব দেখানোর দ্বারা মানুষেরা তাঁর সঙ্গে তাদের বন্ধুত্ব হারিয়ে ফেলেছিল ও তাদের একে অপরের সঙ্গে সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল।

আমরা কার উপর নির্ভর করতে পারি?

আদম ও হবার উদাহরণ দেখায় যে, আমরা সকলের উপর আস্থা রাখতে পারি না। কিন্তু আমরা কিভাবে জানতে পারি যে আমরা কার উপর আস্থা রাখতে পারি আর কার উপর পারি না?

গীতসংহিতা ১৪৬:৩ পদ আমাদের পরামর্শ দেয়: “তোমরা নির্ভর করিও না রাজন্যগণে, বা মনুষ্য-সন্তানে, যাহার নিকটে ত্রাণ নাই।” আর যিরমিয় ১৭:৫-৭ পদে আমরা পড়ি: “যে ব্যক্তি মনুষ্যে নির্ভর করে, মাংসকে আপনার বাহু জ্ঞান করে, ও যাহার অন্তঃকরণ সদাপ্রভু হইতে সরিয়া যায়, সে শাপগ্রস্ত।” অপরপক্ষে, “ধন্য সেই ব্যক্তি, যে সদাপ্রভুতে নির্ভর করে, যাহার বিশ্বাসভূমি [“আস্থা,” “NW”] সদাপ্রভু।”

এটি স্বীকার্য যে মানুষের উপর আস্থা রাখা সবসময় ভুল নয়। এই পদগুলি সাধারণভাবে এই বিষয়টিকে স্পষ্ট করে যে ঈশ্বরের উপর আস্থার কখনও অন্যথা হয় না কিন্তু অসিদ্ধ মানুষের উপর আস্থা রাখা কখনও কখনও বিপর্যয় নিয়ে আসতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যে লোকেরা মানুষের উপর সেই কাজগুলি করার জন্য নির্ভর করেন যা শুধু ঈশ্বর করতে পারেন—পরিত্রাণ দান করা এবং পূর্ণ শান্তি ও নিরাপত্তা নিয়ে আসা—তারা কেবল হতাশই হন।—গীতসংহিতা ৪৬:৯; ১ থিষলনীকীয় ৫:৩.

প্রকৃতপক্ষে মানুষ ও তাদের প্রতিষ্ঠানগুলি ততক্ষণ পর্যন্ত আস্থার যোগ্য যতক্ষণ তারা ঈশ্বরের উদ্দেশ্যের সঙ্গে সংগতি রেখে কাজ করে এবং ঈশ্বরীয় নীতি প্রদর্শন করে। তাই আমরা যদি চাই যে অন্যেরা আমাদের উপর আস্থা রাখুক, আমাদের অবশ্যই সত্যবাদী, সৎ এবং নির্ভরযোগ্য হতে হবে। (হিতোপদেশ ১২:১৯; ইফিষীয় ৪:২৫; ইব্রীয় ১৩:১৮) একমাত্র বাইবেলের নীতির সঙ্গে মিল রেখে চলার দ্বারাই, অন্যেরা আমাদের উপর যে নির্ভর করেন তা পারস্পরিক শক্তি ও উৎসাহের উৎস হিসাবে সমর্থিত ও প্রমাণিত হবে।

আস্থা পুনরুদ্ধার করা

ঈশ্বরের উপর আস্থা রাখার এবং এই একই কাজ করতে অন্যদের উৎসাহিত করার জন্য শক্তিশালী কারণ যিহোবার সাক্ষীদের রয়েছে। যিহোবা বিশ্বস্ত ও নিষ্ঠাবান, যাঁর উপর সর্বদা নির্ভর করা যায় যে তিনি যা বলেছেন তা পূর্ণ করবেন, কারণ “মিথ্যাকথা বলা ঈশ্বরের অসাধ্য।” প্রেমের ঈশ্বরের উপর আস্থা স্থাপন কখনও হতাশায় পরিচালিত করবে না।—ইব্রীয় ৬:১৮; গীতসংহিতা ৯৪:১৪; যিশাইয় ৪৬:৯-১১; ১ যোহন ৪:৮.

সেই লোকেরা যারা যিহোবার উপর আস্থা রাখার ক্ষেত্রে ঐক্যবদ্ধ ও যারা তাঁর নীতিগুলি মেনে জীবনযাপন করেন তারা একে অপরের উপর আস্থা রাখতে দৃঢ়ভাবে অনুপ্রাণিত হন। জগৎ যখন আস্থার অভাবে ভুগছে, সেই সময় এইধরনের লোকেদের খুঁজে পাওয়া কতই না আনন্দের বিষয় যারা নির্ভরযোগ্য! কল্পনা করুন যে পৃথিবীর অবস্থা কতই না অন্যরকম হত যদি প্রত্যেকে যা বলে ও করে তার উপর আমাদের পূর্ণ আস্থা থাকত! ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞাত আসন্ন নতুন জগতে এইরকম পরিস্থিতিই বিরাজ করবে। আর কখনও সেখানে আস্থার অভাব থাকবে না!

আপনি কি সেই সময়ে বেঁচে থাকতে চাইবেন? যদি চান, তাহলে যিহোবার সাক্ষীরা আপনাকে ঈশ্বর ও তাঁর প্রতিজ্ঞার উপর আপনার আস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন যা আপনি জীবনের জন্য তাঁর চাহিদাগুলি সম্বন্ধে আরও শেখার মাধ্যমে করতে পারেন। বাইবেল অধ্যয়ন প্রমাণ দেয় যে ঈশ্বর আছেন, তিনি মানুষের মঙ্গলের প্রতি আগ্রহী আর শীঘ্রই তিনি তাঁর রাজ্যের মাধ্যমে জগতের সমস্যাগুলি সংশোধন করবেন। লক্ষ লক্ষ ব্যক্তি ঈশ্বর ও তাঁর বাক্য বাইবেলের উপর আস্থা রাখতে শিখেছেন। যিহোবার সাক্ষীরা আনন্দের সঙ্গে বাইবেল অধ্যয়ন পর্বের এই জনসেবামূলক কাজটির নমুনা আপনাকে দেখাতে চান যেটি তারা বিনামূল্যে করে থাকেন। অথবা আরও তথ্যের জন্য এই পত্রিকার প্রকাশকদের কাছে লিখুন।

[৫ পৃষ্ঠার ব্লার্ব]

ঈশ্বরের প্রতি আস্থার অভাব মানুষের সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে

[৬ পৃষ্ঠার ব্লার্ব]

মানুষেরা ততক্ষণ পর্যন্ত আস্থাযোগ্য যতক্ষণ তারা ঈশ্বরের উদ্দেশ্যের সঙ্গে সংগতি রেখে কাজ করেন

    বাংলা প্রকাশনা (১৯৮৯-২০২৬)
    লগ আউট
    লগ ইন
    • বাংলা
    • শেয়ার
    • পছন্দসমূহ
    • Copyright © 2025 Watch Tower Bible and Tract Society of Pennsylvania
    • ব্যবহারের শর্ত
    • গোপনীয়তার নীতি
    • গোপনীয়তার সেটিং
    • JW.ORG
    • লগ ইন
    শেয়ার